ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের গর্ব। মোহাম্মদ ইউনুসের নোবেল পুরস্কার বিজয়।
ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস অতি সুপরিচিত এই নামটি আমাদের বাংলাদেশের জনসাধারণের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। শুধু বাংলাদেশ না বিশ্ব দরবারে ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের সূখ্যাতি রয়েছে। ক্ষুধা ও দারিদ্র বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার ধারণার যে প্রবর্তন তিনি করেছেন তা বিশ্বের সামনে এক অনন্য মডেল। ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের গর্ব। ডঃ মোঃ ইউনুস শান্তিতে নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশের কৃতি সন্তান। তার এই সামাজিক ব্যবসার মডেল পৃথিবীর ৪০টির ও বেশি দেশ অনুসরণ করছে।এক সময়কার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক -অধ্যাপক -ডক্টর ইউনুস বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে আধুনিক বিশ্বে ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তন করেন।
তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রমাণ করেন ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দারিদ্রার হাত থেকে স্থায়ীভাবে উদ্ধার করা যায়। তিনি এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয় লাভ করেন। ১৯৭৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস ১৪৫টি পুরস্কার অর্জন করেছেন। পৃথিবীর ৪৮ টি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছেন। তাহলে বুঝতে পারছেন ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস করতো বড় মাপের একজন মানুষ।
তাই আমরা নিঃসন্দেহে বলতে পারি ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের গর্ব। কেননা বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের গর্ব, ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসের পরিচয়, ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের শৈশব ও লেখাপড়া,উচ্চশিক্ষা ও প্রাথমিক কর্মজীবন, ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস রাজনৈতিক অঙ্গনে অতীত এবং বর্তমান, ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস এর পুরস্কার অর্জন,ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস নোবেল পুরস্কার বিজয়, ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রন্থ সমূহ ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস এর পরিচয়:
ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস একজন বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি২০০৬ সালে বাংলাদেশ থেকে সর্বপ্রথম শান্তির উপর নোবেল পুরস্কার পান। তিনি একজন সামাজিক উদ্যোক্তা। গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ এবং ক্ষুদ্রবৃত্তি ধারণার প্রবর্তনের জন্য তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হয়েছিলেন। ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রাম জেলায় হাটহাজারী বথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বর্তমান বয়স ৮৪ বছর।
বর্তমানে ২০২৪ সালের ৫ এ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বৈষম বিরোধী ছাত্রদল বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসকে প্রস্তাব পাঠান। ৮ ই আগস্ট ২০২৪ বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এবং বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন।
ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস এর শৈশব ও লেখাপড়া:
ডঃ মোঃ ইউনুস একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নে বথুয়া গ্রামে বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। নয় ভাই বোনের মধ্যে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস তৃতীয়ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস এর বাবার নাম হাজী দুলা মিয়া সওদাগর এবং মায়ের নাম সুফিয়া খাতুন। তিনি তার শৈশব গ্রামের বাড়িতে কাটান।
কিন্তু ১৯৪৪ সালে স্ব-পরিবারে চট্টগ্রাম শহরে চলে আসায় গ্রামের স্কুল ছেড়ে তাকে ভর্তি হতে হয় লামাবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে মেট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তৎকালীন সময় পূর্ব পাকিস্তানের ৩৯ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে তিনি ১৬ তম স্থান অধিকার করেছিলেন।
উচ্চশিক্ষা ও প্রাথমিক কর্মজীবন:
স্কুল জীবন থেকে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস সক্রিয় বয় স্কাউট ছিলেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি ভারত, পাকিস্তান ও কানাডা বয় স্কাউটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তিরত অবস্থায় সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। চট্টগ্রাম কলেজে তিনি নাটকে ভালো করার জন্য পুরস্কার জিতেছিলেন। ১৯৫৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন। এবং ১৯৬০ সালে বিএ পাশ করেন। ১৯৬১ সালে তিনি এমএ পাশ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি এইচ ডি করেন।
প্রথম কর্মজীবনে তিনি ব্যুরো অফ ইকোনমিক্স এ গবেষণা সহকারী হিসেবেকর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম কলেজের প্রভাষক হিসেবে ১৯৬২ সালে যোগদান করেন।১৯৬৫ সালে ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি লাভ করেন। তিনি কিছুদিন মিডল টেনিস টেস্ট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপক এবং বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস রাজনীতিক অঙ্গনে অতীত এবং বর্তমান:
১৯৯৬ সালের সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমান এর নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিনি পালন করেছিলেন। ২০০৬ সালে নোবেল পুরস্কার বিজয়ের পর ২০০৭ সালে তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে পা রাখতে চেয়েছিলেন। 'নাগরিক শক্তি' নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চেয়েছিলেন।
যার উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক সদিচ্ছা, সঠিক নেতৃত্ব এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।কিন্তু পরে তিনি এই রাজনীতির পরিকল্পনা পরিত্যাগ করেন। বর্তমানে ২০২৪ সালের কোটা আন্দোলন কে কেন্দ্র করে অসহযোগ আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয় । এই গন আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসেবে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসকে প্রস্তাব পাঠান।
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৮ ই আগস্ট ২০২৪ ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকাল সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।
ডঃ মোঃ ইউনুসের পুরস্কার অর্জন:
ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছেন । ১৯৭৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি প্রায় ১৪৫ টি পুরস্কার অর্জন করেছেন । এদের মধ্যে সেরা ২০ টি পুরস্কার সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
- প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড ১৯৭৮।
- রামোন ম্যেগসেসে পুরস্কার ফিলিপাইন ১৯৮৪।
- স্বাধীনতা পুরস্কার ১৯৮৭ সাল বাংলাদেশ।
- বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার ১৯৯৪ যুক্তরাষ্ট্র
- ঢাকা মেট্রোপলিটন রোটারারি ক্লাব ফাউন্ডেশন পুরস্কার বাংলাদেশ ১৯৯৫।
- (ম্যান ফর পিস অ্যাওয়ার্ড) শান্তি মানব পুরস্কার ইতালি।১৯৯৭।
- হেল্প ফর সেলফ হেল্প পুরস্কার, নরওয়ে ১৯৯৭।
- গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ইন্দিরা গান্ধীর শান্তি পুরস্কার ১৯৯৮।
- সিডনি শান্তি পুরস্কার ১৯৯৮ অস্ট্রেলিয়া।
- মহাত্মা গান্ধী পুরস্কার যুক্তরাষ্ট্র ২০০২ সাল।
- বিশ্ব টেকনোলজি নেটওয়ার্ক পুরস্কার, যুক্তরাজ্য,২০০৩।
- লিডারশীপ ইন সোশ্যাল অন্টাপ্রিনেয়ারঅ্যাওয়ার্ড , যুক্তরাষ্ট্র ২০০৪।
- ফিলাডেলফিয়ার হোয়ার্টন অব দ্য ইউনিভার্সিটি অব পেন্সিল্ ভেনিয়া তাকে ২০০৪ সালে গত "২৫ বছরের সেরা ২৫ জন প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন" হিসেবে নির্বাচিত করেন।
- বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি গোল্ড মেডেল ২০০৫, বাংলাদেশ।
- অর্থনৈতিক কাজের জন্য ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার।
- টাইম ম্যাগাজিন ২০০৬ সালে শীর্ষ ১২ জন ব্যবসায়ের মধ্যে তাকে স্থান দেন। "এশিয়ার ৬০ বছরের নায়ক"দের মধ্যে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস কে অন্তর্ভুক্ত করেন।
- ২০০৮ সালে যুক্তরাজ্যের 'প্রসপেক্ট ম্যাগাজিন' এবং যুক্তরাষ্ট্রের 'ফরেন পলিসি' কর্তৃক পরিচালিত একটি উন্মুক্ত অনলাইন জরিপে ১০০জন পাবলিক ইন্টেলেকচুয়ালের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দেওয়া হয়।
- ২০০৯ সালে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস ইনফরমাল ইকোনমিক ফোরাম ইকোনমিক ক্লাবের দেওয়া সর্বোচ্চ পুরস্কার বিয়াটেক অ্যাওয়াড পান।
- অলিম্পিক লরেল পুরস্কার (২০২১) ক্রীড়া অঙ্গনে তার বিস্তৃত কাজের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
- ইউনাইটেড নেশনস ফাউন্ডেশনের চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল চেঞ্জ পুরস্কার (২০২১) ৷
ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের গর্ব:
উপরে আলোচনায় ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের বিভিন্ন পুরস্কার সম্পর্কে আমরা জানলাম। এবার আসি ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের গর্ব, কেন এ কথা বলা হয়। আমরা সবাই জানি বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ। এই দেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি। বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে ডঃ মুহাম্মদ গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যে ক্ষুদ্রঋণ ব্যবসার ধারণার প্রবর্তন করেছিলেন। তার এই অবদান বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।তার এই ব্যবসার ধারণা বিশ্বে ৪০টিরও বেশি দেশ অনুসরণ করেছে।
এছাড়া তিনি তার প্রতিভা কে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের নানান দেশ থেকে নানান রকম পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায়১৪৫ টি পুরস্কার প্রাপ্ত হয়েছেন। বিশ্বের ৮০ টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ডঃ মোঃ ইউনূসের চিন্তা, কাজ, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ও তার জীবনাদর্শন নিয়ে গবেষণা হয়েছে। ২০০৬ সালে তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক এবং তিনি যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে সুপরিচিত করেছেন।
এছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে সংযুক্ত করেছেন। যার ফলস্বরূপ তিনি সারা বিশ্ব থেকে নানা পুরস্কার ও সম্মাননা প্রাপ্ত হয়েছেন। তার এই সামাজিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি তিনি একজন বিখ্যাত লেখক ও বটে। তার বিভিন্ন বই এবং গ্রন্থ সমূহে তিনি দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন প্রতিচ্ছবি এবং দারিদ্রতা দূরীকরণে বিভিন্ন বিষয়য়াবলি লিখে থাকেন। তার লেখা গ্রন্থগুলো বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
তিনি তার কর্মজীবন দিয়ে প্রত্যেকটা মানুষকে উদ্যোক্তা হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগান। বিশ্ব দরবারে তিনি তার এবং বাংলাদেশের একটি পরিচয় গড়ে তুলেছেন। এ সকল বিষয় আলোকপাত করে আমরা বলতে পারি ডঃ ইউনুস বাংলাদেশের গর্ব।
মুহাম্মদ ইউনূসের নোবেল পুরস্কার বিজয়:
ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের গর্ব এ সম্পর্কে আমরা উপরের আলোচনায় জানলাম। এবার ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসের নোবেল পুরস্কার বিজয় সম্পর্কে জানব। ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস একজন সামাজিক উদ্যোক্তা এবং সমাজসেবক। গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবৃত্ত ধারণার প্রেরণার জন্য ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করে। তিনি প্রথম বাংলাদেশী হয়ে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে ক্ষুদ্র ঋণ ধারণার প্রবর্তন করেন এবং গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি প্রমাণ করেন ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্থায়ীভাবে দারিদ্র্যমুক্ত করা যায়। ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস এবং গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস এর গ্রন্থ সমূহ:
ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস শুধু নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নন। তিনি একজন বিখ্যাত লেখক ও ছিলেন। তার লেখা বিভিন্ন গ্রন্থ বেশ জনপ্রিয়। তিনি তার লেখা বই গুলোতে তার জীবনী, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা এবং সাফল্য, দারিদ্র্য বিমোচনে করণীয় বিষয়বলি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। নিচে তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের নাম দেওয়া হলঃ
- Three farmers of zobra
- Banker to the poor
- Creating a word without property
- Planning in Bangladesh
- Gramin Bank, as I see it,
- Building social business
- A world of three zeroes
- Jorimon and others
লেখকের মন্তব্য:
ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস তার কৃতকর্মের জন্য সারা দেশবাসি ও বিশ্ববাসীর কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। আজ আমরা এই ব্লগের মাধ্যমে ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের গর্ব, ইউনুস এর পরিচয়, পুরস্কার ও সম্মাননা, ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস এর পুরস্কার বিজয়, ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের গ্রন্থ সমূহ ইত্যাদি নানা বিষয় জানানোর চেষ্টা করলাম।
আর্টিকেলটি পড়ে যদি ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের গর্ব সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা পেয়ে থাকেন এবং উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।নিত্য নতুন তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন এবং আমাদের পাশে থাকুন।ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url