ওজন কমাতে খাবেন ১৫ টি খাবার । যেসব ফল ওজন কমায়।
শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে কত কিছুই না করে থাকি আমরা। কেউ বাড়তি ডায়েট করতে গিয়ে ওজন কমার বদলে আরও বিভিন্ন অসুস্থতায় ভোগেন। ওজন কমাতে খাবেন সেই সকল খাবার যা প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং ক্ষুধা কমিয়ে দেয় । খাদ্য তালিকায় এমন সব খাবার রাখুন যা আপনার বাড়তি ওজন কমাবে এবং তার সাথে আপনার শরীরের ভিটামিন ও নিউট্রিশনের ব্যালেন্স ঠিক রাখবে।আবার যেসব ফল ওজন কমায় তা জেনে নিন এবং নিয়ম মত খাওয়া শুরু করুন।
এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা জানবো ওজন কমানোর ১৫ টি খাবার সম্পর্কে এবং যেসব ফল ওজন কমিয়ে থাকে সেসব ফল সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা।
ভূমিকা
যেসব খাবার ধীরে হজম হয় এবং অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে সেসব খাবার খাদ্য তালিকায় রাখুন। আমরা অনেকেই জানি শাকসবজি ও ফলমূল বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু সকল শাকসবজি ও ফলমন ওজন কমাতে সাহায্য করে না। তাই সঠিক তথ্য জেনে খাবার গ্রহণ করুন। মোটা হলে স্বাস্থ্যবান হওয়া যায় না। সুস্থ থাকতে প্রয়োজন স্বাভাবিক স্বাস্থ্য। বাড়তি ওজন শরীরের নানা ক্ষতি করে থাকে।
ওজন কমাতে খাবেন যে সকল খাবার
কিছু খাবার আছে যা আপনার বাড়তি ওজন কমিয়ে দিতে পারে। সঠিক নিয়ম মেনে নিয়মিত দীর্ঘদিন এসব খাবার গ্রহণ করুন মিলবে সফলতা। আসুন জেনে নেই কি সে সকল খাবার যা আপনার বাড়তি ওজন কমাতে পারে।
- ডিম
অনেকে হয়তো জানেন না ডিম ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডিম কোচিনে ভরা একটি খাবার যা একজন মানুষকে অনেকক্ষণ ক্ষুধা থেকে বিরত রাখে। সকালে একটি ডিম খেলে ভারী নাস্তা করার প্রয়োজন হয় না। যার ফলে আপনার শরীরে কম ক্যালোরি যায় যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডিমের কুসুম ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- গ্রিন টি
কমবেশি সকলে আমরা গ্রিন টি এর সঙ্গে পরিচিত। ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে গ্রিন টি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া গ্রিন টি শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টোরল কমিয়ে থাকে। গ্রিন টি শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে ওজন স্বাভাবিক রাখে। একদিনে ৭০ পাউন্ড ক্যালরি পর্যন্ত ফ্যাট বার্ন পরে এই গ্রিন টি। তাই ওজন কমাতে খাদ্য তালিকায় গ্রিন টি রাখুন।
- মাশরুম
মাশরুমে পরিমাণ খুব কম থাকে। ওজন কমাতে এটি একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। চর্বিযুক্ত মাংসের পরিবর্তে মাশরুম খাওয়া ভালো। নিয়মিত মাশরুম সঠিক পরিমাণে খেলে বাড়তি ওজন কাটিয়ে ওজন স্বাভাবিক রাখে।
- অলিভ অয়েল
আমরা অনেকেই শুধু অলিভ অয়েল তোকে ব্যবহার করি। কিন্তু জানেন অলিভ অয়েল খেলে শরীরের কি কি উপকার হয়? অলিভ অয়েল এর যে ফ্যাট রয়েছে তা স্বাস্থ্যকর। এছাড়াও অলিভ অয়েলের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ই। নিয়মিত অলিভ অয়েল ব্যবহৃত খাবার আপনার মেদ ও চর্বি কমিয়ে দিতে পারে।
- পানি
পানি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী উপাদান। প্রতিদিন খাবারের পূর্বে এক গ্লাস পানি পান করলে খাবারের চাহিদা অনেক কমে যায়। প্রতিদিন তিন থেকে চার লিটার পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন এতে শরীরে বাড়তি ওজন কমবে।
- ওটস, যবের ছাতু
আমরা আমাদের দৈনন্দিন খাবারে প্রচুর পরিমাণে শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ করে ফেলি। যার জন্য অনেকেরই বাড়তি ওজন সমস্যা পোহাতে হয়। কিন্তু ওটস বা যবের ছাতু সরকার আর বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করলে বাড়তি ওজন কমতে পারে। এটি যেমন বাড়তি ওজন কমায় তেমনি শরীরে ভিটামিন ও ফাইবার যোগান দেয়।
- সবুজ শাকসবজি
সবুজ শাকসবজি শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি উপাদান। সবুজ শাকসবজিতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে। সবুজ শাকসবজিতে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে।শাকসবজি খেলে শরীরের বাকি ওজন কমে যায়। তাই খাদ্য তালিকায় সবুজ শাক সবজি রাখুন।
- ডাল
ডাল প্রোটিনের আরেকটি বড় উৎস। প্রতিদিন পরিমাণ মতো ডাল ফেলে শরীরে শক্তি পাওয়া যায়। ওজন কমাতে প্রতিদিন খাবারের তালিকায় ডাল রাখুন। তাহলে ফাইবারের পরিমাণও অধিক থাকে। বিভিন্ন ধরনের ডাল খাদ্য তালিকায় রাখুন।
- লেবু
লেবুর অনেক উপকারিতা রয়েছে। তার মধ্যে ওজন কমাতে লেবুর কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে ওজন নিশ্চিত কমবে। এছাড়াও ভাতের সাথে সালাদ হিসেবে লেবু খাওয়া যায়। এতে যেমন খাবারের স্বাদ বাড়ে তেমনি লেবু শরীরে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- আপেল সিডার ভিনেগার
বহু বছর ধরে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করা হয়। আপেল সিডার ভিনেগার ফেলে ক্ষুধা কম লাগে এবং অতিরিক্ত খাবার থেকে বিরত থাকা যায়। অতিরিক্ত খাবার না খেলে শরীরে কম ক্যালরি যার ফলে বাড়তি ওজন হওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না।
- বাদাম
বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো একটি খাদ্য। বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়। যা আমাদের শরীরে এনার্জি যোগায়। ডাক্তাররা চর্বি নিয়ন্ত্রণে বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন। সকালে বাদাম অভ্যাস করুন ক্ষুধা কমবে।
- ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি
ওজন কমাতে যেসব সবজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তাদের মধ্যে ব্রকলি, ফুলকপি ও বাঁধাকপি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রোকলিতে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল। এছাড়াও এতে বিদ্যমান ফাইবার ও প্রোটিন খুদা কমিয়ে দেয়। ফুলকপি ও বাঁধাকপি ওজন কমানোর সবজি হিসেবে খাদ্য তালিকায় রাখুন।
- শসা
শসার রয়েছে ফাইবার ও পানি। এছাড়াও শসা তে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম যার ফলে ওজন কমাতে উপযুক্ত খাবার। ওজন কমাতে খাবেন যে সকল খাবার তার মধ্যে শসা অন্যতম। প্রতিদিন নিয়ম করে শসা খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে ওজন কমার পাশাপাশি অন্যান্য সমাধান হয়ে থাকে।
- টক দই
টক দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে দই। যারা দুধ খেতে পছন্দ করেন না অথবা দুধ খেলে সমস্যা হয় তারা দই বা টক দই খেতে পারেন। টক দই বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই সকালের নাস্তায় টকদই রাখা জরুরী
- আলু সেদ্ধ
আমরা জানি আলুতে অনেক পরিমাণ শর্করা থাকে। অনেকে আমরা আলু এড়িয়ে চলি। কিন্তু সেদ্ধ আলু ওজন কমানোর জন্য একটি উপকারী খাবার। এই খাবারটিতে রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট। আলু সেদ্ধ করার পর স্টার্চ ধুয়ে ফেললে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
যেসব ফল ওজন কমায়
ফল খাওয়ার নানা উপকারিতা রয়েছে। এক এক করে এক এক উপকারিতা। কিছু পরিচিত ফল আছে যেগুলো খেলে শরীরের মেদ কমে যায়। বিশেষ করে টক ফল বা পানসে জাতীয় ফল খেলে ওজন কমে। এমন কিছু পরিচিত ফল যা বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে নিচে দেওয়া হলঃ
- আপেল
- আঙ্গুর
- পেয়ার
- মালটা
- নারকেল
- লেবু
- পেঁপে
- স্ট্রবেরি
- জাম্বুরা
- অ্যাভোকাডো
- নাশপাতি
- কলা
- তরমুজ
- জাম
খালি পেটে যে খাবার খেলে ওজন কমে
বাড়তি ওজন কারো জন্যই মঙ্গলজনক নয়। শারীরিকভাবে ফিট থাকতে হলে বাড়তি ওজন কমাতে হবে। তাই খাবারের পাশাপাশি শারীরিক ব্যায়াম প্রয়োজন। সকালে খালি পেটে যে সব খাবার খেলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমে তাদের মধ্যে কয়েকটি খাবারের আলোচনা করা হলোঃ
- মধু
মধুর উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি আমরা সবাই জানি। সকালে খালি পেটে মধুর সাথে লেবু পানি মিশিয়ে খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়। নিয়মিত খেলে ওজন কমার পাশাপাশি হজম শক্তি বাড়বে। তাই যারা ওজন কমাবেন ভাবছেন তারা প্রতিদিন সকালে নিয়মিত মধু খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- লেবু পানি
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে লেবু পানি খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ওজন কমাতে যেসব খাবার খাবেন তার মধ্যে লেবু পানি অন্যতম। নিয়মিত লেবুপানি পান করলে মেটাবলিজম বাড়ার সম্ভবনা থাকে। অতিরিক্ত ওজন কমাতে লেবুপানির কোন বিকল্প নেই।
- পেঁপে
পেঁপে এমন একটি ফল যা সারা বছর পাওয়া যায়। পেঁপে শরীরের খারাপ কলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত সকালে খাবারের তালিকায় পেঁপে রাখা ভালো। পেঁপে হজম শক্তি বাড়ায় ও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করে করতে সাহায্য করে।
- বাদাম
বাদামের পুষ্টিগুণ বলে শেষ করা যাবে না। বাদাম রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই, ফাইবার, ওমেগা থ্রি , ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি। বাদাম শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতিও পূরণ করে থাকে। বাদাম অতিরিক্ত ক্ষুধা কমায়। কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, পেস্তা বাদাম যে বাদাম হোক না কেন রাতে ভেজানো বাদাম সকালে খেলে শরীরের বাড়তি ওজন কমতে পারে। এছাড়াও সকালে খালি পেটে বাদাম খেলে হার্টের সমস্যা ও ডায়াবেটিস রোগীর অনেক সমস্যা দূর হয়।
- গ্রিন টি
ওজন কমাবে যেসব খাবার তাদের মধ্যে গ্রিন টি অন্যতম। বহু কাল থেকে গ্রিন টি এর ব্যবহার হয়ে আসছে। এর ভালো ফলাফল পাওয়াই এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে। গ্রিন টি তে ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা বিপাক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে এবং অতিরিক্ত চর্বি কমায়। তাই সকালে খালি পেটে এক কাপ গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
কোন কোন মাছ খেলে ওজন কমবে
আমরা মাছে ভাতে বাঙালি।মাছ ছাড়া আমাদের চলে না। প্রতিদিন দুপুরে অথবা রাতের খাবারের মাছ থাকবেই। কিন্তু যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে ভুগছেন তাদের জানা উচিত কোন কোন মাছ ওজন কমে। সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার হয়। কিছু সামগ্রিক মাছ যেগুলো খেলে ওজন কমে। যেসব মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে সেসব মাছ প্রদাহ দূর করে, ভালো মেটাবলিজম দেয় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। নিচে এরকম কিছু মাছ সম্পর্কে জেনে নিন।
- টারলি
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকায় শরীরের ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে এই সামুদ্রিক মাছ।শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা উপশম করতে এই মাছ ভূমিকা পালন করে। এর সাথে শরীরের বাড়তি মেদ কমিয়ে শরীর সুস্থ রাখে।
- টুনা
টুনা মাছ ভিটামিন ডি ও ওমেগা থি সমৃদ্ধ মাছ। সব জায়গায় না পাওয়া গেলেও সুপার মার্কেটে টুনা মাছ পাওয়া যায়। টুনা মাছ ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
- রাভা
সলমন বা রাভা এই মাছে রয়েছে ভিটামিন ডি, ওমেগা, ভিটামিন বি ইত্যাদি। বিভিন্ন সুপারমার্কেটে পাওয়া যায়। এই মাছ হার্ড ভালো রাখে ,মানসিক অবসাদ কমায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও শামুক, ঝিনুক, চিংড়ি, ক্যাটফিস ইত্যাদি সামুদ্রিক খাবার ওজন কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তবে এ সকল সামুদ্রিক খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত নয় তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
রাতে কি কি খাবার খেলে ওজন কমে
ওজন কমাতে বেশিরভাগ মানুষ রাতে খাবার পরিহার করেন। তবে পুষ্টিবিদরা বলেন ওজন কমাতে রাতে না খেয়ে থাকা ঠিক না এতে ওজন না কমে অন্যান্য নানান শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়। রাত একটি দীর্ঘ সময়। রাতে না খেয়ে থাকা শরীরকে দুর্বল করে দেয়। তাই যে সকল খাবার রাতে খাবেন কিন্তু ওজন বাড়বে না এরকম কিছু খাবার সম্পর্কে জেনে নিন।
- কলা
কলা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। কলাতে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার আছে। কলাতে যথেষ্ট পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম থাকে। যার জন্য কলা খেলে ক্ষুধা কম লাগে। রাতে খাদ্য তালিকায় ভাত রুটি এসব শর্করা খাবারের পরিবর্তে আপনি কলা খেতে পারেন। বাড়তি ওজন কমাতে কলা বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
- আমন্ড বাদাম
আমন্ড বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন। আর এই দুই উপাদান কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও বাদামে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বাদাম খেলে অনেকক্ষণ খাবারের চাহিদা থাকে না। রাতে খিদে পেলে কয়েকটি বাদাম চিবিয়ে খান। বাদামের ক্যালরির পরিমাণ কিছুটা কম থাকে।
- পিনাট বাটার
পিনাট বাটার ওজন কমানোর জন্য একটি ভালো খাবার। চিনা বাদাম প্রোটিনে ভরপুর এবং ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় এক চামচ পিনাট বাটার কলার সঙ্গে মাখিয়ে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
- ছানা
ছানা প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার যা মানব দেহে পেশী সুগঠিত করতে সহায়তা করে। বাড়তি ওজন কমাতে রাতে খাওয়ার পরে ছানা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
- দই
দই যেমন আমাদের হজম শক্তি বাড়ায় তেমনি ওজন কমাতে কমাতে খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তবে ওজন কমাতে মিষ্টি দই না, টক দই ভালো কাজ দেয়। কিংবা ইয়োগার্ট খেলে ও ভালো সুফল মিলবে। ওজন কমানোর জন্য রাতে ঘুমোনোর আগে এক বাটি টক দই খেতে পারেন।
লেখকের মন্তব্য
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা ওজন কমানোর বেশ কিছু খাবার, ফলমূল, মাছ ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি। বাড়তি ওজন আসলে মানুষের কাছে বিড়ম্বনার কারণ। তাই সুস্থ থাকতে হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সকলের দায়িত্ব। এ আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা যদি কোন তথ্য পেয়ে থাকেন এবং উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url