বিটকয়েন কিভাবে কিনব । বিটকয়েন কোন কোন দেশে বৈধ ।

ফেসবুক পেজ বা ভিডিও থেকে ইনকামবিটকয়েন কিভাবে কিনব? বিটকয়েন একটি ডিজিটাল মুদ্রা যা ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এটি ২০০৯ সালে চালু হয় এবং বর্তমানে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। তবে বাংলাদেশে বিটকয়েন ব্যবহার অবৈধ। বিটকয়েন একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি যা অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বিটকয়েনের মাধ্যমে দ্রুত নিরাপদ এবং কম খরচে লেনদেন করা যায় যা এটি প্রথাগত মুদ্রার তুলনায় আলাদা এবং আকর্ষণীয় করে তুলেছে। তবে বিটকয়েনের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো এর অস্থিতিশীল মূল্য যা বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করে।

বিটকয়েন কি এবং বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ কী

বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশে বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার নিষিদ্ধ। বিটকয়েন কিভাবে কিনব ইসলামী শরিয়াহর দৃষ্টিকোণ থেকে বিটকয়েনের বৈধতা নিয়েও মতভেদ রয়েছে যা মুসলিম বিনিয়োগকারীদের জন্য দ্বিধার সৃষ্টি করে। বিটকয়েনের মাধ্যমে দ্রুত এবং গোপনীয় লেনদেন করা যায়। এটি বিনিয়োগের জন্যও ব্যবহার করা হয় তাহলে চলুন দেরি না করে বিটকয়েন সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যাক

ভূমিকা

বিটকয়েন হল প্রথম এবং সবচেয়ে পরিচিত ক্রিপ্টোকারেন্সি যা সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল এবং কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ছাড়া পরিচালিত হয়। বিটকয়েনের জন্ম ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোটো নামে পরিচিত একটি বেনামী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মাধ্যমে। এটি মূলত ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয় যেখানে নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা নিশ্চিত করা হয়। বিটকয়েন কিভাবে কিনব ক্রিপ্টোকারেন্সির উত্থানের সাথে সাথে বিটকয়েন এক বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছে। যদিও এটি ডিজিটাল যুগে মুদ্রার ধারণা পাল্টে দিয়েছে তবুও এর ঝুঁকি ও নিয়ন্ত্রণহীনতা অনেকের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

বিটকয়েন কি

বিটকয়েন কি বিটকয়েন একটি ডিজিটাল বা ভার্চুয়াল মুদ্রা যা ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসেবে পরিচিত। এটি ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং এর কোনো কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ বা তত্ত্বাবধান নেই। বিটকয়েন সম্পূর্ণ বিকেন্দ্রীভূত যার অর্থ হলো এটি কোনো সরকার ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোটো নামে পরিচিত একটি বেনামী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিটকয়েন উদ্ভাবন করে। বিটকয়েনের মূল লক্ষ্য হলো পিয়ার-টু-পিয়ার (ব্যক্তি-থেকে-ব্যক্তি) লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তরের একটি নিরাপদ ও গোপনীয় উপায় প্রদান করা। বিটকয়েন কিভাবে কিনব বিটকয়েন কি বিটকয়েন লেনদেন সরাসরি দুই পক্ষের মধ্যে সম্পন্ন হয় কোনো মধ্যস্থতাকারী বা তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন হয় না।

আরো পড়ুন:- কিভাবে অনলাইন থেকে স্মাট কার্ড ডাউনলোড করবেন

বিটকয়েন লেনদেন একটি ডিজিটাল লেজার বা ব্লকচেইনের মাধ্যমে রেকর্ড করা হয় যা লেনদেনের তথ্যগুলোকে সুরক্ষিত ও পরিবর্তন-অযোগ্য করে রাখে। ব্লকচেইন প্রযুক্তির কারণে বিটকয়েনের লেনদেন নিরাপদ এবং জালিয়াতি প্রতিরোধী। বিটকয়েনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এর সীমিত সরবরাহ। সর্বমোট ২১ মিলিয়ন বিটকয়েন তৈরি করা যাবে যা বিটকয়েনের মূল্যের সুরক্ষা ও স্থায়িত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে।

বিটকয়েনের মূল্য ক্রমাগত ওঠানামা করে এবং এটি অত্যন্ত অস্থিতিশীল। এর ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও এর বৈধতা নিরাপত্তা এবং বিনিয়োগ ঝুঁকি নিয়ে এখনও অনেক বিতর্ক রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিটকয়েনের ব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন আইন ও নিয়মকানুন রয়েছে এবং বাংলাদেশসহ কিছু দেশে এটি নিষিদ্ধ। সার্বিকভাবে বিটকয়েন একটি উদ্ভাবনী আর্থিক সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হলেও এর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সঠিক গবেষণা ও সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ

বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ বাংলাদেশে বিটকয়েনের বৈধতা নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নোটিস জারি করে বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয় যে, ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে মানি লন্ডারিং সন্ত্রাসী অর্থায়ন এবং অন্যান্য অবৈধ কার্যক্রম চালানো হতে পারে। এই কারণে বাংলাদেশে বিটকয়েন ব্যবহার করলে আইনত শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এছাড়া দেশটির আর্থিক ব্যবস্থায় ক্রিপ্টোকারেন্সির যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকায় বিটকয়েন ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ।

বিটকয়েন কি হালাল

বিটকয়েন কি হালাল? বিটকয়েনের হালাল হওয়া না হওয়া নিয়ে ইসলামী শরীয়াহর দৃষ্টিকোণ থেকে মতভেদ রয়েছে। কিছু ইসলামী অর্থনীতিবিদ বিটকয়েনকে হালাল মনে করেন কারণ এটি সরাসরি সুদ বা হারাম কাজের সাথে জড়িত নয়। বিটকয়েন কি তবে বিটকয়েনের মূল্য অস্থিতিশীলতা এবং বিনিয়োগের ঝুঁকি এটিকে হারাম হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। সুদের লেনদেন জুয়া বা অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ শরিয়াহ অনুযায়ী নিষিদ্ধ। তাই বিটকয়েন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে

বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে বিটকয়েন ব্লকচেইন প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে কাজ করে যা মূলত একটি বিকেন্দ্রীভূত লেজার। প্রতিটি বিটকয়েন লেনদেন একটি ব্লকে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং এই ব্লকগুলো চেইনের মতো পরস্পর যুক্ত থাকে। এই চেইনই ব্লকচেইন নামে পরিচিত। বিটকয়েন মাইনিংয়ের মাধ্যমে নতুন বিটকয়েন তৈরি হয়। মাইনিং হল একটি প্রক্রিয়া যেখানে কম্পিউটারের সাহায্যে জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধান করে ব্লক তৈরি করা হয় এবং এর বিনিময়ে বিটকয়েন পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়। বিটকয়েন লেনদেনের তথ্যগুলো ব্লকচেইনে স্থায়ীভাবে রেকর্ড করা হয় যা নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করে।

বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে

আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা আপনার সাথে শেয়ার করেছি বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে এবং বিটকয়েন ভবিষ্যৎ কি এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির থেকে কিভাবে বিটকয়েন ক্রয় করতে হয় এবং এখান থেকে লাভবান হতে পারবেন সে সকল তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি আপনি যদি পুরো আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে আমি মনে করি বিটকয়েন কি এবং বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ কি এবং বিটকয়েন কিভাবে কিনবেন সেই সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ কী

বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ কী বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ কী ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক মতামত রয়েছে। কেউ মনে করেন বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি ভবিষ্যতে প্রচলিত মুদ্রার বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। এই দৃষ্টিভঙ্গি প্রধানত প্রযুক্তিগত উন্নয়ন গোপনীয়তা এবং বিকেন্দ্রীকরণের সুবিধার ওপর ভিত্তি করে। তবে বিটকয়েনের মূল্য অস্থিতিশীলতা বিভিন্ন দেশের কঠোর নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা এবং সাইবার হামলার ঝুঁকির কারণে এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। তাছাড়া বিটকয়েনের উচ্চ বিদ্যুৎ খরচ এবং পরিবেশগত প্রভাবও এর গ্রহণযোগ্যতায় প্রশ্ন তুলেছে। বিটকয়েন কি তাই বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ বেশ অনিশ্চিত হলেও এটি প্রযুক্তিগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্ভাবন হিসেবে বিবেচিত হবে।

বিটকয়েন কিভাবে কিনব

বিটকয়েন কিভাবে কিনব, বিটকয়েন কেনার জন্য প্রথমে একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়। জনপ্রিয় এক্সচেঞ্জগুলোর মধ্যে বাইন্যান্স কয়েনবেস এবং ক্র্যাকেন উল্লেখযোগ্য। বিটকয়েন কিভাবে কিনব, অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা কার্ডের মাধ্যমে ফান্ড জমা করতে হয়। তারপর সেই ফান্ড দিয়ে বিটকয়েন কেনা যায়। বিটকয়েন কেনার সময় লেনদেন ফি এবং নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া বিটকয়েন কেনার পর তা একটি ডিজিটাল ওয়ালেটে সংরক্ষণ করতে হয় যা নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিটকয়েন থেকে কিভাবে আয় করা যায়

বিটকয়েন থেকে কিভাবে আয় করা যায় বিটকয়েন থেকে আয়ের বেশ কিছু উপায় রয়েছে। প্রথমত বিটকয়েন কিনে তা মূল্য বাড়ার পর বিক্রি করে লাভ করা যায়। দ্বিতীয়ত বিটকয়েন মাইনিং করে নতুন বিটকয়েন অর্জন করা যায়। তবে মাইনিং একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া এবং এটি অনেক বিদ্যুৎ খরচ করে। তৃতীয়ত বিটকয়েন দিয়ে বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান করে অর্থ আয় করা যায় যেমন ফ্রিল্যান্সিং কন্টেন্ট ক্রিয়েশন ই-কমার্স ইত্যাদি। এছাড়া কিছু বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্ম বিটকয়েন ধার দেওয়ার মাধ্যমে সুদ আয় করার সুযোগও প্রদান করে তবে এটি ইসলামী শরিয়াহর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

বিটকয়েন থেকে কিভাবে আয় করা যায়

আপনারা এই বিটকয়েন থেকে কোন প্রকার ঝুঁকি ছাড়াই আয় করবেন তার সকল মাধ্যমগুলো এখানে তুলে ধরা হয়েছে। তাই আপনি যদি বিটকয়েন ক্রয় করে আয় করতে চান তার সকল মাধ্যমগুলো এখানে দেখানো হয়েছে আপনি যদি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে বিটকয়েন থেকে কিভাবে আয় করতে হয় এবং এর ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। বিটকয়েন কিভাবে কিনব তাই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করুন।

১ বিটকয়েন সমান কত টাকা

১ বিটকয়েন সমান কত টাকা বিটকয়েনের মূল্য অত্যন্ত অস্থিতিশীল এবং এটি প্রতিদিন পরিবর্তিত হয়। বর্তমানে ১ বিটকয়েনের মূল্য লক্ষাধিক টাকা হতে পারে যা বাজারের চাহিদা ও যোগানের ওপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, বিটকয়েনের মূল্য এক মাসে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে আবার কিছুদিন পরেই এটি ১৫ শতাংশ কমে যেতে পারে। তাই বিটকয়েনের সঠিক মূল্য জানতে সবসময় আপডেটেড তথ্য অনুসরণ করা উচিত এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ থেকে নির্ভুল তথ্য সংগ্রহ করা উচিত।

বিটকয়েন কোন কোন দেশে বৈধ

বিটকয়েন বিশ্বের অনেক দেশে বৈধতা লাভ করেছে এবং এই ডিজিটাল মুদ্রা বিভিন্ন আকারে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিটকয়েনের বৈধতা প্রায়শই দেশভেদে পরিবর্তিত হয় এবং প্রতিটি দেশের নিজস্ব নিয়ন্ত্রক নীতি রয়েছে। বিটকয়েন কোন কোন দেশে বৈধ  কিছু দেশ বিটকয়েনকে সম্পূর্ণভাবে বৈধ ঘোষণা করেছে এবং এর লেনদেন বিনিয়োগ এবং খুচরা কেনাকাটায় ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে আবার কিছু দেশ বিটকয়েনের লেনদেনকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে বা নিষিদ্ধ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্র বিটকয়েনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার এবং এটিকে বৈধ মুদ্রা হিসেবে গ্রহণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে বিটকয়েনের উপর ভিন্ন ভিন্ন নীতি আছে কিন্তু সার্বিকভাবে এটি ব্যবহার লেনদেন এবং বিনিয়োগের জন্য বৈধ। মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (SEC) এবং কমোডিটি ফিউচারস ট্রেডিং কমিশন (CFTC) বিটকয়েনের নিয়ন্ত্রণ এবং তত্ত্বাবধানে যুক্ত রয়েছে যা বিটকয়েনের বাজারকে নিরাপদ ও স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করে।

জাপান: জাপান বিটকয়েনকে বৈধ মুদ্রা হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং এটি দেশটির অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০১৭ সালে জাপান সরকার বিটকয়েনকে আইনি টেন্ডার হিসেবে স্বীকৃতি দেয় যার ফলে এটি খুচরা বিক্রেতা থেকে শুরু করে বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। জাপানিজ ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস এজেন্সি (FSA) বিটকয়েন এক্সচেঞ্জগুলিকে লাইসেন্স প্রদান করে এবং নিয়ন্ত্রণ করে।

ইউরোপ: ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে বিটকয়েন বৈধতা পেয়েছে। বিশেষ করে জার্মানি ফ্রান্স সুইজারল্যান্ড নেদারল্যান্ডস এবং সুইডেনের মতো দেশগুলো বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এই দেশগুলিতে বিটকয়েনকে ডিজিটাল মুদ্রা বা আর্থিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তা নিয়ন্ত্রিত হয়। সুইজারল্যান্ডে বিটকয়েনকে একটি কনভার্টিবল মুদ্রা হিসেবে ধরা হয় এবং দেশটির সরকার এবং ব্যাংকগুলো বিটকয়েন গ্রহণ করে।

অস্ট্রেলিয়া: অস্ট্রেলিয়া বিটকয়েনকে আইনি পেমেন্ট পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং এটি পণ্য ও সেবা কেনার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। অস্ট্রেলিয়ান ট্রানজাকশন রিপোর্টিং অ্যান্ড অ্যানালিসিস সেন্টার (AUSTRAC) বিটকয়েন এক্সচেঞ্জ এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে যা বিটকয়েন লেনদেনকে আরো নিরাপদ ও স্বচ্ছ করে তোলে।

কানাডা: কানাডা বিটকয়েনকে একটি বৈধ পেমেন্ট পদ্ধতি হিসেবে মেনে নিয়েছে এবং এটি আর্থিক লেনদেনে ব্যবহার করা হচ্ছে। কানাডায় বিটকয়েন এক্সচেঞ্জ এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে ফিনট্রাক (FINTRAC) এর অধীনে নিবন্ধিত হতে হয় এবং তাদেরকে কঠোরভাবে মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসবাদ অর্থায়ন প্রতিরোধ আইন মেনে চলতে হয়।

সিঙ্গাপুর: সিঙ্গাপুর বিটকয়েনকে বৈধতা প্রদান করেছে এবং এটি দেশের মধ্যে লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। সিঙ্গাপুরের মনিটারি অথরিটি (MAS) বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে এবং তা নির্দিষ্ট মানদণ্ডের মধ্যে পরিচালিত হয়।

বিটকয়েনের বৈধতা নিয়ে প্রতিটি দেশের নিজস্ব নীতি এবং নিয়ম রয়েছে। যদিও বেশিরভাগ উন্নত দেশ বিটকয়েনকে বৈধ মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে কিছু দেশ এখনো এটি নিয়ে শঙ্কিত এবং কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। বিটকয়েন ব্যবহারের আগে প্রতিটি দেশের আইনি কাঠামো এবং নিয়মাবলি সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি।

লেখকের শেষ মন্তব্য

বিটকয়েন কি বিটকয়েন একটি বিপ্লবী ডিজিটাল মুদ্রা যা অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় নতুন ধারা তৈরি করেছে। যদিও এটি লেনদেন ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সহজতা এবং গোপনীয়তা নিশ্চিত করে তবুও এর ঝুঁকি এবং আইনগত সমস্যা বিবেচনা করা জরুরি। বাংলাদেশে বিটকয়েন ব্যবহার অবৈধ এবং এর লেনদেন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে এর হালাল হওয়া নিয়ে মতবিরোধ থাকায় ধর্মীয় দিকও বিবেচনা করা উচিত। 

ভবিষ্যতে বিটকয়েন বা অনুরূপ ক্রিপ্টোকারেন্সি বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে তবে এর নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রন ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার দিকগুলো সঠিকভাবে সমাধান করা দরকার। আজকের বিটকয়েন সম্পর্কে তথ্যগুলো ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন আমরা রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো। আরও এমন তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। "ধন্যবাদ"

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url