বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় এবং বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট
প্রিয় পাঠক, আপনি কি বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানার আগ্রহ থেকে আর্টিকেলের ভেতরে এসেছেন? তাহলে আপনি একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আজ এই আর্টিকেলে আমরা কিভাবে মায়ের বুকের দুধ ঘরোয়া উপায়ে বৃদ্ধি করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। সেই সাথে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট এ সকল বিষয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করব। এ সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য পেতে ধৈর্য সহকারে পুরো আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইল।
পুরো আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। তাছাড়া আপনারা আরো জানতে পারবেন বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট, মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির খাবার, বুকের দুধ শুকিয়ে যায় কেন, দুধ বৃদ্ধির দোয়া বাংলা এ সকল বিষয়ে বিস্তারিত।
ভূমিকা :বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় এবং বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট
একটি শিশু জন্মের পর গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রধান খাদ্য হলো তার মায়ের বুকের দুধ। জন্মের পর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। কেননা একটি বাচ্চার মেধা ও শারীরিক বিকাশে মায়ের বুকের দুধের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু অনেক সময় অনেক মায়েদের বুকের দুধ উৎপাদন কম হয় অথবা বুকের দুধ শুকিয়ে যায়।
কেন এমন হয় তা সঠিক করে বলা যায় না। তবে বুকের দুধ উৎপাদন কম হলে তা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করা যায়।বুকের দুধ কম পাচ্ছে বা পাচ্ছে না বলে সঙ্গে সঙ্গে বাজার থেকে অন্যান্য দুধ কিনে বাচ্চাকে খাওয়ানো শুরু করবেন না। প্রথমে বুকের দুধ ফেরানোর ঘরোয়া চেষ্টা করুন।এতে কাজ না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রয়েছে যা একজন মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে।
বিভিন্ন খাবার দাবারের মাধ্যমে এবং প্রচুর পানি পান করার মাধ্যমে বুকের দুধ ফেরানো সম্ভব। মনে রাখবেন একটি শিশুর জন্য তার মায়ের বুকের দুধ অত্যন্ত জরুরী। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির সকল ধরনের চেষ্টা করা।আজকের মূল আলোচনার বিষয় বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথে থাকুন।
বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়:
একটি শিশু জন্মের পর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের বুকে দুধে সর্বশ্রেষ্ঠ খাবার। সন্তান জন্মের পর অনেক মায়ের বুকের দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন হয়। আবার অনেক মায়ের বুকের দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন হয়না। পায়ের দুধ পর্যাপ্ত পরিবারের না পেলে শিশু পুষ্টিরতায় ভোগে।
মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে অন্য কিছু খাওয়ানোর আগে মায়ের দুধ উৎপাদক বৃদ্ধি করার চেষ্টা করতে হবে। মায়ের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া কিছু উপায় এবং খাদ্যাভাসের পরিবর্তন একটি মায়ের দুধ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। মায়ের বুকের দুধ কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সেসব প্রকৃতি আলোচনা করা হলোঃ
ঘন ঘন বাচ্চাকে দুধ খাওয়ান:
মায়ের বুকের দুধ বারোটা সব থেকে উল্টো দেবো পদ্ধতি হচ্ছে বাচ্চাকে ক্ষন গরুর দুধ পান করাতে হবে। বুকের দুধ উৎপাদন কম হচ্ছে বলে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ান বন্ধ করার মত ভুল করবেন না। বাচ্চার যত বেশি দুধ টানবে তত বেশি দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। তাই বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য বাচ্চাকে ঘনঘন দুধ খাওয়ান।
প্রচুর পরিমানে পানি ও তরল জাতীয় খাবার:
যেহেতু মায়ের বুকের দুধের বেশিরভাগ অংশই পানি। শিশুকে দুধ পান করানোর মাধ্যমে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায়।বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপােয় এর মধ্যে এটি অন্যতম। তাই বুকের দুধ উৎপাদনে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা জরুরী। ডিহাইডেশন থেকে বাঁচার জন্য প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করার অভ্যাস করুন। তাছাড়া তরল জাতীয় খাবার যেমন সুপ, ফলের রস ইত্যাদি খেলে বুকের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
গরম দুধে জিরা গুড়া মিশিয়ে পান করুন:
বুকের দুধ বৃদ্ধি করানোর জন্য গরম দুধ খুব ভালো একটি খাবার। প্রতিদিন এক গ্লাস গরম দুধে এক চামচ জিরার গুড়া মিশিয়ে খেলে বুকের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় খুঁজছেন তাহলে গরম দুধে জিরা গুড়া মিশিয়ে পান করুন।
রসুন খান:
রসুন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং দুগ্ধ দান কালে মায়ের দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে কাঁচা তিন কোয়া রসুন খেলে বুকে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন:
প্রস্তুতি মায়ের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম বা ঘুম অত্যন্ত জরুরি। কোন প্রকার মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকুন। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা আপনার বুকের দুধ উৎপাদন ব্যাহত করতে পারে।
বেশি করে ফল ও শাকসবজি খান:
মায়ের বুকের দুধ উৎপাদনের জন্য ফলমূল ও শাকসবজি বেশি করে খাওয়া উচিত। ফর্মুলা যেমন বেদনা, পাকা পেঁপে বুকের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবং সবজির মধ্যে লাউ, সজনে ডাটা, গাজর ইত্যাদি বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সকল শাকসবজি যুক্ত করুন।
মৌরি,মেথি, তুলসী:
মায়ের বুকের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে মৌরি, মেথি ও তুলসী ব্যবহার করুন। এক গ্লাস পানিতে দুইটা ভিজিয়ে রেখে সকালে উঠে পানি পান করুন। ঠিক একই দ্রব্যে আপনি মৌরি ভীজার ওপারেও খেতে পারেন। তাছাড়া তুলসী পাতা দিয়ে চা বানিয়ে খেলে বুকের দুধ উৎপাদন উন্নতি হয়।
ব্রেস্ট পাম্প:
প্রত্যেকবার শিশুকে স্তন্যদান করা হয়ে গেলে দুই থেকে তিনবার ব্রেস্ট পাম্প করান। ব্রেস্ট পাম্প করালে বুকের দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি হয়। তবে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্রেস্ট পাম্প করানো ভালো।
বুকের দুধ বৃদ্ধির দোয়া বাংলা:
পবিত্র কুরআনে পৃথিবীর সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) দুধ পান করার সময় একটি বিশেষ দোয়া পাঠ করতেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস ( রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাম বলেছেন, 'তোমাদের মধ্যে যখন কেউ দুধ পান করবে তখন এই দোয়াটি পাঠ করবে'।তাহলো-
বাংলা উচ্চারণ : 'আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফিহি ওয়াজিদনা মিনহু'
অর্থ : হে আল্লাহ! এই খাবারে আমাদের বরকত দিন এবং তা বাড়িয়ে দিন। (আবু দাউদ ৩৭৩২)
সুতরাং আমরা বুঝতে পারি যখন কোনো মা শিশুদের দুধ পান করান এবং বুকের দুধে সংকট হয় তখন এই দোয়া পড়লে বুকের দুধের উন্নতি হবে ইনশাআল্লাহ। তাছাড়া আপনারা জানেন যে আল্লাহর গুনবাচক নাম গুলোর বিভিন্ন রকমের ফজিলত রয়েছে। আর এরকম একটি গুনবাচক নাম এর আমল করতে পারলে বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে।
আরো পড়ুনঃ নবজাতক শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি?
সেই বিশেষ গুণবাচক নামটি হল 'ইয়া মাতিনু'। এক গ্লাস পানিতে 'ইয়া মাতিনু' ১০০ বার পড়ে সেই পানি অর্ধেক পান করবে এবং অর্ধেক দিয়ে মায়ের বুকের স্তন ধুয়ে নিলে বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ। তাছাড়া 'ইয়া মাতিনু' একটি নতুন সিনামাটির পাত্রে জাফরান কালি দিয়ে আরবিতে লিখে সেটি ধুয়ে সেই পানি প্রসূতি মা পান করলে বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ।
এভাবে নিয়মিত সাত দিন এই আমল করলে বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে। এই দুই উপায়ে সঠিক নিয়মে আমল করলে আপনি উপকৃত হবেন। প্রিয় পাঠক, আশা করি, বুকের দুধ বৃদ্ধির দোয়া ও আমল সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।
বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট :
একটি শিশু জন্ম নেওয়ার পর তার প্রধান খাদ্য হচ্ছে তার মায়ের বুকের দুধ। কিন্তু অনেক সময় মায়ের বুকের দুধ কম হয় বা বুকের দুধ আসে না। প্রথমে বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে চেষ্টা করা উচিত। তাছাড়া অনেকের বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট খাওয়ার কথা ভেবে থাকেন। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এ সকল ট্যাবলেট খাওয়া উচিত। সাধারণত ডাক্তাররা মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির জন্য যে সকল ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন সেগুলো হলোঃ
- অমিডন
- মম বিট
- ডন এ
- ডোমাইট
- পেরিডন
- ল্যাগ টাম
- ল্যাগটাগন
এ সকল ওষুধ একজন মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এ সকল ওষুধ খেলে মায়ের হজমের সমস্যা সমাধান হয় এবং খাবারের প্রতি রুচি বাড়ে। যার ফলে মায়ের শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয় এবং বাচ্চা দুধ পায়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ডোজ ও খাওয়ার নিয়ম নিশ্চিত করে নেওয়া উচিত।
মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির খাবার:
মায়ের বুকের দুধ পান করা একটি শিশুর জন্য অত্যন্ত জরুরী। মায়ের বুকের দুধ শিশুর শরীরে অ্যান্টিবডি হিসেবে কাজ করে। সে সাথে শিশুকে দুধ পান করার মাধ্যমে মা বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়ে থাকেন।শিশু দুধ পান করলে একজন মা বাড়তি ওজন, বেস্ট ক্যান্সার, এলার্জি, ওভারিয়ান ক্যান্সার ইত্যাদি থেকে রক্ষা পায়।
তাই শিশু জন্মের পর মায়ের বুকের দুধ উৎপাদন কম হলে অথবা দুধ না আসলে অবশ্যই বুকের দুধ ফেরানোর ব্যবস্থা করা উচিত। বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাবার যা আপনার ঘরে সচরাচর থাকে এ সকল খাবার দিয়ে আপনি বুকের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করাতে পারেন। মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির খাবার সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হলোঃ
- মৌরি
- মেথি
- কালোজিরা
- গরম মসলা
- দুধ ও জিরার গুড়া
- পানি
- গাজর
- রসুন
- সজনে ডাটা
- ছোলা
- লাউ
- সবুজ শাকসবজি
- পাকা পেঁপে
- বেদেনা
- ছোট মাছ
- ছোট মুরগির বাচ্চা
- খেজুর
- বাদাম
- তিল
- বার্লি
- ওটস
- স্যুপ
- মিষ্টি আলু
এ সকল খাবার খেলে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি পায় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। যে সকল মায়ের বুকের দুধের সমস্যা তারা এ সকল খাবার খাদ্য তালিকায় যোগ করুন।। তার পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন করুন। মনে রাখবেন জন্মের পর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত শিশুর প্রথম এবং প্রধান খাদ্য হলো তার মায়ের বুকের দুধ।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় নাশপাতি খাওয়ার উপকারিতা।
মায়ের বুকের দুধ একটি শিশুর মেধা বিকাশে এবং শারীরিক বিকাশে অত্যন্ত জরুরী। তাই যেকোন উপায় শিশুপুকে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। আশা করি, মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির খাবার সম্পর্কে আপনারা অবগত হতে পেরেছেন।
বুকের দুধ শুকিয়ে যায় কেন:
একজন মায়ের বুকের দুধ শুকিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তবে ঠিক কি কারনে মায়ের বুকের দুধ শুকিয়ে যায় এটা বলা মুশকিল। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। তবে সম্ভাব্য কিছু কারণ রয়েছে যেগুলোর জন্য বুকের দুধ শুকিয়ে যেতে পারে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ
- শিশু জন্মের পর অনেক দেরি করে মায়ের বুকের দুধ পান করানো একটি অন্যতম কারণ হতে পারে। একটি শিশু জন্মের পর পরই তার মায়ের বুকের দুধ চুষানে উচিত।
- শিশুকে সময়মতো ও ঘন ঘন দুধ পান না করালে বুকের দুধ উৎপাদন কমে যেতে পারে। ফলে মায়ের বুকের দুধ শুকিয়ে যেতে পারে।
- মায়ের মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তার কারণে প্রয়োজনীয় হরমোন পরিমাণ মতো শরীরে তৈরি না হলে বুকের দুধ শুকিয়ে যেতে পারে।
- জন্মনিয়ন্ত্রণ করে এরকম বড়ি সেবনের কারণেও অনেক সময় মায়ের বুকের দুধ উৎপাদন কমে যেতে পারে।
- যে সকল মায়েরা দুগ্ধ দান করেন তাদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার প্রয়োজন হয়। সঠিক পরিমাণে পানি পান না করলে অনেক সময় বুকের দুধ উৎপাদন কমে যায়।
- কিছু ওষধ বুকের দুধ উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই দুগ্ধদান কালে সকল ঔষধ চিকিৎসকের পরামর্শ দিয়ে খাওয়া উচিত।
- দুগ্ধ দানকারী মা যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে দুধ উৎপাদনে সমস্যা হতে পারে।
- তাছাড়া পূর্বে কখনো স্তনে সার্জারির মতো চিকিৎসা হয়ে থাকলে মায়ের বুকের দুধ কম আসতে পারে।
লেখকের মন্তব্য: বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় এবং বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট
প্রিয় পাঠক, পুরো আর্টিকেলটি পড়ে এতক্ষণে আপনারা জানতে পেরেছেন একজন মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সমূহ সম্পর্কে। তাছাড়া বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট সম্পর্কেও আমরা আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি সকল বিষয়ে তথ্য পেয়ে থাকেন এবং আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে তাদের ও পড়ার সুযোগ করে দিন। আর আপনার যদি বিশেষ কোনো মতামত থাক তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url