পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়ানোর ১০ টি কৌশল । পড়ালেখায় অমনোযোগী হওয়ার কারণ ।
পড়ালেখায় মনোযোগ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ শুধু লেখাপড়া করলেই হবে না তা থেকে জ্ঞান আহরণ করাটা জরুরি। এক সময় শুধু মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে সবকিছু হত। কিন্তু বর্তমানে মুখস্ত বিদ্যার কোন জায়গা নেই। বর্তমান যুগ কম্পিটিশনের যুগ। আর এই কম্পিটিশনের যুগে যে যত জ্ঞান আহরণ করতে পারবে, যার পড়ালেখায় মনোযোগ যত বেশি সে সব থেকে এগিয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়াবো কিভাবে? পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়ানোর কৌশল কি?
পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়ানোর বেশ কিছু কৌশল রয়েছে। আপনি যদি পড়াশোনায় মনোযোগ আনার জন্য চেষ্টা করেন তাহলে নিচে আলোচিত ১০টি কৌশল অনুসরণ করতে পারেন। আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানাতে চলেছি পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়ানোর ১০টি কৌশল সম্পর্কে।
পড়ালেখায় অমনোযোগী হওয়ার কারণ:
পড়ালেখার অমনোযোগী হওয়ার বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। বর্তমান সময়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইস পড়ালেখায় অমনোযোগী হওয়ার একমাত্র কারণ হতে পারে। বিশেষ করে মোবাইলে আসক্তি এবং ইন্টারনেটের মাত্রা অতিরিক্ত ব্যবহার পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ার মূল কারণ হতে পারে। এছাড়াও মানসিক অস্থিরতা আরেকটি বড় কারণ। অবিভাবকদের বচ্চাদের উপর মেন্টাল প্রেসার বচ্চাদের পড়ালেখায় অমনোযোগী হওয়ার কারণ হতে পারে। বচ্চার সুবিধা অসুবিধা বুঝে বাচ্চার সাথে কথা বলে লেখাপড়ায় আগ্রহী করে তুলতে হবে।
আর এক্ষেত্রে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। কেননা একজন শিক্ষকই পারে তার ছাত্রদের সঠিক ভাবে গড়ে তুলতে। কিছু শিক্ষকের রুক্ষ ব্যবহার বচ্চাদের পড়ালেখায় অমনোযোগী হওয়ার কারণ হতে পারে। প্রত্যেকটা শিক্ষক তার ব্যবহার এবং কথাবার্তা দিয়ে শিক্ষার্থী দের মনে পড়ালেখার প্রতি অনুপ্রেরনা যোগাতে পারেন।
জীবনে প্রত্যেকেরই একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে পড়ালেখা করা উচিত। কিন্তু যখন কোন শিক্ষার্থীর কোন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকে না তখন সে পড়ালেখায় মনোযোগী হতে পারে। খারাপ সঙ্গী বা বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশা হতে পারে আরেকটি কারণ পড়ালেখায় অমনোযোগী হওয়ার। এমন সব বন্ধুদের সাথে মেলামেশা করা যাবে না যারা পড়ালেখায় অমনোযোগী এবং অযথা সময় নষ্ট করে এবং ঘোরাফেরা করে সারাদিন কাটিয়ে দেয়।
সঠিক পুষ্টিকর খাবার না খাওয়ার কারণে শারীরিক দুর্বলতার কারণেও পড়াশোনা অমনোযোগী হতে পারে। প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীদের জরুরী। শারীরিক ব্যায়াম এবং খেলাধুলা পড়ালেখা মনোযোগ পড়াতে সাহায্য করে। যে সকল শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা এবং শারীরিক ব্যায়াম করে না বরং সারাদিন ইন্টারনেট নিয়ে পড়ে থাকে তাদের পড়ালেখায় অমনোযোগী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়া আরেকটি বড় কারণ পড়ালেখায় মনোযোগ না থাকার। কেননা মোবাইল ফোনে রাতের বেশিরভাগ সময় কাটানোর পর দেরিতে ঘুমিয়ে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে শরীর সুস্থ থাকে না এবং। এরকম আরো নানা বিষয় আছে পড়ালেখা অমনোযোগী হওয়ার। আমরা উপরের আলোচনায় বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেছি। এবার আসুন পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়ানোর কিছু কৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়ানোর ১০ টি কৌশল:
শুধু পড়াশোনা নয় প্রত্যেকটা কাজে মনোযোগ থাকা বেশ জরুরী। আর লেখাপড়ার ক্ষেত্রে তো মনোযোগ থাকা অত্যাবশক। কারণ অমনোযোগী হয়ে লেখাপড়া করলে তা কোন কাজে আসে না। কাউকে দেখা যায় অল্প একটু পড়লেই হয়ে যায়। আবার কেউ কেউ অনেক সময় ধরে লেখাপড়া করে তারপরও তার ব্রেনে কাজ করে না।
এমনটা হওয়ার কারণ হচ্ছে পড়ালেখায় মনোযোগ না থাকা। মেধা কম বেশি সকলেরই প্রায় সমান। কিন্তু চেষ্টা, আগ্রহ এবং মনোযোগ এসব কিছু ধরে রাখার ক্ষমতা যাদের রয়েছে তারা লেখাপড়া করে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাতে পারে। পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়ানোর ১০ টি কৌশল নিচে আলোচনা করা হলোঃ
নিজের উপর আস্থা রেখে লক্ষ্য স্থির করা:
প্রত্যেকেরই লেখাপড়ার পেছনে একটি লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য থাকে। এটা কারো অনেক ছোটবেলা থেকে তৈরি হয় আবার কারো একটু বড় হলে তৈরি হয়ে থাকে। যাই হোক না কেন প্রত্যেকটা মানুষ আলাদা আলাদা তাই তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আলাদা। সবার আগে আপনাকে লক্ষ্য স্থির করতে হবে যে আপনি লেখাপড়া করে আসলে কি হতে চান। আর আপনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে বলে দেবে আপনাকে কিভাবে লেখাপড়া করতে হবে।
আর তার জন্য সবথেকে জরুরী নিজের উপর আস্থা রাখা। আপনি যদি নিজের উপর আস্থা না রাখেন তাহলে কোন কিছুই সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে অন্যের কথায় কান দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। যেমন, অন্য কেউ বলল আপনি পারবেন না। আপনার দ্বারা হবে না ইত্যাদি। মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া করে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে গেলে অবশ্যই নিজের ওপর আস্থা রাখা জরুরী।
নির্দিষ্ট স্থানে পড়ালেখা করুন:
পড়ালেখার জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্বাচন করুন। এবং নিয়মিত সেখানেই লেখাপড়া করুন। কেননা এক এক দিন এক এক জায়গায় লেখাপড়া করলে মনোযোগের ঘাটতি হতে পারে। আর যে স্থানে লেখাপড়া করবেন সেই স্থানটি অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং আলো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। কারণ মন ভাল থাকলে পড়ালেখায় মনোযোগ এমনিতেই চলে আসে। তাই নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট স্থান বেছে নিন আপনার লেখাপড়া করার জন্য।সেই স্থানটিকে আপনি নিজের মনের মতো করে সাজাতে পারেন। যেভাবে আপনি পছন্দ করেন। পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়ানোর কৌশল এর মধ্যে এটি একটি অন্যতম কৌশল।
নির্ধারিত সময়ে পড়ালেখা করুন:
প্রত্যেকটা কাজেরই একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে। তাই পড়ালেখার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় থাকাটা জরুরী। প্রত্যেকদিন নির্দিষ্ট সময় লেখাপড়া করলে পড়ালেখার মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।এজন্য প্রতিদিনের রুটিন বানিয়ে নেওয়া জরুরী। সময়সূচী বানিয়ে নিলে প্রতিদিনের অন্যান্য কাজ এবং পড়ালেখার সময় আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। সে নির্দিষ্ট সময় লেখাপড়ার জন্য রাখা হয় ওই সময় আর অন্য কোন কাজ করা উচিত নয়। মনে রাখতে হবে সময় একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। সময়ের কাজ সময়ে না করলে কোনদিনই সফল হওয়া যায় না। তাই পড়ালেখার জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্বাচন করুন এবং পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়ান।
টেবিল চেয়ারে পড়ার অভ্যাস করুন:
পড়ালেখায় মনোযোগ আনার আরেকটি অন্যতম উপায় হচ্ছে টেবিল চেয়ারে বসে লেখাপড়া করা। কেননা শুয়ে বা হেলান দিয়ে বসে লেখাপড়া করলে পড়ালেখায় মনোযোগের ঘাটতি হতে পারে। এবং কিছুক্ষণ পরে ঘুমের ভাব আসতে পারে যা পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ার অন্যতম কারণ। সেজন্য সবসময় চেয়ার টেবিলে বসে লেখাপড়া করার অভ্যাস করা জরুরী।
নিজে শিখে অন্যকে শেখান:
লেখাপড়ায় মনোযোগ বাড়ানোর আরেকটি কৌশল হলো আগে নিজে শিখে পরে অন্যকে শেখানো। এতে করে নিজে নিজে একবার জ্ঞান আহরণ হয়। এরপর অন্যকে শেখানোর মাধ্যমে পুনরায় ব্রেনে সে বিষয়টি ধরে রাখার ক্ষমতা বেড়ে যায়। পড়ালেখা করার সময় একটি কথা মাথায় রাখতে হবে যে, আপনি শুধু সেটা নিজের জন্য নয় বরং সেটা অন্যকে শেখানোর ও যোগ্যতা রাখেন।
আর আপনি যদি একটি বিষয় নিজে শিখে অন্যকে শেখাতে পারেন তাহলে আপনি নিজেই নিজেকে পুরস্কৃত করতে পারবেন। নিজের ওপর একটা আস্থা তৈরি হবে যা আপনার জন্য খুবই জরুরী। যেটা পড়ালেখায় মনোযোগের একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।
সহজ থেকে শুরু করা:
পড়ালেখায় বা অন্য কোন কাজে মনোযোগ ধরে রাখার কৌশল হিসেবে আপনি এই কাজটি করতে পারেন। সেটা হচ্ছে সহজ থেকে শুরু করা। পড়াশোনা যদি সহজ থেকে শুরু করা যায় তাহলে সেখানে মনোযোগ থাকে। আর শুরুতেই যদি কঠিন কোন একটি বিষয় নিয়ে লেখাপড়া শুরু করেন তাহলে মনোযোগ বিঘ্নিত হতে পারে। তাই লেখাপড়ায় মনোযোগ ধরে রাখার জন্য সহজ সহজ বিষয়গুলো আগে আয়ত্ত করুন। তারপরে কঠিন বিষয়াবলি নিয়ে অধ্যায়ন শুরু করুন। এতে মনোযোগ অটুট থাকে। এবং সহজ এবং কঠিন সকল বিষয় নিজের আয়ত্তে আনা সম্ভব হয়।
পড়ালেখার মাঝে ছোট ছোট বিরতি নিন:
বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, দীর্ঘ সময় ধরে লেখাপড়া বা অন্য কোন কাজ করতে গেলে মাঝে মাঝে বিরতি নিতে হয়। একটানা দীর্ঘ সময় পড়ালেখা করা মোটেও ঠিক না এতে মনোযোগে বিঘ্নিত ঘটে। লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিলে মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় দেখা গেছে একটি কাজের প্রতি একটি মানুষ ৪০ মিনিটের বেশি মনোযোগ ধরে রাখতে পারেনা।
তাই ৪০ মিনিট লেখাপড়া করার পর ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য বিরতি নিন। এইভাবে কয়েকবার বিরতি নেওয়ার পরে একটি বড় বিরতি নিন। এই বিরতি গুলোতে কিছু খাওয়া দাওয়া অথবা শারীরিক ব্যায়াম অথবা একটু ঘুমিয়ে নিতে পারেন তাতে ব্রেন শান্ত হয় ও মন ফ্রেশ থাকে । যা আপনার পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম:
বিশেষজ্ঞদের মতে দৈনিক ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরী। ঘুমের ঘাটতি থাকলে ব্রেনের কার্যক্ষমতা কমে যায়। বর্তমান যুগে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের কারণে প্রত্যেকেরই দেরিতে ঘুমানোর অভ্যাস হয়ে গেছে। আর পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হওয়া ছাত্রদের পড়ালেখায় অমনোযোগী হওয়ার একটি অন্যতম কারণ।
ঘুমের পাশাপাশি শারীরিক ব্যায়াম বা খেলাধুলা অত্যন্ত জরুরী। বিশেষ করে ঘুম থেকে উঠে সকালে হালকা একটু শারীরিক ব্যায়াম করে নিলে সারাদিন শরীর চনমনে থাকে। যা পড়ালেখায় মনোযোগ আনতে সাহায্য করে। দৈনিক এক ঘন্টা ব্যায়াম বা খেলাধুলা করলে শরীর সুস্থ থাকবে। আরশরীর সুস্থ থাকলে মাইন্ড ফ্রেশ থাকবে যা আপনার পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করবে।
খাবারের গুরুত্ব:
শিক্ষার্থীদের খাবারের প্রতি বেশ গুরুত্ব দিতে হবে। ভিটামিন মিনারেল এবং পানীয় জাতীয় খাবার বেশি করে দিতে হবে। ব্রেনের খাবার বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের বাদাম, সামুদ্রিক মাছ,শাকসবজি, ফলমূল, দুধ, ডিম ইত্যাদি পরিমাণ মতো এবং নিয়মিত দিতে হবে। একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে শিক্ষার্থীরা যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করে।
কেননা পানি শরীর সতেজ রাখতে সাহায্য করে। শুধু দামি বা ফাস্টফুট খাদ্য দিলেই শরীরে ভিটামিন এর চাহিদা পূরণ হয় না। বরং শরীরের ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণের জন্য সবুজ শাকসবজি, ফলমূল যথেষ্ট। মিষ্টি ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার ব্রেনকে সতেজ ও অসুস্থ রাখে। তাই খাদ্য তালিকায় মিষ্টি ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার রাখার চেষ্টা করবেন।
প্রযুক্তিগত ডিভাইস থেকে দূরে থাকুন:
পড়ালেখার সময় মোবাইল ফোন বা অন্যান্য প্রযুক্তিগত ডিভাইস থেকে দূরে থাকুন। যে নির্দিষ্ট সময় আপনি লেখাপড়র জন্য রেখেছে সে সময়টা শুধু তাতে মনোযোগ দিন। মানুষ একসঙ্গে দুই কাজে কখনোই পুরোপুরি মনোযোগ দিতে পারে না। তাই একটি কাজ করার সময় অন্য কাজ থেকে বিরত থাকুন। আর মোবাইল ফোনে ফেসবুক, ইউটিউব, tiktok এগুলো মানুষকে আসক্ত করে। তাই সাবধান ভুলেও লেখাপড়ার সময় মোবাইল ফোন বা অন্যান্য প্রযুক্তিগত ডিভাইস সাথে রাখা যাবে না।
বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি ছাড়া মানুষ অচল প্রায়। প্রযুক্তি এমন ভাবে মানুষকে আকর্ষিত করে যে, সেটা ছাড়া মানুষ অচল হয়ে যায়। তার জন্য আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে, ফোন বা প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য এক্সট্রা একটি সময় রেখে দিতে হবে। সেই সময়টুকুতে আপনি প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন। এভাবে সময় ভাগ করে নিলে আশা করি পড়ালেখায় মনোযোগ থাকবে। এবং অন্যান্য সকল কাজেও মনোযোগ থাকবে।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়ানোর কৌশল সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছি। উপযুক্ত পরিবেশ, পড়ালেখার জন্য নির্দিষ্ট সময়,পুষ্টিকর খাবার দাবার, অভিভাবকের টেক কেয়ার ইত্যাদি একজন বাচ্চার পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে হবে। বাচ্চার দিকে খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চা সুবিধা অসুবিধা বুঝতে হবে।
লেখক এর শেষকথা:
আর্টিকেল এর মূল বিষয়টি ছিল পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়ানোর ১০ টি কৌশল। কি কি কৌশল অনুসরণ করলে পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়ানো যায় সে সকল কৌশল সম্পর্কে আমরা উপরোক্ত আলোচনায় জানতে পেরেছি। আপনাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এরকম নিত্য নতুন শিক্ষামূলক টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকুন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url