সকালে গরম পানিতে লেবুর রস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

সকালে গরম পানিতে লেবুর রস খাওয়ার উপকারিতা এবং গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে কি ওজন কমে কি না তা জানতে চেয়ে এই আর্টিকেলটিতে ক্লিক করেছেন। আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের জানাবো সকালে গরম পানিতে লেবুর রস খাওয়ার উপকারিতা এবং গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে কি ওজন কমে এবং এর উপকারিতা।
গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে কি ওজন কমে
এছাড়া সকালে খালি পেটে লেবু পানি খাওয়া ভালো না খারাপ, লেবু খেলে যেসব রোগ ভালো হয় এবং লেবু পানি খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে আপনাদের সঠিক ধারণা দিবো ইনশাআল্লাহ।
পোস্ট সূচিপত্র: 

সকালে গরম পানিতে লেবুর রস খাওয়ার উপকারিতা

লেবু আমদের শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করে । সকালে গরম পানিতে লেবুর রস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সকলের কম বেশি ধারণা রয়েছে তবে এই বিষয়ে খুঁটিনাটি বিস্তারিত জানাবো এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। সকালে গরম পানিতে লেবুর রস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আসুন জেনে নেই।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সকালে খালি পেটে লেবুর রস খাওয়া অনেক উপকারী কেননা লেবুর রসে রয়েছে মিনারেল যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। হালকা কুসুম গরম পানি এবং লেবুর রস নিয়মিত সকালে খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পাচনতন্ত্র সতেজ রাখে।
সকালে গরম পানিতে লেবুর রস খাওয়ার উপকারিতা
ত্বক ভালো রাখতে নিয়মিত সকালে লেবু খাওয়া খুব জরুরি কেননা কুসুম গরম পানির সাথে লেবু খেলে এতে শরীরের বিষাক্ত টক্সিন শরীর থেকে বের হয়ে যায় এবং ত্বক সতেজ রাখে। ত্বকে কোলাজেন বৃদ্ধি করতে লেবুতে উপস্থিত ভিটামিন সি ব্যাপক কাজ করে। ত্বকে বলি রেখা দূর করে, ত্বকে জেল্লহা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও লেবুর রস খেলে শরীরে ফুসকুড়ি, ব্রণ, অ্যালার্জি জনিত সমস্যা সমাধান করতেও সাহায্য করে।
সকালে এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে সাড়া দিন আপনার ক্লান্তি ভাব দূর করবে। শরীর কে সাড়াদিন হাইড্রেড রাখতে সাহায্য করে। লেবুর রসে রয়েছে পেকটিন ফাইবার যা ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে ক্যালরি বার্ন করে এতে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যায়।

সকালে খালি পেটে কুসুম গরম পানি আর লেবুর রস খেলে তা শরীরে ক্ষারীয় প্রভাব ফেলে এবং এটি আমাদের শরীরে পিএইচ ভারসাম্য রক্ষা করে । লেবুর রস প্রাকৃতিক ভাবে ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে। লেবুতে উপস্থিত সাইট্রিক অ্যাসিড বিপাক ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, ফলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি দ্রুত পুড়তে সাহায্য করে।

সকালে খালি পেটে লেবু পানি খাওয়া ভালো না খারাপ

সকালে খালি পেটে লেবু পানি খাওয়া নিয়ে অনেকের ই ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। অনেকেই সকালে খালি পেটে লেবু খাওয়া ভালো মনে করেন আবের অনেকেই এটি শরীরের ক্ষতি বলে মত পেষণ করে থাকে। সুতরাং এই বিষয়টি নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো কোনটি সঠিক।

লেবু পানি শরীরের জন্য অনেক উপকারী, যা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু সকালে খালি পেটে লেবু পানি খাওয়ার ব্যাপারে বয়স ভেদে অথবা শরীরের অন্যান্য রোগ বিষয়াদির কথা বিবেচনা করে এই পানীয় পান করার কিছু সীমাবদ্ধও রয়েছে। সকালে খালি পেটে লেবু পানি খেলে লেবুতে অবস্থিত অ্যান্টিইনফ্লেমারি উপাদান এর উপস্থিতির কারনে দাঁতের ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে। অপরদিকে, লেবুর রসে অবস্থিত অ্যাসিড দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এতে দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

সকালে খালি পেটে লেবু খাওয়া অবশ্যই ভালো তবে যাদের আগে থেকেই অ্যাসিডিটি সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সকালে খালি পেটে লেবু খাওয়া হতে পারে অ্যাসিডিটির সমস্যার অন্যতম একটি কারণ। এতে বুক জ্বালা-পোড়া করা, ক্ষুধা ভাব লাগা, বেশি পানি পিপাসা পাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হয়। তাই যাদের অ্যাসিডিটি জনিত সমস্যা রয়েছে তারা সকালে খালি পেটে লেবু রস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
সকালে খালি পেটে লেবুর রস পানিতে মিশিয়ে খেলে শরীরের চর্বি কমে যায় এটা যেমন সত্য তেমনি অনেকেরই সকালে খালি পেটে লেবুর রস খেলে প্রেসার লো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে শরীর দুর্বল থাকে সাড়া দিন।

সরাসরি গরম পানি তে লেবুর রস না মিশানোই ভালো কেননা অধিক তাপমাত্রায় ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। তাই চেষ্টা করুন হালকা কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। প্রতি দিন সকালে খালি পেটে লেবুর রস যুক্ত পানি পান করাতে শরীরে হরমনাল ইমব্যালেন্স হতে পারে। তাই নিয়মিত সকালে খালি পেটে লেবুর পানি খাওয়ার বদলে দুই থেকে দিন দিন পর পর সকালে লেবু পানি পান করুন।

গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে কি ওজন কমে

গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ওজন কমে এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল অনেকেই মনে করে থাকে টগবগে গরম পানিতে লেবু রস মিশিয়ে খেলে ওজন কমে যায়। এই কথাটি সত্য নয়। তবে হালকা কুসুম গরম পানি তে লেবু রস মিশিয়ে খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। কিছু নির্দিষ্ট উপায় এর মাধ্যমে লেবু এবং পানির মিশ্রণ সেবনে ঝরে যেতে পারে আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন আসুন জেনে নেই সেই উপায় সমূহঃ
মেটাবলিজম বৃদ্ধি করতে গরম জলে লেবু মিশিয়ে খেলে শরীরে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়, এতে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ন করতে সহায়তা করে। লেবুতে থাকা সাইট্রিক এসিড ব্যায়াম এর সময় ফ্যাট বার্ন করতে ব্যাপক সহায়তা করে। গরম পানির সাথে লেবুর রস শরীরকে হাইড্রেট করে, যা ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় সহায়ক হিসাবে কাজ করে।

গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে পুরো দিন ক্লান্তি ভাব থাকে না ক্ষুধা ভাব কমায় এতে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এভাবে লেবু রস পান করলে বিপাক হার বৃদ্ধি পায় এতে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এতে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমা থাকে না যা মূলত ওজন কমাতে সাহায্য করে।

লেবু খেলে যেসব রোগ ভালো হয়

লেবু শুধু ওজনই কমায় না বরং এর রয়েছে অনেক ঔষুধি গুণাবলী। কিছু কিছু রোগ সারাতে ওষুধ না খেয়ে ঘরোয়া টোটকায় ব্যবহৃত হয় লেবুর রস। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ফসফরাস, লৌহ ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান, যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে সহায়ক হতে পারে।
  • সর্দি-কাশিঃ লেবুতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং আমাদের শরীরকে ঠাণ্ডা জনিত সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এটি সর্দি-কাশি এর সময় দ্রুত রোগ সাড়তে সহায়তা করে।
  • পেটের কৃমিঃ লেবু কৃমি প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে কারন লেবুতে রয়েছে অ্যান্থেলমিন্টিক বৈশিষ্ট্য এর প্রভাবে পেতের কৃমি দূর হয়। এছাড়াও লেবুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ পেটের কৃমি দূর করতে সহায়ক।
  • অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতাঃ লেবু আমাদের শরীরে আয়রনের শোষণ বাড়ায়, যা অ্যানিমিয়া (রক্তস্বল্পতা) প্রতিরোধে সহায়ক। লেবুর সাথে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীর তা আরও ভালোভাবে শোষণ করতে পারে। আমাদের শরীরে ভিটামিন সির প্রয়োজন হয় কেননা আমাদের দৈনন্দিন খাবারে লোহা বা আয়রন থাকে, যা শোষণের জন্য সেজন্য খাবারের সঙ্গে লেবু খেলে রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ লেবু তে অবস্থিত ভিটামিন সি এবং প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। ফলে শরীরকে বিভিন্ন ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে। শরীরের দূষিত টক্সিন শরীর থেকে বের করতে লেবুর রস বেশ কার্যকরী।
  • কিডনির পাথরঃ লেবুতে রয়েছে সাইট্রইক এসিড এবং ন্যানোপার্টিকলস , সাইট্রইক এসিড আমাদের শরীরে কিডনির পাথর উৎপন্ন হওয়ার ঝুঁকি কমায়। যা নিয়মিত লেবু পানি পান করলে কিডনির পাথর তৈরির সম্ভাবনা কমতে পারে। এমনকি কিডনি তে যদি ছোট ছোট পাথর তৈরি হয় তাহলে তা প্রসাবের সাথে গলে যায় নিয়মিত লেবু খাওয়ার ফলে।
  • উচ্চ রক্তচাপঃ একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন প্রয়োজন ৬০ মিলিগ্রাম থেকে ৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। লেবুতে থাকা পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এটি শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং স্ট্রোক এর ঝুঁকি কমাতেও সহায়তা করে।

লেবু পানি খাওয়ার সঠিক সময়

লেবুর রস এর গুণাবলী সমূহ আপনার শরীরে কি ভাবে প্রভাবিত করতে চান তার উপর নির্ভর করে লেবু পানি খাওয়ার সঠিক সময়। লেবু রস খাওয়ার সাধারণ কিছু সময় সম্পর্কে উল্লেখ করা হল যা আপনার দৈনন্দিন জীবনে উপকারে আসবে। নিম্নোক্ত সময় গুলোতে লেবু পানি খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
লেবু পানি খাওয়ার সঠিক সময়
সকালে খালি পেটেঃ সকালে খালি পেটে ৪০০ মিলিগ্রাম হালকা কুসুম গরম পানির সাথে একটি লেবু খেলে শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন শরীরের মেটাপলিজম বৃদ্ধি করতে ওজন কমাতে সাহায্য করে। শরীর কে হাইড্রেড রাখে, ত্বক এর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের কোষ থেকে ক্ষতিকর ফ্রি-র‍্যাডিকেল থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

ব্যায়াম এর পরেঃ ব্যায়াম করার পর শরীরের ক্লান্তি দূর করতে লেবু পানি পান করলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে। শরীর থেকে টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বের হতে সাহায্য করে। লেবু পানি পান করলে এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে।
খাবারের ৩০ মিনিট আগে ও পরেঃ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ রাখতে এবং বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত রাখতে খাবার গ্রহণ এর ৩০ মিনিট আগে ও পরে লেবু পানি খেলে পর্যাপ্ত উপকার পাওয়া যায়। চর্বি যুক্ত খাবার যেমন গরুর মাংস, খাশির মাংস ইত্যাদি খাওয়ার পর অবশ্যই পানিতে লেবু রস মিশিয়ে খেলে সহজেই খাবার হজম হয় সুতরাং যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তারা খাবারের ৩০ মিনিট আগে ও পরে লেবু পানি পান করলে উক্ত সমস্যা থেকে রেহায় পাবেন।

রাতে ঘুমানোর আগেঃ যারা ওয়েট লস প্রক্রিয়ায় রয়েছেন তাদের এই জার্নি সহজ করতে ডিটক্স ওয়াটার হিসাবে রাত এ ঘুমানোর আগে লেবু পানি খেয়ে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন এতে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে এবং মানসিক অবসাদ দূর করতে এটি বেশ সাহায্য করে।

লেখকের শেষ মন্তব্য: সকালে গরম পানিতে লেবুর রস খাওয়ার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক, এতক্ষনে সকালে গরম পানিতে লেবুর রস খাওয়ার উপকারিতা এবং গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে কি ওজন কমে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আবার লেবু পানি খাওয়ার সঠিক সময় এবং লেবু খেলে যেসব রোগ ভালো হয় তা সহ সকালে খালি পেটে লেবু পানি খাওয়া ভালো না খারাপ সে সম্পর্কে জেনেছেন।

লেবু আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু কি পরিমানে খাচ্ছেন এবং কিভাবে খাচ্ছেন এটা জানা জরুরি। নিয়মিত সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে লেবু বা লেবু পানি পান করুন। অতিরিক্ত কোন কিছু খাওয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। নিজেকে প্রাকৃতিক ভাবে ফিট রাখার চেষ্টা করুন। তাই সম্পূর্ন আর্টিকেলটি পড়ে লেবু খাওয়ার পদ্ধতি জানুন।

পরিবেশ রক্ষার্থেও লেবু গাছ রোপন করা য়ায়। যা প্রকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি আপনার উপকারে আসবে। এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো বিভিন্ন তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের এই সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করার অনুরোধ রইলো। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং কোন বিশেষ মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url