অনলাইন থেকে আয় করুন ১২ টি উপায়ে একদম ঘরে বসে ।
বর্তমান যুগ তথ্য ও প্রযুক্তির যুগ। প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে অনলাইনে অনেক কার্যক্রম বাড়ছে যেগুলো করে মানুষ তার ইনকাম নিশ্চিত করতে পারে। বর্তমানে অনলাইন থেকে আয় করুন বিভিন্ন উপায়ে ঘরে বসে। ধৈর্য এবং লক্ষ্য ঠিক রেখে কাজ করলে অনলাইন থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। অনলাইন থেকে আয় করতে হলে সময় নিয়ে কাজ করতে হবে। এমন না যে আজ কাজ শুরু করলাম কাল থেকেই সফলতা পাবো। ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে করার জন্য কিছু প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হয়।
যেমন আপনার একটি ল্যাপটপ বার ডেক্সটপ থাকতে হবে। তার সাথে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। আর ছোটখাটো কিছু জিনিসপত্র এটা নিয়েই আপনি শুরু করতে পারবেন।আজ আর্টিকেল এর মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয় একদম ঘরে বসে এমন কিছু আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করব। এবং অনলাইন থেকে ইনকাম করতে কি কি প্রয়োজন হয় সে বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করব।
অনলাইন থেকে আয় করার জন্য কি কি প্রয়োজন:
আমরা অনেকে হয়তো ভেবে থাকি অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য অনেক কিছু প্রয়োজন হয়। আসলে কিন্তু ব্যাপারটা এরকম না। সহজ কথায় অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য আপনার চারটি জিনিস প্রয়োজন পড়বে। সেগুলো হলোঃ
- ল্যাপটপ বা কম্পিউটার:
অনলাইন থেকে আয় করতে গেলে সর্বপ্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিস লাগবে তা হচ্ছে একটি ডিভাইস। ডিভাইস বলতে সর্বপ্রথম একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ। কিন্তু অনেকেই একটি প্রশ্ন করে থাকেন মোবাইল দিয়ে কি অনলাইন ইনকাম করা সম্ভব? এর সহজ উত্তর হল হ্যাঁ আপনি পারবেন। আপনার কাজ করার দক্ষতা এবং প্রবল ইচ্ছা শক্তি থাকলে আপনি মোবাইল দিয়েও অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
- ইন্টারনেট সংযোগ:
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিসটি লাগবে তা হল ইন্টারনেট সংযোগ। সাধারণত অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য ৫ মেগাবাইট ব্যান্ডউইথ এবং ৪ জি ইন্টারনেট প্রয়োজন হয়। তবে বিশেষ কিছু কাজের জন্য যেমন গেমিং, গ্রাফিক ডিজাইন, লো লোটেন্সি আর আর স্ট্রিমিং ইত্যাদির জন্য উচ্চ বালের ব্রডব্যান্ড এবং ফাইভ-জি ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয়ে থাকে। মোটকথা ইন্টারনেটের গতি কাজের উপর নির্ভর করে।
- কাজের দক্ষতা:
তৃতীয় যে জিনিসটি প্রয়োজন সেটা হলো আপনার কাজের দক্ষতা। প্রথমত কম্পিউটার বা ল্যাপটপ সম্পর্কে আপনার বেসিক ধারণা। তারপর অনলাইন জগতে নানান সেক্টর আছে। সেগুলোর যেকোনো একটি বিষয় আপনাকে নির্বাচন করতে হবে এবং সে বিষয়ে কাজ শিখে আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
- কাজ করার ধৈর্য বা মানসিকতা:
আর চতুর্থ যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে আপনার কাজ করার মানসিকতা অর্থাৎ ধৈর্য ধারণ করা। পৃথিবীর প্রত্যেকটা সাফল্যের পিছনে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। পরিশ্রম ছাড়া কেউ উন্নতি করতে পারে না। সাফল্য আনতে গেলে প্রয়োজন সময় এবং পরিশ্রম সেই সাথে ধৈর্য। অতএব আপনাকে প্রবল মন-মানসিকতা নিয়ে লেগে পড়তে হবে।
অনলাইন থেকে আয় করুন ১২ টি উপায়ে :
অনলাইন থেকে ইনকাম করার বিভিন্ন মাধ্যম হয়েছে। বিভিন্ন উপায়ে আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন। অনলাইন থেকে আয় করুন সেরা ১২ টি উপায়ে। নিচে আলোচনা করা হলোঃ
মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম:
সবার আগে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে কোন কোন বিষয়ের উপরে আপনার দক্ষতা রয়েছে। যে সকল বিষয়ে দক্ষতা রয়েছে সে সকল বিষয়ের ভালোভাবে শিখে দক্ষতা অর্জন করে অনলাইন ইনকাম শুরু করতে পারবেন। মার্কেটপ্লেসে বহু ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন ফাইবার, ফ্রীল্যান্সার ডট কম, গুরু ডট কম, আপওয়ার্ক ইত্যাদি।
আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে এ সকল ওয়েবসাইট আপনাকে খুঁজে খুঁজে কাজ দিবে। অনেক ধরনের কাজ রয়েছে যেমন, আর্টিকেল লেখা, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, প্রোগ্রামিং বা সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, ডেটা এন্ট্রি ইত্যাদি। যে সকল বিষয়ে আপনার স্কিল বা দক্ষতা রয়েছে সে সকল বিষয়ে এইসব মার্কেটপ্লেস থেকে করে আয় করতে পারবেন।
নিজেই নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করে:
আপনি নিজেই নিজের নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। যে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ব্লগ বা আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করতে পারবেন। যখন আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক এর পরিমাণ বেড়ে যাবে বা ক্লিক এর পরিমাণ বেড়ে যাবে তখন গুগল থেকে এডসেন্স এপ্রুভ করবে। গুগল বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে ইনকাম আসা শুরু করবে। আপনার ওয়েবসাইটে যত ভিজিটর বেড়ে যাবে আপনার ইনকাম তত বাড়বে।
এর জন্য আপনাকে ওয়েবসাইট মেনটেইন করা শিখতে হবে। কিভাবে একটি ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়াতে হয়। এবং আরো অন্যান্য কি কি বিষয় ওয়েবসাইটের সঙ্গে জুড়ে দিলে ইনকাম বাড়ে। এ সকল বিষয়ে আপনাকে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:
আপনার নিজের ওয়েবসাইটে ব্লক বা আর্টিকেল নিয়মিত পাবলিশ করতে হবে। তারপর আপনার ওয়েবসাইটটা চালু থাকা অবস্থায় ভিজিটর বাড়তে থাকবে তখন আপনি অন্য কোন কোম্পানির অথবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লিংক আপনার ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত করে দিবেন। আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিটর এসে যখন ওসব বিভিন্ন পণ্য বা সেবা ক্রয় করবে তার মাধ্যমে আপনি ইনকাম পারবেন।
ফেসবুক পেজ বা ভিডিও থেকে ইনকাম:
বর্তমান ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে সবার হাতেই একটি করে স্মার্টফোন রয়েছে। এই স্মার্টফোনের মাধ্যমে ফেসবুক পেজ খুলে হাজার হাজার মানুষ ভিডিও আপলোড করে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করছে। আপনার যদি একটি ফেসবুক পেজ থাকে তাহলে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে ফেসবুক মনিটাইজেশন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য কিছু শর্ত আছে তাহলো, তিন মাসের মধ্যে ৩০ হাজার ভিউয়ারস এক মিনিট করে আপনার ভিডিও ভিউ করতে হবে।
এবং ১০০০ লাইক ও ফলোয়ার হতে হবে তাহলে ফেসবুক আপনাকে মনিটাইজেশন দিবেন এবং এর মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। প্রতিদিন ফেসবুকে লক্ষাধিক একাউন্ট খোলা হচ্ছে। শর্ট রিলস দিয়েও ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। তার জন্য আপনার একাউন্টটিকে প্রফেশন মোড হতে হবে।
গ্রাফিক ডিজাইন করে ইনকাম:
গ্রাফিক্স ডিজাইন একটু কঠিন হলেও খুব ভালো মূল্যের কাজ। মার্কেটপ্লেস গুলোতে দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের চাহিদা ব্যাপক। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনে ক্যারিয়ার করতে চান তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করুন। অনেক কোম্পানি যারা নতুন খুলছে তাদের কোম্পানির জন্য লোগো, ফেস্টুন, ব্যানার,পোস্টার ইত্যাদি প্রয়োজন হয়। একজন গ্রাফিক ডিজাইনার এসব লোগো, ফেস্টুন, ব্যানার, পোস্টার বানিয়ে খুব ভালো মানের ইনকাম করে থাকেন। তাই আপনি যদি একটি ভাল মানের গ্রাফিক ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ক্যারিয়ার নিশ্চিত।
আর্টিকেল লিখে ইনকাম:
বর্তমানে অনলাইন থেকে ইনকাম করা সহজ উপায় গুলোর মধ্যে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা অন্যতম। মার্কেটপ্লেসে ও আর্টিকেল লেখার জব এর চাহিদা অনেক বেশি। যার যে বিষয়ে অভিজ্ঞতা বেশি সে বিষয়ে আর্টিকেল লিখে তা বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারে। মার্কেটপ্লেসে যেমন ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার ডট কম আপওয়ার্ক এসব সাইটে আর্টিকেল লিখার জন্য ভালো মূল্য দিয়ে থাকে। আপনি যদি ভালো লিখতে পারেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে লিখতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিয়মিত আর্টিকেল লিখে মার্কেটপ্লেস থেকে ভাল ইনকাম পারবেন।
আর্টিকেল লেখা সব থেকে বড় বিষয় হলো টপিক নির্বাচন করা। সারা বিশ্বের মানুষ যে সকল বিষয় নিয়ে সার্চ ইঞ্জিনে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস সার্চ করে থাকেন সে সকল বিষয় নিয়ে যদি আপনি আর্টিকেল লিখে থাকেন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। আর এ সকল ওয়েবসাইটে আর্টিকেল বা কনটেন্ট এর প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। আপনি যদি ভালো আর্টিকেল রাইটার হন তাহলে অনলাইন থেকে আপনি ভালো মাপের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইনে টিউশনি করে ইনকাম:
অনলাইন থেকে ইনকামের খুব একটা ভালো উপায় হচ্ছে টিউশনি করিয়ে ইনকাম। আপনি যদি খুব ভালো স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এবং কোন একটি বিষয় আপনার খুব ভালো অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে আপনি অনলাইনে টিউশনি করে রোজগার করতে পারেন। ফেসবুক লোকাল পেজে অথবা আপনার যদি ইউটিউব চ্যানেল থেকে থাকে তার মাধ্যমে আপনি আপনার দক্ষতা প্রকাশ করবেন।
এরপর স্টুডেন্টরা যখন আপনার সাথে যোগাযোগ করবে তখন তাদের সঙ্গে নির্দিষ্ট একটি সময় অনলাইন টিউশন শুরু করতে পারবেন। করোনার পর থেকে অনলাইন টিউশনি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এবং আগামীতেও এই টিউশনের পদ্ধতি চলমান থাকবে বলে ধারণা করা হয়।
ইউটিউব ভিডিও থেকে ইনকাম:
নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে তাতে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু তার জন্য খুব ভালো মানের ভিডিও এডিটিং জানতে হবে। মানুষ যে সকল বিষয় ভিডিও দেখতে পছন্দ করে সে সকল বিষয় নির্বাচন করে ভিডিও আপলোড করতে হবে।আপনার চ্যানেলের যত সাবস্ক্রাইবার এবং ভিজিটর বাড়বে আপনার ইনকামও বাড়তে থাকবে।
নিয়মিত ভালো মানের ভিডিও আপলোড করে ইউটিউব থেকে মনিটাইজ পাওয়ার মাধ্যমে আপনার ইনকাম আসবে। এছাড়া ইউটিউব চ্যানেল থেকে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যের প্রচার করে অর্থাৎ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করা যায়।
ওয়েবসাইট বিক্রি করে ইনকাম:
আপনি ওয়েবসাইট বানানো শিখে এবং সেখানে নিয়মিত আর্টিকেল ও ব্লগ পাবলিস করবেন। গুগল এডসেন্স এপ্রুভ হওয়ার পর সেটি বিক্রি করে ভালো অর্থ করা সম্ভব। এজন্য আপনাকে ডমিন ও হোস্টিং কিনে নিতে হবে। এরপর একটি ব্লগার অথবা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে ব্লগিং করে গুগল এডসেন্স এপ্রুভ করে বিক্রি করতে হবে। বর্তমানে অনলাইন থেকে ইনকামের এটি খুব ভালো রাস্তা।
গুগল এডসেন্স পাওয়া একটি ওয়েবসাইট খুব ভালো দামে বাজারে বিক্রি হয়ে থাকে। যে ওয়েবসাইটের যত আর্টিকেল থাকে সে ওয়েবসাইটে তত ভিজিটর বাড়ে । আর যে ওয়েবসাইটে যত ভিজিটর সে ওয়েবসাইটে তত আয় ইনকাম বেশি হয়। এখন প্রায় অনেক মানুষ গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ ওয়েবসাইট কেনার জন্য বেশ আগ্রহী। ঘরে বসে অনলাইন ইনকামের খুব ভালো একটা উপায় হচ্ছে ওয়েবসাইট তৈরি করে বিক্রি করা।
ডেটা এন্ট্রি করে ইনকাম:
অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন কাজের মধ্যে ডেটা এন্ট্রি খুব সহজ একটি কাজ। মার্কেটপ্লেসে এই কাজগুলো অনেক পরিমানে পাওয়া যায়। কিন্তু যাদের ও কাজের অভিজ্ঞতা দীর্ঘদিনের তারা সচরাচর এই কাজগুলো পেয়ে থাকে। যাদের কম্পিউটার সম্পর্কে এবং দ্রুত গতিতে লেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে তারা ডেটা এন্ট্রি করে ভালো ইনকাম করতে পারেন। তবে বলে রাখি শুধু কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থেকে নয় মোবাইল থেকেও ডাটা এন্ট্রি কাজ করে ইনকাম করা যায়। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানি ডাটা এন্ট্রি করে দিয়ে আপনি করতে পারবেন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট জব করে আয়:
বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে আপনি কাজ করতে পারেন। এই কাজটা আপনি ঘরে বসে খুব সহজেই করতে পারবেন। বর্তমানে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে বসে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এ জব কোন কোম্পানির হয়ে দেওয়া যায়। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট জবের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আর আপনার দক্ষতা অনুযায়ী আপনার ইনকাম বাড়তে থাকবে।
ভিডিও এডিটিং করে আয়:
বর্তমান সময়ে ঘরে বসে অনলাইন থেকে ইনকাম করার সহজ পদ্ধতি হচ্ছে ভিডিও এডিটিং। প্রথমে আপনাকে একজন ভালো ভিডিও এডিটর হতে হবে। এই বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের পর আপনার বিভিন্ন মাধ্যম থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। প্রথমতঃ বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে জব করতে পারবেন। দ্বিতীয়তঃ আপনি নিজেই খুব ভালো ভিডিও এডিটিং করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে পারবেন।
এছাড়া মার্কেটপ্লেস ছাড়াও অনেক লোকাল ক্লাইন্ট ভিডিও এডিটিং এর কাজ দিয়ে থাকে। আপনি সে সকল লোকাল পেজে গিয়ে কাজ খুঁজে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। অতএব বুঝতে পারছেন বর্তমানে ভিডিও এডিটিং কতটা জনপ্রিয়। এই কাজ করে আপনি অন আছে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
পরিশেষে:
প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যেই একটা না একটা প্রতিভা থাকে। সে প্রতিভাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে একজন মানুষ উন্নতি চরম শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম। বর্তমানে প্রযুক্তি উন্নয়নের ফলে ঘরে বসেই মেয়ে অথবা ছেলে উভয়ের পক্ষে ইনকাম করা সম্ভব। তার জন্য লাগবে প্রবল ইচ্ছা শক্তি, ধৈর্য এবং কাজ করার মানসিকতা।
উপরক্ত আলোচনায় আমরা জানতে পেরেছি অনলাইন থেকে ঘরে বসে ইনকাম করার কয়েকটি উপায়। আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার ভালো লাগে এবং একটু হলেও উপকারে আসে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও পড়ার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url