রাতের ইবাদত তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও সূরা সম্পর্কে জানুন
প্রিয় পাঠক, আপনি কি তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও সূরা সম্পর্কে জানার আগ্রহ থেকে এই আর্টিকেলে ক্লিক করেছেন। তাহলে আপনি একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন। তাহাজ্জুদ নামাজ বা সালাতুল লাইল আল্লাহর নৈকত লাভের খুব ভালো একটা মাধ্যম। এশার নামাজের পর থেকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত এই নামাজ পড়া যায়। প্রিয় নবী মোহাম্মদ (সাঃ) নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। এই নামাজের নির্দিষ্ট কোন নিয়ম বা সূরা নেই। সর্বনিম্ন দুই রাকাত থেকে ১২ রাকাত পর্যন্ত বা তারও বেশি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া যায়।বিশ্বনবী (সাঃ) লম্বা কেরাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন।
পুরো আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও সূরা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। সেই সাথে আরো জানতে পারবেন তাহাজ্জুদ নামাজের সময়সূচী, তাহাজ্জুতের নামাজ কত রাকাত, তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত, তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম, তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত এবং তাহাজ্জুদ নামাজে ওঠার কৌশল ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত।
তাহাজ্জুদ নামাজের সময় সূচি
তাহাজ্জুদ নামাজ বা সালাতুল লাইল একটি নফল ইবাদত। আল্লাহর নৈকট্য লাভের সব থেকে ভালো মাধ্যম হলো তাহাজ্জুদের নামাজ। এ সময় বান্দা আল্লাহর কাছে যা চাইবে আল্লাহ তার সকল মনের আশা পূরণ করে থাকে।এশার নামাজের পর থেকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত তাহাজ্জুদ নামাজের সময়।
আরো পড়ুনঃ তাহাজ্জুদ নামাজের বৈজ্ঞানীক উপকারিতা।
মধ্যরাতের পর থেকে রাতের দুই-তৃতীয়াংশ প্রতিবাহিত হওয়ার পর তাহাজ্জুতের নামাজ পড়া উত্তম। অর্থাৎ রাত দুইটা থেকে ফজরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তাহাজ্জুতের নামাজ আদায় করা যায়। তবে শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা সব থেকে উত্তম।
তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত
সালাতুল লাইল বা তাহাজ্জুতের নামাজ কত রাকাত এটা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে। চলুন তাহাজ্জুদের নামাজ কত রাকাত সে সম্পর্কে জেনে নিই।আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিদিন রাতে তাহাজ্জুতের নামাজ আদায় করতেন। তিনি কখনো ৪ রাকাত, কখনো ৬,কখনো ৮ এবং কখনো ১২ রাকাত তাহাজ্জুতের নামাজ ও পড়েছিলেন বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে।
তবে কেউ যদি দুই দুই রাকাত করে তাহাজ্জুদের নামাজের নিয়ত করে পড়ে তাহলে ও তার নামাজ হয়ে যাবে। অতএব তাহাজ্জুতের নামাজ সর্বনিম্ন ২ রাকাত থেকে সর্বোচ্চ ১২ রাকাত পড়া উত্তম। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় দীর্ঘ সময় রুকু ও সেজদা করা সুন্নত।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) তাহাজ্জুতের নামাজের রুকু ও সিজদা করতেন অনেক দীর্ঘ সময় ধরে। তারপর তিনি বেতেরের তিন রাকাত নামাজ আদায় করতেন। তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়ের পর বেতের নামাজ আদায় করতে হয়। তাহাজ্জুদের নামাজ নূন্যতম ৪ রাকাত আদায় করা উত্তম।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম:
অন্যান্য নামাজের মতো তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে হয়।তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও সূরা সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথে থাকুন। তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য কোন নির্দিষ্ট নিয়ম বা সূরা নেই। সূরা ফাতিহার সাথে যে কোন সূরা মিলিয়ে এ নামাজ পড়তে হয়।বিজ্ঞ আলেমদের মতে, তাহাজ্জুদের নামাজ সুন্নতে গায়রে মুআক্কাদা বা নফল।
যেহেতু তাহাজ্জুদ নামাজ নফল ইবাদত তাই যত ইচ্ছা তত পড়া যায়। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চার, ছয়, আট, দশ রাকাত করে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন বলে জানা যায় ।এবং তিনি খুব লম্বা সময় কেরাত পড়তেন। অতপর রুকু ও সিজদা তিনি লম্বা সময় ধরে করতেন। নবীজি (সাঃ) এক একটি সিজদা এত দীর্ঘতম করতেন যে, এর মধ্যে ৫০ টি আয়াত তেলাওয়াত করা যেত।
কারো যদি অনেক বড় সূরা মুখস্ত করা থাকে তাহলে সেই সুরা দিয়ে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে পারেন। এতে লম্বা কেরাত হয়। তাহাজ্জুদ নামাজ লম্বা কেরাতে পড়া অতি উত্তম। তাহাজ্জুদের সালাত নিজ ঘরে পড়া মুস্তাহাব, মুস্তাহাব হল পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দেওয়া এবং তাদেরকেও তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে আগ্রহী করা।তাহাজ্জুতের নামাজের নিয়মিত আদায় করতে হয়।
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম হল প্রথমে তাকবিরে তাহরিমা 'আল্লাহু আকবার'বলে নিয়ত করা। তারপর ছানা পড়া। তারপর সূরা ফাতিহা এবং তার সঙ্গে আরেকটি সূরা অর্থাৎ কেরাত পড়া। তারপর অন্যান্য নামাজের মত রুকু ও সিজদা করা এভাবে দুই রাকাত নামাজ হলে সালাম ফেরানো অথবা চার রাকাত শেষ করেও সালাম ফিরানো যায়। নবীজি (সাঃ) বেতেরের নামাজ দিয়ে তাহাজ্জুদ নামাজ শেষ করতেন।
তাই যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়েন এশার নামাজের পর বেতের নামাজ না পড়ে তাহাজ্জুদের শেষে বেতের নামাজ আদায় করুন। যারা তাহাজ্জুদ নামাজ নিয়মিত পড়েন না তারা এশার পরে বেতের পড়ে নিবেন, তাহলে ও তাহাজ্জুদ নামাজ হবে কোন সমস্যা নাই। অথবা এশার নামাজ পড়ার পর দুই রাকাত তাহাজ্জুদের নিয়ত করে নামাজ পড়ে বেতের পড়ে নিলেও তাহাজ্জুদ নামাজ হয়ে যাবে।
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত
মহান সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক এবং সকল সমস্যার সমাধানের উপায় হল তাহাজ্জুদ নামাজ। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর শ্রেষ্ঠ নামাজ হল তাহাজ্জুদ নামাজ। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'রমজান মাসের পর সর্বশ্রেষ্ঠ রোজা হল মহরমের রোজা। আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর সর্বশ্রেষ্ঠ নামাজ হলো রাতের নামাজ (তাহাজ্জুদ )'।(মুসলিম, হাদিস নম্বর: ১১৬৩)।
তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন রাতে শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ তায়ালা নিচের আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন, 'কে আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব! এ আমার কাছে কিছু চাইবে, আমি তাকে সেটা দান করবো! কে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব! (বুখারী ও মুসলিম)। তাহাজ্জুতের নামাজ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন, "রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়বে, যা তোমার জন্য অতিরিক্ত ইবাদত।
আশা করা যায় তোমার প্রতিপালক তোমাকে 'মাকামে মাহমুদে' পৌঁছাবেন "।(সূরা: বনি ইসরাইল, আয়াত: ৭৯)।পবিত্র কোরআনে তাহাজ্জুদ নামাজের অপুর বিশেষ তাবিজ দেওয়া হয়েছে। সূরা ফুরকান ৬৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, "আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারা, যারা তাদের রবের দরবারে সিজদা করে এবং দাঁড়িয়ে থেকেই রাত কাটিয়ে দেয়।"
তাহাজ্জুদ অর্থ ঘুম থেকে জাগা। আর তাহাজ্জুদ নামাজের সময় হল এশার নামাজ পড়ে অর্ধেক রাত ঘুমানোর পর রাতের তৃতীয়াংশে।কিয়ামতের দিন কোন ব্যক্তি যদি কঠিন হিসাব-নিকাশ সহজ করতে চান তাহলে তার কাজ হবে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা। আল্লাহ নৈকট্য লাভের একমাত্র উপায় তাহাজ্জুদের নামাজ।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের জন্য হালাল পেশা কি কি ?
শেষ রাতে যখন প্রকৃতি নিরব ও নিস্তব্ধ তখন আল্লাহর দরবারে বান্দা হাত তুলে দোয়া করলে আল্লাহ সকল দোয়া কবুল করেন। এ সময় আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে চোখের পানি ছেড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ ওই বান্দার উপর খুশি হয় তাকে ক্ষমা করে দেন। তাহাজ্জুতের নামাজের মাধ্যমে শরীরের রোগ ব্যাধি দূর হয়ে যায় এবং শরীর কর্মক্ষম হয়।
বিল্লাল (রা) থেকে বর্ণিত, নবীজি( সা) বলেছেন, 'তোমাদের রাতের নামাজ প্রতিষ্ঠা করা উচিত। কেননা, এটা হল তোমাদের পূর্ববর্তী নেক্কারদের অবলম্বিত রীতি। রাতের নামাজ আল্লাহর নৈকট লাভ এবং গুনাহ থেকে বাঁচার উপায়; মন্দ কাজের কাফফারা এবং শারীরিক রোগের প্রতিরোধক'। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বোঝার তৌফিক দান করুন।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত
যেকোনো নামাজের সময় নিয়ত করাটা হচ্ছে মনে মনে আল্লাহর দরবারে আপনি কি নামাজ এবং কত রাকাত পড়তে চাচ্ছেন তা বলা। নিয়ত বাংলায় করলেও হয়।আবার আরবিতে বাংলা উচ্চারণ করেও আপনি নিয়ত করতে পারবেন। তাহাজ্জুদ নামাজের আরবি নিয়ত হলঃ
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ رَكَعَتِى التَّهَجُّدِ - اَللهُ اَكْبَر
বাংলা উচ্চারণ :নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া রাকআতাইত তাহাজ্জুদি যদি আল্লাহু আকবার।
অর্থ :দুই রাকাত তাহাজ্জুতের নামাজের নিয়ত করিতেছি,'আল্লাহু আকবার'বলে নিয়ত বাঁধা।
আরবিতে উচ্চারণ করতে সমস্যা হলে আপনি বাংলায় নিয়ত করতে পারেন। তাহাজ্জুদের নামাজের বাংলা নিয়ত, 'আমি কেবলা মুখি হয়ে তাহাজ্জুদের দুই রাকাত নামাজ আদায় করিতেছি'।আপনি দুই রাকাতের জায়গায় চার রাকাত যদি পড়তে চান তাহলে চার রাকাতের নিয়ত করতে হবে।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও সূরা:
নির্দিষ্ট কোন সূরা দিয়ে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে হয় এমনটা নয়। আপনি যে কোন সূরা দিয়েই অন্যান্য নামাজের মত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে পারেন। তাহাজ্জুদ নামাজের বিশেষ কোনো নিয়ম নেই এই নামাজ নিয়মিত পড়াটাই হচ্ছে আসল কথা। তবে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) তাহাজ্জুদের সালাত লম্বা সূরা দিয়ে পড়তেন। তবে জানা যায়, প্রথম দুই রাকাতে তিনি ছোট ছোট সূরা দিয়ে নামাজ আদায় করতেন।
এবং তার পরে দুই রাকাতে বড় সূরা দিয়ে নামাজ আদায় করতেন।রাসূলুল্লাহ (সাঃ)তাহাজ্জুদের সালাতে এক একটি সিজদা এত দীর্ঘ করতেন যে, এর মধ্যে ৫০টি আয়াত তেলাওয়াত করা যেত। তাহাজ্জুদ নামাজ নিজ ঘরে পড়া মুস্তাহাব। মুস্তাহাব অর্থ পরিবার পরিজনকেও জাগিয়ে দেওয়া, তারাও যেন থেকে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে পারে।
তাহাজ্জুতের নামাজের সময় জিকির এবং তেলাওয়াত আল্লাহ অনেক বেশি পছন্দ করেন। তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে জিকির করতে হয়। এবং এ সময় কোরআন তেলাওয়াত অতি উত্তম। নবীজি (সাঃ) বিতেরের নামাজ দিয়ে তাহাজ্জুদ নামাজ শেষ করতেন। আশা করি, তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও সূরা সম্পর্কে আপনারা সবাই অবগত হতে পেরেছেন।
তাহাজ্জুদ নামাজে ওঠার কৌশল:
নফল ইবাদতের মধ্যে সবচেয়ে বড় ইবাদত হচ্ছে তাহাজ্জুদ নামাজ। এই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা পাওয়া যায়। শয়তানের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সবথেকে ভালো উপায় হলো তাহাজ্জুদ নামাজ। নবীজি (সাঃ) বলেছেন, 'যে ব্যক্তি রাতে ঘুম থেকে উঠে তার সঙ্গীকে জাগাবে এবং দুজনে দুই রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করবে, আল্লাহর দরবারে তারা শ্রেষ্ঠ জিকিরকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন'।
আরো পড়ুনঃ নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নামের তালিকা।
তাহাজ্জুদ নামাজের অসংখ্য ফজিলত রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবেনা। অনেকেই জানতে চান, তাহাজ্জুদ নামাজে উঠার কৌশল সম্পর্কে। যেহেতু এই সময়টা গভীর ঘুমের সময় তাই অনেকের কাছে এই সময় উঠে নামাজ পড়াটা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে ওঠে। কিন্তু নিয়মিত পড়ার অভ্যাস হয়ে গেলে তখন আর কোন সমস্যা হয় না।
কিছু বিষয় অনুসরণ করলে তাহাজ্জুতের সময় ঘুম থেকে ওঠা সহজ হয়। যেমন,ঘুমানোর আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ত করে বিছানায় যান। যে ব্যাক্তি বিছানায় শুয়ে নিযত করেন রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার এবং সে যদি নাও উঠতে পারে তবুও তার নিয়ত অনুযায়ী তার পুরস্কার আল্লাহ তাকে দিয়ে থাকেন।
বেশি রাত না করে সঠিক সময়ে ঘুমাতে যাওয়া।কারণ বেশি রাত জেগে ঘুমালে তাহাজ্জুদের নামাজের সময় উঠতে পারা যায় না।ফজরের নামাজের কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে আপনি আপনার মোবাইলে এলার্ম সেট করে নিন। এ সময় উঠে আপনি তাহাজ্জুতের নামাজ আদায় করার পর একই সঙ্গে ফজরের নামাজের সময় হলে ফজরের নামাজ আদায় করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ পিরিয়ডের ব্যাথা কমানোর ইসলামিক উপায়।
রাতে ঘুমোনোর আগে অজুসহ ঘুমাতে হবে, এবং ঘুমের দোয়া সহ অন্যান্য যে সকল সূরা পাঠ করতে হয় তা পাঠ করে ঘুমাতে যান।রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ওযু করে সূরা ইখলাস সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পড়া সুন্নত। কারণ নবীজি (সাঃ) এ সকল সূরা পড়ে ঘুমাতেন। আশা করি, তাহাজ্জুদ নামাজে ওঠার কৌশল সম্পর্কে আপনারা অবগত হতে পেরেছেন।
লেখক এর মন্তব্য :তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও সূরা
প্রিয় পাঠক, পুরো আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা এতক্ষণে অবগত হতে পেরেছেন, তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও সূরা এবং তাহাজ্জুদ নামাজে ওঠার কৌশল সম্পর্কে। তাছাড়া এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি তাহাজ্জুদ নামাজের সময়, তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম, তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত, তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত এবং তাহাজ্জুদ নামাজে ওঠার কৌশল ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে।
এতক্ষণ ধৈর্য ধরে পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো ইসলামিক তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের সাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর কোন বিশেষ মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url