যেসব লক্ষণে বুঝবেন কিডনি রোগ হয়েছে । কিডনি রোগ প্রতিরোধে করণীয় ।
শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মধ্যে কিডনি অন্যতম। কিডনি মূলত শরীরের রক্ত পরিশোধিত করে এবং দূষিত বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেয় । কিডনি অকেজ হয়ে গেলে শরীরের নানা ধরনের অসুবিধা দেখা দেয়। কিডনি রোগকে নিরব ঘাতক রোগ বলা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় কিডনি রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। তবে ৫০% এর বেশি অকেজো হওয়ার পর কিছু কিছু লক্ষণ দেখা যায়। তবে যেসব লক্ষণে বুঝবেন কিডনি রোগ হয়েছে সে সকল বিষয়ে সকলেরই ধারণা থাকা উচিত ।
কিডনি রোগ কেন হয়, কিডনি শরীরে কি কি কাজ করে, যেসব লক্ষণে বুঝবেন কিডনি রোগ হয়েছে এবং কিডনি রোগ প্রতিরোধে করনীয় সে সকল বিষয় নিয়ে এ আর্টিকেলে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলঃ
ভূমিকা
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও কিডনি রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পরিসংখ্যানে জানা যায় প্রতি ঘন্টায় পাঁচজনেরও বেশি মানুষ কিডনি রোগে মারা যাচ্ছে। কিডনি রোগ একটি নিরব ঘাতক রোগ। প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগের কোন লক্ষণ দেখা যায় না বলে বেশিরভাগ লোক বুঝতে পারেনা যে তার কিডনি রোগ হয়েছে। কিডনি রোগ কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয় একটি হলো (একিউট কিডনি ইনজুরি) আরেকটি হল (ক্রনিক কিডনি ডিজিজ)। হঠাৎ করে আক্রান্ত কিডনি রোগকে বলা হয় একিউট কিডনি ইনজুরি। আর দীর্ঘ সময়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারালে সেটাকে বলে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ।
কিডনি রোগ কেন হয়
সারা বিশ্বে ডায়াবেটিস কে এক নাম্বার দায়ী করা হয় কিডনি রোগের জন্য। তারপর উচ্চ রক্তচাপ কে। কিন্তু বাংলাদেশে নেফ্রোটাইটিস কে কিডনি রোগের এক নাম্বার কারণ হিসেবে বলা হয়। তারপরে ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ কে দায়ী করা হয় কিডনি অন্যতম কারণ হিসেবে। কিডনি ড্যামেজ এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যথা নাশক ঔষধের ভূমিকা ও কম নয়। শরীরে কোন ব্যথা হলে আমরা ব্যথানাশোক ঔষধ সেবন করে থাকি। ব্যাথানাশক ঔষধই কিডনি খারাপ করার জন্য যথেষ্ট।
তাই সবার উচিত রেজিস্টার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সকল প্রকার ঔষধ সেবন করা। ফার্মেসি থেকে ভুল ঔষধ সেবনের ফলাফল হতে পারে ভয়ানক। অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ সেবনের ফলে কিডনি ড্যামেজ হতে পারে। বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবনের ফলে কিডনি বিকল হয়। শরীরে পানি শূন্যতার কারণে কিডনি অচল হয়ে যেতে পারে। ডায়রিয়া, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, বমি হওয়া, প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ ইত্যাদির জন্য শরীর পানি শূন্য অথবা রক্তশূন্য হয়ে পড়লে কিডনি বিকল হয়ে যায়। কিছু কিডনি রোগ আবার বংশগত হয়ে থাকে।
যেসব লক্ষণে বুঝবেন কিডনি রোগ হয়েছে
প্রাথমিক অবস্থায় কিডনি রোগের কোন লক্ষণ দেখা যায় না। এইজন্য কিডনি রোগকে নিরব ঘাতক রোগ বলা হয়। তবে এর কার্যক্ষমতা ৫০ ভাগের বেশি নষ্ট হওয়ার পর কিছু কিছু লক্ষণ শরীরে পরিলক্ষিত হয়।
- প্রস্রাব কমে যাওয়া অথবা বেশি হওয়া, প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া।
- শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যাওয়া। বিশেষ করে মুখমণ্ডল ও পা খুলে যাওয়া।
- সব সময় ক্লান্তি ভাব থাকে এবং শরীর অত্যন্ত দুর্বল অনুভব হয়।
- ক্ষুধা মন্দা হওয়া
- বমি বমি ভাব হওয়া
- শরীরে ওজন কমে যাওয়া
- শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা যায়
- রাতে ঘুম না হওয়া অনিদ্রা
- শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুলকানি হওয়া
- মাঝেমধ্যে মাথা ব্যথা হওয়া
- উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা
- পিঠের নিচের অংশ কোমরের দুই পাশে ব্যথা হওয়া।
- অতিরিক্ত পিপাসা পাওয়া
- শরীরের জ্বর জ্বর ভাব ও শীত অনুভূত হওয়া।
- কোন কাজে মনোযোগ দিতে না পারা
কিডনি শরীরে কি কি কাজ করে
কিডনি শরীরের দূষিত বর্জ্য পদার্থ বের করে দিয়ে রক্ত পরিশোধিত করে। হার্টের কাজ হচ্ছে, রক্তকে পাম্প করে কিডনির কাছে দেওয়া আর কিডনি রক্ত পরিশোধিত করে হার্টে পাঠায়। এই প্রক্রিয়া সর্বক্ষণ চলমান থাকে। প্রতিদিন ১২০ থেকে১৫০ লিটার রক্ত পরিশোধন করতে পারে কিডনি। আর শরীর থেকে এক থেকে দুই লিটার দূষিত বর্জ্য বের করে দেয়। এসব দূষিত বর্জ্য প্রসবের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
কিডনির আরেকটি উন্নতম কাজ হল শরীরের অতিরিক্ত পানি বের করে দেওয়া। শরীরে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই লিটার পানির প্রয়োজন। সেখানে একজন মানুষ যদি চার থেকে পাঁচ লিটার পানি পান করে তাহলে কিডনির কাজ হল অতিরিক্ত পানি শরীর থেকে প্রসবের মাধ্যমে বের করে দেওয়া। কিডনি শরীরের এক ধরনের হরমোন তৈরি করে যা শরীরের রক্ত উৎপন্ন করে। কিন্তু কিডনি যখন অকেজ হয়ে যায় শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেয় সাথে ক্ষুধা মন্দা,শরীর দুর্বল ইত্যাদি উপশম দেখা দেয়।
কিডনি অকেজো হয়ে গেলে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের হতে পারে না যার ফলে হার্ডে ও হাড়ে বর্জ্যগুলো জমে থাকে। ফলে প্রসাব কমে যায় উচ্চ, রক্তচাপ বেড়ে যায় ও শরীর ফুলে যায়। মোটকথা আমাদের শরীরের যেসব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ রয়েছে তাদের মধ্যে কিডনি অন্যতম। কিডনি একেবারেই অকেজো হয়ে গেলে মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। তাই মানুষের শরীরে কিডনির কার্যকারিতা অপরিসীম।
কিডনি রোগ প্রতিরোধে করণীয়
কিডনি রোগ প্রতিরোধে আমাদের সকলের উচিত সতর্কতা অবলম্বন করা। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের বছরে দুই থেকে তিনবার তিনি পরীক্ষা করা ভালো। তাতে কিডনি রোগ ধরা পড়ে এবং আগামীতে কিডনি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা সেটিও বোঝা যায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে রাখতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কিডনি ফেইলিউর হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
ডায়রিয়া বা বমির মাধ্যমে পানি শূন্যতা হলে তাৎক্ষণিক সেটি রিপ্লেস করতে হবে। যেমন স্যালাইন খেলে শরীরে পানি শূন্যতা দূর হয়। এছাড়াও যেসব লক্ষণে বুঝবেন কিডনি রোগ হয়েছে সেসকল বিষয়ে আমরা জেনেছি। এসব লক্ষণ দেখা দিলে তাৎক্ষনিক ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া কিডনি রোগ প্রতিরোধে আরো বিশেষ কিছু করণীয় রয়েছে সেগুলো নিচে দেওয়া হলঃ
- চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ব্যথানাশোক ঔষধ বা অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবেনা।
- ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনি পরীক্ষা করাতে হবে।
- উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
- ডায়রিয়া, বমি অথবা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- প্রস্রাব কমে গেলে অথবা হঠাৎ করে অতিরিক্ত প্রস্রাব হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- প্রস্রাবের যেকোন রকমের ইনফেকশন হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা করতে হবে।
- সকল প্রকার ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে
- অতিরিক্ত লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
- নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
- প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় শাকসবজি ও ফলমূল রাখতে হবে।
- প্রাথমিক অবস্থায় কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে নিয়মিত ওষুধ সেবন ও রুটিন মেনটেন করতে হবে।
যেসব খাবার কিডনির ক্ষতি করে
শরীর সুস্থ রাখতে হলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো যাতে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে সেদিকে সচেতন হওয়া প্রত্যেকের প্রয়োজন। আমরা প্রতিদিন এমন কিছু খাদ্য গ্রহণ করি যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর। মানব শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই কিডনি আমাদের শরীরকে বিষমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। রক্ত পরিশোধিত করে ক্ষতিকর পদার্থগুলো দেহ থেকে বের করে দেয়। তাই কিডনি ভালো রাখতে আমাদের জানতে হবে যে কোন খাবার কিডনির জন্য ঝুঁকি কর।
- লবণ
লবণের প্রচুর পরিমাণ সোডিয়াম থাকে যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত লবণ খেলে উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হয় এবং কিডনি নষ্ট হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- চিনি
চিনি তে উচ্চমানের শর্করা থাকায় রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত চিনি খেলে সুগার বাড়ে এবং কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। আমরা বেশিরভাগ খাবারের চিনি ব্যবহার করে থাকি। বাসায় বানানো খাবার অথবা প্রক্রিয়াজাত খাবার সবগুলোতে চিনি রয়েছে। ফর্মুলা ও প্রাকৃতিক চিনি যা আমাদের শরীরের ভিটামিন ও খনির সরবরাহ করে। আমরা দৈনন্দিন যে সকল খাবার খায় যেমন মসলা, রুটি,নাস্তায় থাকে স্ন্যাক ইত্যাদি খাবারে অতিরিক্ত চিনি পাওয়া যায়।
- মাংস ও দুধ জাতীয় খাবার
মাংস ও দুধ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, এ খাবার গুলো কিডনির ক্ষতি করতে পারে। এ খাবারগুলো হজম হতে খুব দেরি হয়।আর এ সকল খাবারের বর্জ্য দূর করা কিডনির উপর চাপ হয়ে যায়। উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাদ্য কিডনি সমস্যার কারণ হতে পারে। সবুজ শাকসবজি পুষ্টি, শক্তি ও দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। তাই প্রাণীভিত্তিক খাদ্য থেকে উদ্ভিদভিত্তিক খাদ্য যেমন সবুজ শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস করা সকলের উচিত।
- ক্যাফেইন
দীর্ঘদিন ধরে চা, কফি ইত্যাদি জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে কিডনিতে পাথর হওয়া সম্ভাবনা থাকে। সোডা জাতীয় এনার্জি ড্রিঙ্ক ও কিডনির জন্য ক্ষতিকর। ক্যাফেইন কিডনির পানি শোষণের ক্ষমতাকে প্রবাহিত করে। কিডনি ভালো রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। ক্যাফেইন রক্ত প্রবাহকে বাধাপ্রাপ্ত করে রক্তচাপ বাড়িয়ে তোলে যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর।
- বাদাম
আমরা সবাই জানি বাদাম খুব স্বাস্থ্যকর খাবার। বাদামে অক্সালেট নামে এক ধরনের খনিজ থাকে। যার কারণে কিডনিতে পাথর আশঙ্কা থাকে এবংকিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আলুর চিপস, ফ্রেন্স ফ্রাই এগুলোও অক্সালের যুক্ত খাবার। কিডনি ভালো রাখতে এ সকল খাবার থেকে বিরত থাকুন।
কিডনি পরীক্ষায় যে সকল টেস্ট করা হয়
- ক্রিয়েটিনিন টেস্ট
ক্রিয়েটিনিন টেস্ট একটি রক্ত পরীক্ষা যার মাধ্যমে কিডনির কার্যক্ষমতা বুঝা যায় এবং কিডনির নানা সমস্যা সম্পর্কে জানা যায়। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ১১০ লিটার এবং ১০০ লিটার পর্যন্ত ক্রিয়েটিনিনের স্বাভাবিক মাত্রা ধরা হয়।
- অ্যালবুমিন টেস্ট
প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে এলবুমিনের মাত্রা বোঝা যায়। রক্তে প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনি ফিল্টারে অসুবিধা হয় এবং এলবুমিন মুত্র চলে আসে। স্বাভাবিক মাত্রা ৩০ এমজি। এর বেশি মাত্রায় কিডনি সমস্যা দেখা দেয় ।
- কিডনি আল্ট্রাসাউন্ড
কিডনিতে পাথর, টিউমার, সিস্ট আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয় কিডনি আল্টাসাউন্ডে। কিডনির আকার কম বা বেশি হচ্ছে কিনা তাও আল্টাসাউন্ডের মাধ্যমে জানা যায়।
- ইজিএফআর
ইজিএফআর কিডনির অন্যতম সেরা পরীক্ষা। ৯০ এর বেশি হলে ইজিএফ আর এর মাত্রা স্বাভাবিক থাকে কিন্তু ৬০ এর কম হলে কিডনিতে সমস্যা আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর এর চেয়েও নিচে নামলে জরুরী চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। কিডনি প্রতিস্থাপনও করা লাগতে পারে। ইজি এফআর এর মাত্রা ১৫ এর নিচে নেমে গেলে কিডনি অচল হয়ে যায়।
- ইউরিন রুটিন এন্ড মাইক্রোসকপি টেস্ট
প্রস্রাবে এলবুমিন বা প্রোটিন যাচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য ইউরিন রুটিন এন্ড মাইক্রোস্কোপিক টেস্ট করা হয়। ২৪ ঘন্টায় প্রসাবে কি পরিমান প্রোটিন যাচ্ছে তা এ টেস্টের মাধ্যমে জানা যায়।
লেখক এর মন্তব্য
আমাদের শরীরের প্রতিটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোন অঙ্গ বাদ দিয়ে সুস্থভাবে জীবন যাপন করা যায় না। কিডনি আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আর এই কিডনিকে সুস্থ রাখতে আমাদের সচেতন থাকা জরুরী। যেসব লক্ষণে বুঝবেন কিডনি রোগ হয়েছে এবং কিডনি রোগ প্রতিরোধে যে সকল করণীয় কাজ রয়েছে সকলেরই সেসব বিষয়ে অবগত থাকা জরুরী। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে আমাদের পাশে থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url