শীতের সবচেয়ে ভালো লোশন এবং ফর্সা হওয়ার বডি লোশন সম্পর্কে জানুন
প্রিয় পাঠক, শীতের সবচেয়ে ভালো লোশন কোনটি এটা নিয়ে আপনারা অনেকেই জানতে চান। কেননা সামনে শীত আসছে। আর শীত মানে রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বক। রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বক স্বাস্থ্যউজ্জ্বল করতে আমাদের প্রত্যেকেরই বডি লোশনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু কোন বডি লোশন ভালো। এবং এই শীতে আপনি কোন বডি লোশন ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের এই আর্টিকেলে।
আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাতে চলেছি শীতের সবচেয়ে ভালো লোশন এবং ফর্সা হওয়ার বডি লোশন সম্পর্কে বিস্তারিত। তাছাড়া আপনারা আরো জানতে পারবেন, বডি লোশন কি এবং কেন ব্যবহার করবেন, বডি লোশন কি মুখে ব্যবহার করা যায়, গরমের বডি লোশন ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত। এ সকল বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।
বডি লোশন কি ও কেন ব্যবহার করবেন
বডি লোশন হলো ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিম। যা ত্বকের স্বাস্থ্য ও তরলতা বজায় রাখে। বডি লোশন ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক হবে নরম কমল ও স্বাস্থ্যউজ্জল। বডি লোশন ব্যবহারে ত্বকের পুরোপুরি যত্ন নেওয়া সম্ভব। কেননা, বডি লোশন ত্বকের আদ্রতা ধরে রেখে ত্বক মসৃণ করে।
বডি লোশন আপনার ত্বকে জিহাইডেট করতে সাহায্য করে। এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। বডি লোশন ব্যবহারের ফলে শরীরের লোমকূপ ঢেকে যায় যার ফলে ধুলো, ময়লা বা ঘাম শরীরের ত্বকের ক্ষতি করতে পারে না। শরীরে আর্দ্রতা কমে গেলে হাত-পা ও শরীরের তো খসখসে হয়ে যায়। নিয়মিত বডি লোশন ব্যবহার করলে ত্বকে আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
মুখের ত্বকের যত্ন নেওয়া যেমন জরুরি, তেমনি শরীরের ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরী। অনেকে মনে করেন শুধু শীতকালের বডি লোশন ব্যবহার করা প্রয়োজন। কিন্তু শীত বা গরম সব সময় আপনি বডি লোশন ব্যবহার করতে পারবেন। এতে আপনার ত্বক সব সময় নরম, কমল ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল থাকবে।
আজকের আলোচনার মূল বিষয় শীতের সবচেয়ে ভালো লোশন সে সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। তবে সঠিক বডি লোশন বাছাই করে নিতে হবে। কেননা বাজারে এখন বিভিন্ন ধরনের নকল বডি লোশন ব্যাপক আকারে বিক্রি হচ্ছে। আসল বডি লোশন সম্পর্কে জেনে নিয়ে তারপর বডি লোশন ক্রয় করবেন।
শীতের সবচেয়ে ভালো লোশন
শীতের আগমনে অনেকেই ত্বক নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান। শীতকালে অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বক সকলেরই চিন্তার বিষয়। শীতে সবচেয়ে ভালো লোশন কোনটি এবং কোন ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বক কোমল থাকে এসব নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। কোন ব্র্যান্ডের লোশন ভালো এবং কোন ত্বকে কোন লোশন ভালো কাজ করে এগুলো নিয়েও অনেকে চিন্তায় পড়ে যান। আজকে আলোচনার এই অংশে শীতের কোন লোশন ভালো সে সম্পর্কে আলোচনা করব।
ডাব সাপল বাউন্স বডি লোশন :
এই শীতে আপনি যদি টানটান, মসৃণ ও কমল ত্বক পেতে চান তাহলে আপনি ডাব সাপল বাউন্স বডি লোশন বেছে নিতে পারেন।এই বডি লোশনের মূল উপাদান আমন রয়েল, ভিটামিন ই এবং ময়েশ্চার সিরাম। এই লোশনটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে নিষ্প্রাণ ত্বকের সমস্যা দূরে থাকে। ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায় এবং ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে বেশ কার্যকরী এই ডাব সাপল বাউন্স বডি লোশন।
নিভিয়া নারির্সিং লোশন বডি মিল্ক উইথ ডিপ ময়েশ্চারাইজার সিরাম :
যাদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক তারা এই লোশনটি ব্যবহার করতে পারেন। এই বডি লোশন এর বিভিন্ন উপাদান যেমন, আমন্ড ওয়েল , ভিটামিন ই এবং ময়েশ্চার সিরাম যা ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত ত্বক ময়েশ্চার ধরে রাখে । আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা দ্রুত বৃদ্ধি করতে এবং আদ্রতা ধরে রাখতে নিভিয়া বডি লোশনটি ব্যবহার করতে পারেন। শীতকালে এই বডি লোশনটি দিনে দুইবার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
ল্যাকমে পিচ মিল্ক ময়েশ্চারাইজার বডি লোশন :
এই বডি লোশন হালকা নন-স্টিকি যা ব্যবহারে আপনার ত্বক তেলতেলে হবে না। পিচ মিল্কের নির্যাস, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই লোশন টি ত্বকে পুষ্টি যুগিয়ে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই শীতে নিঃসন্দেহে আপনি ল্যাকমি কোম্পানির এই লোশনটি ব্যবহার করতে পারবেন।
cerave ময়েশ্চারাইজিং লোশন :
বিশেষ করে শীতকালে কারো কত এতটাই শুষ্ক হয়ে যায় যে, একজিমার মত সমস্যাও দেখা দেয়। এরকম ড্রাই ওডিহাইড্রেট এর ত্বকের জন্য আপনি ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করতে পারেন। এই লোশন এর প্রধান উপাদান সিরামাইড ও হায়ালুরোনিক এসিড যা সারাদিন ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে খুব ভালো কাজ করে। সব ধরনের স্কিনে ব্যবহার উপযোগী। cerave ব্যান্ডের সকল প্রোডাক্ট এবং এই লোশনটির প্রাইস একটু বেশি হলেও অল টাইপ স্কিনের জন্য বেশ ইফেক্টিভ।
ভ্যাসলিন ইনটেনসিভ কেয়ার ডিপ ময়শ্চার বডি লোশন:
ভেসলিন বডি লোশন শীতকালে খুবই পরিচিত একটি নাম। পুরুষ, মহিলা সবাই শুষ্ক অথবা অয়েলি ত্বকে ভেসলিন করতে পারবেন। ভেসলিন জেলি আপনার ত্বক শুষ্ক হাওয়া থেকে রক্ষা করবে এবং গ্লিসারিন ত্বকের ময়েশ্চার ধরে রাখতে সাহায্য করে। এই বডি লোশনের মূল উপাদান গ্লিসারিন,ভ্যাসলিন জেলি, মিনারেল অয়েল। শীতকালে ত্বকের যত্নে ভেসলিন ইনটেনসিভ কেয়ার ডিপ ময়শ্চার বডি লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
হিমালয়া হারবালস কোকো বাটার ইন্টেনসিভ বডি লোশন :
আপনাদের ত্বকের হারানো আদ্রতা ফিরিয়ে আনতেএই লোশনটি খুব কার্যকর। যাদের শুষ্ক ত্বক তাদের শরীরে ধীরে ধীরে এই লোশনটি মালিশের ফলে ত্বকের রুক্ষতা দূর হয়ে যায়। আপনি কি শীতে কোন লোশন ভালো তা জানতে চান, তাহলে নিঃসন্দেহে হিমালয় হারবালস কোকো বাটার লোশনটি ব্যবহার করুন। শীতে আপনার ত্বকের সার্বিক যত্ন নিতে এই লোশন বেশ কার্যকরী হতে পারে। বাজারে এই লোশনটি ৩০০ টাকার মধ্যে আপনারা পেয়ে যাবেন।
ফর্সা হওয়ার বডি লোশন
বাজারে বিভিন্ন ধরনের বডি লোশন পাওয়া যায়। কবে ত্বক ফর্সা হওয়ার বডি লোশন কোনটা ভালো হবে এটা নিয়ে অনেকেই চিন্তায় পড়ে যান। প্রথমে বলে রাখি,মূলত আপনার ত্বকের শুষ্ক ও ড্রাইনেস কমাতে বডি লোশন কাজ করে। আর বডি লোশনের ভেতরে থাকা বিভিন্ন উপাদান ও কিছু ভিটামিন যা ত্বককে স্বাস্থ্যজ্জ্বল করে। তারপরও আমরা অনেকে ত্বকে ব্রাইটেনিং করার বডি লোশন খুঁজে থাকি। নিচে এমন কিছু বডি লোশন সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো যা আপনার ত্বক নরম, কোমল ও ব্রাইটেনিং করতে সাহায্য করবে।
khajana whitening body lotion :
এটি থাইল্যান্ডের একটি পণ্য। কোন সাইড ইফেক্ট ছাড়াই হাত-পা, ঘাড়, গলা, পুরো শরীর ৬-৭ সেড ফর্সা করে। পুরুষ বা মহিলা যে কোন ব্যক্তি এই লোশন ব্যবহার করতে পারবেন। সাধারণত ৭-১৪ দিনে আপনার ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করবে এই লোশনটি। তাছাড়া সূর্যের আলো থেকে ত্বককে রক্ষা করতে এই লোশনটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এবং দিনের বেলা গোসলের পর নিয়মিত ব্যবহারে আপনি নিজে আপনার স্কিনের পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।
Aveeno daily moisture lotion :
সারা বছর শরীরের লোশন ব্যবহার করা যায়। তবে শীতে সবারই ত্বক বা স্কিন বেশি ড্রাই হয়ে যায়। অতিরিক্ত শুষ্কতা থেকে ত্বকে ইচিং বা একজিমার মত সমস্যা গুলো দেখা দেয়। Aveeno daily moisture lotion এই লোশন টি মূলত ওটমিলের লিকুইড ফর্ম। এর বিভিন্ন উপাদান যেমন প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন ও মিনারেল আপনার ত্বকে পুষ্টি যুগিয়ে ত্বক ব্রাইটেনিং করে। শীতের সবচেয়ে ভালো লোশন গুলোর মধ্যে আপনি এই লোশনটি ব্যবহার করতে পারবেন।
Rajkonna brightening body lotion super Radiant :
বিশেষ করে আপনার ত্বক বা স্কিন সফট, ব্রাইট ও রেডিয়েট করে তুলতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন Rajkonna brightning body lotion super Radiant এই বডি লোশন টি। এই লোশনের প্রধান উপাদান গুলো মধ্যে আলফা আরবুটিন, রাইস ওয়াটার ও ভিটামিন ই বিদ্যমান। বিশেষ করে রোদের পোড়া সান স্পটস, হাইপারপিগমেন্টেশন ও স্কারস লাইট করে ত্বক ব্রাইট করে তোলে। আপনি যদি আপনার ত্বক কোমল ও ব্রাইটেনিং করতে চান তাহলে আপনি এই লোশনটি ব্যবহার করতে পারেন।
CRYSTAL WHITE MILKY BODY LOTION:
সাধারণত এই বডি লোশনটি ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক নরম ও মসৃণ করবে। স্কিনের ন্যাচারালি গ্লো এবং গোলাপি আভা এনে দেয়। নিয়মিত ব্যবহারের স্কিন উজ্জ্বল রাখে এবং ত্বক টানটান রাখে। সহজেই এই রচনাটি আপনার স্কিনের সঙ্গে মিশে যায়। আপনার ত্বক সজীব, প্রাণবন্ত, সুন্দর ও ফর্সা করে তুলতে crystal white milky body lotion টি আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
Milk whitening body lotion :
আপনারা অনেকেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন ধরনের লোশন ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু Milk whitening body lotion এই রেশনটি ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা মাত্র ১০ দিনে বৃদ্ধি পাবে। যাদের মুখের চেয়ে হাত পা এবং বডি কালো হয়ে গেছে, তারা এই বডি লোশনটি পুরো শরীরে ব্যবহার করলে দ্রুত ফলাফল পাবেন। বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি এই লোশনটি শীত বা গরম যে কোন আবহাওয়া উপযোগী।
বডি লোশন কি মুখে ব্যবহার করা যায়
শীতকাল আসলে বডি লোশন ব্যবহার বেড়ে যায়। অনেকে আবার এটি মুখেও ব্যবহার করে থাকেন। আমরা অনেকেই জানি মুখের ত্বক আর শরীরের ত্বকের মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে। আমাদের মুখের ত্বক অনেক পাতলা ও স্পর্শকাতর। মুখের জন্য যে সকল ময়েশ্চারাইজার বানানো হয় সেগুলো বিশেষ উপাদান দিয়ে শুধু মুখের ত্বকের জন্য বানানো হয়।
আর বডি লোশন পুরা শরীরে ত্বকের জন্য বানানো হয়। তাই বডি লোশন নিয়মিত মুখে ব্যবহার করা ঠিক না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ত্বক বিশেষজ্ঞ আইভি লি বলেন, সাধারণত,বডি লোশন মুখে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এটি ব্যবহারের সময় এর ঘনত্বের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে বলেছেন তিনি।
বিশেষ করে যাদের ত্বকে ব্রণ, একজিমা, এলার্জি রয়েছে তাদের মুখে বডি লোশন ব্যবহার করলে মুখে জ্বালাপোড়া ও এলার্জির প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে পারে। তাছাড়া বিভিন্ন জনের ত্বক বিভিন্ন রকম। কারো মুখের ত্বক শুষ্ক আবার কারো ত্বক তৈলাক্ত। বডি লোশন ঘন আর তৈলাক্ত হওয়ায় জন্য এটি ব্যবহারে মুখের লোমছিদ্র বন্ধ হয়ে যায় যা অনেকের মুখে ব্রণের সৃষ্টি করতে পারে।
তাছাড়া যাদের ত্বকে এলার্জি বা ব্রনের সমস্যা অথবা একজিমা সমস্যা রয়েছে তারা বডি লোশন মুখে ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। যাদের এ সমস্ত সমস্যা নেই তারা চাইলে বডি লোশন মুখে ব্যবহার করতে পারেন। মুখের ত্বকে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধরনের ময়েশ্চারাইজার বাজারে খুব সহজে আপনি পেয়ে যাবেন। সাধারণত মুখের ত্বকে ব্যবহারের জন্য ময়েশ্চারাইজার উত্তম।
গরমের বডি লোশন
আমরা অনেকেই শুধু শীতকালে বডি লোশন ব্যবহার করে থাকি। কেননা এই সময় ত্বক অত্যন্ত শুষ্ক হয়। কিন্তু জানলে অবাক হবেন গ্রীষ্মকালে ও বডি লোশন ব্যবহার করা আপনার ত্বকের জন্য বেশ জরুরী। তাছাড়া গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড সূর্যের তাপে আপনার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছু কিছু লোশন সূর্যের ক্ষতিকর UV রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
বিশেষ করে যে সকল লোশনে এলোভেরা, শিয়া বাটার, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এর মত উপাদান রয়েছে এ সকল লোশন আপনার ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের মেরামত ও পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করবে।শীতের সবচেয়ে ভালো লোশন সম্পর্কে আমরা উপরে আলোচনা করেছি। এবার আসুন, আমাদের ত্বকের জন্য গরমের বডি লোশন কোনগুলো ভালো সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।
লাভ বিউটি এন্ড প্ল্যানেট ন্যাচারাল কোকোনাট ওয়াটার হাইড্রেটিং বডি লোশন :
এই লোকটি খুব হালকা এবং শরীরের দ্রুত শোষিত হয়। সারাদিন আপনার ত্বক হাইডেড রাখতে সাহায্য করে এই লোশন। অল স্কিন টাইপ ত্বকের জন্য এটি উপযুক্ত, বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকের জন্য। দুইটি শক্তিশালী হিউমেক্টেন্ট একটি হলো নারিকেল তেল এবং গ্লিসারিন যা ত্বকে আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া এই বডি লোশনে শিয়া বাটার এবং কোকোয়া বাটার দুটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার যা ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
ভেসলিন ল্যাভেন্ডার ময়েশ্চারাইজিং জেল বডি লোশন :
এই ভেসলিন লেভেন্ডার লোশনে গ্লিসারিন এবং হায়ালুরনিক এসিড রয়েছে যা ত্বকে আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে বিদ্যমান ভিটামিন ই উপাদান যা পরিবেশগত ক্ষতির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে।ভেসলিন ল্যাভেন্ডার ময়েশ্চারাইজিং বডি লোশনে ল্যাভেন্ডার অয়েল রয়েছে যা শরীরকে ঠান্ডা রাখার বৈশিষ্ট্য রাখে। যেকোনো সংবেদনশীল ত্বকের জন্য উপযুক্ত এই লোশন, কারণ এটি সুগন্ধী মুক্ত এবং ড্রাই- ফ্রি।
ভেসলিন হেলদি হোয়াইট ইউভি লাইটেনিং লোশন :
এই লোশনটি আপনি গরমে ব্যবহার করতে পারবেন। অতিরিক্ত গরমে আপনার ত্বকের আদ্রতা হারিয়ে যেতে পারে। এই হারানো আর্দ্রতা ফিরে পেতে ভেসলিন হেলদি হোয়াইট ইউভি লাইটিং লোশন ব্যবহার করুন। ভেসলিন জেলি এবং গ্লিসারিনের মাইক্রো- ড্রপলেটের এর একটা অনন্য মিশ্রণ যা আপনার ত্বকের আদ্রতা আটকে রাখে এবং শীতকালীন শুষ্ক ত্বক নরম, কোমল ও মসৃণ রাখে।ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুইবার আপনার পুরো শরীরে লাগিয়ে নিন।ভালোভাবে শরীরে মিশে না যাওয়া পর্যন্ত আলতো করে হাত দিয়ে ঘষতে থাকুন।
Advik আয়ুর্বেদ রোজ বডি লোশন :
গরমের জন্য এই লোশনটি আপনার ত্বকের জন্য সেরা বডি লোশন হতে পারে। Advik আয়ুর্বেদ রোজ লোশনটি ল্যাকটিক অ্যাসিড ও নিয়াসিনেমাইড সমৃদ্ধ। গরম এবং আদ্র আবহাওয়ার জন্য আপনার ত্বককে উপযুক্ত করে তুলে এই লোশনটি।এই লোশনটি হালকা চর্বিযুক্ত হওয়ায় খুব দ্রুত ত্বকে শোষিত হয়। গরমের সময় এই লোশন ব্যবহারে ত্বকে ভারী বোধ হয় না এবং ত্বক খুব হাইডেটিং হয়।
লেখক এর মন্তব্য: শীতের সবচেয়ে ভালো লোশন এবং ফর্সা হওয়ার বডি লোশন
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনারা পুরো আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পেরেছেন শীতের সবচেয়ে ভালো লোশন এবং ফর্সা হওয়ার বডি লোশন সম্পর্কে। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হওয়ায় এক্সট্রা কেয়ার নিতে হয়। আর শরীরের এক্সট্রা কেয়ার মানে বডি লোশনের কথা মাথায় আসে। তাই ভালো ব্র্যান্ডের এবং আপনার শরীরের সঙ্গে ম্যাচ করে এরকম বডি লোশন ব্যবহার করা উচিত। কেননা একটি ভালো লোশনই পারে আপনার ত্বক স্বাস্থ্যকর রাখতে।
এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো নতুন নতুন রূপচর্চা বিষয়ক তথ্য পেতে আমাদের এই সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। আর বিশেষ কোনো মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url