বাচ্চাদের অতিরিক্ত জেদ কমানোর উপায় -বাচ্চাদের অতিরিক্ত জেদ হওয়ার কারণ।
প্রিয় পাঠক, আপনি কি বাচ্চাদের অতিরিক্ত জেদ কমানোর উপায় এবং বাচ্চাদের অতিরিক্ত জেদ হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানার আগ্রহ থেকে এই আর্টিকেলটিতে ক্লিক করেছেন? তাহলে আপনি একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাতে চলেছি বাচ্চাদের অতিরিক্ত জেদ কমানোর উপায় এবং বাচ্চাদের অতিরিক্ত জেদ হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত।
সেই সাথে আপনারা আরো জানতে পারবেন, বাচ্চার জেদ কোন বয়স থেকে শুরু হয়, বাচ্চাদের রাগ কমানোর দোয়া, অতিরিক্ত চঞ্চল বাচ্চাকে শান্ত রাখার উপায়, হাইপার একটিভ ডিজঅর্ডার বাচ্চাদের লক্ষণ ইত্যাদি নানা বিষয়। এ সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য পেতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।
বাচ্চাদের অতিরিক্ত জেদ হওয়ার কারণ :
বর্তমানে বাচ্চাদের অস্বাভাবিক রাগ ও জেদ এর সমস্যা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে বাচ্চারা আসক্ত হয়ে পড়েছে যা বাচ্চাদের জেদের অন্যতম একটি কারণ হতে পারে। প্রত্যেক অভিভাবকের কাছে বাচ্চার অতিরিক্ত জেদ বা রাগ খুবই চিন্তার বিষয়।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে করণীয় কি?
আজকের আলোচনায় বাচ্চাদের অতিরিক্ত জেদ কমানোর উপায় এবং বাচ্চাদের অতিরিক্ত জেদ হওয়ার কারণ সম্পর্কে আপনাদেরকে কিছু ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব। নিচে বাচ্চাদের রাগ করার কিছু কারণ তুলে ধরা হলোঃ
- সাধারণত বিষন্নতা, অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ, একাকীত্ব, একঘেয়েমি এবং অতিরিক্ত উত্তেজনার কারণে বাচ্চাদের অতিরিক্ত রাগ বা জেদ হয়ে থাকে।
- বাচ্চারা ক্ষুধার্ত থাকলে তাদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় এবং জেদ করে।
- বাচ্চারা গুছিয়ে কথা বলতে এবং তাদের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না ফলে তারা হতাশ হয়ে যায় এবং জেদ করে।
- তাছাড়া বাচ্চারা যে পরিবেশে মানুষ হচ্ছে তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশের প্রভাবেও বাচ্চাদের অতিরিক্ত রাগ ও জেদ হতে পারে।
- বাচ্চারা অতিরিক্ত শাসন এবং নিয়ম মেনে চলা পছন্দ করে না। নিজের স্বাধীনতা জাহির করার জন্য অনেক সময় বাচ্চারা জেদ করে থাকে।
- পিতা মাতা বা অভিভাবকদের রুক্ষ ব্যবহার। অথবা বিদ্যালয় শিক্ষক এবং বন্ধুবান্ধবদের আচরণগত সমস্যার কারণেও বাচ্চাদের অতিরিক্ত রাগ হয়।
- অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চাদের রাগ ও জেদের কারণ হতে পারে জেনেটিক বা বংশগত।
বাচ্চার জেদ কোন বয়স থেকে শুরু হয়:
সাধারণত দুই বছর বয়স এর পর থেকে বাচ্চার 'টেরিবল' পর্যায়ের শুরু হয়। এ সময় বাচ্চারা ভীষণ জেদী এবং একগুঁয়ে হয়ে ওঠে। এটা নিয়ে ঘাবড়ানোর তেমন কোন বিষয় নেই। এ সমস্ত আচরণ বাচ্চার স্বাভাবিক বিকাশেরই অংশ। এই সময়টাকে 'টেরিবল টুজ'(ভয়ংকর দুই) বলা হয়। সাধারণত ১৮ মাস বয়স শুরু হওয়ার পর থেকে বাচ্চাদের এই সময় শুরু হয়।
এবং এই লক্ষণ গুলো ৩ থেকে ৪ বছর বয়স পর্যন্ত চলতে পারে। শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, বাচ্চাদের এই সময় অভিভাবকদের একটু সচেতন ও কৌশলী হতে হয়। এ সময় বেশ কিছু লক্ষণ বাচ্চাদের মধ্যে দেখা যায় যেমন, অকারনে জেদ করা, যেটা করতে বলা হবে সেটা না করা, খেতে ও ঘুমোতে না চাওয়া, জোরে জোরে কান্না করা, জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলা, এমন কি বেশি রেগে গেলে কামড়ানো বা কাউকে আঘাত করা।
এই সময় বাচ্চাকে সামলানোর জন্য আপনাদেরকে অত্যন্ত ধৈর্য ধারণ করতে হবে। বাচ্চা যতই জেদ করুক না কেন আপনাকে ঠান্ডা মাথায় সবকিছু হ্যান্ডেল করতে হবে। বাচ্চাদের সাথে সবসময় ভালো ব্যবহার করুন এবং কোন ভুল করলে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলুন। বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা ও কাজে বাচ্চাকে উৎসাহিত করে তুলুন।
বাচ্চার ভাল কাজের জন্য তাকে পুরস্কৃত করুন। তার সঙ্গে সময় কাটান এবং তার ভালোলাগা খারাপ লাগা বোঝার চেষ্টা করুন। আশা করি, বাচ্চার জেদ কোন বয়স থেকে শুরু হয় এবং এ সময় কি করনীয় সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এবার বাচ্চাদের রাগ কমানোর দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
বাচ্চাদের রাগ কমানোর দোয়া:
ছোট বাচ্চাদের অতিরিক্ত রাগ ও জেদ অনেক সময় পিতা মাতার কাছে খুবই কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। অনেকে এর সমাধান হিসেবে অনেক কিছু করে থাকেন। তবে বাচ্চাদের জেদ কমানোর এমন কিছু দোয়া ও আমল রয়েছে যা ঠিকভাবে করতে পারলে আপনার বাচ্চার রাগ কমে যাবে। মনে রাখবেন সন্তানদের সঙ্গে ভালো ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই।
সন্তানের মন বুঝতে হবে। তার ভালোলাগা এবং খারাপ লাগা সবকিছু পিতা মাতাকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যাদের বাচ্চাদের অতিরিক্ত রাগ ও জেদ কোন কিছুতেই কমছে না তারা নিম্নোক্ত দোয়ার আমল করলে ভালো ফলাফল পাবেন।
বাংলা উচ্চারণ :'আফাগাইরা দ্বি- লিল্লাহি ইয়াবগুন, ওয়ালাহু আসলামা মান ফিস্-সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ব তাউয়াং ওয়া কারহাং; ওয়া ইলাইহি ইয়ুরজাউন'।
আমলঃ সন্তান অতিরিক্ত জেদ করলে এবং কথা না শুনলে এই আয়াতটি সন্তানের মাথায় হাত রেখে ৭ বার পড়ে সন্তানের মুখমণ্ডল এবং কানে ফু দিন। দিনের যেকোনো এক সময়ে ২১ দিন নিয়মিত এই আমলটি করলে সন্তানের রাগ, জেদ, দুষ্টুমি কমে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে এ আমলটি এশার নামাজের পর রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে করাটা উত্তম। এবার চলুন জেনে নিন বাচ্চাদের অতিরিক্ত জেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে।
বাচ্চাদের অতিরিক্ত জেদ কমানোর উপায় :
সাধারণত বাচ্চারা যখন ছোট থাকে যেমন ৩ থেকে ৭ বছরের মধ্যে সবথেকে বেশি জেদ করতে দেখা যায়। এই সময় শিশুর আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় তা না হলে ভবিষ্যতে শিশুর জন্য ভালো হয় না। অনেক বাবা মায়ের প্রশ্ন কিভাবে শিশুকে শান্ত রাখতে হয় এবং বাচ্চাদের অতিরিক্ত জেদ কমানোর উপায় কি? এমন কিছু উপায় সম্পর্কে নীচে আলোচনা করব যা প্রত্যেকটা বাবা-মায়ের জন্য উপকারে আসবে। আশা করি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
- আপনার শিশু যখন অতিরিক্ত রেগে যায় তখন আপনিও তার সঙ্গে রাগ না করে জড়িয়ে ধরুন, আদর করুন। এতে করে তাৎক্ষণিক শিশুর রাগ কমে যাবে।
- বাচ্চার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। এবং তার ভাল কাজের প্রশংসা করুন।
- বড়দের মতো বাচ্চাদেরও আত্মসম্মান বোধ আছে। বাহিরের মানুষের সামনে বাচ্চাদের খারাপ দিক নিয়ে সমালোচনা বা নিন্দা করবেন না।
- তখন আপনার বাচ্চা জেদ করতে শুরু করবে তখন আপনি সেই পরিবেশটাকে চেঞ্জ করে অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
- বাচ্চা রাগ বা জেদ করলে তাকে কখনোই বকাবকি বা মারধর করা যাবে না। এ সময় বাচ্চা আরো বিগড়ে যায় তাই প্রত্যেক মা-বাবাকে ধৈর্য সহকারে পরিচিত মোকাবেলা করার চেষ্টা করতে হবে।
- বাচ্চার মনের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুন। কারণ বড়দের মতো বাচ্চারা তাদের মনের ভাব ও চাহিদা প্রকাশ করতে পারে না। তাদের মনের কথা বোঝার চেষ্টা করুন এবং সেভাবে তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।
- আপনার বাচ্চার সাথে খেলাধুলা করুন। সারাদিনের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময় বের করে বাচ্চাদের খেলাধুলায় ব্যস্ত রাখুন। এতে করে বাচ্চা এবং পিতা মাতার মধ্যে সম্পর্ক অটুট থাকে।
- বাচ্চাকে সব সময় আনন্দ ও হাসি খুশিতে রাখার চেষ্টা করুন। বাচ্চা হাসলে তার মস্তিষ্ক এবং শরীর দুটোই ভালো থাকে।
- প্রত্যেকটা কাজের রুটিন সেট করা প্রত্যেকটা পিতা মাতার কর্তব্য। খাওয়ার সময় খাওয়া, ঘুমের সময় ঘুম এবং খেলার সময় খেলা এই বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে।
- কাজে ব্যস্ত রাখুন। দুই বছর বয়সে বাচ্চাদেরকে কাজে উৎসাহিত করে তোলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ভালো কাজ ও সঠিক আচরণ করলে বাচ্চাদেরকে পুরস্কৃত করুন ও বাহবা দিন।
- শিশু সামনে বাবা-মায়ের আচরণ ঠিক রাখতে হবে। বাবা মায়ের মধ্যে কঠোর ব্যবহার বা ঝগড়া-ঝাঁটি শিশুদের মনে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই শিশুদের সামনে কোন নেতিবাচক আচরণ একেবারেই নয়।
- শিশুর মতামত কে গুরুত্ব দিন। পরিবারে তারও একটা গুরুত্ব আছে সেটা তাকে বোঝান। তাকে অবহেলা বা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য নয়। তার পছন্দ ও অপছন্দের গুরুত্ব দিন।
- মাঝে মাঝে বাচ্চাদের নিয়ে বাহিরে পরিবেশে ঘুরতে বা বেড়াতে নিয়ে যান। এতে বাচ্চাদের মন ফ্রেশ হয় এবং রাগ ও জেদ কমে যায়।
- বাচ্চা যখন যেটা চাইবে বা চাহিদা করবে সঙ্গে সঙ্গে তার চাহিদা পূরণ করবেন না। সে যদি বুঝে যায় যে জেদ করলে সব চাহিদা পূরণ হয় তাহলে এই জেদ অভ্যাসে পরিণত হবে।
প্রিয় পাঠক, আশা করি, বাচ্চাদের অতিরিক্ত রাগ কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন।উপরোক্ত উপায়গুলো যদি আপনি আপনার বাচ্চার ক্ষেত্রে মানতে পারেন তাহলে আশা করি, বাচ্চার জেদ কমানোর ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল পাবেন।
অতিরিক্ত চঞ্চল বাচ্চাকে শান্ত রাখার উপায়:
বাচ্চাদের চঞ্চলতা একটি স্বাভাবিক বিষয়।এই চঞ্চলতা এক একটা বাচ্চার ক্ষেত্রে এক এক রকম। বাচ্চাদের অতিরিক্ত চঞ্চলতা এবং অমনোযোগিতাকে বলা হয় হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার (এডিএইচডি)। এইসব বাচ্চারা অতিরিক্ত অস্থির হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের রক্তশূণ্যতার করণ কি?
এবং প্রচন্ড অমনোযোগী হয়। সাধারণত বেশিরভাগ বাঁচা বড় হওয়ার সাথে সাথে এসব চঞ্চলতা বা অস্ত্রতা কমে যায়। অতিরিক্ত চঞ্চল শিশুকে নিয়ন্ত্রণ করা বাবা মায়ের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত চঞ্চল বাচ্চাকে শান্ত করার উপায় সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হলঃ
- বাচ্চাদের বিভিন্ন রকম কার্যকলাপে ব্যস্ত রাখুন, যাতে করে তাদের মনোযোগ চঞ্চলতা থেকে বিভিন্ন কাজের উপরে থাকে। যেমন, নাচ, গান, খেলাধুলা,পড়ালেখা ইত্যাদি।
- বাচ্চাদের শান্ত করতে ক্লাসিকাল সংগীত শোনাতে পারেন। গান শুনলে মানুষের মস্তিষ্ক শান্ত হয়। তাই শিশুর অতিরিক্ত চঞ্চলতা দূর করতে মাঝে মাঝে ক্লাসিকাল সংগীত শোনাতে পারেন।
- বিভিন্ন ধরনের গ্যাজেট যেমন টিভি, ভিডিও গেম, মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার সীমিত করে দিন। এ সকল গ্যাজেটের ব্যবহার বাচার আচরণ কে প্রবাহিত করে এবং ভুল পথে চালিত করে।
- বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন ধরনের গল্প শোনান। এতে বাচ্চাদের ব্রেন শান্ত হয়। মজার মজার গল্প শোনার মাধ্যমে তাদের মনে আনন্দ এবং মন শান্ত থাকে।
- বাচ্চাদের খাদ্যাভ্যাস তাদের স্বভাবকে প্রবাহিত করতে পারে। অতিরিক্ত সরকার জাতীয় খাবার বাচ্চাদের যন্ত্রপাতার বৃদ্ধি করতে পারে। তাই বাচ্চাদের খাদ্যা পাশে থেকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।
- আপনার বাসায় একটি নিরিবিরি ও শান্ত পরিবেশ তৈরি করুন যেখানে আপনার বাচ্চা শান্ত পরিবেশে খেলাধুলার কিছু উপকরণ নিয়ে খেলতে পারে। এতে তাদের মন শান্ত হয়।
- বাচ্চাদের প্রতিদিনের একটি রুটিন বানিয়ে দিন। অতিরিক্ত চঞ্চল বাচ্চাদের বাগে আনতে দৈনন্দিন রুটিন খুব ভালো কাজ করে।
- আপনার বাচ্চাকে দৈনন্দিন রুটিনের সাথে ব্যায়াম যুক্ত করে দিন। ব্যায়াম করলে বাচ্চাদের শরীর সুস্থ থাকে এবং মন ফুরফুরে হয়।
হাইপার একটিভ ডিজঅর্ডার বাচ্চাদের লক্ষণ :
অতিরিক্ত চঞ্চল বা হাইপার একটিভ ডিসঅর্ডার হলো মস্তিষ্কের সাথে সম্পর্কিত ব্যাধি। ১৯৯০ এর দশকে অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার একটিভিটি ডিসঅর্ডার (ADHD) নাম দেওয়া হয়েছিল। সাধারণত ৪ থেকে ৫ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়।
এসব বাচ্চারা অতিরিক্ত চঞ্চল হয়। এছাড়াও বেশ কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যায় যে একটি বাচ্চা হাইপার একটিভ ডিজঅর্ডার কিনা। আসুন জেনে নেওয়া যাক হাইপার একটি ডিজঅর্ডার বাচ্চাদের কিছু লক্ষণ সম্পর্কে।
- কোন কাজে মনোযোগ দিতে পারে না।
- অতিরিক্ত অস্থির ও চঞ্চলতা করতে গিয়ে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটায়।
- অতিরিক্ত চঞ্চল হওয়ায় কোন কিছু মনে রাখতে পারে না সবকিছু ভুলে যায়।
- প্রায় প্রায় স্কুলে খাতা, বই, পেন্সিল ভুল করে ফেলে আসা।
- খুব সহজে উত্তেজিত হয়ে যায় এবং কান্নাকাটি করে।
- এক জায়গায় বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারে না সারাক্ষণ ছোটাছুটি করে।
- অন্য কারো কথা শুনতে সমস্যা হওয়া।
- প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলে এবং প্রশ্ন করে।
- অন্যদের কথা বলার মাঝখানে ব্যাঘাত ঘটানো।
- কোন কিছুর জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে না পারা।
- বন্ধু বা খেলার সাথীদের সঙ্গে মিশতে না পারা।
লেখক এর মন্তব্য :বাচ্চাদের অতিরিক্ত জেদ কমানোর উপায় -বাচ্চাদের অতিরিক্ত জেদ হওয়ার কারণ
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণে নিশ্চয় আপনারা বাচ্চাদের অতিরিক্ত জেদ কমানোর উপায় এবং বাচ্চাদের অতিরিক্ত জেদ হওয়ার কারণ সম্পর্কে অবগত হয়েছেন।তার সাথে আপনারা আরো জানতে পেরেছেন যে, বাচ্চার জেদ কোন বয়স থেকে শুরু হয়, বাচ্চাদের রাগ কমানোর দোয়া, অতিরিক্ত চঞ্চল বাচ্চা কে শান্ত রাখার উপায় এবং হাইপার একটিভ ডিসঅর্ডার বাচ্চাদের লক্ষণ সম্পর্কে।
প্রত্যেকটা পিতা মাতার কাছে তার বাচ্চা অমূল্য সম্পদ। আর এই বাচ্চা যদি অতিরিক্ত জেদি বা রাগী হয় তখন বাবা মায়ের চিন্তার কোন শেষ থাকে না। তাই প্রত্যেক বাবা-মায়ের উচিত বাচ্চার সমস্যা চিহ্নিত করা এবং সমাধান করা। অত্যন্ত ধৈর্য্য এবং বিচক্ষণতার সাথে আপনি আপনার বাচ্চাকে কন্ট্রোল করুন। বাচ্চাদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করুন যাতে করে বাচ্চাদের জেদ বা রাগের সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারেন।
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম নানা শিক্ষামূলক তথ্য পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করার অনুরোধ রইলো। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করে তাদেরও পড়ার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url