খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় সে সম্পর্কে জানুন।
প্রিয় পাঠক, আপনি কি খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় এটা জানার আগ্রহ থেকে এই আর্টিকেলে ক্লিক করেছেন? আপনি একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন। ইসবগুলের ভুসির উপকারিতা এবং কখন খেলে কোন সমস্যা সমাধান পাওয়া যাবে এ সকল বিষয় বিস্তারিতভাবে আমরা আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি হওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
আজ আমরা আলোচনা করব খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়। তাছাড়া আপনারা আরো জানতে পারবেন, ইসবগুলের ভুসি খেলে কি ওজন কমে, রাতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা, কোষ্ঠকাঠিন্যে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম, গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম, বাচ্চাদের ইসুবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত। সকল বিষয়ে তথ্য পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
ভূমিকা :খালি পেটে ইসবগুলের ভুষি খেলে কি হয়
আমরা অনেকেই ইসবগুলের ভুষির উপকারিতা সম্পর্কে জানি। কিন্তু ইসবগুলের ভুসি আসলে কি অনেকেরই অজানা। ইসবগুল একটি একবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এটি ভারত, পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যে জন্মায়। ইসবগুলের ভুষি আসলে ইসবগুল বীজের খোসা। ইসবগুলের বীজের খোশ হয় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিসে মেথি খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন।
কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়েরিয়া ,স্থূলতা বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করে এই ইসবগুলের ভুসি। ইসবগুলের ভুসি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার এবং বিভিন্ন উপায় খাওয়া যেতে পারে। পানির সাথে, দুধের সাথে বা বিভিন্ন ফলের রসের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
খালি পেটে ইসুবগুলের ভুসি খেলে কি হয় :
আপনাদের অনেকেরই হয়তো সকালে খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে,সকালে খালি পেটে ইসবগুলের ভুষি খেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার হয়। সাধারণত আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ইসুবগুলের ভুষি খেয়ে থাকি।কিন্তু আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় এবং শরীরের কি কি উপকার হয়। আসুন, জেনে নেই খালি পেটে ইসুবগুলের ভুষি খেলে কি কি উপকার হয় সেই সম্পর্কে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
ইসবগুলের ভুসিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি হজম প্রক্রিয়াকে বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে। বহুকাল থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ইসবগুলের ভুসি বেশ জনপ্রিয়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানিতে দুই চামচ ইসবগুলের ভুষি ভিজিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পরে এই পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে পাওয়া যায়।
ওজন কমাতে সাহায্য করে:
ইসবগুলের ভুসিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন,ভিটামিন, এবং খুনিজ উপাদান থাকায় এটি খেলে অনেকক্ষণ ক্ষুধা হতে বিরত থাকতে পারবেন। আর শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে ক্ষুধা কমানো জরুরী। সকালে খালি পেটে যদি আপনি ইসবগুলের ভুসি খান তাহলে আপনার পেট অনেকক্ষণ ভোরে থাকবে এবং আপনার ক্ষুধা কমবে যা ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
বুক জ্বালা ও গ্যাসের সমস্যার সমাধান করে:
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের ভুলভাল খাদ্যাভাসের কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা প্রকোপ আকার ধারণ করেছে। আর অতিরিক্ত গ্যাস থেকে বুকে ব্যথা বুক জ্বালা করে। এমন সমস্যা সমাধানে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে আমরা ইসুবগুলের ভুষি ব্যবহার করে থাকি। নিয়মিত খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে হজম ঠিক থাকে এবং পাকস্থলীতে বিভিন্ন এসিড নিঃসরণের সাহায্য করে। এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান হয়।
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে:
ইসবগুলের ভুষিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় রক্তের কেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এটি নিয়মিত খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ইসবগুলের ভুসি শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর হয়:
আজকাল অনেকেই প্রসবের জ্বালাপোড়া এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। প্রসবের জ্বালাপোড়া কমাতে ইসবগুলের ভুসির শরবত অত্যন্ত উপকারী। চিনি, লেবু পানির সঙ্গে ইসুবগুলের ভুসি মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর উপকারিতা ও রয়েছে প্রচুর। সবচেয়ে ভালো হয় আখের গুড়ের সাথে ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে শরবত খেলে।
আরো পড়ুনঃ কোন গাছের পাতা খেলে সুগার কমে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে:
গবেষণায় দেখা গেছে, হাই ফাইবার রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। যেহেতু ইসবগুলের ভুসি অত্যন্ত ফাইবার যুক্ত একটি খাবার তাই অনেক চিকিৎসক ডায়াবেটিসের রোগীদের ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে ডায়াবেটিসের রোগীরা উপকৃত হবেন।
ডায়রিয়া ও আমাশয় নিরাময় হয়:
সাধারণত ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসনিত কারণে আমাশয় ও ডায়রিয়া হয়। নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি পেটের ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের জীবন নষ্ট করে পেট থেকে বের করে দেয়। ডায়রিয়া রোগীকে স্যালাইনের পাশাপাশি ইসবগুলের ভুসির শরবত খাওয়ালে মিলবে উপকার।
ইসবগুলের ভুসি খেলে কি ওজন কমে :
যেহেতু ইসবগুলের ভুসি ফাইবারের আদর্শ উৎস এবং এতে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে সেহেতু এটি ওজন কমাতে সহায়তা করে। ইসবগুলের ভুষি পানিতে ভিজিয়ে রাখলে তা ফুলে উঠে এবং এর হাই ফাইবার পেট ভরে রাখতে সাহায্য করে ফলে ক্ষুধা কম লাগে। এটি হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে যা ওজন কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ওজন কমাতে ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার সঠিক সময় হল সকালে খালি পেটে। আপনি চাইলে রাতে ঘুমানোর আগেও এটি খেতে পারেন। ওজন কমানোর জন্য সকালে খালি পেটে আপনি এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে কিছুটা লেবুর রস মিশিয়ে সেখানে দুই চামচ ইসবগুল মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার আগে ও পরে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। বেশি করে পানি পান করলে এই ভুসি শরীরে ভালোভাবে ছড়িয়ে যেতে পারে।
রাতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা :
ইসবগুলের ভুষির গুনাগুন সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই জানা আছে। উপরোক্ত আলোচনায় আমরা খালি পেটে ইসুবগুলের ভুসি খেলে কি হয় সে সম্পর্কে জেনেছি। তবে রাতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা একটু বেশি। আপনি যদি নিয়মিত রাতে ইসুবগুলের ভুসি খান তাহলে আপনার পুরাতন আমাশয় এর জীবাণ পেট থেকে বের করে দিতে পারে। অত্যন্ত মারাত্মক এটি ঔষধের মাধ্যমে মারা গেলেও শরীর থেকে বের হয় না।
কিন্তু আপনি যদি নিয়ম মেনে রাতে ইসুবগুলের ভুসি খাওয়ার অভ্যাস করেন তাহলে আপনি আমাশয় থেকে পরিত্রাণ পাবেন। তাছাডা আজকাল অনেকেরই ইউরিন ইনফেকশন বা প্রসবের জ্বালাপোড়া একটি পরিচিত রোগ। রাতে নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি পানির সাথে মিশিয়ে খেলে প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমবে।
তাছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে দুই চামচ ইসবগুলের ভুসি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। তাছাড়া যারা শারীরিকভাবে দুর্বল তারা প্রতিদিন রাতে ইসবগুলের ভুসি খেলে দুর্বলতা কাটবে। কেননা ইসুবগুলের ভুষিতে বিদ্যমান নানা পুষ্টিগুণ শরীরের বিভিন্ন উপকার করে এবং শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে।
যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন রাতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার অভ্যাস করুন এতে উপকার পাবেন। এবং যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বুক জ্বালা করে তাদের হজম ঠিক রেখে পাকস্থলী পরিষ্কার রাখতে ইসুবগুলের ভুষি কোন যুগ নেই। তাছাড়া হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং রক্তের উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই ইসবগুলের ভুষি।
তাই আপনি যদি ইসুবগুলের ভুষি খেয়ে উপকৃত হতে চান এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে চান তাহলে সঠিক নিয়ম মেনে ইসবগুলের ভুষি সেবন করুন। প্রয়োজন পড়লে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেই।
কোষ্ঠকাঠিন্যে ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম :
কোষ্ঠকাঠিন্য খুবই বড় সমস্যা। যারা দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যায় ভুগেন তাদের পাইলস বা অশ্ব রোগ হয়ে থাকে। ইসবগুলের ভুষি পায়খানা নরম করতে সাহায্য করে। যার জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাইলস রোগ থেকে মানুষ বাঁচতে পারে। বাজারে খোলা ও প্যাকেট জাত দুই ধরনের ইসুবগুলের ভুষি পাওয়া যায়। যাদের অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্য তাদের দিনে দুইবার ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তবে খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় এবং কতটা উপকার হয় তা আমাদের আর অজানা নেই।
এক গ্লাস পানিতে ১ থেকে ২ চা চামচ ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে হবে। অথবা আপনি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার প্রায় ২০ মিনিট আগে একই নিয়মে খেতে পারেন। খেয়াল রাখবেন ইসবগুলের ভুষি খেলে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হয়।যাদের অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্য তারাএভাবে নিয়মিত এসব ভুলের ভুসি খেলে বেশ উপকৃত হবেন। তাছাড়া পায়খানা নরম করার ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
ইসবগুলের ভুষি একটি প্রাকৃতিক উপাদান তাই এটা সেবনে আপনার কোন ক্ষতি হবে না। কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য যে সকল ওষুধ আপনি খাবেন তার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। তাছাড়া এটা পরিমাণে কতটুকু খাবেন তা বয়স, আপনার শারীরিক ওজন ও বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার উপর নির্ভর করে।তাই সব থেকে ভালো হয় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইসুবগুলের ভুষি সেবন করা।
গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম :
আজকের মূল আলোচনার বিষয় ছিল খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় যা আমরা উপরোক্ত আলোচনায় জেনেছি। এবার গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে চলুন জেনে নিন। গর্ভাবস্থায় যে সকল স্বাস্থ্য সমস্যা একজন গর্ভবতী মায়ের হয়ে থাকে তার মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য অন্যতম।কিন্তু আমরা অনেকেই দ্বিধা দ্বন্দ্বে থাকি যে, গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়া যাবে কিনা। ইসবগুলের ভুসি একটি প্রাকৃতিক উপাদান এবং এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া না থাকায় গর্ভাবস্থায়ী ইসবগুলের ভুসি খাওয়া নিরাপদ।
গর্ভাবস্থায় প্রায় সকল নারীর কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। গর্ভাবস্থায় সঠিক নিয়ম মেনে ইসুবগুলের ভুসি খেলে গর্ভবতী মায়ের হজমের সমাধান এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান হয়। সে ক্ষেত্রে খাওয়ার সঠিক নিয়ম হল রাতে ঘুমাতে যাওয়ার প্রায় আধা ঘন্টা আগে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে দুই চা চামচ ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে খেয়ে নিন।
পানির পরিবর্তে হালকা গরম দুধের সাথে মিশিয়েও আপনি খেতে পারবেন। এভাবে নিয়মিত এক সপ্তাহ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সমাধান হবে।তাছাড়া গর্ভবতী মায়ের রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই ইসবগুলের ভুষি। তবে সব থেকে ভালো হয় গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুষি সেবনের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
বাচ্চাদের ইসুবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম :
আজকাল বাচ্চাদের ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয়ে থাকে। কারণ বাচ্চারা অনেক ধরনের খাবার খায় কিন্তু পরিমাণ মতো পানি পান করে না। বাচ্চারা পরিমাণ মত শাক-সবজি না খাওয়ার কারণে বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ওষুধ দিয়ে অনেক সময় কাজ হয় না। এমতাবস্থায় বাচ্চাদের ইসুবগুলের ভুষি খাওয়ানোর অভ্যাস করুন।
বাচ্চারা যদি ইসুবগুলের ভুসি সরাসরি খেতে না চায়, তাহলে টেস্ট বাড়ানোর জন্য আপনি শরবত বানিয়ে তার মধ্যে ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে খাইয়ে দিন। ইসবগুলের ভুষির পাশাপাশি বাচ্চাদের কে ফাইবারযুক্ত খাবার, শাকসবজি, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করানোর অভ্যাস করুন।
তাছাড়া বিভিন্ন ড্রাই ফ্রুট পানিতে ভিজিয়ে খাওয়ালেও বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়ে থাকে। যেমন কিসমিস, আলু বোখরা, খেজুর ইত্যাদি। এগুলোকে দীর্ঘ সময় পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভালোভাবে ধুয়ে খাইয়ে দিন ধরে তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধান হতে পারে।
লেখকের মন্তব্য :খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয়ই আপনারা অবগত হতে পেরেছেন, খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় এবং রাতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। তাছাড়া ইসবগুলের ভুসি সম্পর্কে আরো নানা তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুত্বের সাথে শেয়ার করে আমাদের পাশে থাকুন। কোন বিশেষ মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url