অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম দাঁত পড়লে কি করে
সম্মানিত পাঠক আসসালামু আলাইকুম। আশা করি, আপনারা পরিবার পরিজনদের নিয়ে
সবাই ভালো আছেন। বিগতদিনগুলোর মতো আমরা আজকেও একটি নতুন টপিক নিয়ে আপনাদের
সামনে হাজির হয়েছি। সেটি হল অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম দাঁত পড়লে কি করে সম্পর্কে। আপনি কি অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম দাঁত পড়লে কি করে সেই সম্পর্কে জানতে চেয়ে গুগলে সার্চ করে আমাদের এই
পোষ্টিতে এসেছেন? তাহলে এখন আপনি সঠিক স্থানেই এসেছেন।
আপনি যদি আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে থাকেন, তাহলে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম
দাঁত পড়লে কি করে? এই সম্পর্কে জেনে নেওয়ার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় বয়স্কদের
দাঁত পড়লে কি করে, বিভিন্ন দেশে শিশুর প্রথম দাঁত পড়লে কি করে, কোন বয়সে
শিশুদের দাঁত পড়ে, ইত্যাদি সহ এই সম্পর্কে আরো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও
প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারবেন। তাই অবহেলা না করে সম্পূর্ণ পোস্টটি শেষ অবদি
মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
ভূমিকা
প্রথম দাঁত পড়া নিয়ে সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানান ধরনের নিয়ম কানুন
পালন করা হয়। কেননা, আমরা সকলেই জানি যে, একটি বাচ্চার বয়স যখন ২ থেকে ৭ বছর
বয়সের মধ্যে থাকে। তখন সেই বাচ্চার দুধ দাঁত পড়ে যায়। আর আবার সেই স্থান থেকে
দাঁত উঠা শুরু করে। তবে এই দাঁত পড়া নিয়ে একেক দেশের একেক রকম নিয়ম
পালন করা হয়।
আপনি কি অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম দাঁত পড়লে কি করে সেই সম্পর্কে জানেন? হয়তো
আপনি এই বিষয়ে অবগত নন। মূলত আপনাদের সুবিধার কথা ভেবেই আজকের এই পোষ্টটি
সাজানো হয়েছে। আমরা এই বিষয়ে এমন কিছু তথ্য প্রদান করব যার মাধ্যমে আপনারা
উপকৃত হতে পারবেন বলে আশাবাদী।
তাই আমাদের প্রত্যেকেরই এ বিষয়ে জেনে রাখাটা অত্যন্ত জরুরী। কেননা আপনার
শিশুর গায়ের রং কেন পরিবর্তন হয় সেই সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানা
থাকলে এটি পরবর্তীতে অনেক সহায়ক হবে বলে এর পাশাপাশি আপনি অন্য আরেকজনকেও
অবগত করতে পারবেন। তাহলে আসুন, আর অতিরিক্ত কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা শুরু
করা যাক।
অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম দাঁত পড়লে কি করে
দাঁত পড়ে যাওয়ার পর একেক দেশের একেক রীতিনীতি পালন করা হয়। তবে অস্ট্রেলিয়ায়
বর্তমান সময়ে শিশুদের প্রথম দাঁত পড়লে যেসব নিয়ম সেই দেশে পালন করা হয় সেটি
আপনি যদি এই অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন। নিম্নে সেই দেশের
নিয়ম কানুন গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো যেমনঃ
- কোনো বাচ্চার প্রথম দাঁত পড়লে তার পরিবারকে নগদ অর্থ দেওয়া হয়।
- অনেক বাচ্চার বাবা-মা তার শিশুর দাঁতটি একটি ব্যাগের মধ্যে ভরে বালিশের নিচে রাখেন।
- আবার কেউ কেউ দাঁত পড়ে গেলে সেটি একটি গাছের নিচে পুতে রাখে।
- কিছু অবিভাবক সেই দাঁতকে নির্দিষ্ট একটি পানির পাত্রে রেখে দেয়।
- আবার কেউ দাঁতকে সূর্যের দিকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারে।
জেনে রাখা ভালো যে, অস্ট্রেলিয়ায় ”দাঁতের পরী” নামক জনপ্রিয় একটি ঐতিহ্য
রয়েছে। যদিও এটি কাল্পনিক একটি চরিত্রের নাম। তবে সেই দেশের মানুষেরা বিশ্বাস
করে যে, পড়ে যাওয়া দাঁত যদি একটি ফেয়ারি বক্সে করে তাদের ঘুমানোর বালিশের
নিচে রাখে তাহলে দাঁতের পরী তাদের জন্য নানান ধরনের উপহার নিয়ে আসবে। আশা করি
অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম দাঁত পড়লে কি করে তা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন,
অস্ট্রেলিয়ায় বয়স্কদের দাঁত পড়লে কি করে তা জেনে নেওয়া যাক।
অস্ট্রেলিয়ায় বয়স্কদের দাঁত পড়লে কি করে
উপরের অংশ থেকে আপনারা হয়তো এতক্ষণে জানতে পেরেছেন যে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম
দাঁত পড়লে কি করে। কিন্ত এখন আপনারদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে
অস্ট্রেলিয়ায় বয়স্কদের দাঁত পড়লে কি করে? তাই আপনাদের মনের প্রশ্ন দূর করতে
আমরা পোস্টের এই অংশে এই বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
সত্যি কথা বলতে অস্ট্রেলিয়াতে বাচ্চাদের প্রথম দাঁত পড়ে গেলে যেমন নানান
ধরনের নিয়ম তারা পালন করে থাকেন। ঠিক তেমনি বয়স্কদের যদি দাঁত পড়ে যায়,
তাহলেও তারা নানান প্রকারের নিয়ম কানুন মেনে চলে। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস
করেন এমন অনেক নাগরিক রয়েছেন যারা বয়স্কদের দাঁত পড়লে সেই দাঁত গিলে ফেলে। আমাদের
কাছে এই নিয়মটি অনেকটাই অবাক করার মতো।
কিন্তুু এর পরেও সেই দেশের মানুষেরা এই ধরনের দাঁত গিলে ফেলার রীতি পালন করে
থাকেন। আবার এই দেশে বয়স্কদের দাঁত পড়া নিয়ে আরেকটি নিয়ম পালন করা হয়ে থাকে
সেটা হল কিছু অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক রয়েছেন যারা মূলত বয়স্কদের দাঁত পড়ে যাওয়ার
পরে সেই দাতকে পুঁড়িয়ে ফেলেন। আশা করছি অস্ট্রেলিয়ায় বয়স্কদের দাঁত পড়লে কি
করে তা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, বিভিন্ন দেশে শিশুর প্রথম দাঁত পড়লে তারা
কি করে সেটা জেনে নেওয়া যাক।
বিভিন্ন দেশে শিশুর প্রথম দাঁত পড়লে কি করে
অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম দাঁত পড়লে ও বয়স্কদের দাঁত পড়লে কি করে তা আপনারা উপরের
আলোচনা থেকে হয়তো জানতে পেরেছেন। এবার এ পর্যায়ে আমরা জানবো, বিভিন্ন দেশে
শিশুর প্রথম দাঁত পড়লে কি করে। বিভিন্ন দেশভেদে বাচ্চাদের প্রথম দাঁত পড়া
নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম কানুন পালন করা হয় যেমন,
মধ্যেপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শিশুদের প্রথম দাঁত পড়লে সেটিকে বাসার ছাদের উপর
রেখে দেয়। আফ্রিকা মহাদেশ গুলোতে শিশুদের দুধ দাঁত পড়ে গেলে তা মাটির নিচে
পুঁতে রাখে। এর কারণ হল তারা মনে করেন যে তারা যদি এটি করে তাদের বাচ্চার
দাঁতগুলো গাছের মতো শক্ত হবে।
বিভিন্ন পশ্বিমা দেশ রয়েছে সেই দেশ গুলোতে বাচ্চাদের প্রথম দাঁত পড়ে গেলে সেই
দাত অতি যত্ন সহকারে বালিশের নিচে রাখা হয়। কেননা, এতে তাদের বিশ্বাস যে সেই
দাঁত পরী এসে বিভিন্ন ধরনের উপহার দেবে। এশিয়া মহাদেশে বাচ্চাদের দুধ দাঁত
পড়ে গেলে সেই দাত তারা মাটির নিচে পুঁতে রাখে।
এছাড়া ল্যাটিন আমেরিকার দেশ গুলোতে কারও প্রথম দাঁত পড়ে গেলে সেই দাত ছাদের
মধ্যে রেখে দেন। আশা করছি বিভিন্ন দেশে শিশুর প্রথম দাঁত পড়লে কি করে বা
তারা কেমন রীতিনীতি পালন করে তা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, কোন বয়সে শিশুদের
দাঁত পড়ে সেই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
কোন বয়সে শিশুদের দাঁত পড়ে
বাচ্চাদের দুধ দাঁত পড়া নিয়ে তাদেরকে সঠিক শিক্ষা দেওয়াটা প্রয়োজন। কেননা,
অনেক শিশুরা আছেন যারা তাদের দাঁত পড়া নিয়ে খুবই চিন্তিত থাকেন। এর কারণ
হচ্ছে তারা এই বিষয়ে অবগত নন যে নির্দিস্ট বয়সের মধ্যে তাদের দাঁত নিজে থেকেই
পড়া শুরু করে দেয়।
মূলত একটি বাচ্চার বয়স যখন ১০ থেকে ১২ বছর বয়স হয় তখন সেই বাচ্চার সবগুলো দুধ
দাঁত উঠে যেতে পারে। তবে বিভিন্ন নানান কারণে শিশুর এই বয়স হওয়ার আগেই দাঁত
পড়ে যায়। কিন্তু যখন একটি শিশুর দাঁত আগের চেয়ে নরম হলে তখন সেই দুধ দাঁত
গুলো উঠিয়ে ফেলতে হবে।
কেননা, সেই স্থানে আবারও স্থায়ী দাঁত ঊঠতে শুরু করবে। আর যদি আপনার শিশুর
দাঁত সঠিক সময়ে না তুলেন তাহলে সেই দাঁত গুলো বেঁকে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক
বেশি। আশা করছি, কোন বয়সে শিশুদের দাঁত পড়ে তা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, ৫
বছরের বাচ্চার দাঁত কয়টি তা জেনে নেই।
৫ বছরের বাচ্চার দাঁত কয়টি
আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা আসলে গুগলে সার্চ করে থাকেন যে, ৫ বছরের
বাচ্চার দাঁত কয়টি হয়। এজন্য আমরা পোষ্টের এই অংশে এ বিষয়ে আলোকপাত করেছি।
চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক। আপনার বাচ্চার বয়স যখন ৫ বছর হবে ঠিক
তখন আপনার বাচ্চার যেগুলো দাঁত থাকবে সেগুলোকে দুধ দাঁত বলা হয়।
তবে স্বাভাবিক ভাবে একটি বাচ্চার বয়স যখন পাঁচ বছরে মধ্যে থাকবে তখন সেই
বাচ্চার মোট ২০টি দাঁত থাকে। আর পরবর্তীতে সেই দুধ দাঁত গুলো পড়তে শুরু করবে।
আশা করছি ৫ বছরের বাচ্চার দাঁত কয়টি সেই বিষয়ে আপনারা অবগত হতে পেরেছেন।
এবার চলুন, শিশুদের দাঁত দেরিতে ওঠার কারণ কি তা জেনে নেওয়া যাক।
শিশুদের দাঁত দেরিতে ওঠার কারণ কি
অনেক সময় কিছু কিছু বাচ্চাদের দাঁত উঠতে অনেক দেরি হয়। আর এই দেরীতে দাঁত
ওঠার কারণ রয়েছে সেই কারণগুলো নিচে উল্লেখ করা হয়েছে যেমন-
- অপুষ্টিজনিত ও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাবে বাচ্চাদের দাঁত উঠতে সময়ের প্রয়োজন হয়।
- আবার অনেকের জেনেটিক এর কারণেও বাচ্চাদের দাঁত উঠতে দেরি হয়।
- যেসব বাচ্চারা ১০ মাস হওয়ার আগেই জন্ম নেয়, তাদের দাঁত উঠতে দেরি হয়ে থাকে।
- আবার যদি পরিবারের কারো দেরীতে দাঁত উঠে এমন সমস্যা দেখা যায়।
- এছাড়াও অনেক বাচ্চা রয়েছে যারা তুলনামূলক কম ওজন নিয়েই জন্মগ্রহন করে। তাদের ক্ষেত্রেও দাঁত দেরিতে ওঠতে পারে।
যদি কোন কারণে আপনার সন্তানের দাঁত দেরীতে উঠে তাহলে তা নিয়ে চিন্তা করার
কিছু নেই। এক্ষেত্রে আপনাকে সঠিক সময় অবদি অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তুু আপনার
শিশুর বয়স যদি ১৫ মাস পার হয়ে যায়, তবুও দাঁত না গজায় তাহলে
অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখকের ইতিকথাঃ অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম দাঁত পড়লে কি করে
সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের প্রথম দাঁত পড়া নিয়ে নানান প্রকারের গল্প
প্রচলিত রয়েছে। তবে আমরা এই পোষ্টে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম দাঁত পড়লে কি করে সেই
বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সাজানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি এ বিষয়ে জেনে আপনারা
উপকৃত হবেন।
আজকের তথ্যগুলো আপনার ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন
না। আর যদি এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থেকে থাকে, তাহলে কমেন্ট বক্সে
কমেন্ট করে জানাতে পারেন। তাহলে আমরা সেই অনুযায়ী আপনার মন্তব্যের রিপ্লাই
করতে পারবো। এছাড়া আপনি যদি এধরনের অজানা তথ্য গুলো জানতে চান তাহলে আমাদের
ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ
থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url