রাজশাহী জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত ? রাজশাহীর বিখ্যাত খাবার ।
বাংলাদেশের পুরাতন জেলা গুলোর মধ্যে রাজশাহী জেলা অন্যতম। এই জেলাটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে সীমান্তবর্তী একটি জেলা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ভৌগোলিক পরিবেশ এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য এই জেলার দেশব্যাপী বিখ্যাত। এছাড়াও শিক্ষা সংস্কৃতি, আম, এবং সিল্কের জন্য রাজশাহী জেলা বিখ্যাত। আমরা এ পোষ্টের মধ্যে রাজশাহীর বিখ্যাত কিছু বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব।
সবাই এটাই জানতে চায় রাজশাহী জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত। আজকে আমার এ পোষ্টের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করব রাজশাহী কিসের কিসের জন্য বিখ্যাত। নিচে রাজশাহীর বিখ্যাত কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলোঃ
ভূমিকা:
উত্তরবঙ্গের সব থেকে বড় শহর হল রাজশাহী। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও চিরসবুজ হওয়াই রাজশাহীকে গ্রীন সিটি হিসেবে পরিচিতি দেওয়া হয়। রাজশাহীর পূর্ব নাম ছিল রামপুরা বোয়ালিয়া। রাজশাহী জেলায় বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এদের অনেক প্রতিষ্ঠানগুলোর খ্যাতি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
রাজশাহীর বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান:
আপনারা কেউ যদি রাজশাহী ভ্রমণ করে থাকেন তবে অবশ্যই রাজশাহীর দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে জেনে থাকবেন। রাজশাহীতে রয়েছে অনেক মনোরম পরিবেশের দর্শনীয় স্থান। অনেকগুলো দর্শনীয় স্থানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দর্শনীয় স্থান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
- পুঠিয়া রাজবাড়ী
এটি রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলায় অবস্থিত বহু বছরের পুরাতন একটি রাজবাড়ী। রাজশাহী শহর হতে ৩০ কিলোমিটার দূরে পুঠিয়া রাজবাড়ী অবস্থিত। উনবিংশ শতাব্দীতে পুঠিয়া রাজবাড়ী ইন্দো ইউরোপীয়রা স্থাপিত করেন। পুঠিয়া রাজবাড়ী দর্শনার্থীদের জন্য বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকে।
- বাঘা মসজিদ
বাংলাদেশে বাস করেন অথচ বাঘা মসজিদের নাম শোনেননি এমন মানুষ মনে হয় না আছে। এই মসজিদটি রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলায় অবস্থিত। এটি একটি প্রাচীন মসজিদ। বাঘা মসজিদ রাজশাহী শহর থেকে প্রায় 40 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বাঘা মসজিদের একটি বিশাল বড় দীঘি আছে। মসজিদের বিশাল বড় বড় গম্বুজ এবং বিশাল আকৃতির এই দিঘী দর্শনার্থীদের আকর্ষিত করে থাকে।
- বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর
বরেন্দ্র জাদুঘর রাজশাহী শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। ১৯১০ সাল থেকে এই জাদুঘরের প্রাথমিক কাজ শুরু হলেও ১৯১৩ সালে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর নিজ ভবনে যাত্রা শুরু করেন। সে সময় নাটোরের দিঘাপতিয়ার জমিদার শরৎকুমার রায়, অক্ষয় কুমার মৈত্র, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক রাম প্রসাদ চন্দ্র বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালিয়ে ৩২ টি দুষ্প্রাপ্য সংগ্রহ করেছিলেন।
- রাজশাহী কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা
রাজশাহী কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা রাজশাহী শহরের মধ্যে অবস্থিত। রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই চিড়িয়াখানা টি। নানা রকম ফুল ফলের গাছ দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য ও নান্দনিক ব্রিজ সহ একটি ছোট লেক এই চিড়িয়াখানাটিকে আকর্ষিত করে তুলেছে।
- সাফিনা পার্ক ও রিসোর্ট
রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রায় ৪০ বিঘা জমির উপরে সাফিনা পার্ক অবস্থিত। নানা রকম ফুল ফলের গাছ এবং দৃষ্টি নন্দন ফোয়ারা রয়েছে এই পার্কে। সকাল আটটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য এই পার্ক উন্মুক্ত থাকে। বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য এখানে রয়েছে নাগরদোলা, দোলনা, ট্রেন, থ্রিডি সিনেমা এবং কিডস স্পোর্টস। অনেকে পিকনিক স্পট হিসেবে এই পার্টি ব্যবহার করেন।
- শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংগ্রহ নিয়ে করে উঠেছে শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা। এই সংগ্রহশালায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং নানা স্মৃতি সংরক্ষিত রয়েছে। শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালায় তিনটি গ্যালারি রয়েছে। প্রথম গ্যালারিতে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বিভিন্ন নিদর্শন। দ্বিতীয় গ্যালারিতে রয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, সাতজন বীরশ্রেষ্ঠর ছবি । তৃতীয় গ্যালারিতে রয়েছে একাত্তরের গণহত্যায় শহীদদের মাথার খুলি, শেখ মুজিবের ঐতিহাসিক আলোকচিত্র, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ ও বিজয়ী মুক্তি সেনাদের ছবি।
- শিশু পার্ক রাজশাহী
রাজশাহী শহরের একটি অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হলো রাজশাহী শিশু পার্ক। ২০০৬ সালের রাজশাহী শিশু পার্কটি নির্মিত হয়। পার্কটিতে প্রবেশের টিকিটের মূল্য ২৫ টাকা। রাজশাহী শিশু পার্ক সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
রাজশাহীর বিখ্যাত খাবার:
রাজশাহীর বিখ্যাত খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো রাজশাহীর কালাই রুটি, বাটার মোড়ের জিলাপি, রাজশাহীর কালা ভুনা, বট পড়াটা ইত্যাদি। নিচে রাজশাহীর সেরা খাবার নিয়ে আলোচনা করা হলো।
- কালাই রুটি
রাজশাহীর বিখ্যাত খাবারের মধ্যে প্রথমেই যে নাম আসে তা হল কালাই রুটি। রাজশাহী শহরের মধ্যে অনেক ছোট বড় দোকানে কালার রুটি তৈরি হয়। তবে কালাই রুটির জন্য বিখ্যাত উপশহর নিউমার্কেটের কালাই হাউজ। কালাই রুটির সঙ্গে থাকে মরিচ পেঁয়াজের ভর্তা, বেগুন ভর্তা, হাঁসের মাংস, গরুর বট ভুনা ইত্যাদি। কালাই রুটির দাম ৩০ টাকা থেকে শুরু হয়।
- বাটার মোড়ের জিলাপি
জিলাপি তো আমরা অনেক জায়গায় খেয়ে থাকি কিন্তু রাজশাহীর বাটার মোড়ের জিলাপি খুবই সুস্বাদু। রসে ভরা এই জিলাপি ১২০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। প্রায় ৬০ বছর ধরে বাটার মোড়ে এই দোকানে জিলাপি বিক্রি হয়ে আসছে। প্রতিদিন অসংখ্য ভিড় হয় এই ছোট দোকানটিতে। শুধু রাজশাহী না অন্যান্য অনেক জেলায় এই জিলেপির জনপ্রিয়তা রয়েছে।
- রাজশাহীর কালা ভুনা
গরুর মাংসের কালা ভুনা রাজশাহীর বিখ্যাত একটি খাবার । রাজশাহীর কাটাখালীর কালা ভুনা সবার কাছে বেশ পরিচিত। এখানে প্রতি বাটি মাংসের দাম ১৬০ টাকা এবং এখানে দশ পিস মাংস থাকে। এছাড়া রাজশাহী সিটি হাটের কালা ভুনা ও বেশ জনপ্রিয়। প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা বিক্রেতা এবং সাধারণ জনগণ সিটি হাটে শুধু কালা ভুনার স্বাদ নেওয়ার জন্য আসেন। একবার রাজশাহীর কালা ভুনা খেলে সারা জীবন মনে রাখবেন। তাই রাজশাহীতে আসবেন অথচ রাজশাহীর কালা ভুনা খাবেন না তা কখনো হয় নাকি।
- বটপরোটা
বট বলতে আমরা সাধারণত গরুর ভুড়িকে বুঝায়। বিভিন্ন অঞ্চলে গরুর ভুঁড়ি বিভিন্ন নামে পরিচিত। গরম গরম পরোটার সাথে গরুর ভুঁড়ি বা বর ভুনা খেতে খুবই মজা। রাজশাহী শহরের বিভিন্ন হোটেলে এই খাবার কি বিক্রি করা হয়। তবে রাজশাহীর তালাইমারির জামিলের দোকান বট পরোটার বেশ জনপ্রিয়। ৮০ টাকা বাটি হিসেবে বট পরোটা বিক্রি হয়ে থাকে।
- রাজশাহীর গরম গরম মিষ্টি
রাজশাহীর বিখ্যাত খাবারের মধ্যে গরম গরম মিষ্টি উল্লেখযোগ্য। রাজশাহীর সিএনজির মোড়ে পাওয়া যায় গরম গরম মিষ্টি এবং সাথে পুরি। এখানে পাশাপাশি দুইটি দোকান রয়েছে যেখানে গরম মিষ্টি ও সাথে পুরী বিক্রি করা হয়। এক পিস মিষ্টি ২০ টাকায় এবং এক পিস পুরি দশ টাকা হিসেবে বিক্রি হয়। সকল ধরনের মানুষ এখানে তৃপ্তি সহকারে গরম মিষ্টি ও সাথে পুরি উপভোগ করেন।
রাজশাহী শিক্ষার জন্য বিখ্যাত:
প্রাচীনকাল থেকেই রাজশাহীর সঙ্গে শিক্ষা অঙ্গা অঙ্গী ভাবে জড়িত। ১৮২৮ সালে বাউলিয়া ইংলিশ স্কুল নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়েছিল। চা বর্তমানে রাজশাহী কলেজ নামে পরিচিত। রাজশাহী কলেজ রাজশাহীর ঐতিহ্য বহন করে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য রাজশাহীকে শিক্ষা নগরী বলা হয়। রাজশাহীর সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর তালিকা নিচে দেওয়া হল
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
- রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
- রাজশাহী নার্সিং কলেজ
- ইনস্টিটিউট অফ হেলথ টেকনোলজি, রাজশাহী
- রাজশাহী মেডিকেল কলেজ
- বরেন্দ্র ইউনিভার্সিটি
- নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
- আহসানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- রাজশাহী পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট
- রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ
- নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ
- রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ
- রাজশাহী কলেজ
- বরেন্দ্র সরকারি কলেজ রাজশাহী
- শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান সরকারি ডিগ্রী কলেজ
- রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ
- রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল
- পিএন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ
- গভমেন্ট ল্যাবরেটরী হাই স্কুল রাজশাহী
রাজশাহী আমের জন্য বিখ্যাত:
রাজশাহী নাম নিতে সর্বপ্রথম যা মনে পড়ে তা হল রাজশাহীর আম। কাউকে যদি প্রশ্ন করা হয় রাজশাহী কিসের জন্য বিখ্যাত,তাহলে প্রথম উত্তর হবে আম। রাজশাহীর আবহাওয়া ও মাটির উর্বরতা আম ফলনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা থেকে রাজশাহীতে আমের ফলন অনেক বেশি। রং, রস ও সুগন্ধের জন্য রাজশাহীর আম বিখ্যাত। ধারণা করা হয় ১৮ শতকের দিকে রাজশাহীতে আমের চাষ শুরু হয়েছিল।
বাংলার নবাবদের শাসনামল থেকে আমের চাষ শুরু করা হয়। রাজশাহীর আম সারাদেশের চাহিদা পূরণ করে বিশ্ববাজারে ও রপ্তানি করা হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে রাজশাহী আমের চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন জাতের বিভিন্ন সাইজের বিভিন্ন স্বাদের আম উৎপাদন হয় রাজশাহীতে। রাজশাহীর বিখ্যাত আমের মধ্যে একটি হলো হিমসাগর। এই আম অত্যন্ত মিষ্টি হয়ে থাকে। রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় বিশেষ করে আমের চাষ ব্যাপকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
বিভিন্ন জাতের আমের মধ্যে রয়েছে ফজলি, গোপাল ভোগ, আমরুপালি, ল্যাংড়া, হিমসাগর, মোহনভোগ ইত্যাদি। রাজশাহীতে আম চাষ করে চাষিরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়ে থাকে। আমের রয়েছে নানান পুষ্টিগুণ। যা আমাদের শরীরের বিশেষ উপকার সাধন করে। প্রায় ২০ থেকে ২৫ জাতের আম উৎপাদন করা হয়। তাদের মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় হলো হিমসাগর।
রাজশাহীর বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ
রাজশাহী কিসের জন্য বিখ্যাত এ কথা মনে হতে প্রথমে আসে বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের নাম। রাজশাহীতে এমন বহু বিখ্যাত লোকের জন্মস্থান যারা তাদের কৃতকর্মের জন্য স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। শিক্ষা শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্রতিভাবান মানুষ তাদের অবদানের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। এমন কিছু বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের নাম নিচে দেওয়া হলঃ
- আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
- মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা
- বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
- প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান
- রানী ভবানী
- হেমন্ত কুমারী দেবী
- রজনীকান্ত সেন
- আজিজুল হক
- অক্ষয় কুমার মৈত্রেয়
- মাদার বখশ
- আহসান উল্লাহ মোল্লা
- হাজি লাল মোহাম্মদ সরকার
- পলান সরকার
রাজশাহী রেশম পণ্যের জন্য বিখ্যাত:
অতি সূক্ষ্ম ও নরম আঁশযুক্ত রাজশাহীর রেশম সিল্ক। রেশম আশের প্রধান উপাদান সারসিনা। যা তুত গাছের রেশম পোকার গুটি দ্বারা তৈরিকৃত প্রোটিন। রেশম তৈরির পদ্ধতি কে বলা হয় সেরিকালচার। এখনকার সময় রেশন চাষ পদ্ধতি মালবেরি পদ্ধতিতে হয়। এখানে তিন ধরনের সিল্ক সুতা যেমন তুত সিল্ক,ইরি সিল্ক এবং তসর সিল্ক তৈরি করা হয়।দেশের সিংহভাগ রেশম পণ্য বা সিল্ক সুতা রাজশাহীতে উৎপাদিত হয়।এক সময় রেশম সুতা হতে শাড়ি তৈরি হত কিন্তু এখন বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের পণ্য তৈরি হচ্ছে।
রাজশাহীর রেশম পণ্য দ্বারা উৎপাদিত পোশাক সব বয়সী এবং সব শ্রেণীর মানুষের পরিধান উপযোগী।রাজশাহী রেশম বা সিল্ক রাজশাহীর ঐতিহ্য। প্রাচীনকাল থেকে রাজশাহীতে রেশন চাষ হয়ে আসছে। রাজশাহীর রেশম বা সিল্ক পণ্য দেশে যেমন জনপ্রিয় তেমনি বিদেশেও রয়েছে এর কদর। জিআই পণ্যের তালিকায় রয়েছে জামদানি, ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরসাপাত আম তার সঙ্গে রাজশাহী সিল্ক। আমের পাশাপাশি রেশম বা সিল্ক উৎপাদনে বিখ্যাত হওয়ার জন্য রাজশাহী পরিচিতি পেয়েছে রেশমনগর বা সিল্ক সিটি নামে।
২০১৮ সালে একমাত্র সরকারি রেশম কারখানাটি আবার চালু করা হয়। রাজশাহী সিল্ক বা রেশমপণ্য ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার পর রাজশাহী সিল্কের গুরুত্ব ও চাহিদা অনেক বেড়ে গিয়েছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে এ চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। দেখতে সুন্দর ও পড়তে আরাম সকল আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় সকল শ্রেণীর মানুষ রাজশাহী রেশন বা সিল্ক পণ্য কিনতে আগ্রহী হয়ে থাকে।
লেখকের মন্তব্য:
বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি জেলার মধ্যে রাজশাহী জেলা অন্যতম। রাজশাহীর নাম শুনলেই মনে পড়ে যায় বিখ্যাত কিছু জিনিসের কথা। তার মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান, বিখ্যাত খাবার, বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ, রাজশাহীর বিখ্যাত আম, রাজশাহীর রেশম শিল্প ইত্যাদি। রাজশাহীর বিখ্যাত কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। পাঠকের সামান্য ভালোলাগায় আমাদের এই প্রচেষ্টা।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url