বাচ্চাদের অমিডন ড্রপ খাওয়ার নিয়ম - এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানুন

ইনডেভার ১০ বেশি খেলে কি হবেবাচ্চাদের অমিডন ড্রপ খাওয়ার নিয়ম অমিডন একটি ডমপেরিডোন জাতীয় ঔষধ যা সাধারণত বমি বমি ভাব এবং বমি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি পাকস্থলীর নড়াচড়া ত্বরান্বিত করে খাদ্য হজমে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তবে এই ঔষধটি ব্যবহারের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে যা জানা গুরুত্বপূর্ণ। অমিডন ব্যবহারের ফলে প্রাথমিকভাবে মাথা ঘোরা ক্লান্তি বা দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।

অনেক ক্ষেত্রে এটি শারীরিক শিথিলতা সৃষ্টি করতে পারে বিশেষত যারা দীর্ঘদিন ধরে এই ঔষধটি ব্যবহার করছেন তাদের জন্য। এছাড়া পাকস্থলীতে অস্বস্তি ডায়রিয়া এবং বিরল ক্ষেত্রে হৃদপিণ্ডের ছন্দের সমস্যা তৈরি হতে পারে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অমিডনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই অল্প হলেও এটি খুব গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করা উচিত। 

শিশুরা মাথা ঘোরা বা অস্বস্তি প্রকাশ করতে পারে যা বড়দের মতো তীব্র না হলেও তাদের জন্য কষ্টদায়ক হতে পারে। অতএব চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত বাচ্চাদের অমিডন দেওয়া উচিত নয়। দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের ক্ষেত্রে নারীদের মধ্যে প্রল্যাক্টিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে স্তন থেকে দুধ নিঃসৃত হতে পারে বা মাসিক চক্রে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

ভূমিকা

বাচ্চাদের অমিডন ড্রপ খাওয়ার নিয়ম অমিডন একটি বহুল ব্যবহৃত ঔষধ যা বমি বমি ভাব এবং বমি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পাকস্থলীর নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যার মধ্যে বমি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা পেটের অস্বস্তি অন্যতম। এইসব সমস্যার দ্রুত এবং কার্যকর সমাধানে অমিডন একটি জনপ্রিয় ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

পেজ সূচিপত্র:- মূলত ডমপেরিডোন (Domperidone) উপাদান সমৃদ্ধ এই ঔষধটি পাকস্থলীর পেশির কার্যকারিতা বাড়িয়ে হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং বমি প্রতিরোধ করে। বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়দের জন্যও অমিডনের বিভিন্ন রূপ রয়েছে যা ব্যবহার করা হয় নির্দিষ্ট লক্ষ্যে। এই আর্টিকেলে আমরা অমিডন ঔষধের কার্যকারিতা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং ব্যবহারের নিয়ম নিয়ে বিশদ আলোচনা করবো যাতে আপনি এই ঔষধ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে পারেন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এটি ব্যবহার করতে পারেন।

অমিডন ড্রপ এর কাজ কি

অমিডন ড্রপ বিশেষত শিশুদের বমি এবং বমি বমি ভাব দূর করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ডমপেরিডোনের একটি তরল রূপ যা বাচ্চাদের জন্য সহজে গ্রহণযোগ্য। পাকস্থলীতে খাদ্য জমে থাকা বা হজমে বিলম্ব হলে অমিডন ড্রপ তা দ্রবীভূত করতে সহায়তা করে এবং বমি প্রতিরোধ করে। শিশুর পাকস্থলীর পেশির কার্যকারিতা বাড়িয়ে পেটের অস্বস্তি দূর করে।

আরো পড়ুন:- prolong 30 এর কাজ কি

অমিডন ড্রপ সাধারণত শিশুদের জন্য নিরাপদ তবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সঠিক ডোজ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। এটি ছোট বাচ্চাদের পাকস্থলীর সমস্যা গ্যাস্ট্রিক এবং পাচনতন্ত্রের সমস্যা নিরাময়ে সহায়ক। এছাড়া নবজাতক বা কম বয়সী শিশুদের পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এই ঔষধটি প্রায়ই ব্যবহৃত হয়।

Omidon 10mg এর কাজ কি

Omidon 10mg ট্যাবলেট বমি বমি ভাব এবং বমি নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকর একটি ঔষধ। এটি গ্যাস্ট্রিক ও পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রায়শই যখন পাকস্থলীতে খাদ্য হজমে দেরি হয় বা খাদ্য পাকস্থলীতে জমে যায় তখন Omidon 10mg ব্যবহৃত হয়। এই ঔষধটি পাকস্থলীর পেশির সংকোচন বাড়িয়ে খাদ্যকে নিচের দিকে সরাতে সাহায্য করে এবং এর ফলে পাকস্থলীতে খাদ্য জমে থাকার সমস্যা দূর হয়।

এটি খাদ্যনালী এবং পাকস্থলীর মাঝের ঝিল্লির কার্যকারিতা বাড়িয়ে পেটের অস্বস্তি ও বমি বমি ভাব কমিয়ে দেয়। অতিরিক্ত অ্যাসিড জমা হলে বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগলে এই ঔষধটি তা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। Omidon 10mg এর ব্যবহারে খাদ্যের হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয় এবং এর ফলে পাকস্থলীর নড়াচড়া ঠিক থাকে।

Omidon Tablet for Breast Milk

মায়েদের মধ্যে যারা স্তন্যদান করেন তাদের ক্ষেত্রে দুধের উৎপাদন কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে অমিডন ট্যাবলেট স্তন্যদানের সময় দুধের উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। যদিও এটি একটি অফ-লেবেল ব্যবহারের উদাহরণ কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে স্তন্যদানের সময় অমিডন ব্যবহার করা হয়। এই ঔষধটি প্রল্যাক্টিন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা দুধ উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

যেসব মায়েরা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে চান কিন্তু পর্যাপ্ত দুধ উৎপাদন হচ্ছে না তাদের জন্য অমিডন কার্যকর হতে পারে। তবে এই ঔষধটি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ এটি মায়ের শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটাতে পারে এবং শিশু ও মায়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

বাচ্চাদের অমিডন সিরাপ এর কাজ কি

বাচ্চাদের অমিডন ড্রপ খাওয়ার নিয়ম বাচ্চাদের অমিডন সিরাপ মূলত শিশুদের বমি এবং বমি বমি ভাব দূর করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি শিশুর পাকস্থলীর পেশির কার্যকারিতা উন্নত করে এবং পেটের অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। গ্যাস্ট্রিক সমস্যা পেটের ব্যথা অথবা খাদ্য হজমে বিলম্বের ক্ষেত্রে অমিডন সিরাপ কার্যকর প্রমাণিত হয়। এটি শিশুদের পাচনতন্ত্রের সমস্যা দূর করার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য ঔষধ।

অমিডন সিরাপটি পাকস্থলীর নড়াচড়া বাড়িয়ে হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং খাদ্য জমে যাওয়ার সমস্যার সমাধান করে। এটি শুধুমাত্র বাচ্চাদের জন্য নয় বরং বিভিন্ন বয়সের মানুষের জন্যও প্রযোজ্য। তবুও শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ঔষধ ব্যবহার করা উচিত নয়।

বাচ্চাদের অমিডন ড্রপ খাওয়ার নিয়ম

বাচ্চাদের অমিডন ড্রপ খাওয়ানোর সময় ডোজের পরিমাণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ডোজ নির্ধারণ করা হয় শিশুর ওজন এবং বয়স অনুযায়ী। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ডোজ দেওয়া উচিত কারণ অতিরিক্ত ঔষধ ব্যবহার করলে শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। সাধারণত অমিডন ড্রপ ০.২৫ মি.লি. থেকে ১ মি.লি. পর্যন্ত দেওয়া যেতে পারে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার।

আরো পড়ুন:- আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

ডোজের সময়মত খাওয়ানো অত্যন্ত জরুরি বিশেষত খাবারের আগে অথবা খাবারের সময় এটি দেওয়া উচিত। যদি বাচ্চা কোনো কারণে বমি বমি ভাব বা পাকস্থলীর সমস্যা অনুভব করে তবে এই ড্রপ তাদের অবস্থা উন্নত করতে পারে। তবে চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চলা অত্যাবশ্যক।

অমিডন সিরাপ কিসের ঔষধ

অমিডন সিরাপ একটি ডমপেরিডোন ভিত্তিক ঔষধ যা প্রধানত গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি পাকস্থলীতে খাদ্য হজমে সাহায্য করে এবং বমি বমি বমি ভাব পেটের অস্বস্তি দূর করে। এছাড়াও এটি গ্যাস্ট্রিক সমস্যা এবং খাদ্যনালীতে অ্যাসিড জমা হওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর। অমিডন সিরাপ পাকস্থলীর পেশির সংকোচন বৃদ্ধি করে এবং এর ফলে খাদ্য দ্রুত হজম হয় ও পাকস্থলীতে জমা থাকে না।

এটি প্রোটোকিনেটিক এজেন্ট হিসেবে কাজ করে যার ফলে পাকস্থলীর নড়াচড়া বৃদ্ধি পায় এবং হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়। এছাড়াও শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি অমিডন সিরাপ পেটের সমস্যা এবং খাদ্য হজমের দেরি দূর করতে সাহায্য করে। গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগলে এটি বেশ কার্যকর ঔষধ হিসেবে বিবেচিত হয়।

Omidon এর কাজ কি

Omidon ঔষধের প্রধান কাজ হল বমি বমি ভাব এবং বমি নিয়ন্ত্রণ করা। এটি ডমপেরিডোন নামে একটি সক্রিয় উপাদান দ্বারা প্রস্তুত। অমিডন পাকস্থলীর পেশির সংকোচন বাড়িয়ে খাদ্য দ্রবীভূত করতে সহায়তা করে এবং বমি প্রতিরোধ করে। এটি পাকস্থলীতে খাদ্য হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে যার ফলে বমি বমি ভাব দূর হয়।

Omidon মূলত প্রোটোকিনেটিক এজেন্ট হিসেবে কাজ করে যা পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি পাকস্থলীর পেশির সংকোচন বাড়িয়ে দেয় এবং এর ফলে খাদ্য হজম দ্রুত হয়। গ্যগ্যাস্ট্রি এবং পেটের অস্বস্তি দূর করার জন্য এটি বেশ কার্যকর একটি ঔষধ। এর নিয়মিত ব্যবহারে বমি বমি ভাব এবং বমির সমস্যা দূর হয় বিশেষ করে যারা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বা অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি একটি অত্যন্ত কার্যকর ঔষধ।

অমিডন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

অমিডন (Omidon) ঔষধটি মূলত ডমপেরিডোন (Domperidone) নামক একটি সক্রিয় উপাদানের মাধ্যমে তৈরি করা হয় যা বমি বমি ভাব এবং বমি নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এটি পাকস্থলীর পেশির সংকোচন ত্বরান্বিত করে ফলে খাদ্য দ্রুত হজম হয় এবং পাকস্থলীতে জমা থাকে না। 

পাকস্থলীর অস্বস্তি গ্যাস্ট্রিক সমস্যা এবং বমি প্রতিরোধে এটি বেশ কার্যকরী। তবে যেকোনো ঔষধের মতো অমিডন ব্যবহারেও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর ব্যবহার সঠিকভাবে না হলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

অমিডন এর সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

অমিডন ব্যবহারের ফলে বেশ কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে

  • মাথা ঘোরা ও ক্লান্তি: অনেক ব্যবহারকারী অমিডন গ্রহণের পর মাথা ঘোরা এবং অস্বাভাবিক ক্লান্তি অনুভব করেন। এটি মূলত ঔষধের কারণে শরীরের পেশির সংকোচন বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ঘটে।
  • পাকস্থলীতে অস্বস্তি: কিছু ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে পাকস্থলীতে অস্বস্তি বা হালকা ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এটি প্রায়ই প্রথম কয়েকবার ব্যবহার করার সময় দেখা যায় এবং ধীরে ধীরে সয়ে যায়।
  • মুখ শুষ্ক হওয়া: অমিডন ব্যবহার করলে মুখ শুষ্ক হওয়া একটি সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যা অধিকাংশ ব্যবহারকারীর মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। প্রচুর পানি পান করলে এটি দূর করা সম্ভব।
  • ডায়রিয়া: অমিডন হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে যার ফলে কিছু ব্যবহারকারীর ডায়রিয়া হতে পারে। এটি সাধারণত অস্থায়ী হয় তবে দীর্ঘমেয়াদে এই সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

অমিডন এর গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

কিছু ক্ষেত্রে অমিডন ব্যবহারে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে যা তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন। এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি খুবই বিরল তবে গুরুত্ব সহকারে নজর দেওয়া উচিত।

  • হৃদপিণ্ডের ছন্দের সমস্যা (Arrhythmia): অমিডনের প্রলম্বিত ব্যবহার হৃদপিণ্ডের ছন্দে বিঘ্ন ঘটাতে পারে যার ফলে হার্টবিট অস্বাভাবিক হতে পারে। এটি একটি গুরুতর সমস্যা এবং অবিলম্বে চিকিৎসা প্রয়োজন।
  • প্রল্যাক্টিন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি: অমিডন ব্যবহার করলে কিছু রোগীর মধ্যে প্রল্যাক্টিন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে যা স্তন থেকে দুধ নিঃসরণ এবং মাসিক চক্রে অনিয়ম তৈরি করতে পারে। এটি প্রায়ই মহিলাদের মধ্যে ঘটে তবে কিছু পুরুষের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া: অমিডন ব্যবহারের ফলে খুব বিরল ক্ষেত্রে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে যার মধ্যে শ্বাসকষ্ট ত্বকের ফুসকুড়ি এবং ফোলা অন্তর্ভুক্ত। যদি এরকম কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তবে অবিলম্বে ঔষধ গ্রহণ বন্ধ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

অমিডন দীর্ঘ দিন ব্যবহারজনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

  • হরমোনজনিত সমস্যা: অমিডনের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে প্রল্যাক্টিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে মহিলাদের ক্ষেত্রে স্তনে ব্যথা বা স্তন থেকে দুধ নিঃসরণ হতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে স্তনের আকার বৃদ্ধির মতো বিরল সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরো পড়ুন:- টাইমেক্স ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

  • লিভারের কার্যক্ষমতা বিঘ্নিত হওয়া: অমিডন দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করলে লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে ফলে লিভারের সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটি বিশেষত যাদের পূর্বে লিভারের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য একটি গুরুতর ঝুঁকি।

অমিডন ব্যবহারে সতর্কতা

অমিডন ব্যবহার করার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। এটি ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বিশেষ করে যাদের হৃদরোগ লিভারের সমস্যা বা হরমোনজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে।

  • গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান: গর্ভবতী মহিলারা অমিডন ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। স্তন্যদানকালে অমিডন ব্যবহার করলে মায়ের প্রল্যাক্টিন হরমোনের মাত্রা বাড়তে পারে যা দুধের পরিমাণ বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। তবে এটি শুধুমাত্র চিকিৎসকের নির্দেশে ব্যবহার করা উচিত।
  • বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের নিয়ম: অমিডন সিরাপ বা ড্রপ শিশুদের জন্য নিরাপদ হলেও সঠিক ডোজ মেনে ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত ডোজ বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। শিশুর বয়স এবং ওজন অনুযায়ী সঠিক মাত্রা নির্ধারণ করা উচিত।

কিভাবে অমিডনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমানো যায়

অমিডনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়ানোর জন্য কিছু সতর্কতা মেনে চলা উচিত। প্রথমত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডোজ গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডোজের পরিমাণ বেশি হলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়াও অমিডন ব্যবহারের সময় প্রচুর পানি পান করা উচিত কারণ এটি ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে এবং মুখ শুষ্ক হওয়ার সমস্যা দূর করে। যাদের লিভার বা হৃদপিণ্ডের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অমিডন ব্যবহারের আগে বিস্তারিতভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত।

লেখকের শেষ মন্তব্য

বাচ্চাদের অমিডন ড্রপ খাওয়ার নিয়ম অমিডন একটি কার্যকর ঔষধ যা প্রধানত বমি এবং বমি বমি ভাব নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এটি ডমপেরিডোন ভিত্তিক ঔষধ যা বিভিন্ন গ্যাস্ট্রিক এবং হজমজনিত সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হয় আজকের পোষ্টের আমরা একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি প্রতিটা ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম অনুযায়ী খাওয়া উচিত হবে। 

তাহলে দেহের সমস্যা দ্রুত নিরাময় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতিত বিভিন্ন ওষুধ গ্রহন করে থাকেন। যা একদমই উচিত নয়। এতে আপনার দেহে বিপরীত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার প্রবনতা আরও বৃদ্ধি পাবে। তাই এ বিষয়ে সচেতন থেকে ওষুধ সেবন করতে হবে। 

আমাদের আজকের লেখা অমিডন ড্রপ এর কাজ কিএর বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কিত আর্টিকেলেটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার প্রিয়জনজদের সাথে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে তারাও বাচ্চাদের অমিডন ড্রপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জানতে সক্ষম হবেন। বিভিন্ন ট্যাবলেট ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে হলে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। "ধন্যবাদ"

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url