ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ঔষধ খেতে হয় - প্লাটিলেট কত হলে ডেঙ্গু হয়

শিশুদের বুকে কফ জমলে করণীয় এবং কফ জমলে কি ঔষধ খাওয়াবেনডেঙ্গু জ্বর হলে কি ঔষধ খেতে হয় তা অনেকে জানতে চান গুগলের কাছে। ডেঙ্গু একটি সাধারণ ভেক্টর বাহিত ভাইরাসজনিত রোগ যা প্রধানত উপক্রান্তীয় ও ক্রান্তীয় অঞ্চলে দেখা যায়। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ল্যাটিন আমেরিকা এবং আফ্রিকা অঞ্চলে এর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন যা কখনো কখনো মহামারির রূপ নেয়। যদিও সঠিক চিকিৎসা ও সচেতনতার মাধ্যমে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব তবু ডেঙ্গু প্রতিরোধে সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ডেঙ্গু রোগ হলে কি ঔষধ খেতে হয়
আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে  ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে,প্লাটিলেট  কত হলে ডেঙ্গু হয়, ডেঙ্গু হলে কি কি করতে হয় এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ঔষধ খেতে হয় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব এই আর্টিকেলটিতে তাই আপনাকে ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এবং এর লক্ষণ সম্পর্কে জানার জন্য পুরো আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

ভূমিকা

ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাসঘটিত রোগ এটি সাধারণত গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে বেশি দেখা যায় বিশেষ করে বর্ষাকালে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ল্যাটিন আমেরিকা এবং আফ্রিকার মতো অঞ্চলে এই রোগ মহামারির আকার ধারণ করে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত জ্বর, মাথাব্যথা এবং শরীরে ব্যথার মতো বিভিন্ন লক্ষণ অনুভব করে।

তেজ সূচিপত্রঃ- আবার যাদের ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার বিষয়ে জানার জন্য অধিক আগ্রহ নিয়ে আছেন তারা চাইলে এই পুরো পোস্ট জুড়ে আমাদের সাথে থেকে এই কার্যকরী টিপস সম্পর্কে জেনে নিন। তাহলে আসুন আর অতিরিক্ত কথা না বাড়িয়ে আমরা মূল আলোচনায় ফিরে যায়। আমরা প্রথমে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিব।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ

ডেঙ্গু জ্বর একটি মশাবাহিত ভাইরাসঘটিত রোগ যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। বিশেষ করে উপক্রান্তীয় এবং ক্রান্তীয় অঞ্চলে এই রোগের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। এই ভাইরাসটি মানব শরীরে প্রবেশ করার পর সাধারণত ৪ থেকে ১০ দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা দেয়। 

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দেয় যা আমাদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য সতর্ক হতে বাধ্য করে। ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যাতে আমরা প্রাথমিক অবস্থাতেই সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারি।

আরো পড়ুনঃ- রাতে এলাচ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হল উচ্চ জ্বর। রোগী সাধারণত ১০৪°F (৪০°C) পর্যন্ত জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে। এই জ্বরের সাথে প্রচণ্ড মাথাব্যথা বিশেষ করে কপালের পেছনে ব্যথা অনুভূত হয়। মাংসপেশি এবং হাড়ের সন্ধিতে তীব্র যন্ত্রণা দেখা দেয় যা ডেঙ্গুর একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য। 

এই ব্যথা এতটাই তীব্র হতে পারে যে একে ব্রেকবোন ফিভার নামেও ডাকা হয়। এ ছাড়া অনেক সময় বমিভাব বমি এবং মাথা ঘোরা অনুভূত হয়। ফুসকুড়ি এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়ার রঙের পরিবর্তনও লক্ষ করা যায়। কিছু ক্ষেত্রে ঘাড় এবং মুখের গ্রন্থি ফুলে যেতে পারে।

যেসব রোগী গুরুতর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন তাদের ক্ষেত্রে উপসর্গগুলো আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে। প্রচণ্ড পেট ব্যথা ক্রমাগত বমি এবং মাড়ি বা নাক থেকে রক্তপাত হওয়া গুরুতর ডেঙ্গুর লক্ষণ। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্তক্ষরণ শুরু হতে পারে যা রোগীর জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। 

এছাড়া প্রস্রাবে বা মলের সাথে রক্ত আসা দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া এবং অসুস্থ বোধ করা গুরুতর ডেঙ্গুর প্রাথমিক সংকেত হতে পারে। এই অবস্থায় রোগীকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অন্যথায় রোগীর প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে।

ডেঙ্গুর সংক্রমণে প্লেটলেট সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পায় যা রোগীকে গুরুতর অবস্থার দিকে ঠেলে দেয়। স্বাভাবিকভাবে প্লেটলেটের সংখ্যা ১.৫ লক্ষ থেকে ৪.৫ লক্ষের মধ্যে থাকে। তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে এই সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পেয়ে ২০,০০০ এর নিচে নামতে পারে যার ফলে রক্তপাতের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। রক্তনালীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ হতে পারে যা শরীরে ক্ষতের মতো দেখা দেয়।

ডেঙ্গুর যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা শুরু করলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। এছাড়া বিশ্রাম প্রচুর পরিমাণে তরল গ্রহণ এবং পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। অতিরিক্ত জ্বর বা ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ গ্রহণ করা উচিত নয়।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে চিহ্নিত করা এবং সঠিক চিকিৎসা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা হয় তাহলে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানো সম্ভব। ডেঙ্গু রোগের প্রাথমিক এবং গুরুতর লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকলে আমরা নিজেদের এবং আমাদের প্রিয়জনদের এই মশাবাহিত রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারব।

ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে

এবার এই অংশে আলোচনা করব যে, ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ঔষধ খেতে হয়। ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত মশাবাহিত এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার পর ৪ থেকে ১০ দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে যা চিকিৎসা সঠিকভাবে না করলে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত ২ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তবে রোগীর শারীরিক অবস্থা এবং ডেঙ্গুর প্রকোপের উপর নির্ভর করে এই সময়সীমা কম বা বেশি হতে পারে।

প্রথম পর্যায়ের ডেঙ্গু জ্বরে রোগী সাধারণত ২ থেকে ৫ দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। এই সময় জ্বর মাথাব্যথা শরীরের ব্যথা এবং ফুসকুড়ির মতো লক্ষণ দেখা দেয়। রোগীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সময় বাড়িতে থেকেই বিশ্রাম করতে পারেন। তবে সঠিক পরিমাণে বিশ্রাম এবং প্রচুর পরিমাণে তরল গ্রহণ করা প্রয়োজন।

ডেঙ্গু জ্বরের গুরুতর আকার যা ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বা ডেঙ্গু শক সিনড্রোম নামে পরিচিত সাধারণত ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই সময় রোগীর প্লেটলেট সংখ্যা অনেকটাই কমে যেতে পারে এবং অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়। 

এ অবস্থায় রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করানো উচিত।ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত ২ থেকে ৭ দিনের মধ্যে চলে যায় তবে গুরুতর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে সময়সীমা বাড়তে পারে। সঠিক চিকিৎসা এবং পরিপূর্ণ বিশ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ঔষধ  খেতে হয়

ডেঙ্গুর নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষেধক নেই তাই এর চিকিৎসা মূলত লক্ষণ নির্ভর। রোগীর শরীরে সঠিক যত্ন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রদান করে ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ডেঙ্গু হলে অনেকেই জানতে চান ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ওষুধ খেতে হয়, এই রোগ নিরাময় করা কিভাবে সম্ভব। সঠিক ওষুধ গ্রহণ এবং চিকিৎসা নিয়ম মেনে চললে ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

ডেঙ্গু রোগ হলে কি ঔষধ খেতে হয়

ডেঙ্গু হলে সাধারণত অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দেওয়া হয় না কারণ এটি একটি ভাইরাসঘটিত রোগ। এর চিকিৎসা মূলত লক্ষণ নিরাময়ের ওপর ভিত্তি করে চলে। ডেঙ্গুর প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে জ্বর মাথাব্যথা পেশী এবং হাড়ে ব্যথা থাকে। এই লক্ষণগুলোর নিরাময়ের জন্য সাধারণত প্যারাসিটামল acetaminophen জাতীয় ওষুধ ব্যবহৃত হয়। 

প্যারাসিটামল জ্বর কমাতে এবং শরীরের ব্যথা দূর করতে কার্যকর। তবে এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইবুপ্রোফেন বা অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ এড়িয়ে চলা উচিত। এই ওষুধ গুলো রক্তপাতের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে বিশেষ করে যখন রোগীর প্লেটলেট সংখ্যা কমে যায়।

ডেঙ্গু জ্বরে রোগীকে প্যারাসিটামল acetaminophen সেবন করতে বলা হয়। এটি জ্বর এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তবে প্যারাসিটামল ব্যবহারের সময় এর ডোজ অবশ্যই নিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে ৫০০ মিগ্রা করে প্রতি ৬ ঘণ্টা পরপর খাওয়া যেতে পারে তবে দিনে ৪ গ্রাম বা ৮টি ৫০০ মিগ্রা ট্যাবলেটের বেশি খাওয়া উচিত নয়। শিশুদের জন্য ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী ডোজ নির্ধারণ করতে হবে।

ডেঙ্গু জ্বরে প্লেটলেট সংখ্যা হঠাৎ করে অনেক কমে যেতে পারে। সাধারণত ৫০,০০০ এর নিচে প্লেটলেট সংখ্যা নেমে গেলে তা বিপজ্জনক হতে পারে এবং রক্তপাতের সম্ভাবনা দেখা দেয়। প্লেটলেট সংখ্যা বাড়াতে তাজা ফলের রস শাক-সবজি এবং পেঁপে পাতার রস খাওয়া যেতে পারে। তাজা ফলের রস প্লেটলেট সংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে তবে কোনো বিশেষ ওষুধের প্রয়োজন হলে ডাক্তারই তা নির্ধারণ করবেন।

ডেঙ্গুর গুরুতর আকারে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বা ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অপরিহার্য। এই অবস্থায় রোগীর প্লেটলেটের সংখ্যা দ্রুত কমে যেতে পারে এবং শরীরের ভেতরে ও বাইরে রক্তপাতের ঝুঁকি থাকে। 

গুরুতর ক্ষেত্রে রোগীকে শিরায় IV তরল বা স্যালাইন দেওয়া হয় যাতে শরীরে প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইট এবং জলীয় ভারসাম্য বজায় থাকে। এই সময় রোগীর ওষুধের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে তরল গ্রহণ করা প্রয়োজন।

ডেঙ্গু হলে রোগীকে প্রচুর পরিমাণে তরল এবং পুষ্টিকর খাবার দেওয়া উচিত। এতে শরীরে দ্রুত পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন লেবু, কমলা এবং অন্যান্য সাইট্রাস ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি আয়রন ও জিঙ্কের পরিমাণ বেশি এমন খাবার গ্রহণ করা উচিত। ডাক্তারের পরামর্শে ভিটামিন সি বা ভিটামিন ই ট্যাবলেটও সেবন করা যেতে পারে।

বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে পেঁপে পাতার রস ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর প্লেটলেট সংখ্যা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। যদিও এর বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পুরোপুরি নিশ্চিত নয় তবুও এটি অনেক সময় ঘরোয়া প্রতিকারের অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে পেঁপে পাতার রস খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ডেঙ্গু রোগের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ না থাকলেও লক্ষণ ভিত্তিক ওষুধ সেবনের মাধ্যমে এই রোগের প্রভাব কমানো সম্ভব। প্যারাসিটামল হলো ডেঙ্গু রোগীর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ। প্লেটলেট সংখ্যা কমে গেলে তাজা ফলের রস এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। 

ডেঙ্গুর গুরুতর ক্ষেত্রে অবশ্যই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে এবং রোগীর প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। সঠিক ওষুধ সেবন এবং নিয়ম মেনে চললে ডেঙ্গু জ্বর দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।আশা করি ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ঔষধ খেতে হয় এবং এই রোগ নিরাময় কিভাবে করতে হয় তা সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।

প্লাটিলেট কত হলে ডেঙ্গু হয়

ডেঙ্গু রোগীদের জন্য প্লাটিলেট সংখ্যা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্লাটিলেট হলো রক্তের একটি ছোট কণিকা যা রক্ত জমাট বাঁধাতে সাহায্য করে এবং রক্তপাত নিয়ন্ত্রণ করে। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে প্লাটিলেট সংখ্যা হ্রাস পায় এবং এর ফলে রক্তপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্লাটিলেট সংখ্যা কত হলে ডেঙ্গু হয় বা রোগীর অবস্থা কতটা গুরুতর হতে পারে তা বোঝা খুবই জরুরি।

আরো পড়ুনঃ- দারুচিনি খাওয়ার নিয়ম এবং দারুচিনি ও মধুর উপকারিতা

প্লাটিলেট কত হলে ডেঙ্গু হয়, ডেঙ্গু ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার পর এটি রক্তনালীর ওপর প্রভাব ফেলে এবং প্লাটিলেট সংখ্যা দ্রুত কমিয়ে দেয়। সাধারণত একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে প্রতি মাইক্রোলিটার রক্তে ১৫০,০০০ থেকে ৪৫০,০০০ পর্যন্ত প্লাটিলেট থাকে। 

কিন্তু ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে এই সংখ্যা অনেক কমে যেতে পারে। ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে অনেক সময় প্লাটিলেট সংখ্যা ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ এর নিচে নেমে যায় যা একটি বিপদ সংকেত। ডেঙ্গুর প্রাথমিক পর্যায়ে প্লাটিলেটের সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে তবে তা সবসময় গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছায় না। যখন প্লাটিলেট সংখ্যা ১ লাখের নিচে নেমে আসে তখন রোগীর দেহে নানা ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

এর মধ্যে রয়েছে শরীরে ফুসকুড়ি নাক বা মাড়ি থেকে রক্তপাত এবং বিভিন্ন অঙ্গে রক্তক্ষরণ। প্লাটিলেটের সংখ্যা ২০,০০০ এর নিচে নামলে তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায় এবং রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হয়। 

প্লাটিলেট সংখ্যা ৫০,০০০ এর নিচে নেমে গেলে তা গুরুতর ডেঙ্গুর লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। তবে শুধু প্লাটিলেট সংখ্যা কমে যাওয়াই নয় শরীরে অন্যান্য জটিল লক্ষণ যেমন তীব্র পেট ব্যথা রক্তক্ষরণ বমি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তা আরও বিপজ্জনক হতে পারে। এই অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন।

প্লাটিলেট কত হলে ডেঙ্গু হয় মূলত ডেঙ্গু হলে প্লাটিলেট সংখ্যা দ্রুত কমতে পারে যা রোগীর স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। প্লাটিলেট সংখ্যা ৫০,০০০ এর নিচে নেমে গেলে তা ডেঙ্গুর গুরুতর লক্ষণ বলে গণ্য হয় এবং এই অবস্থায় রোগীকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে রাখা প্রয়োজন। ডেঙ্গু রোগের জন্য কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ নেই তবে লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা এবং নিয়মিত প্লাটিলেট সংখ্যা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে রোগীর জীবন রক্ষা করা সম্ভব।

ডেঙ্গু পরীক্ষার নাম কি

ডেঙ্গু একটি মশা বাহিত ভাইরাসজনিত রোগ যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই রোগ দ্রুত সনাক্ত করা অত্যন্ত জরুরি কারণ এটি সময়মতো শনাক্ত না হলে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। ডেঙ্গু রোগের সঠিক নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা করা হয়। এখানে ডেঙ্গু পরীক্ষার কয়েকটি নাম এবং সেগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো।

  • NS1 অ্যান্টিজেন পরীক্ষাঃ- NS1 অ্যান্টিজেন পরীক্ষা ডেঙ্গু সনাক্ত করার অন্যতম প্রধান পরীক্ষা। ডেঙ্গু ভাইরাস শরীরে প্রবেশের প্রথম দিকে বিশেষ করে ১ থেকে ৫ দিনের মধ্যে এই পরীক্ষা করা হয়। এটি ডেঙ্গু ভাইরাসের একটি প্রোটিন শনাক্ত করে যা ভাইরাস সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে রক্তে উপস্থিত থাকে। রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করার ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা খুবই কার্যকর।
  • IgM অ্যান্টিবডি পরীক্ষাঃ- ডেঙ্গু ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে শুরু করে সংক্রমণের ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে। IgM অ্যান্টিবডি পরীক্ষা মূলত সংক্রমণের পরবর্তী পর্যায়ে করা হয় এবং এটি ডেঙ্গু ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের ইমিউন প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করে। এই পরীক্ষা সংক্রমণের ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে করা হলে সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
  • IgG অ্যান্টিবডি পরীক্ষাঃ- IgG অ্যান্টিবডি পরীক্ষা প্রাথমিক ডেঙ্গু সংক্রমণের পর শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি শনাক্ত করে। এই অ্যান্টিবডি দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে থেকে যায় এবং দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু সংক্রমণ হলে এটি দ্রুত সক্রিয় হয়। IgG অ্যান্টিবডি পরীক্ষা প্রায় ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে কার্যকরভাবে ডেঙ্গু শনাক্ত করতে পারে।
  • PCR Polymerase Chain Reaction পরীক্ষাঃ- PCR পরীক্ষা হল একটি উচ্চ-সংবেদনশীল পরীক্ষা, যা ডেঙ্গু ভাইরাসের জেনেটিক উপাদান শনাক্ত করে। এটি ডেঙ্গু সংক্রমণের প্রথম ৫ দিনেই ভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত করতে পারে এবং দ্রুত ফলাফল প্রদান করে। তবে এই পরীক্ষা তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল এবং এটি সাধারণত অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরিতে করা হয়।
  • প্লাটিলেট কাউন্ট পরীক্ষাঃ- ডেঙ্গু সংক্রমণে শরীরের প্লাটিলেট সংখ্যা কমে যায়। প্লাটিলেট কাউন্ট পরীক্ষা করে বোঝা যায় ডেঙ্গুর প্রভাব কতটা গুরুতর। সাধারণত প্লাটিলেট সংখ্যা ১ লাখের নিচে নেমে গেলে ডেঙ্গু গুরুতর আকার নিতে পারে।

ডেঙ্গু নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা প্রয়োজন হতে পারে। রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব যা চিকিৎসার গতি ত্বরান্বিত করে এবং রোগীর সুস্থতার সম্ভাবনা বাড়ায়। আশা করি ডেঙ্গু রোগীদের কি কি পরীক্ষার মাধ্যমে তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য বুঝতে পেরেছেন

ডেঙ্গু হলে কি কি করতে হয়

ডেঙ্গু জ্বর হলে দ্রুত এবং সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। ডেঙ্গু ভাইরাস শরীরের ওপর বিভিন্ন মাত্রার প্রভাব ফেলে তাই এর চিকিৎসার জন্য সচেতনতা এবং সঠিক পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ। ডেঙ্গু হলে কিছু নির্দিষ্ট পদক্ষেপ মেনে চললে সহজেই সুস্থ হওয়া সম্ভব।

  • ডাক্তারের পরামর্শ নিনঃ- ডেঙ্গু হলে প্রথমেই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে। ডেঙ্গুর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে উচ্চ মাত্রার জ্বর মাথাব্যথা গাঁটে গাঁটে ব্যথা এবং ত্বকে ফুসকুড়ি। এসব লক্ষণ দেখা দিলে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত করতে হবে যে এটি ডেঙ্গু কিনা। ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু করা উচিত কারণ চিকিৎসকের সঠিক পরামর্শ ডেঙ্গুর জটিলতা এড়াতে সাহায্য করবে।
  • জ্বর কমানোর ব্যবস্থা নিনঃ- ডেঙ্গু হলে সাধারণত জ্বর থাকে এবং এই জ্বরের তাপমাত্রা অনেক সময় ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল সেবন করা উচিত কারণ এটি জ্বর ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তবে অ্যাসপিরিন বা আইবুপ্রোফেন জাতীয় ওষুধ এড়িয়ে চলতে হবে কারণ এগুলি রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করুনঃ- ডেঙ্গুতে শরীরের পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে তাই প্রচুর পরিমাণে পানি এবং তরল খাবার গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডাবের পানি ইলেক্ট্রোলাইট সলিউশন এবং স্যুপের মতো তরল পানীয় রোগীর শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। ডিহাইড্রেশন রোধ করতে প্রচুর পানি পান করতে হবে যা ডেঙ্গুর জ্বর থেকে দ্রুত আরোগ্য পেতে সহায়ক।
  • প্লেটলেট কাউন্ট পরীক্ষা করুনঃ- ডেঙ্গুর সংক্রমণে শরীরে প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যেতে পারে। এটি নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। সাধারণত ডেঙ্গুতে প্লেটলেট সংখ্যা ১ লাখের নিচে চলে যেতে পারে যা রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। প্লেটলেটের মাত্রা খুব বেশি কমে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে কারণ এই অবস্থায় রক্তপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
  • বিশ্রাম নিনঃ- ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নেন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার সেবন করে তাহলে খুব দ্রুত সময়ে এই রোগ থেকে মুক্তি পাবেন
  • গুরুতর লক্ষণ দেখা দিলে হাসপাতালে যানঃ- ডেঙ্গু হলে সাধারণত বাড়িতেই চিকিৎসা সম্ভব তবে যদি রোগীর অবস্থার অবনতি হয় যেমন পেট ব্যথা রক্তক্ষরণ শ্বাসকষ্ট বা শক দেখা দেয় তবে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। দ্রুত চিকিৎসা শুরু না করলে রোগীর অবস্থা গুরুতর হতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বর হলে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তারের পরামর্শ বিশ্রাম পর্যাপ্ত পানি পান এবং প্লেটলেটের সংখ্যা নিয়মিত পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া উচিত। সতর্কতা এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে ডেঙ্গু থেকে দ্রুত সুস্থ হওয়া সম্ভব।

ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার

ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানার জন্য এই নিবন্ধনটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।ডেঙ্গু রোগ একটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ যা প্রধানত এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এডিস মশা সাধারণত পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে এবং দিনের বেলা বিশেষ করে ভোর ও সন্ধ্যায় বেশি সক্রিয় থাকে।

ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার

ডেঙ্গু ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে রোগীর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দেয় যেমন উচ্চ মাত্রার জ্বর মাথাব্যথা চোখের পেছনে ব্যথা গাঁটে গাঁটে ব্যথা এবং ফুসকুড়ি। এই রোগ নিরাময়যোগ্য হলেও অবহেলা করলে মারাত্মক হতে পারে এমনকি রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

  • ডেঙ্গু রোগের কারণঃ- ডেঙ্গুর প্রধান কারণ হল এডিস মশার কামড়। এডিস মশা ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করে এবং এটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করায়। মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাসটি প্রথমে রক্তে প্রবেশ করে এবং পরে বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ করতে শুরু করে। মশা সাধারণত জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে তাই বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার পানি জমে থাকলে মশার বিস্তার বাড়ে। এছাড়া অপরিচ্ছন্ন পরিবেশও ডেঙ্গুর অন্যতম কারণ যেখানে মশারা সহজেই বংশবিস্তার করতে পারে।

  • ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধের উপায়ঃ- ডেঙ্গু রোগ হলে কি ঔষধ খেতে হয় তা আমরা জেনেছি এবার ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য প্রথম ও প্রধান করণীয় হল মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করা। এডিস মশার বিস্তার রোধ করতে কিছু পদক্ষেপ মেনে চলা দরকার
  • মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করাঃ- বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানি ফেলে দেওয়া উচিত যেমন ফুলের টব বালতি কিংবা পরিত্যক্ত টায়ারে জমা থাকা পানি। এডিস মশা সাধারণত পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে তাই পানি জমতে না দেওয়া সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। সপ্তাহে অন্তত একদিন পানি জমতে পারে এমন স্থানগুলো পরিষ্কার করা জরুরি।
  • মশারি ব্যবহার করাঃ- রাতে শোয়ার সময় মশারি ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। এডিস মশা ভোর ও সন্ধ্যায় বেশি সক্রিয় থাকে তবে রাতে মশার কামড় থেকেও রক্ষা পেতে মশারি ব্যবহার করা উচিত।
  • মশারোধক কেমিক্যাল ব্যবহার করাঃ- বাড়ির আশেপাশে মশা মারার কেমিক্যাল স্প্রে করা বা মশারোধক ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। পারমেথ্রিন নামক কেমিক্যাল মশা প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী। এছাড়া মশা তাড়ানোর জন্য ইলেকট্রিক ব্যাট এবং কয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • শরীর ঢাকা পোশাক পরাঃ-  মশার কামড় থেকে বাঁচতে লম্বা হাতার শার্ট এবং প্যান্ট পরা উচিত। বিশেষ করে যখন বাইরে বের হতে হয় তখন হাত-পা পুরোপুরি ঢেকে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
  • জনসচেতনতা বৃদ্ধি করাঃ- ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মশক নিধন অভিযান চালানো হয়। তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে প্রতিটি নাগরিকের সচেতন হওয়া এবং মশা নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

ডেঙ্গু রোগ একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা তবে সচেতনতার মাধ্যমে এর প্রতিকার সম্ভব। মশা নিয়ন্ত্রণ ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে মশার কামড় এড়ানো মশার বিস্তার রোধ করা এবং প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।

লেখকের শেষ মন্তব্য

ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। সামান্য সতর্কতা এবং সচেতনতার মাধ্যমে এই রোগের প্রকোপ থেকে আমরা নিজেদের এবং আমাদের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে পারি। ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা মশা নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এই রোগ প্রতিরোধের অন্যতম মূল চাবিকাঠি। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে সকলে সচেতন হয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করলেই আমরা এই রোগের প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে পারি।

আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি প্লাটিলেট কত হলে ডেঙ্গু হয়  এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ঔষধ খেতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। আপনি যদি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং নিত্য নতুন তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য "ধন্যবাদ"।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url