ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম - ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম
ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। তাছাড়া ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকে গুগলের কাছে জানতে চান। ত্বকের যেকোন সমস্যার সমাধান পেতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর গুরুত্ব অপরিসীম। আপনারা যদি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর বহুমুখী ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চেয়ে এই ওয়েবসাইটের মধ্যে আসেন তাহলে ঠিক জায়গায় এসেছেন।এ সকল বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।
আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা চুলের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ব্যবহার, চুলের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুলের উপকারিতা, ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম, কোন কোন খাবারে ভিটামিন ই পাওয়া যায়, ভিটামিন ই ক্যাপসুলের দাম ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব।
চুলের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার:
বর্তমান সময়ে কর্মব্যস্ততার কারণে ত্বক এবং চুলের যত্ন নেওয়ার সময় অনেকেই পায় না। এবং অনেকেই ভাবতে থাকে চুলের যত্ন কিভাবে করবেন। বাজারে নানান ধরনের কেমিক্যাল জাতীয় তেল ও শ্যাম্পু ব্যবহার করতে অনেকে ভয় পায়। যেন চুল না ড্যামেজ হয়ে যায়। চুলের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর কোন জুড়ি নেই। ভিটামিন ই ক্যাপসুলে থাকা বিভিন্ন উপাদান চুলের জন্য বেশ উপকারী। ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলের যত্নে কিভাবে ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ acteria পাউডার খাওয়ার নিয়ম।
তেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ব্যবহার:তেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালোভাবে মেসেজ করুন। ভিটামিন ই যুক্ত তেল ব্যবহারের ফলে চুল বৃদ্ধি পায়। এবং চুলের ড্যামেজ প্রতিরোধ হয়।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও অ্যালোভেরা জেলের ব্যবহার:পরিমান মত এলোভেরা জেল এর সঙ্গে দুইটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল তেল এবং পরিমাণ মতো গোলাপজল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করে নিন। এটি ভালোভাবে চুলের গোড়া এবং সম্পূর্ণ চুলের মাসাজ করুন। এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুইবার এই হেয়ার মাস্কটি ব্যবহার করলে চুল পড়া সমস্যা দূর হবে এবং গোড়া মজবুত হবে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল, ডিম এবং জোজোবা ওয়েল:এই মাস্কটি তৈরি করার জন্য একটি বাড়িতে একটি ডিম নিন। এর মধ্যে দুইটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল কেটে ভেতরের তেল বের করে নিন।এরপর এক চামচ জোজোবা অয়েল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রনটি ভালোভাবে চুলের গোড়া এবং পুরো চুলে লাগিয়ে নিন। এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে পরিষ্কার করেচুল ধুয়ে নিন। এই মাস্কটি সপ্তাহে একবার ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল, মধু এবং দই:এই মিশ্রণটি তৈরি জন্য দুই চামচ মধু, আধা কাপ দই এবং তিন থেকে চারটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ভেতরে থাকা তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণটি সম্পূর্ণ চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ভালোভাবে চুল ধুয়ে নিন।সপ্তাহে দুইবার এই মিশ্রণটি চুলে লাগালে চুলের খুশকি সমস্যা দূর হবে এবং চুল চকচক করবে।
আশা করি, চুলের যত্ন নিতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল কিভাবে ব্যবহার করবেন সে বিষয়ে আপনারা জানতে পেরেছেন। চুলের যত্ন ছাড়াও ভিটামিন ই রূপচর্চায় বিশেষ কাজ দেয়। নিচের আলোচনায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে ও আলোচনা করব।
চুলের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা:
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলের জন্য যে সকল উপকার করে থাকে তা আলোচনা করা হলোঃ
- চুলের গোড়ায় রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে দেয় এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
- চুল পড়া কমায় ও চুল স্বাস্থ্যউজ্জল করে
- চুল পাকা রোধ করে
- চুলের আগা ফাটা রোধ করে
- চুল চকচকে ও মসৃণ করতে সাহায্য করে
- তেল উৎপাদনের ভারসাম্য রাখে বজায় রাখে
- মাথার ত্বক স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে
ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম:
সঠিক নিয়ম মেনে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে লাগালে মুখের ত্বক হবে ফর্সা ও স্বাস্থ্য উজ্জ্বল। রূপচর্চায় সবুজ রঙের ভিটামিন ই ক্যাপসুলই যথেষ্ট। ড্রাই স্কিন এবং তৈলাক্ত স্কিনের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার আলাদা হয়ে থাকে। নিয়মিত ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের ফলে ত্বক থাকবে নরম ও কোমল । রূপচর্চা ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানা উচিত। রূপচর্চা ভিটামিন ই ক্যাপসুল কিভাবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং গোলাপজল:ভিটামিন ই ক্যাপসুল সরাসরি মুখের না লাগানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সে ক্ষেত্রে দুই চামচ গোলাপ জল এর সাথে একটি ই ক্যাপসুল এর তেল মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। আধা ঘন্টা রাখার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে মুখ ধুয়ে নিন।
অ্যালোভেরার সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে:আমরা সবাই জানি অ্যালোভেরা জেল মুখের ত্বকের জন্য কতটা কার্যকরী। অ্যালোভেরা জেল মুখের আদ্রতা ধরে রেখে মুখেকে টান টান রাখতে সাহায্য করে। দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল এর সাথে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ভেতরে থাকার তেল এর সাথে অল্প একটু গোলাপ জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণ টি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে পরে মুখ ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন।
আরো পড়ুনঃ রক্তশূন্যতার লক্ষণ গুলো কি কি।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেসলিনের সাথে মিশিয়ে:মসৃণ, গোলাপি এবং সুন্দর নরম কমল ঠোঁট কে না চায়। শীতে আপনার ফাটা ঠোঁট নরম, কোমল এবং গোলাপি করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনার ব্যবহৃত ভ্যাসলিনের সঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়মিত ঠোঁটে ব্যবহারে কালো ঠোঁট এ গোলাপি আভা এনে দেয় এবং ফাটা ঠোঁটের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বাদাম তেলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে:খাঁটি এক চামচ বাদাম তেলের সাথে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল তেল মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহারের ফলে চোখের নিচে কালো দাগ দূর হয়ে যায়।
নাইট ক্রিমের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে:আপনি যে নাইট ক্রিমটা ব্যবহার করেন তার সাথে ২-৩টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে রাখুন। তারপর নিয়মিত রাতে এই নাইট ক্রিম মুখে লাগান। নিয়মিত ব্যবহারে খুব ভালো ফলাফল পাবেন।
বডি লোশনের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে:যেভাবে নাইট ক্রিমের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে রেখে ব্যবহার করতে হয়। ঠিক সেই রকম বডি লোশনের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল মিশিয়ে রেখে শরীরে লাগান। ফলাফল আপনি নিজেই দেখতে পাবেন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর সাথে পাকা পেঁপে দিয়ে ফেসপ্যাক:সামান্য একটু পাকা পেঁপে পেস্ট করে নিয়ে তার সাথে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন। যাদের ত্বক শুষ্ক এই নিয়মে প্রতিদিন ব্যবহার করলে খুব ভালো একটা রেজাল্ট পাবেন। আর যাদের ত্বক তৈলাক্ত সপ্তাহে ২-৩ দিন করলে যথেষ্ট।
ব্রণের কালো দাগ দূর করতে ই ক্যাপ যেভাবে ব্যবহার করবেন:অনেক দিনের ব্রণের কালো দাগ দূর করতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর তেল নিয়মিত ব্যবহার করুন। প্রতিদিন কালো দাগ বা ব্রনের দাগের উপর দুই ফোঁটা ভিটামিন তেল লাগিয়ে রাখুন। ধীরে ধীরে ব্রনের কালো দাগ দূর হয়ে যায়।
টি ট্রি ওয়েল এবং ভিটামিন ই ক্যাপ মিশিয়ে:টি ট্রি ওয়েল ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। টি ট্রি অয়েল এর বিশেষ কিছু উপাদান ত্বকের অ্যাকনের সমস্যা থেকে সমাধান করে। অপরদিকে ভিটামিন ই এ থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকে নানান উপকার করে থাকে। একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল এর সাথে ৩-৪ ফোটা টি ট্রি অয়েল এবং এক চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ত্বক ফর্সা হয় মসৃণ ও স্বাস্থ্য উজ্জ্বল হয়।
আরো পড়ুনঃ ইনডেভার ১০ বেশি খেলে কি হয়?
এসব ছাড়াও রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে। সঠিক নিয়মে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে উত্তরটা করলে অন্য কোন প্রোডাক্ট ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে না। আশা করি, ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আপনারা অবগত হয়েছেন।
রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা:
রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর গুরুত্ব অপরিসীম। ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর বিভিন্ন উপাদান আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। এছাড়া এর সহজলভ্য দাম সবার হাতের নাগালে হওয়ায় সকল শ্রেণীর মানুষ ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে রূপচর্চা, চুলের যত্ন এবং শরীরে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর চাহিদা পূরণ করতে পারে। উপরের অংশে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জেনেছি। এবার আসুন রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুলের উপকারিতা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলোঃ
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের সিরাম এর কাজ করে
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল ময়েশ্চারাইজ এর কাজ করে
- মুখের পুরনো কালো দাগ তুলতে সাহায্য করে
- ত্বকের বলিরেখা দূর করে
- নিয়মিত ব্যবহারের মুখে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল রাতে নাইট ক্রিমের কাজ করে
- চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে
- ঠোটের কালো রং দূর করে ঠোঁটে গোলাপি আভা দেয়
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম:
ভিটামিন ই ক্যাপ মানুষের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন। মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের প্রয়োজন পড়ে। ভিটামিনের অভাবে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই হয়। ভিটামিন ই মানুষের শরীরে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। চুল পড়া, শরীরকে সতেজ রাখা,হাড় মজবুত করা, বন্ধ্যাত্বের সমস্যা সমাধান ইত্যাদি ভিটামিন ই এর কাজ।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। আবার ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম না জেনে খেলে একজন মানুষ বিপদে সম্মুখীন হতে পারে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম যেমন রয়েছে তেমনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম ও রয়েছে। কোন ঔষধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়। তবে অতিরিক্ত চুল পড়া এবং শরীর খসখসে হয়ে গেলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার কিছু নিয়ম সম্পর্কে নিচে আলোচনা করব।
আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম
ভিটামিন ই ক্যাপসুল মূলত ২০০ IU এবং ৪০০ IU হয়ে থাকে। ২০০ IU হলে ১-২ টা দিনে খাওয়া যেতে পারে। আবার ৪০০ IU হলে দিনে একটু বেশি খাওয়া উচিত নয়। এটা খাওয়ার সর্বোত্তম সময় হলো সন্ধ্যায় নাস্তার পর অথবা রাতে খাবারের ৩০-৪০ মিনিট পর। নিয়ম মেনে একমাস খেলে আপনি বিভিন্ন সমস্যা থেকে সমাধান পাবেন। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০০-৪০০ IU প্রতিদিন।
এবং শিশুদের জন্য যাদের ভিটামিন ই এর স্বল্পতা রয়েছে ২০০IU প্রতিদিন খাওয়ানো যেতে পারে। অন্যান্য রোগীদের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সঠিক নিয়ম মেনে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে হবে। মনে রাখবেন ভিটামিন ই ক্যাপসুল অতিরিক্ত সেবনের ফলে শরীরের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ভিটামিন ই ক্যাপসুল সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
যাদের ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া যাবে না:
ভিটামিন ই ক্যাপসুল শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে সব অবস্থাই ভিটামিন ই কাপসুল সেবন করা যায় না যেমন
- গর্ভবতী অবস্থায় এবং স্তন্যদান কালীন সময়
- যেসব রোগীদের কিডনি রোগ রয়েছে
- যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে
- সেসব রোগীদের হাই কোলেস্টেরল রয়েছে
- যেসব রোগীদের ডায়াবেটিস রয়েছে
- যেসব রোগীদের রক্ত রোগ রয়েছে
ভিটামিন ই ক্যাপসুলের দাম:
ভিটামিন এ ক্যাপসুলের দাম সম্পর্কে অনেকের জানার আগ্রহ থাকে। কেন নাম ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের শরীরের নানা ধরনের উপকার করে। আমরা সচরাচর ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার করে থাকি। তাই সবারই ভিটামিন ই ক্যাপসুলের দাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভালো। প্রথমে বলে রাখি ভিটামিন ই ক্যাপসুল তিন ধরনের হয়। ভিটামিন ই 200 IU ভিটামিন ই 400 IU এবং ভিটামিন ই 600 IU।
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল 200 UI unit price =7.00 Tk strip price= 75.00 Tk
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল 400 UI unit price=7.00 Tk strip price = 105 Tk
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল 600 UI unit price =8.00Tk strip price =80 Tk
আশা করি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের দাম এবং ধরন সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন। এবার আসুন কোন কোন খাবারে ভিটামিন ই পাওয়া যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করি।
কোন কোন খাবারে ভিটামিন ই পাওয়া যায়:
ভিটামিন ই আমাদের শরীরে নানা উপকার করে থাকে।হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, বার্ধক্য জনিত সমস্যা এবং বন্ধ্যাত্বের সমস্যা সমাধানে ভিটামিন ই ভূমিকা পালন করেন। তো কচুরের যত্নে ভিটামিন ই খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। দৈনন্দিন খাবারের মাধ্যমে আমরা ভিটামিন ই গ্রহণ করে থাকি। ভিটামিন ই বিভিন্ন খাবারে মাধ্যমে পাওয়া যায়। নিচে ভিটামিন ই জাতীয় খাবার নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ
- বিভিন্ন ধরনের বাদাম
- অ্যাভোকাড
- মিষ্টি কুমড়ার বিচি
- সূর্যমুখী বীজ
- আখরোট
- আমন্ড
- অলিভ অয়েল
- রাইস ব্র্যান ওয়েল
- ব্রোকলি
- পালং শাক
- বাঁধাকপি
- কিউই ফল
- সামুদ্রিক মাছ যেমন (স্যালমন মাছ)
- উদ্ভিজ্জ তেল যেমন সূর্যমুখী তেল, কুসুম তেল।
- ডিম
ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে খাওয়ার থেকে খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন ই শরীরের গেলে তা আমাদের শরীরে খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে।শরীরে ভিটামিন ই এর চাহিদা পূরণ করতে ভিটামিন ই যুক্ত খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখুন। এছাড়া রূপচর্চা, চুলের যত্ন, ত্বকের যত্নে ভিটামিন কোন জুড়ি নেই। আশা করি, কোন কোন খাবারে ভিটামিন ই পাওয়া যায় সেটা আপনারা জানতে পেরেছেন।
লেখক এর মন্তব্য :ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম-ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক, আশা করি, এতক্ষণে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। ভিটামিন ই ক্যাপসুলের বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে।
তার মধ্যে ত্বক ফর্সা করতে, চুলের যত্নে এবং শরীরের বিভিন্ন রোগবালাই দূর করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর কোন জুড়ি নেই। উপরোক্ত আলোচনায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম, রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুলের উপকারিতা, চুলের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ব্যবহার সম্পর্কে জেনেছি।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আর্টিকেলটি পড়ে আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের এই সাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url