ফ্যাটি লিভার কি ভালো হয় -ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়।
প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম। আশা করি, ভাল আছেন। আপনারা অনেকেই জানতে চান ফ্যাটি লিভার কি ভালো হয়? ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় কি? আপনি যদি এ সকল বিষয় জানার আগ্রহ থেকে এই আর্টিকেলটিতে ক্লিক করে থাকে তাহলে আপনি একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন। আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানাতে চলেছি ফ্যাটি লিভার কি ভালো হয় এবং ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।
এই আর্টিকেলটি পুরো পড়লে আপনারা আরো জানতে পারবেন যে, ফ্যাটি লিভার কি, ফ্যাট লিভার কেন হয়, ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ, ফ্যাটি লিভার টেস্ট ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে। এ সকল বিষয় সঠিক তথ্য পেতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।
এই আর্টিকেলটি পুরো পড়লে আপনারা আরো জানতে পারবেন যে, ফ্যাটি লিভার কি, ফ্যাট লিভার কেন হয়, ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ, ফ্যাটি লিভার টেস্ট ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে। এ সকল বিষয় সঠিক তথ্য পেতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।
ফ্যাটি লিভার কি:
ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বর্তমানে যকৃতের সবচেয়ে পরিচিত রোগের নাম। যকৃতে চর্বির পরিমাণ বেড়ে গেলে অর্থাৎ ৫-১০% এর বেশি হলে তাকে 'ফ্যাটি লিভার'বলা হয়। অতিরিক্ত চর্বির ফলে লিভারে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। এবং ধীরে ধীরে লিভার কার্যক্ষমতা হারায় যার ফলে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়।
এমনকি লিভার ফেইলর ও হতে পারে। ফ্যাটি লিভার সাধারণত দুই ধরনের হয়। অ্যালকোহল যুক্ত ফ্যাটি লিভার এবং নন অ্যালকোহলিক ফ্যাট লিভার। সাধারণত অতিরক্ত অ্যালকোহল গ্রহণের কারণে এলকোহল যুক্ত ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে।
ফ্যাটি লিভার কেন হয়:
অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে, ফ্যাটি লিভার কেন হয়, ফ্যাটি লিভার কি ভালো হয়? আপনাদের এ সকল প্রশ্নের অবসান ঘটাতে আজ আমাদের এই আয়োজন। ফ্যাটি লিভার সাধারণত দুই ধরনের হয়।একটি অ্যালকোহল যুক্ত ফ্যাটি লিভার আরেকটি হলো নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। বিশেষ করে যারা অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করেন তাদের ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে। কিন্তু যারা অ্যালকোহল বা মদ্যপান করে না তাদেরও ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে।
সারা পৃথিবীতে অ্যালকোহল যুক্ত ফ্যাটি লিভারের পাশাপাশি নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।ফ্যাটি লিভারের প্রধান এবং মূল কারণ হলো মদ্যপান বা অ্যালকোহল গ্রহণ। এছাড়া নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের যে সকল কারণ রয়েছে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ
- অতিরিক্ত কার্বোহাইড্র বা শর্করা খাবার খেলে লিভারে চর্বি জমে যায়।
- ডায়াবেটিস টাইপ টু রোগীদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এর জন্য ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হয়ে থাকে।
- অতিরিক্ত ওজন থেকে ফ্যাটি লিভার হতে পারে।
- রক্তে অতিরিক্ত ফ্যাট বিশেষ করে টাইগ্লিসারাইড বেশি থাকলে ফ্যাটি লিভার হয়।
- উচ্চ রক্তচাপের কারণেও ফ্যাটি লিভার হতে পারে।
- বিভিন্ন মেডিসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে।
- বংশগত বা পরিবারের কারো ফ্যাটি লিভার বা অতিরিক্ত ওজন থাকলে ফ্যাটি লিভার হতে পারে।
- ধূমপান বা মদ্যপান ফ্যাটি লিভারের অন্যতম কারণ।
ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ:
প্রাথমিক অবস্থায় ফ্যাটি লিভারের কোন বিশেষ লক্ষণ বোঝা যায় না। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি ফ্যাটি লিভার যখন লিভার সিরোসিসের দিকে যায় তখন বেশ কিছু লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়। যে সকল লক্ষণ দেখে বুঝবেন ফ্যাটি লিভার হয়েছে সে সকল কিছু লক্ষণ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলোঃ
- খাবারে অরুচি এবং হজমে সমস্যা
- শরীর অতিরিক্ত দুর্বল এবং ক্লান্তিবোধ
- পেটের উপরের ডান দিকে ব্যথা বা অস্বস্তি হওয়া
- পেট ফুলে যেতে পারে
- শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফুলে যেতে পারে
- পেটের মেদ বা ভুড়ি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়া
- বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া
- নিয়মিত প্রস্রাবের রং হলুদ হওয়া
- নক এবং চোখের রং হলদেটে হওয়া
- ফ্যাটি লিভার হলে মাথা ব্যথা ও ডিপ্রেশনের উপসর্গ দেখা দেয়
- শরীরের ওজন বেড়ে যায় এবং ক্ষুধা বেড়ে যায়
- অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়া ও ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ
ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়:
বর্তমানে ফ্যাটি লিভার একটি বড় সমস্যা। খুব অল্প বয়সেও ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হয়ে থাকে। ফ্যাটি লিভার থেকে যুকৃতে প্রদাহ আর ক্রমাগত প্রদাহ থেকে লিভার সিরোসিস হয়। তারপর লিভার ক্যান্সার পর্যন্ত হয়ে থাকে। ফ্যাটি লিভার রোগ নিয়ন্ত্রণে ডায়েট খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্যাটি লিভার কি ভালো হয় সে সম্পর্কে জানতে গেলে ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি পেতে যে সকল উপায় বা নিয়ম মেনে চলতে হয় তা জানা জরুরী। লিভার ভালো রাখতে আমাদের সকলের উচিত কিছু ডায়েট অনুসরণ করা। নিচে ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
সবুজ শাকসবজি
লিভারের চর্বি কমাতে সবুজ শাক সবজির উপর গুরুত্ব দিতে হবে।শাকসবজি প্রকৃতির চর্বি কমাতে সাহায্য করে। সবুজ শাক সবজি যেমন ব্রকলি, পালং শাক, লেটুস পাতা, ধনিয়া পাতা ইত্যাদি।
সুষম খাদ্য
খাদ্য তালিকায় বেশি পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার রাখুন। ফাইবার জাতীয় খাবার খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরে থাকে এবং বারবার ক্ষুধার প্রবণতা কমে যায়। সবুজ শাকসবজি ও ফলমলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। তাই করে খাদ্য তালিকায় শাকসবজি ও ফলমূল রাখুন।
প্রচুর পানি পান করা
শরীরের সার্বিক সুস্থতায় পানির কোন বিকল্প নেই। লিভার ভালো রাখতে অবশ্যই পরিমাণ মতো বিশুদ্ধ পানি পান করা অবশ্যক। বিভিন্ন ধরনের কোমল জাতীয় পানীয় যেমন পেপসি, কোকাকোলা, মজো ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন চলুন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
ডায়াবেটিস রোগীদের ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরী। চিকিৎসকে পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত চেকআপ এবং ঔষধ গ্রহণ করুন।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
রক্তে অত্যাধিক মাত্রায় কোলেস্টরেল লিভারে ফ্যাট জমতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত তেল মশলা যুক্ত খাবার কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরে কোলেস্টেরলের নিয়ন্ত্রণ করলে ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার
যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য জন্য চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খুবই বিপদজনক। তাছাড়া বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের লিভারে চর্বি জমে। সেক্ষেত্রে তাদের জন্য চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার একেবারেই নিষিদ্ধ।
রসুন
রসুন যেমনি খাবারে স্বাদ বাড়ায় তেমনি এর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। রসুন অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি কমাতে সাহায্য করে। ওজন কমাতে মানুষ নিয়মিত রসুন খেয়ে থাকে। যেহেতু অতিরিক্ত চর্বি বা মেদ ফ্যাটি লিভারের জন্য দায়ী তাই আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় রসুন রাখতে পারেন।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
বাড়তি ওজন শরীরে নানান ধরনের অসুখ-বিসুখ ডেকে আনে। তার মধ্যে ফ্যাটি লিভার মূলত অতিরিক্ত ওজন থেকে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ফ্যাটি লিভার থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে।
নিয়মিত ব্যায়াম
নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের নানা উপকার করে। আর বিশেষ করে ফ্যাটি লিভারে ব্যায়াম অত্যন্ত জরুরী। প্রতিদিন সকালে ২০-২৫ মিনিট ব্যায়াম করুন। লিভারের যেকোনো সমস্যা সমাধানে ব্যায়াম এর কোন জুড়ি নেই। ব্যায়ামের পাশাপাশি শারীরিক পরিশ্রম ও হাঁটাহাঁটি করতে ভুলবেন না।
লেবু ও মধু মেশানো পানি
আমরা সকলে লেবু ও মধুর উপকারিতা সম্পর্কে অবগত রয়েছি। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি।সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস লেবু ও মধু মেশানো পানি খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়। লিভারে চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে লেবু।
অ্যালকোহল এবং ধূমপান এড়িয়ে চলুন
অ্যালকোহল এবং ধূমপান সেবন বন্ধ করুন। বিশেষ করে অ্যালকোহল গ্রহণের কারণে হয়ে থাকে। ফ্যাটি লিভার থেকে লিভার সিরোসিস এবং লিভার ফেইলর ও হতে পারে। ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি পেতে গেলে অ্যালকোহল এবং ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
যকৃতে প্রদাহ কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার খুবই কার্যকরী। এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে লিভারের প্রদাহ এবং ফোলাভাব কমে যায়।
ফ্যাটি লিভার টেস্ট:
ফ্যাটি লিভার এই রোগটি সাধারণত নীরব ঘাতক। প্রাথমিক অবস্থায় এ রোগের কোন লক্ষণ বোঝা যায় না। কিন্তু সমস্যা যখন গুরুতর হয় তখন কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। যা উপরোক্ত আলোচনায় আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি। এসব লক্ষণ কোন ব্যক্তির মধ্যে দেখা গেলে বিভিন্ন ধরনের টেস্টের মাধ্যমে লিভারের রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। আসুন ফ্যাটি লিভার টেস্টের নাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
লিভার ইমেজিং
এমআরআই, আল্ট্রা সাউন্ড স্ক্যান, সিটি স্ক্যান এর মাধ্যমে লিভারের রোগ নির্ণয় করা হয়।
লিভার বায়োপসি
এই পরীক্ষায় লিভার থেকে একটা টিস্যু নেওয়া হয় এবং তা থেকে লিভারের অসুস্থতার তীব্রতা নির্ধারণ করা হয়।
হেপাটিক ইলাস্টোগ্রাফি ফাইব্রোস্কয়ান
এই পরীক্ষাটি একটি বিশেষ আল্টাসাউন্ড এর মাধ্যমে লিভারে চর্বির পরিমাণ, লিভার কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দাগের টিস্যুর পরিমাণ পরিমাপ করা হয়ে থাকে।
প্রিয় পাঠক, আশা করি, ফ্যাটি লিভার পরীক্ষা করার জন্য কি কি টেস্ট করতে হয় সে সম্পর্কে আপনারা অবগত হয়েছেন। সাধারণত এ সকল টেস্ট করলেই লিভারের যাবতীয় সমস্যা ধরা পড়ে। এবার আসুন, ফ্যাটি লিভার কি ভালো হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
ফ্যাটি লিভার কি ভালো হয় :
লিভারের কোষগুলোতে চর্বি জমে যাওয়ার ফলে ফ্যাটি লিভার রোগ হয়। এটি সাধারণত অ্যালকোহল গ্রহণকারী লোকদের বেশি হয়। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বে এমন অনেক লোক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত যারা অ্যালকোহল গহন করেন না। বিশেষ করে উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, শরীরে অতিরিক্ত ওজন, অতিরিক্ত তেল মশলার খাবার ইত্যাদি ফ্যাটি লিভারের সৃষ্টি করতে পারে।
ফ্যাটি লিভারের বেশ কিছু লক্ষণ আছে যা থেকে জানা যায় ফ্যাটি লিভার হয়েছে কিনা। অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন ফ্যাটি লিভার কি ভাল হয়? বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্যাটি লিভার রোগ সহজে চিকিৎসা করা যায় না, তবে সুষম খাদ্য গ্রহণ, সঠিক ওজন বজায় রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম,ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
তাছাড়া ফ্যাটি লিভারের সবুজ শাক সবজির কোন জুড়ি নেই। ডায়াবেটিস ও উচ্চ কোলেস্টেরল রোগীদের সব সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে। নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে লিভারের সমস্যা সমাধান পাওয়া যায়। শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি ফ্যাটি লিভার থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
তাই ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আর অবশ্যই অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকুন। চিকিৎসকরা যেভাবে ডায়েট করতে বলবে আপনি যদি সেভাবে সকল নিয়ম মেনে চলতে পারেন তাহলে ফ্যাটি লিভার রোগ ভালো করা সম্ভব।
লেখক এর মন্তব্য :ফ্যাটি লিভার কি ভালো হয় -ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণে আপনারা হয়তো ফ্যাটি লিভার কি ভালো হয় এবং ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।বিশেষ করে যেসব ব্যাক্তি অ্যালকোহল পান করেন তাদের ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। এছাড়া আরো নানা কারণ থাকে ফ্যাটি লিভারের যা উপরোক্ত আলোচনায় আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি।
সুষম খাবার, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, শারীরিক ব্যায়াম এবং চিকিৎসকের পরামর্শে জীবন যাপন করলে ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাছাড়া ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ সম্পর্কে আমরা আলোচনা করেছি। এসব লক্ষণ পরিলক্ষিত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফ্যাটি লিভার টেস্ট সম্পর্কে ও আমরা আলোচনা করেছি।যার মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন ফ্যাটি লিভার হলে কি কি টেস্ট করতে হয়।
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করে তাদেরো পড়ার সুযোগ করে দিন। আর আপনার বিশেষ কোন মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url