বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা কি এবং ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক গুলো সম্পর্কে অবগত নন বলেই এই আর্টিকেলটিতে ক্লিক করেছেন। আপনাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকেলে বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা কি এবং ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করবো। যা ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে একবার হলে ও আপনার পড়া উচিত।
এছাড়া এই আর্টিকেলে আরো জানবেন ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম, ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি এবং গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।
ভূমিকা: বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা - ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক
ড্রাগন এমন একটি ফল যাকে অনেকেই পুষ্টির ভান্ডার বলে থাকে। এর বৈজ্ঞানিক নাম Hylocereus। ড্রাগন সাধারণত উজ্জ্বল গোলাপি বা লাল রঙ্গের হয়ে থাকে। যার ভিতরের অংশ জাতভেদে লাল বা সাদা হয়ে থাকে এবং ভিতরের বীজ হয় কালো। ড্রাগন ফল সাধারণ অধিক রোদে ভালো জন্মে এবং ফলটি বড় আকারের হয়ে থাকে।
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুনের কারণে সকলের কাছে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলটি কেবলমাত্র খেতেই সুস্বাদুই নয়, এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, খনিজ, ম্যাগনেশিয়াম ও আয়রন থাকে যা আমাদের স্বাস্থ্য উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ড্রাগন ফল সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে সমস্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা
ড্রাগন ফল দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি পুষ্টিগুনে ও ভরপুর। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য অনেক বেশি উপকারী এই ফলটি। যা তাদের শারীরিক বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। ড্রাগন ফলে থাকা পুষ্টিগুন বাচ্চাদের শারীরিক উন্নতির পাশাপাশি মানসিক বিকাশে ও বেশ কার্যকারী। চলুন জানি বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে-
বাচ্চারা অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে থাকে, তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বলে। এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পেতে ড্রাগন ফল খাওয়া যেতে পারে। কারন ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। যা বাচ্চাদের রোগ থেকে রক্ষা করে সুরক্ষিত রাখে এবং বাচ্চারা কম অসুস্থ হয়।
বাচ্চাদের শারীরিক বৃদ্ধিতে ড্রাগন এক পুষ্টিগুন সম্পূর্ন খাবার। যা খেলে বাচ্চারা অতিদ্রুত লম্বা হয় এবং স্বাস্থ্যবান হয়। ড্রাগন ফলে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম যা শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের হাড় এবং দাঁতের গঠন মজবুত করতে সহায়তা করে। এছাড়া ড্রাগন ফল বাচ্চাদের শক্তি বৃদ্ধিতে ও কাজ করে।
অনেক বাচ্চা রয়েছে যাদের বয়সের তুলনায় ওজন কম বা বেশি হয়ে থাকে। এই ওজন কম বেশি হওয়া থেকে মুক্তি পেতে, বাচ্চাদের ড্রাগন খায়ানো যেতে পারে। কারণ ড্রাগন ফল অনেক লো-ক্যালোরি যুক্ত হওয়াতে। বাচ্চার ওজন কম বা বেশি না হয়ে ওজন স্বাভাবিক থাকে। এছাড়া বাচ্চাদের দৃষ্টিশক্তি ও ভালো থাকে ড্র্রাগনে থাকা ভিটামিন-এ থাকার কারনে।
বাচ্চাদের হজম প্রক্রিয়া অনেক সক্রিয় হয়ে থাকে। বাহিরের খাবার খেলে তার সহজে হজম করতে পারেনা। যার কারণে বাচ্চাদের পেট ফুলে যাওয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তাই বাচ্চাদের সেই সকল বাহিরের খাবার না দিয়ে ড্রাগন ফল খাওয়াতে পারেন। ড্রাগন ফলে থাকা আঁশ জাতীয় উপাদান বাচ্চাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকঠিন্য হওয়া থেকে রক্ষা করে।
ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক
সবকিছুরই ভালো এবং খারাপ দিক রয়েছে। তেমনি ড্রাগন ফলের যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমনি রয়েছে এর ক্ষতিকর দিক। ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে অবশ্যই তার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। যাতে আমাদের শরীরে ক্ষতিকর কোন প্রভাব না ফেলে। চলুন জানি ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে-
যাদের ঘন ঘন পেট খারাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য ড্রাগন ফল এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষ করে যাদের হমজ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক নয়, তাদের জন্য ড্রাগনে থাকা উচ্চ ফাইবার পেট খারাপ বা ডাইরিয়ার মত সমস্যা আরো বৃদ্ধি করতে পারে। তাই খাওয়ার আগে আপনার এই ধরনের সমস্যা রয়েছে কিনা তা জেনে খাওয়া উচিত।
অনেকই রয়েছে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা এবং তা ড্রাগন ফলে ও রয়েছে। তাহলে তাদের ড্রাগন ফল না খাওয়াই উত্তম। কারণ ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট, চুলকানি অথবা মুখ ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রাথমিক অবস্থায় অল্প পরিমানে ড্রাগন ফল গ্রহন করুন। যদি কোন সমস্যা না দেখা দেয়, তাহলে পরিমিত পরিমানে খেতে পারেন।
ড্রাগন ফল মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়, এতে করে পেটে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। এছাড়া যারা উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঔষধ খেয়ে থাকেন তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ ড্রাগন ফল উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে ফলে এটি ঔষধের সাথে বিক্রিয়া করে রক্তে থাক শর্করার মাত্র অনেক বেশি কমিয়ে দিতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীদের চিনি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। যার মধ্য ড্রাগন ফল একটি কারণ এতে প্রাকৃতিক চিনি বিদ্যমান রয়েছে। যা ডায়াবেটিস এর পরিমান বৃদ্ধি করতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ড্রাগন খাওয়ার পূবে ডাক্তারের পরার্মশ নেয়া উচিত।
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিদিষ্ট কোন নিয়ম কানুন নেই। উপযুক্ত স্বাদ ও পুষ্টিগুন উপভোগ করতে কিছু ধাপ অনুসরণ করা উচিত। সেই ধাপ গুলো অনুসরণ করলে উপযুক্ত স্বাদ ও স্বাস্থ্যকর উপাদান আমরা সহজেই পেতে পারি। চলুন জানি ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত-
প্রথমে আপনাকে খাওয়া উপযোগী একটি ফল বাঁছাই করতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে যাতে ফলটি অনেক বেশি শক্ত বা নরম না হয়। এছাড়া যেই ড্রাগন ফলগুলো উপরের অংশ সবুজ হয়ে থাকে সেগুলো না খাওয়াই উত্তম। এই ধরনের ফলগুলোতে নান ধরনের ক্যামিকেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ফলটি পরিষ্কার পানিতে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। যাতে করতে এতে যদি কোন ক্যামিকেল বা ফরমালিন ব্যবহার করা হয়, তা পানির সাথে ধুয়ে কিছুটা কমে যাবে। তাই ফলটি অবশ্যই ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর আপনার যেভাবে ইচ্ছা ফলটি কাটতে পারেন এবং উপরের খোসা বাদে ভিতরের বাকি অংশটুকু খেতে পারেন।
ড্রাগন ফল দিন বা রাত যেকোন সময় খাওয়া যেতে পারে। তবে অধিক পরিমানে পুষ্টিগুন পেতে সকালের নাস্তায় এবং দুপুরের খাবার খাওয়ার পার খেতে পারেন, যা শরীরের জন্য উপকারি। এছাড়া খালি পেটে খেলে ও হজমশক্তিতে ভালো কাজ করে। তবে আপনি ড্রাগন ফল বিকালের নাস্তায় বা রাতের খাবারের পর ও খেতে পারেন।
ড্রাগন ফল আপনার যেখাবে ইচ্ছা খেতে পারেন। আপনি চাইলে সরাসরি কেটে খেতে পারেন অথবা জুস করে খেতে পাবেন। এছাড়া সলাদের সাথে মিশিয়ে, দুধ বা দইয়ের সাথে মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তবে যেখাবেই খান না কেন, মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যাতে পেট খারাপের মত সমস্যা না হয়।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
নারীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো গর্ভাবস্থা। এই সময় নারীদের শারীরিক যত্নের পাশাপাশি সুস্থ থাক জুরুরি। সেই সাথে গর্ভে থাকা শিশুর সুস্থতার বজায় রাখা উচিত। গর্ভাবস্থায় নারীদের জন্য ড্রাগন ফল একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার, খেতেই হবে এমন না তবে খেলে গর্ভবতী মা ও শিশু দুজনের জন্যই উপকারি। চলুন জানি গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে-
গর্ভে থাকা শিশুর মস্তিষ্ক এভং স্নায়ুতন্ত্র বিকাশে গুরুত্ব পূর্ন হলো ফলেট। এই উপাদান শিশুকে নার্ভ টুব ডিফেক থেকে রক্ষা করে থাকে। আর এই ফলেট প্রচুর পরিমানে বিদ্যমান রয়েছে ড্রাগন ফলে। গর্ভবতী মা নিয়মিত ড্রাগন খাওয়ার ফলে শরীরে প্রচুর পরিমানে ফলেট উৎপন্ন হয়। যা গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন।
আরো পড়ুনঃ মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
গর্ভবতী মায়ে গর্ভাবস্থায় কোন ঔষধ খেতে পারেন না বা খাওয়া যায় না। সেই জন্য গর্ভবতী মায়েদের সুস্থ থাকা অত্যন্ত জরুরি। সেজন্য তাদের সেই সকল খাবার খাওয়া উচিত, যা খাওয়ার ফলে তাদের শরীরে ভিটামিন সি উৎপন্ন হয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সেজন্য ড্রাগন ফল খাওয়া যেতে পারে। যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে গর্ভবতী মা ও গর্ভে থাকা শিশুকে সুরক্ষা প্রদান করে।
গর্ভবতী মায়েদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় পানি শূণ্যতা। যা তাদের শরীরকে অনেক চড়া বা খিটখিটে করে তোলে। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে গর্ভবতী মায়েরা ড্রাগন খেতে পারেন। কারণ ড্রাগন একটি পানি জাতীয় ফল এবং এতে ভিটামিন ও খনিজ প্রচুর পরিমানে থাকে। যা গর্ভবতী মায়ের পানি শূণ্যতা রোধ করে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে।
গর্ভাবস্থায় মেয়েরা অনেক বেশি মানসিক চাপে থাকেন। বিশেষ করে তারা অনেক ভয়ে থাকে তার এই গর্ভে থাকা সন্তান কে নিয়ে। যা মানসিক চাপ বা উদ্বেগের প্রধান কারণ। এই সমস্যা থেকে থেকে ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। যা ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমানে রয়েছে। ড্রাগন খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়েদের মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।
ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি
ড্রাগন ফলের নিদিষ্ট দাম নির্ধারণ করা অনেকটা কঠিন। কারণ ড্রাগন ফলের দাম একেক সময় একেক হয়ে থাকে। একেক জায়গায় এককে ধরনের দাম হয়ে থাকে। এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনি কোন সময়টাতে ড্রাগন ফল কিনছেন? কোথায় থেকে কিনছেন আরো অন্যান্য বিষয়ের উপর। আর ড্রাগনের দাম এই কারণেই নির্ধারণ করা কঠিন করণ আজ যে দাম থাকে কাল আরেক দাম হয়ে যায়।
- বর্তমান ড্রাগন ফলের দাম- প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
তবে জাতভেদে এবং কেনার অবস্থানের উপর নির্ভর করে দাম কম বা বেশি হতে পারে। আপনি যদি কোন লোকাল বাজার বা মার্কেট থেকে ক্রয় করেন তাহলে এই রকম দামের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। যদি কোন সুপারশপ থেকে ক্রয় করেন তাহলে দাম কিছূটা বেশি হতে পারে। তবে কিনার আগে অবশ্যই বাজার যাচাই করে নিবেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য: বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা - ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক
প্রিয় পাঠক, এতক্ষনে বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এবং ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক কি কি রয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছের। আবার ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি, ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম এবং গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে সকল তথ্য জেনেছেন।
ড্রাগন ফল আমাদের জন্য স্বাস্থ্য উপযোগী একটি খাবার। এই ফল নিয়ম মেনে খেলে পর্যাপ্ত পুষ্টিগুন পাওয়া সম্ভব। এই ফল অতিরিক্ত খেলে ক্ষতির কারন হতে পারে। তাই খাওয়ার আগে অবশ্যই উপরে উল্লেখিত বিষয় সম্পর্কে জানা উচিত। তাই নিয়মিত পরিমান মত ড্রাগন ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং সুস্থ থাকুন।
অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতক্ষন আমাদের পাশে থাকায় এবং আপনার মূল্যবান সময় নিয়ে আর্টিকেলটি পড়ায় আপনাকে সুস্বাগতম। এইরকম পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। এছাড়া কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url