আপাং গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কি হয়
সম্মানিত পাঠক আসসালামু আলাইকুম। আশা করি, আপনারা পরিবার পরিজনদের নিয়ে
সবাই ভালো আছেন। বিগত দিনগুলোর মতো আমরা আজকেও একটি নতুন টপিক নিয়ে আপনাদের
সামনে হাজির হয়েছি। সেটি হচ্ছে আপাং গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কি হয়
সেই সম্পর্কে। আপনি কি আপাং গাছ এর শিকড় কোমরে বাধলে কি হয়? এবং আপাং
গাছের শিকড় সম্পর্কে গুগলের কাছে জানতে চেয়ে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে এসেছেন?
তাহলে আপনি এখন সঠিক জায়গাতেই এসেছেন।
কেননা আমরা আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপাং গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কি হয়? এই বিষয়ে
আলোচনা করার পাশাপাশি আপাং গাছের শিকড় দিয়ে বশীকরণ, লাল আপাং গাছ চেনার উপায়,
বট গাছের শিকড় দিয়ে বশীকরণ, লবঙ্গ দিয়ে ২ সেকেন্ডে বশীকরণ ইত্যাদি সহ এই
সম্পর্কে আরো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সাজানোর চেষ্টা করেছি।
তাই অবহেলা না করে সম্পূর্ণ পোস্টটি একেবারে শুরু থেকে শেষ অবদি মনোযোগ সহকারে
পড়ার অনুরোধ রইলো।
আপাং গাছের পরিচিতি
আপাং হচ্ছে একটি একবর্ষজীবী উদ্ভিদ। আপাং, চিরচিরে,সিসা গন্ধ, রক্ত আপাং,
উপুতলেংগাসহ এটি বেশ কয়েকটি নামে পরিচিত। এটি সাধারণত ২ রঙের হয়ে থাকে সাদা ও
লাল। আপাং উদ্ভিদটি সারাদেশেই জন্মে। এটি হার্ব জাতীয় উদ্ভিদ। এ উদ্ভিদটি ১
মিটারের মতো উঁচু হয়। শাখা প্রশাখা চারদিকে ছড়ানো থাকে। মূলে ভেষজ গুন
বিদ্যমান। কান্ডের অগ্রভাগে বড় বাঁকানো কাটাময় ফুল ফোটে। পাতা, বীজ ও কান্ডে
ভেষজ গুন রয়েছে।
আপনি হয়তো এই বিষয়ে অবগত আছেন যে আপাং গাছের শিকড় অনেক উপকারী
কিন্তু আপাং গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কি হয় অথবা আপাং গাছের শিকড় দিয়ে
বশীকরণ সম্পর্কে হয়তো আপনি অবগত নন। তবে আমাদের সকলেই এ বিষয়ে জেনে
রাখাটা খুবই জরুরী।
কেননা আপনার কখন কোন জিনিস কাজে আসবে কিংবা আপনি যে মাধ্যম দিয়ে উপকার পেতে
চাচ্ছেন সেই মাধ্যম সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানা থাকলে এটি আপনার জন্য
পরবর্তীতে অনেক সহায়ক হবে বলে আশাবাদী। তাহলে চলুন আর সময় নষ্ট না করে এ
পর্যায়ে আপাং এর বৈশিষ্ট্য কি কি তা নিচের অংশ হত্তে জেনে নিব।
আপাং গাছ এর বৈশিষ্ট্য কি
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে আপাং গাছে কি কি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আমাদের এই
বিষয়ে জেনে রাখাটা উচিত। আপাং গাছে বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমনঃ
- আপাং ছোট বিরুত জাতীয় উদ্ভিদ।
- এর শাখা প্রশাখা চারদিকে ছড়ানো ছিটানো থাকে।
- মূলে ভেষজ গুনে বিদ্যমান।
- এর কান্ডে বড় বাঁকানো কাটাময় ফুল ফোটে।
- ফুলগুলি ক্ষুদ্র হয়ে থাকে ইত্যাদি।
লাল আপাং গাছ চেনার উপায়
আপাং গাছ মূলত ২ ধরনের হয়ে থাকে একটি লাল আপাং এবং অপরটি সাদা আপাং। এবার
আপনাদের মাঝে আমরা সাথে লাল আপাং গাছ চেনার উপায় নিয়ে আলোচনা করব। আপনি যদি
আপাং গাছটি ভালোমতো চিনেন তাহলে আপনি খুব সহজেই এর উপকার পেতে সফল হতে
পারবেন। তাই আপনার প্রথম কাজ হচ্ছে আপাং গাছটি সঠিক ভাবে চিনে রাখা।
লাল আপাং গাছ চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে আপাং গাছে পাতায় এক ধরণের লাল
শিরা কিংবা লাল দাগ দেখা যায় মূলত তাকেই লাল আপাং গাছ বলা হয়। এই গাছ এর
উচ্চতা ২ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই গাছটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিচু জমিগুলোতে
বেশি দেখা যায়।
এই লাল আপাং গাছগুলো মূলত বর্ষাকালে জন্মায় ও পরবর্তীতে গ্রীষ্মকালের দিকে
নুয়ে পড়ে। তবে লাল আপাং গাছের তুলনায় সাদা বা সাধারণ আপাং গাছ ঔষধি কাজে বেশি
ব্যবহার হয়ে থাকে। কেননা লাল আপাং এর চেয়ে সাধারণ বা সাদা আপাং গাছের গুনাগুন
অনেক বেশি।
আপনি হয়তো জানলে অবাক হতে পারেন যে, আপাং গাছ দিয়ে বহু কবিরাজরা বিভিন্ন
ধরণের ঔষধ তৈরি করে রোগ নিরাময়ের কাজ করে থাকেন। তার ভেতরে অন্যতম হলঃ
- পড়ে গিয়ে মচকে গেলে
- পালা জ্বর দেখা দিলে
- প্রসাবের জ্বালাপোড়া হলে
- অধিক রক্তস্রাব হলে
- হৃদরোগ দেখা দিলে
- সর্দি বা কাশি হলে
- গায়ে বমি বমি ভাব হলে ইত্যাদি।
উপরের উল্লিখিত রোগ নিরাময় করতে কবিরাজরা এই আপাং গাছ ব্যবহার করে থাকে।
এমনকি এটি চক্ষু রোগের জন্য বেশ ভালো উপকারী। আবার ফোড়া পাকায় পুঁজ বের
করার জন্য আপাং গাছ অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
মহান আল্লাহ তা’আলা এই গাছের মধ্যে এতটাই গুনাগুন দিয়েছেন যে আমাদের দেহের
অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত যদি আমরা এর ব্যবহার সঠিকভাবে করতে পারি।
আশা করছি লাল আপাং গাছ চেনার উপায় জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, আপাং গাছের
শিকড় কোমরে বাধলে কি হয় তা জেনে নেওয়া যাক।
আপাং গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কি হয়
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে আপাং গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কি হয়? আর
এটিই আমাদের আজকের মূল আলোচ্য বিষয়। সাধারনত আপাং গাছ হচ্ছে গোপন মহাঔষধ যা
কোমরে বাধলে স্ত্রী সহবাস ক্ষমতা ও সময় উভয়ই বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও এটি দ্রুত স্কোলনরোধ এবং শুক্র তারল্যর স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায়। এটি এমন
একটি ভেষজ যা সেবন নয় ব্যবহার করেই এ ধরণের সমস্যা থেকে রেহায় পাওয়া যায়। আমরা
অনেকেই অনেক ধরনের চিকিৎসায় থাকি কেউ কবিরাজিতে বিশ্বাস করি বা ধারকুক করা কেউ
হয়তো বা চিকিৎসা অথবা দেখা যায় কেউ হেলপের চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তবে আমি বলব আপনি যদি এই লাল আপাং গাছের শিকড় কোমরে বাধেন তাহলে আপনার দ্রুত
স্কোলনরোধ এবং শুক্র তারল্যতার সমস্যা দূর হয়ে যাবে। আশা করছি আপাং গাছের
শিকড় কোমরে বাধলে কি হয়? তা জানতে পেরেছেন। এবার আসুন, কালো ধুতরার শিকড়
দিয়ে বশীকরণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কালো ধুতরার শিকড় দিয়ে বশীকরণ
পোষ্টের এই অংশ থেকে আমরা জানতে পারবো যে কালো ধুতরা শিকড় দিয়ে কিভাবে
বশীকরণ করার যায় সেই পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। কালো ধুতরা গাছ
চেনার সহজ উপায় হচ্ছে এই গাছের ফুল অনেক বড় হয় সাধারণত মাইক আকৃতির ভুল হয়ে
থাকে।
এই গাছটি ব্যবহার করলে অনেক উপকার হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম উপকার হচ্ছে
বিভিন্ন কালো জাদুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া। এই গাছটি সাধারনত গ্রামের বিভিন্ন
রাস্তার পাশে পাওয়া যায় এটি এখন অনেক মূল্যবান একটি গাছ। এছাড়া এই গাছটি
ব্যবহার করলে যৌন শক্তি অনেকটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এই গাছটির শিকড় শনিবার অথবা মঙ্গলবার সূর্য ওঠার আগে পূর্ব দিকে মুখ ঘুরে এক
নিঃশ্বাসে উঠাতে হবে। এবং এর শিকড় এক ইঞ্চি কেটে লাল সুতার সাহায্যে বেঁধে
আপনার কোমরে বাঁধবেন তাহলে দেখবেন অনেক ভালো ফলাফল পেয়ে যাবেন। আশা করি কালো
ধুতরার শিকড় দিয়ে বশীকরণ পদ্ধতি জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, লাল আপাং গাছের
শিকড় দিয়ে বশীকরণ পদ্ধতি জেনে নেওয়া যাক।
লাল আপাং গাছের শিকড় দিয়ে বশীকরণ
আমরা পোষ্টের এই অংশে আলোচনা করব যে লাল আপাং গাছের শিকড় দিয়ে বশীকরণ
পদ্ধতি। আপনি যদি আপনারা কবিরাজের নিয়ম অনুসরণ করেন তাহলে এই গাছটি আপনার
জন্য অনেক উপকারে আসবে। এটি মূলত একটি ভেষজ উদ্ভিদ যা কবিরাজরা বিভিন্ন রকমের
রোগ নিরাময় করেন।
আপনারা হয়তো ইতিমধ্যে জেনেছেন যে, আপাং গাছ ২ রকমের হয়ে থাকে ১টি লাল রঙের
আরেকটি সবুজ বা সাধারন। তবে আমরা লাল রঙের গাছ সম্পর্কে তুলে ধরেছি। এই গাছটি
পরীক্ষিত গাছ হিসেবে পরিচিত তাই এর উপকারিতা অসীম। এই গাছটি স্ত্রী সহবাসে
সময় বৃদ্ধি করতে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে। সহবাসের আগে পুরুষেরা কোমরে
বেঁধে রাখলে সহবাস সময় দীর্ঘক্ষণ করা যায়।
এই গাছটি নিয়ে আপনি যদি নিয়ম মেনে বশীকরণ করেন তাহলে সঠিক কার্যকারিতা
পাবেন। এ গাছটি বর্ষাকালে রাস্তার পাশে বেশি জন্মাতে দেখা যায়। লাল আপাং
গাছের শিকড় শনিবার অথবা মঙ্গলবারে সূর্য উদয়ের পূর্বে পূর্ব দিকে মুখ করে ১
নিঃশ্বাসে পুরোপুরি তুলতে হবে।
তারপর এই গাছের শিকড় ১ ইঞ্চি কেটে একটি পাতলা লাল সুতার মাধ্যমে বেঁধে নিজের
কোমরে বেধে নিতে হবে। মূলত এইভাবে বশীকরণ করলে অনেক ফলাফল পাওয়া যায়। আশা
করছি লাল আপাং গাছের শিকড় দিয়ে বশীকরণ পদ্ধতি জানতে পেরেছেন। এবার চলুন,
লবঙ্গ দিয়ে ২ সেকেন্ডে বশীকরণ পদ্ধতি জেনে নেওয়া যাক।
লবঙ্গ দিয়ে ২ সেকেন্ডে বশীকরণ
সাধারণত বশীকরণের সঠিক নিয়ম বা উপায় হচ্ছে শনি এবং মঙ্গলবার এই ২ দিনে বশীকরণ
করতে হয়। লবঙ্গ দিয়ে মূলত প্রেমিক-প্রেমিকাদের বশীকরণ করা হয়। এক্ষেত্রে
আপনাকে ২ টি লবঙ্গ নিতে হবে এবং এর সাথে কালো সুতা নিয়ে ভালোমতো গিট দিয়ে
বাদতে হবে। এরপর হাতের কোন অংশে পড়ে নিতে হবে। তবে হাতে বাধার ক্ষেত্রে একটি
ছোট ও নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।
যদি মেয়েরা এই বশীকরণ করে তাহলে তার বাম হাতে এটি বাঁধতে হবে আর আপরদিকে যদি
ছেলেরা এই বশীকরণ করে তাহলে তার ডান হাতে বাধতে হবে। আবার যার নামে বশীকরণ
করবেন তার নাম সাদা কাগজে লিখে ২ টি লবঙ্গ তাবিজের মধ্যে রেখে হাতে পড়তে
পারেন এই দুই ভাবেই ফলাফল পাওয়া যায়। আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
লেখকের ইতিকথাঃ আপাং গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কি হয়
আমাদের আজকের লেখা আপাং গাছের শিকড় এর বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কিত
আর্টিকেলেটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার প্রিয়জনজদের সাথে শেয়ার করে দিতে
পারেন। এতে তারাও আপাং গাছের শিকড় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জানতে
সক্ষম হবেন। বিভিন্ন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে
হলে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url