বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে করণীয় কি -বাচ্চাদের মুখে ঘা কেন হয় ?
অনেক অভিভাবক জানতে চান বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে করণীয় কি অথবা বাচ্চাদের মুখে ঘা কেন হয়। বাচ্চাদের মুখে ঘা বা মাউথ আলসার খুবই জটিল বিষয়। আপনি যদি বাচ্চাদের মুখের ঘা নিয়ে খুব চিন্তিত থাকেন এবং বাচ্চাদের মুখের ঘা সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে চান তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন। আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানাতে চলেছি বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে করণীয় কি এবং বাচ্চাদের মুখে ঘা কেন হয়।
এই পুরো আর্টিকেলটি পড়লে আপনি আরো জানতে পারবেন কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ঘা হয়, বাচ্চাদের মুখে ঘা এর জেল, বাচ্চাদের মুখে সাদা ঘা হলে করণীয় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে। তাই সকল তথ্য পেতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল।
বাচ্চাদের মুখে ঘা কেন হয়:
বাচ্চাদের মুখে বিভিন্ন কারণে ঘা হতে পারে। বাচ্চাদের মুখে দুই ধরনের ঘা হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে ব্যথা যুক্ত এবং আর একটি ব্যথা মুক্ত ঘা।জিহ্বায় সাদা সাদা ছড়ানো ঘা এই ঘায়ে কোন ব্যাথা থাকে না। তবে এই ঘা দীর্ঘদিন থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের রক্তশূণ্যতার কারণ কি কি?
আর আরেকটি হচ্ছে ফুসকুড়ির মত গোল সাদা ঘা। মুখের যেকোনো জায়গায় ঘা হতে পারে। প্রচুর ব্যথা হয় যার জন্য বাচ্চা খেতে পর্যন্ত পারে না। না খেয়ে বাচ্চা দুর্বল হয়ে যায়, কথাও বলতে সমস্যা হয়। বাচ্চাদের মুখের ঘা এর কারণ সম্পর্কে নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ
- বাচ্চারা ব্রাশ করতে গিয়ে আঘাত পাওয়ার কারণে অথবা দাঁত দিয়ে মুখে কামড় লাগার কারণে ক্ষত সৃষ্টি হয় এখান থেকে ঘা হতে পারে।
- ভিটামিন, ভিটামিন বি১২, জিংক, ফলিক অ্যাসিড ও আয়রনের অভাবে রক্তস্বল্পতা হয় যার জন্য মুখে ঘা হতে পারে।
- চা, কফি, কোলড্রিংস এবং অতিরিক্ত মসলাদার খাবার খাওয়ার ফলে বাচ্চাদের মুখে ঘা হয়ে থাকে।
- নন স্টেরয়েড অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ঔষধ বাচ্চাদের দীর্ঘ দিন খাওয়ালে মুখে ঘা এর সমস্যা হতে পারে।
- ভাইরাল ইনফেকশন যেমন হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস শিশুর মুখে ঘা করে দিতে পারে।
- বাচ্চার অবসাদ, মানসিক চাপ এবং হরমোনের পরিবর্তন এর কারণে মুখে হতে পারে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়ার কারণে মুখে ঘা হতে পারে।
- তাছাড়া এলার্জি জনিত কারণে মুখে ঘা হতে পারে।
- অনেক সময় জেনেটিক প্রবনতার কারণে ও বাচ্চাদের মুখে ঘা হয়ে থাকে।
আশা করি, বাচ্চাদের মুখে ঘা হওয়ার কারণ গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এবার আসুন কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ঘা হয় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ঘা হয়:
প্রিয় পাঠক আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ঘা হয়। মুখে ঘা খুবই বড় সমস্যা। মুখে ঘা হলে প্রচন্ড ব্যথা হয় এমন কি খাবার খাওয়া যায় না। যার ফলে শরীর দুর্বল হয় ও অন্যান্য অসুখ শরীরে বাসা বাঁধে। মুখে ঘা হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে তার মধ্যে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি হলে সাধারণত মুখে ঘা হয়।
ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে রক্তশূন্যতা এবং শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দেয়। আর অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা রোগীদের মুখে নিয়মিত ঘা হয়ে থাকে। তাছাড়া ভিটামিন বি ২ এর অভাবে জিহ্বায় এবং ঠোঁটে ঘা হয়ে থাকে। ভিটামিন সি এর অভাব হলে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় এবং মাড়ি দিয়ে রক্ত ও পুঁজ পড়া সমস্যা দেখা দেয়।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের অমিডন ড্রপ খাওয়ার নিয়ম।
তাছাড়া বিশেষজ্ঞদের মতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও জিংকের অভাবে ও মুখে ঘা হয়ে থাকে। আশা করি, কোন কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ঘা হয় সে সম্পর্কে আপনারা অবগত হয়েছেন। এবার আসুন বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে করণীয় কি সেটা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে করণীয় কি:
শিশুরা আজকাল অনেক আজে বাজে জিনিস খেয়ে থাকে।বেশিরভাগ বাচ্চাদের মুখে ঘা হওয়ার কারণ হলো তাদের হাত অপরিষ্কার থাকে। হাত থেকে বিভিন্ন জীবনু মুখে যাওয়ার ফলে মূলত মুখে ঘা হয়। এছাড়া অনেক কারণ আছে বাচ্চাদের মুখে ঘা হওয়ার। যেমন আঘাত জনিত কারণ, ভিটামিন ও খনিজের অভাব,ছত্রাকের আক্রমণ ইত্যাদি। বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে করণীয় কি আসুন সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
- উষ্ণ গরম পানিতে কিছুটা লবণ মিশিয়ে বারবার কুলকুচি করাতে হবে।
- নরম টুথব্রাশ দিয়ে ব্রাশ করানোর পর মাউথ ওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করিয়ে নিন। মাউথওয়াশ ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করে এবং মুখের হাইজিন বাড়ায়।
- হলুদের রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, এন্টি -ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যা মুখের আলসারের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
- মধু ছোট বাচ্চাদের মুখে ঘা সারাতে জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ। মুখে ঘা হলে দিনে ৩-৪ বার ক্ষতস্থানে মধু লাগানো উত্তম।
- মুখের ঘা বেড়ে যায় এমন শক্ত খাবার বা ঝাল ও মসলাদার খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন।
- বাচ্চাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বা তরল জাতীয় খাবার পান করান।
- পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে ভিটামিন বি ১২, ফলিক এসিড, আয়রন ও খনিজ জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়ান।
- এসিডিক খাবার যেমন লেবু,আনারস, কমলা, টমেটো ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলুন। কেননা এসিডিক খাবার মুখের ঘা এর ব্যথা বাড়ায়।
- পানির সাথে যষ্টিমধুর গুড়া মিশিয়ে আপনার বাচ্চাকে কুলকুচি করাতে পারেন অথবা এক চামচ মধুর সাথে এক চামচ যষ্টি মধুর গুড়া তার সাথে কিছু পরিমাণ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে ক্ষতস্থানে লাগালে তাৎক্ষণিক ফল পাওয়া যায়।
- এলোভেরা জেল পানিতে মিশিয়ে বাচ্চাকে কুলি করান। এটি মুখের ঘা এর জন্য ভালো উপকার করে।
- সামান্য পরিমাণ তুলোতে লবঙ্গ তেল লাগিয়ে এটা মুখে ক্ষতস্থানে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। মুখ এবং দাঁতের যত্নে লবঙ্গ তেলের কোন জুড়ি নেই।
- ঘি মুখের ঘা সারাতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। দিনে অন্তত ৩ বার মুখের ঘা এর ঘি লাগান।
- ছোট শিশুদের মুখের ঘা এর ব্যথা কমাতে নারিকেল দুধ ক্ষতস্থানে লাগাতে পারেন অথবা নারিকেল তেল মুখের আলসারে লাগানো যেতে পারে।
বাচ্চাদের মুখের ঘা নিরাময়ে উপরের নানান প্রাকৃতিক অর্থাৎ ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করতে পারেন। তবে এ সকল টোটকা ব্যবহার করার পরও যদি বাচ্চার মুখের ঘা নিরাময় না হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাচ্চাকে ওষুধ সেবন করতে হবে। বাচ্চাদের মুখে ঘা কেন হয় এবং বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে করণীয় কি এ সম্পর্কে আমাদের সকলের অবগত থাকা উচিত।
কেননা বাচ্চাদের মুখে ঘা একটি জটিল সমস্যা। বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে ব্যথা এবং জ্বালা করে যার জন্য বাচ্চা খেতে পারে না। সেজন্য বাচ্চা অপুষ্টিতে ভোগে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই প্রত্যেক পিতা মাতার কর্তব্য তার বাচ্চার সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা।
বাচ্চাদের মুখে ঘা এর জেল:
প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই বাচ্চাদের মুখে ঘা এর জেল সম্পর্কে জানতে চান। এ আর্টিকেল এর এই অংশে আমরা বাচ্চাদের মুখে ঘা এর জেল সম্পর্কে আলোচনা করব। যেহেতু ছোট বাচ্চারা কোন ঔষধ খেতে পারেনা সে ক্ষেত্রে ওরাল জেল খুব ভালো একটি সমাধান হতে পারে।
বাচ্চাদের মুখে ঘা এর বিভিন্ন ধরনের কারণ থাকতে পারে। আঘাত জনিত কারণ অথবা ফাঙ্গাল ইনফেকশন। ফাঙ্গাল ইনফেকশনে বিভিন্ন ধরনের জেল বাজারে পাওয়া যায় যেগুলো নিয়মিত লাগালে মুখের ঘা একদম ভালো হয়ে যায়। যেমন
- Gelora oral gel
- Microal oral gel
- Micosina oral gel
ব্যবহারবিধি বা ঔষধের মাত্রা:
উপরে উল্লেখিত সকল জেল ৬-২৪ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুদের ক্ষেত্রে ১.৫ মিলি এক চামচের চার ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ (১/৪ চামচ) দিনে চারবার খাবার পর পুরো মুখে ভালোভাবে লাগাতে হবে। দুই বছর বয়সী বাচ্চাদের , প্রাপ্তবয়স্ক এবং বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে ২.৫ মিলি অর্থাৎ (১/২চামচ) দিনে চারবার খাবার পর মুখে লাগাতে হবে
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা।
এছাড়া মুখে ঘায়ের বিভিন্ন ঔষধ রয়েছে। সব থেকে ভালো হয় যদি আপনি আপনার বাচ্চার জন্য একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। যেকোনো ঔষধ বা জেল ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
বাচ্চাদের মুখে সাদা ঘা হলে করণীয়:
মুখে ঘা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। বাচ্চাদের মুখে সাধারণত সাদা ঘা দেখা যায়। অনেক অভিভাবক জানতে চান বাচ্চাদের মুখের ভিতরে সাদা ঘা হলে করণীয় কি।সাধারণত ছত্রাকের আক্রমণে বাচ্চাদের মুখে সাদা ঘা হয়। এই ছত্রাক মুখের ভেতরে বিদ্যমান থাকে। নির্দিষ্ট কোন কারণে ছত্রাকের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে বাচ্চাদের মুখে সাদা ঘা হয়।
সবার আগে জেনে নিই সাদা ঘায়ের লক্ষণ বা উপসর্গ সম্পর্কে। সাধারণত মুখ ও জিভে সাদা আস্তরণ পড়তে দেখা যায়। সাদা সাদা আস্তরণের চারপাশে লালচে ভাব দেখা যায়। অনেক সময় ঠোঁটের কোনে ফেঁটে যায়। প্রচন্ড ব্যথা ও জ্বালা যন্ত্রণা হওয়ায় বাচ্চা খুব কান্নাকাটি করে। এক্ষেত্রে আপনার করণীয় কি হলো গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে দিনে ৪-৫ বার কুলকুচি করাতে হবে।
এছাড়া এক চামচ বেকিং সোডা এক কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে কুলকুচি করলে মুখের ঘায়ের ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায়। লবঙ্গ তেলের বিশেষ উপকারিতা রয়েছে। মুখের ঘা ভালো করতে বা দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে লবঙ্গ তেল বেশ কার্যকরী।একটি তুলোতে সামান্য পরিমাণ লবঙ্গ তেল নিয়ে আপনার বাচ্চার মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন এভাবে দিনে কয়েকবার লবঙ্গ তেল মুখে ব্যবহারের ফলে মুখের ঘা থেকে উপশম পাওয়া যায়।
বাচ্চাদের মুখের ঘায়ে মধু খুব ভালো একটি উপাদান। মধুতে বিদ্যমান বিশেষ প্রাকৃতিক গুণাবলী মুখের যে কোন ঘা সারাতে এবং ব্যথা উপশমের বিশেষ ভূমিকা পালন করে। দিনে তিন থেকে চার বার মুখের ক্ষতস্থানে অথবা পুরা মুখে মধু লাগিয়ে দিন।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা মেধাবি হয়।
এ সকল ঘরোয়া টোটকা দিয়ে মুখের ঘা না সারলে অবশ্যই একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ছোট বাচ্চাদের সব সময় চিকিৎসকে পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা উচিত। আশা করি, বাচ্চাদের মুখে সাদা ঘা হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে আপনারা অবগত হয়েছেন।
লেখক এর মন্তব্য :বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে করণীয় কি -বাচ্চাদের মুখে ঘা কেন হয়
প্রিয় পাঠক, আশা করি পুরো আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা জানতে পেরেছেন যে, বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে করণীয় কি এবং বাচ্চাদের মুখে ঘা কেন হয়। বাচ্চাদের মুখে ঘা বিশেষ করে ভিটামিনের অভাবজনিত কারণে হয়ে থাকে। বিশেষ করে যে সকল বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম সেসব বাচ্চাদের ঘন ঘন মুখে ঘা হয়ে থাকে।
তাই প্রত্যেক অভিভাবকের কর্তব্য বাচ্চার সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা। বাচ্চার মুখে নিয়মিত ঘা হতে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।আমরা আপনাদেরকে আরো জানানোর চেষ্টা করেছি কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ঘা হয়, মুখে ঘা হয়ে হলে কি জেল ব্যবহার করতে হয় এবং বাচ্চাদের মুখে সাদা ঘা হলে করণীয় কি।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো বিভিন্ন তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের এই সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করার অনুরোধ রইলো। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং কোন বিশেষ মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url