ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো হবে ২০২৪ সালে তা জানুন
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো ২০২৪ সালে এবং কোন কাজের জন্য কোন ল্যাপটপ ভাল হবে তা জানেনে না বলেই এই আর্টিকেলটিতে ক্লিক করেছে। আমি রাবেয়া আছি আপনাদের সাথে, আমি আপনাদের জানাবো ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো ২০২৪ সালে এবং কোন কাজের জন্য কোন ল্যাপটপ ভাল হবে। এছাড়া কত দামের মধ্যে ল্যাপটপ কেনা উচিত এবং কি কি ফিচার সেই ল্যাপটপ বা পিসিতে থাকা উচিত।
এছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ল্যাপটপ কোনটি ভালো হবে এবং গ্রাফিক্সের জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ভূমিকা: ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো ২০২৪ - ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন পিসি ভালো
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় অনেকেই আসতে চাই। সেক্ষেত্রে তাদের প্রথম যে জিনিসটির প্রয়োজন হয় তাহলো একটি ভালোমানের পিসি বা ল্যাপটপ। যা অনেকেই বুঝতেই পারেন না, তাদের জন্য কোন ল্যাপটপ বা পিসি ভালো হবে। একটি ভালো মানের ল্যাপটপ বা পিসি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য।
ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিংয়ের জন্য আলাদা আলাদা ফিচারের ল্যাপটপ বা পিসি প্রয়োজন হয়ে থাকে। যার মধ্যে অন্যতম হলো- একটি ভালো গতি সম্পূর্ন
প্রসেসর, স্টোরেজ অনেক বেশি হলে ভালো হয়, ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ সহ র্যাম অনেক বেশি হতে হয়। চলুন আরো বিস্তারিত জানি।
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো ২০২৪ - ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো ২০২৪ সালে তা আমারা অনেকেই জানিনা। ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ভালো মানের একটি ল্যাপটপ বা পিসি খুবই গুরুত্বপূর্ন। তবে তার আগের আপনাকে এটি নির্বাচন করতে হবে যে, আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন সেক্টরে কাজ করার জন্য ল্যাপটপ কিনবেন। এছাড়া ল্যাপটপ কত টাকার মধ্যে কিনবেন সেটি ও নির্ভর করে থাকে। বাজারে বিভিন্ন রকমের বাজেটের মধ্যে নানা ধরনের ল্যাপটপ পাওয়া যায়, তবে কেনার পূর্বে আপনার কাজ করার সেক্টরের উপর ল্যাপটপ বা পিসি কেমন হবে তা নির্ভর করে।
তবে ল্যাপটপ কেনার আগের যে জিনিস গুলো দেখে ল্যাপটপ কিনবেন তাহলো- ল্যাপটপ যেন উন্নত এবং দ্রুতগতি সম্পূর্ন প্রসেসরের হয়ে থাকে। তার মধ্যে Core i5/i7 অথবা AMD Ryzen 5/7 সবচেয়ে ভালো হয়ে থাকে। এছাড়া র্যাম মিনিমাম ৮ জিবি বা তার বেশি হতে হবে। তবে আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ভিডিও এডিটিং নিয়ে কাজ করেন তাহলে র্যাম মিনিমাম ১৬ জিবি বা তার বেশি হতে হবে।
স্টোরেজের কথা যদি বলেন তাহলে সর্বোনিম্ন স্টোরেজ হতে হবে ২৫৬ জিবি এসএসডি বা তার বেশি হলে ভালো হয়। যাতে আপনার প্রগ্রাম গুলো রান করতে সুবিধা হয়। এবার আসি গ্রাফিক্স কার্ড, আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন বা গেমিংয়ের জন্য ল্যাপটপ নিয়ে থাকেন তাহলে উন্নত জিপিইউ বা গ্রাফিক্স লাগাতে পারেন।
সর্বশেষ আসি ব্যাটারিতে, ল্যাপটপে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাটারি ব্যকআপ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ন। বিশেষ করে যারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে অনেক সময় ধরে কাজ করতে হয়। যেকারণে উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ন ব্যাটারি ব্যাকআপ প্রয়োজন হয়। মোটামুটি এই বিষগুলো মাথায় রেখে ল্যাপটপ ক্রয় করা উচিত। আপনাদের সুবিধার্থে নিম্নে কিছু ভালো মানের ল্যাপটপের ফিচার সহ দেওয়া হলো।
Dell XPS 13:
ডেলের এই ল্যাপটপটি ফ্রিল্যান্সারদের কাছে অনেক বেশি জনপ্রিয়। কারণ এতে রয়েছে ১৩.৪ ইঞ্চির উজ্জ্বল ডিসপ্লে, যার রেজোলিউশন ১৯২০ x ১২০০ ফুল এইচডি এবং 4K এইচডি প্লাস। এছাড়া এই ল্যাপটপ ইনটেল এর ১১ বা ১২ জেনারেশনের Core i5, i7 এবং i9 প্রসেসরের হয়ে থাকে। আপনি আপনার পছন্দ মত যে কোন একটি বেচে নিতে পারেন।
এতে র্যাম রয়েছে ৮ জিবি থেকে শুরু করে ৩২ জিবি এবং স্টোরেজ ২৫৬ থেকে ২ ট্যারাবাইট পর্যন্ত। উন্নত মানের গ্রাফিক্স কার্ড Intel Iris Xe ব্যবহার করা হয় এই ল্যাপটপে। যা যথেষ্ট লোড নিতে সক্ষম। এটি ওজন ১ থেকে ১.৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ওজন অনেক কম হওয়াতে সহজেই যেখানে ইচ্ছা বহন করা যায়। ল্যাপটপটি একটানা ১০ থেকে ১২ ঘন্টা ব্যটারি ব্যকআপ দিয়ে থাকে।
এছাড়া এই ল্যাপটপে উইনডোজ ১১ থেকে শুরু করে সব ধরনের উইনডোজ ব্যবহার করা যায়। আপনি চাইলে লিনাক্সও ব্যবহার করতে পারবেন। এই ল্যাপটপে রয়েছে ৪টি থান্ডারর্বোড পোর্ট, যেখানে আপনি কার্ডরিডার, মডেম সহ নানা ধরনে কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া এই ল্যাপটপে রয়েছে ফার্স্ট চার্জিং ব্যবস্থ্যা।
HP Envy x360:
এটি সবাই ৩৬০ ডিগ্রি ল্যাপটপ হিসেবে চিনে থাকে। কারণ এই ল্যাপটপটি ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরানো যায়। এই ল্যাপটপে রয়েছে ফুল এইচডি সহ ১৯২০ x ১২০০ রেজোলেশনের 4K ইউএইচডি টাচ ডিসপ্লে। যা ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সারা ড্রয়িং, স্কেচিং সহজেই করতে পারে। এটির সাথে একটি এইচপি পেন ও রয়েছে।
এই ল্যাপটপের প্রসেসর সাধারণত Core i5/i7 এবং AMD Ryzen 5/7 এর হয়ে থাকে। AMD Ryzen সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি এটি একটি শক্তিশালী মডেল। যা দক্ষ কাজ গুলো নিখুঁত ভাবে করতে সাহায্য করে। এটির র্যাম ৮ জিবি থেকে শুরু করে ১৬ জিবি পর্যন্ত পাওয়া যায়। আপনি চাইলে ডিডিআর৪ র্যাম সহ নিতে পারেন।
এছাড়া ল্যাপটপটির ২৫৬ জিবি থেকে ১ ট্যারাবাইট পর্যন্ত এসএসডি কার্ডের হয়ে থাকে। এই ল্যাপটপটিতে ও ntel Iris Xe গ্রাফিক্স কাড ব্যবহার করা হয়েছে। যা গ্রাফিক্স ডিজাইনাদের টাগেরট করে বানানো হয়েছে। এই ল্যাপটপটি ৯ থেকে ১০ ঘন্টা ব্যাটারি ব্যকআপ রয়েছে। এতে উইডোজ ১১ ব্যবহার করা যায়। টাইপ সি পোর্ট সহ এসডি কার্ড পোর্ট রয়েছে।
কোন কাজের জন্য কোন ল্যাপটপ ভাল
আমরা যারা ফ্রিল্যান্সার রয়েছি, তাদের বিভিন্ন কাজে জন্য বিভিন্ন ল্যাপটপ প্রয়োজন হয়ে থাকে। যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য এক ধরনের ল্যাপটপ আবার ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য অন্য ল্যাপটপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা আসলে বুঝতে পারিনা ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো ২০২৪ সালের বিবেচনায়। চলুন জানি কোন কাজের জন্য কোন ল্যাপটপ ভাল হবে।
কনটেন্ট রাইটিং ও ব্লগিং এর জন্য
Lenovo ThinkPad X1 Carbon: এই ল্যাপটপটি কনটেন্ট রাইটার ও ব্লগারের জন্য উপযুক্ত একটি ল্যাপটপ। ১৪ ইঞ্চি ফুল এইচডির সাথে ১৯২০ x ১২০০ রেজোলেশনের ডিসপ্লে। ১১ এবং ১২ জেনারেশনের Intel Core i5, i7 এবং i9 শক্তিশালী প্রসেসর রয়েছে, যা কনটেন্ট রাইটারদের জন্য খুবই ভালো। এছাড়া এতে উন্নত গ্রাফিক্স কাড ও ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ল্যাপটপটির র্যাম ৮ থেকে ১৬ জিবি এবং স্টোরেজ ২৫৬ থেকে ১ ট্যারাবাইট এসএসডি কার্ড ব্যবহার করা অপশন রয়েছে। যা ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেসের খুব খুব ভালো, লোড খুব তাড়াতাড়ি নিয়ে থাকে। এই ল্যাপটপে যদি শুধুমাত্র কন্টেন্ট রাইটিং করা হয় তাহলে ১২ থেকে ১৫ ঘন্টা অবদি ব্যটারি ব্যাকআপ দিয়ে থাকে। এই ল্যাপটপের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলে ১ ঘন্টায় ৮০ পার্সেন্ট চার্য হয়ে থাকে।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য
Apple MacBook Air M1: ওয়েব ডেভেলপমেন্টের ভারী কাজ গুলো জন্য অ্যাপেলের ল্যাপটপ সবচেয়ে বেশি উপযোগী। এই ল্যাপটপে Apple M1 চিপ ব্যবহার করা হয়েছে। যার কোর ৭ প্রসেসর এবং কোর ৮ গ্রাফিক্স কার্ড বা জিপিইউ ব্যবহার করা হয়েছে। এই ল্যাপটপে র্যাম রয়েছে ৮ থেকে ১৬ জিবি এবং স্টোরেজ হয়ে থাকে ২৫৬ জিবি থেকে শুরু করে ২ ট্যারাবাইট পর্যন্ত।
এই ল্যাপটপে ২৫৬০ x ১৬০০ পিক্সেল রেজোলিউশন বিশিষ্ট একটি ১৩.৩ ইঞ্চির রেটিনা ডিসপ্লে রয়েছে। এছাড়া এই ল্যাপটপে রয়েছে ফ্যানলেস কুলিং সিস্টেম যা ল্যাপটপ গরম হতে দেয় না। ল্যাপটপটিতে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি রয়েছে ১৫ থেকে ১৬ ঘন্টা ব্যাকআপ দিয়ে থাকে। এছাড় ল্যাপটপটি অনেক পাতলা হওয়াতে সবখানে ব্যবহার যোগ্য।
ভিডিও এডিটিং এর জন্য
Dell XPS 15: এটি একটি হাই কোয়ালিটি সম্পূর্ন ল্যাপটপ, যার পারফরম্যান্স নিয়ে কোন কথা বলার অবকাশ থাকে না। এটি একটি ১৫.৬ ইঞ্চি বিশিষ্ট ১৯২০ x ১২০০ ওলিড রেজোলেশনের ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে। ওলিড হলো এমন এক ধরনের রেজোলেশন যা কোন কিছুকে জীবন্ত এবং স্পট কালার দেখায়। যা ভিডিও এডিটিংয়ের খুবই গুরুত্বপূর্ন।
এই ল্যাপটপ টি ১৩ জেনারেশনের একটি ল্যাপটপ। যা কোর আই ৭ ও ৯ প্রসেসরের হয়ে থাকে। এতে গ্রাফিক্স কার্ড NVIDIA GeForce RTX 4050 ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া এই ল্যাপটপে র্যাম হয়ে থাকে ১৬ থেকে ৬৪ জিবি পর্যন্ত এবং স্টোরেজ হয়ে থাকে ৫১২ জিবি থেকে ২ ট্যারাবাইট পর্যন্ত। এছাড়া এটি ১২ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাটারির স্থায়ীত্ব প্রদান করে। এতে উইন্ডোজ ১১ সহ XPS ব্যবহার করা যায়।
ছবি এডিটিং এর জন্য
Acer ConceptD 7: আপনি যদি ছবি এডিটিং করতে চান তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে Acer ConceptD 7 ল্যাপটপটি। এটি একটি ১৫.৬ ইঞ্চির ৩৮৪০x২১৬০ রেজোলেশনের আইপিএস ডিসপ্লে। এটি নিখুঁত রং প্রদান করে থাকে, যার কারণে ছবি এডিট করতে সুবিধা হয়। এতে কোর আই ৭ ও ৯ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়। এছাড়া গ্রাফিক্স কার্ড NVIDIA GeForce RTX 2060 ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এই ল্যাপটপটিতে র্যাম ১৬ থেকে ৩২ জিবি পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং স্টোরেজ ১ ট্যারাবাইট এসএসডি কাড সাপোর্ট করে থাকে। যে কারণ সকল কাজ অনেক দ্রুততার সাথে হয়ে থাকে। তবে এটির ব্যাটারি ব্যাকআপ ৬ থেকে থেকে ৮ ঘন্টা পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া এই ল্যাপটপে ৪০ ডিসেবলের নিচে শব্দ উৎপন্নকারী কুলিং সিস্টেম রয়েছে। এই ল্যাপটপে উইন্ডোজ ১০ প্রো ইনস্টল করা থাকে। যা ছবি এডিট করার জন্য উপযুক্ত।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ল্যাপটপ
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ডিজাটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে গেলে সবচেয়ে ভালোমানের ল্যাপটপ থাকা জরুরি। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং বিশাল বড় একটি সেক্টর যেখানে কন্টেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ, ভিডিও এডিটিং সহ নানা ধরনের কাজ করতে হয়। আর এই সকল কাজ সব ল্যাপটপ দিয়ে হয় না। সেজন্য প্রয়োজন উচ্চ প্রসেসর সহ দীর্ঘ স্থায়ী ব্যাটারি লাইফ। ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ল্যাপটপ ভালো চলুন আরো বিস্তারিত জানি।
ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য ল্যাপটপের প্রসেসর অনেক গুরুত্বপূর্ন তার জন্য ইনটেল কোর আই ৫ এবং কোর আই ৭ সবচেয়ে ভালো হয়। যা আপনার কাজ গুলোকে দ্রুততার সাথে করবে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে নানা কাজ করতে হয় সেজন্য অনেক উইন্ডোজ ব্যবহার করতে হয় সেজন্য র্যাম বেশি থাকা জরুরি।
র্যাম সর্বোনিম্ন ৮ জিবি বা তার বেশি হলে ভালো হয়। এছাড়া প্রয়োজন হয় একটি ভালো এসএসডি কার্ডের যা আপনার ল্যাপটপকে ফার্স্ট কাজ করতে সাহায্য করবে। সেজন্য কমপক্ষে ২৫৬ জিবি বা তার বেশি এসএসডি কাজ সমৃদ্ধ ল্যাপটপ কেনার চেষ্টা করুন। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে যেহেতু ভিডিও এডিটিং ও গ্রাফিক্সের কাজ করতে হয় সেজন্য ভালো রেজোলেশন সহ ডিসপ্লে প্রয়োজন হয়।
তাই চেষ্টা করুন বেশি রেজোলেশন যুক্ত ডিসপ্লের ল্যাপটপ ক্রয় করার। যাতে সর্বোনিম্ন রেজোলেশন হয় ১৯২০ x ১২০০ সাথে এইচডি প্লাস। এছাড়া দীর্ঘসময় ধরে কাজ করার জন্য ভালো ব্যটারি ব্যাকআপ প্রয়োজন হয়ে থাকে। সেজন্য ৮ থেকে ১০ ঘন্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ দেয় এমন ল্যাপটপ ক্রয় করার চেষ্টা করুন সাথে ফার্স্ট চার্জিং যেন অবশ্যই থাকে।
এছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে নানা ধরনের ফাইল আদান প্রদান করতে হয়, সেজন্য ইউএসবি পোর্ট সহ নানা ধরনের পোর্টসহ ল্যাপটপটি আপনার পছন্দের তালিকায় রাখুন। নিম্নে ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য ভালো মানের কিছু ল্যাপটপের নাম দেওয়া হলো। আশা করি ল্যাপটপ ক্রয় করার ক্ষেত্রে আপনার কাজে আসবে।
- Dell XPS 13
- HP Spectre x360
- Apple MacBook Pro
- Lenovo ThinkPad X1 Carbon
- Microsoft Surface Laptop Studio
- Asus ZenBook Pro Duo
- Acer Swift X
- Dell Inspiron 15
গ্রাফিক্সের জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো
বর্তমার সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি মানসম্পূর্ন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর। কিন্তু এই সেক্টরে কাজ করতে গেলে ভালো মানের একটি ল্যাপটপ থাকা জরুরি। হাই কোয়ালিটি সম্পূর্ন কাজ করতে উচ্চগতি সম্পূর্ন ল্যাপটপের কোন জুড়ি নেই। কিন্তু এই ল্যাপটপ কিনতে আমাদের যত বিপত্তি, গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো সেটি বাচাই করতে অনেক সময় লেগে যাই। তাই আপনাদের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য সবচেয়ে ভালো দুটি ল্যাপটপ নিয়ে আলোচনা করবো।
MacBook M1 Pro:
যার প্রফেশনালী গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে চান তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো একটি ল্যাপটপ হলো MacBook M1 Pro ল্যাপটপ। এতে রয়েছে ৩৫৪৬ x ২২৩৪ রেজোলেশনের ১৬.২ ইঞ্চির লিকুইট রেটিনা ডিসপ্লে। যা আমাদের চোখের কোন ক্ষতি করে না এবং নিখুঁত কালার দিয়ে থাকে, যা গ্রাফিক্ষ ডিজাইনের জন্য গুরুত্বপূর্ন।
এছাড়া এই ল্যাপটপে কোর ১০ প্রসেসর এবং ১৬ কোরের জিপিইউ ব্যবহার করা হয়েছে। যা মেশিন লার্নিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন এআই ভিত্তিক কাজ দ্রুত সম্পূর্ন করতে পারে। এতে র্যাম ১৬ থেকে ৬৪ জিবি পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং স্টোরেজ ৫১২ থেকে ৮ ট্যারাবাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়া এতে রয়েছে ১৪০ ওয়ার্ট বিশিষ্ট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট। এছাড়া আরো রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক সিস্টেম।
ASUS ROG Zephyrus:
গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য সবদিক থেকে এগিয়ে ASUS ROG Zephyrus ল্যাপটপ। এই ল্যপটপে রয়েছে ১৪ ইঞ্চির একটি ডিসপ্লে যার রেজোলেশন ২৫৬০x১৬০০। এছাড়া এই ল্যাপটপে NVIDIA GeForce RTX 3060 গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। যে কারনে কাজ করতে সব কিছু জীবন্ত ও স্পষ্ট মনে হয়। এছাড়া এই ল্যাপটপে রয়েছে ১৬ জিবি থেকে ৩২ জিবি পর্যন্ত র্যাম আবার স্টোরেজ রয়েছে ১ ট্যারাবাইট পর্যন্ত।
এই ল্যাপটপের দ্রুতগতি সম্পূর্ন AMD Ryzen 9 প্রসেসর রয়েছে। যা আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজকে অনেক দ্রুতার সাথে করতে সাহায্য করে। এছাড়া আরো রয়েছে ফার্স্ট চার্জিং সহ ৮ থেকে ১০ ঘন্টা অবদি ব্যাটারি লাইফ। এই ল্যাপটপটি ভিডিও এডিটিং সহ লাইটওয়েট ডিজাইনের কাজে ব্যবহার করা যায়।
লেখকের শেষ মন্তব্য: ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো ২০২৪ - কোন কাজের জন্য কোন ল্যাপটপ ভাল
প্রিয় পাঠক, এতক্ষনে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো ২০২৪ সালে এবং কোন কাজের জন্য কোন ল্যাপটপ ভাল তা জানতে পেরেছেন। আবার গ্রাফিক্সের জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ল্যাপটপ কোনটি সবচেয়ে ভালো হবে তাও জেনেছেন। ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই উপরে উল্লেখিত তথ্যসমূহ ভালো ভাবে পড়ে নিবেন।
এই ল্যাপটপ গুলো ছাড়া ও অন্যান্য ভালো ল্যাপটপ থাকতে পারে। তাই কেনার পূর্বে অবশ্যই ল্যাপটপ বিষয়ে ভালো ভাবে জেনে নিবেন। এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করে আমাদের পাশে থাকো। এরকম আরো নানারকম তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনার বিশেষ কোন মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url