চিয়া সিড খেলে কি ওজন কমে - চিয়া সিড খাওয়ার পরিমাণ

চিয়া সিড খেলে কি ওজন কমে নাকি স্বাভাবিক থাকে সে সম্পর্কে জানতে চান? আবার চিয়া সিড খাওয়ার পরিমাণ কতটুকু হওয়া উচিত সে সম্পর্কে জানতে চান বলেই উক্ত আর্টিকেলটিতে ক্লিক করেছেন। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের জানাবো চিয়া সিড খেলে কি ওজন কমে এবং চিয়া সিড খাওয়ার পরিমাণ কতটুকু।
চিয়া সিড খাওয়ার পরিমাণ
এছাড়া আরো জানাবো- গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম, চিয়া সিড খাওয়ার সময় এবং চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করি আপনার উপকারে আসবে।

ভূমিকা: চিয়া সিড খেলে কি ওজন কমে - চিয়া সিড খাওয়ার পরিমাণ

যারা অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন তাদের জন্য চাহিদাপূর্ন একটি খাবার হলো চিয়া সিড। চিয়া সিড সুপার ফুড নামে পরিচিত। চিয়া সিড খাওয়ার প্রচলন এবং এর উপকারিতার জন্য দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ডায়েটের জন্য ও গুরুত্বপূর্ন একটি খাবার হলো চিয়া সিড। যা আমাদের ওজন কমানোর পাশাপাশি আমাাদের সুস্থ্য রাখে।

ছোট এই কালো রঙ্গের বীজের পুষ্টিগুন ও অনেক। এতে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ। যা আমাদের শারীরিক ভাবে সুস্থ্য রাখতে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগাতে বিশেষ ভাবে কাজ করে। তাই সুস্থ্য থাকতে আমাদের উচিত নিয়মিত চিয়া সিড খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা। সিয়া সিড সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ন আর্টিকেলটি পড়ুন।

চিয়া সিড খেলে কি ওজন কমে

চিয়া সিড খেলে ওজন কমার সম্ভাবনা রয়েছে, যদি সেটি সঠিক পরিমান ও সঠিক নিয়ম মেনে খাওয়া যায়। তবে শুধু চিয়া খেয়ে ওজন কমানো অনেকটা কষ্টসাধ্য। চিয়া সিড খাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য সুষম খাবার খাওয়া উচিত। যা আমাদের দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষুধা নিবারন করবে এবং মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত তেল চর্বি দূর করবে। চলুন জানি চিয়া সিড খেলে কি ওজন কমে সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
চিয়া সিড খেলে কি ওজন কমে
চিয়া সিড ফাইবার বা আঁশ জাতীয় খাবার। চিয়া সিডে প্রায় ৪০ শতাংশ ফাইবার বিদ্যমান। এটি খাওয়ার ফলে, এতে থাকা ফাইবার আমাদের দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা থাকে এবং আমাদের ক্ষুধা কমিয়ে দেয়। যার ফলে অতিরিক্ত কোন খাবার গ্রহন করা থেকে বিরত থাকা যায়, তাই শরীরের ক্যালোরি ও কম প্রবেশ করে। এর ফলস্বরুপ আমাদের ওজন হ্রাস পায়।

মেটাবলিজম বৃদ্ধি করতে এক বিকল্প খাবার চিয়া সিড। চিয়া সিডে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন থাকে, যা আমাদের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রনে রাখার পাশাপাশি আমাদের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। মেটাবলিজম বৃদ্ধি পাওয়াতে আমাদের পেটে অতিরিক্ত তেল চর্বি ধীরে ধীরে কমতে থাকে। যার কারনে আমাদের ওজম কমে যায়।

চিয়া সিড একটি কম ক্যালোরি সম্পূর্ন খাবার। যা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর অনেক কম ক্যালোরি গ্রহন করে। যারা ডায়েট করে বা ওজন কমাতে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেন। তারা চিয়া সিড খেতে পারেন। কম ক্যালোরি হওয়াতে এটি পানি, দুধ বা স্মুদিতে মিশিয়ের খেলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

চিয়া সিডে প্রচুর পরিমানে ওমেগা ৩ ফ্যাটি রয়েছে। যা আমাদের শরীরের ফ্যাট বার্নিং বা অতিরিত তেল চর্বি হ্রাস করতে সাহায্য করে। যার ফলে আমাদের ওজন অনেকটা কমে যায়। এছাড়া নিয়মিত চিয়া সিড খাওয়ার ফলে আমাদের পেট পরিষ্কার হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

চিয়া সিড খাওয়ার পরিমাণ

চিয়া সিড খাওয়ার আগে এর পরিমান সম্পর্কে জানা জরুরি। ‍দিনে কত বার খাবেন কি পরিমান খাবেন সে সম্পর্কে জানা উচিত। এছাড়া কত বছর বয়সে কি পরিমান খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে ও ধারনা রাখতে হবে। খাওয়ার পরিমান কম বেশি হলে আমাদের পেটের সমস্যা সহ অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। চলুন জানি চিয়া সিড খাওয়ার পরিমান সম্পর্কে-

০ থেকে ২ বছর পর্যন্ত কোন শিশুকে কোন ক্রমেই চিয়া সিড খাওয়ানো উচিত নয়। এটি যেহেতু এক ধরনের সুপার ফুড, যাতে অনেক পরিমানে ভিটামিন ও প্রোটিন থাকে যা বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টির তুলনায় অনেক বেশি। তাই এই বয়সের বাচ্চাদের সহনীয় মাত্রায় ভিটামিন বা প্রোটিন খাওয়ানো উচিত। এই বয়সের বাচ্চাদের চিয়া সিড খাওয়ালে শারীরিক অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই না খাওয়ানোই ভালো।

২ থেকে ১০ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের অল্প পরিমান চিয়া সিড খাওয়ানো যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত খাওয়ানো যাবেনা। এই বয়সের বাচ্চাদের ৫ থেকে ১০ গ্রাম পর্যন্ত চিয়া সিড খাওয়ানো যেতে পারে। তবে একেক বাচ্চাদের শারীরিক গঠন ও কার্যক্রম আলাদা হয়ে থাকে। সে কারনে বাচ্চার শারীরিক গঠন অনুযায়ী বাচ্চাদের চিয়া সিড খাওয়ানো উচিত।

১১ থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক পর্যন্ত সকলের জন্য ১৫ থেকে ৩০ গ্রাম চিয়া সিড খাওয়ানো যেতে পারে। এই বয়সে শারীরিক ঘাটতি অনেক বেশি পরিমানে হয়। সেই ঘাটতি পূরণ করতে চিয়া সিড অন্যান্য খাবারের তুলনায় বেশ কার্যকারী হয়ে থাকে। সে জন্য নিয়মিত ১ বা ২ টেবিল চামচ পরিমান চিয়া সিড খাওয়া যেতে পারে। প্রথমে স্বাভাবিক মাত্রায় খাওয়া উচিত এবং ধীরে ধীরে এর পরিমান বৃদ্ধি করে খাওয়া যেতে পারে।

গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

গর্ভাবস্থা সকল মায়েদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন একটি সময়। এসময় যে কোন খাবার খাওয়ার পূর্বে সেই খাবার সম্পর্কে জেনে তারপর সেই খাবার গ্রহন করা উচিত। অন্যথায় সেই খাবার গর্ভবতী মায়ের ও গর্ভে থাকা সন্তানের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। চিয়া সিড খাওয়ার পূর্বে ও এই সম্পর্কে জেনে, উপযুক্ত নিয়ম মেনে চিয়া সিড খাওয়া উচিত। চলুন জানি গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে-

গর্ভবতী মায়েরা এই চিয়া সিড থেকে সঠিক পুষ্টি পেতে প্রতিদিন ১ চামচ বা ১.৫ চামচ পরিমান চিয়া সিড খেতে পারেন। এর বেশি কোনক্রমেই খাওয়া উচিত নয়। ১ থেকে ১.৫ চামচ পরিমান চিয়া সিড গর্ভবতী মায়েদের জন্য নিরাপদ পরিমান বলে মনে করা হয়। এর বেশি খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা বা পেট ফুলে যাওয়া সমস্যা হতে পারে।

চিয়া সিড অবশ্যই ভিজিয়ে পান করা উচিত, যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ উপকারি হয়ে থাকে। চিয়া ২০ থেকে ২৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখলেই তা জেলের মতো হয়ে খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে যায়। তবে রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে পান করা বেশি উপকারী হয়ে থাকে। সারা রাত ভিজিয়ে রাখার ফলে এতে থাকা সকল পুষ্টিগুন বের হয়ে আসে এবং সহজেই শরীরের সাথে মিশে যেতে সাহায্য করে।

অনেক গর্ভবতী মায়েরা রয়েছেন যারা শুধু পানিতে ভিজিয়ে চিয়া সিড খেতে পারেন না। তারা চিয়া সিড বিভিন্ন খাবারের সাথে যোগ করে খেতে পারেন। দুধ, স্মুদি বা সালাডের সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে চিয়া সিডের পুষ্টি গুন অধিক পরিমানে বৃদ্ধি পায় এবং খাবারের স্বাদ ও পরিবর্তন হয়ে থাকে।

গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়া শুরু করলে প্রথমের দিকে ১ চামচ পরিমান খাওয়া শুরু করুন। আপনার শরীর যদি সহনীয় হয়, তাহলে ২ চামচ বা তার বেশি মাত্রায় খাওয়া যেতে পারে। আর যদি কোন পাশ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে চিয়া সিড খাওয়ার পরিমান কমিয়ে দিনে অথবা সম্পূর্ন ভাবে খাওয়া বন্ধ করে দিন।

চিয়া সিড খাওয়ার সময়

চিয়া সিড খাওয়ার সময় নিধারন করা বেশ গুরুত্বপূর্ন। চিয়া সিড খাওয়ার সময়ের উপর আপনার স্বাস্থ্য উপকারিতা নির্ভর করে থাকে। এছাড়া আপনার শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী একটি নিদিষ্ট সময় নির্ধারন করে চিয়া সিড খাওয়া উচিত। চলুন জানি চিয়া সিড খাওয়ার সময় সম্পর্কে বিস্তারিত-

চিয়া সিড আপনি যে কোন সময় আপনার শারীরিক চাহিদার উপর বিবেচনা করে খেতে পারেন। তবে সকালে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমানোর আগের খাওয়া অনেকটা স্বাস্থ্য সম্মত। সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে নাস্তার সাথে চিয়া সিড খাওয়া যেতে পারে। সকালে চিয়া সিড খাওয়ার ফলে এটি দ্রুত আমাদের শরীরের সাথে মিশে যায়।

সারাদিনে প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগাতে বা কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে মনোযোগ বৃদ্ধি করতে সকালে চিয়া সিড খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। সকালে চিয়া সিড খাওয়ার ফলে এটি আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রন করতে বেশ কার্যকারী হয়ে থাকে। এছাড়া এটি আমাদের ওজন কমাতে ও বেশ উপকারি হয়ে থাকে।

চিয়া সিড রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়ার ফলে সারারাত আমাদের শরীর হাইড্রেড থাকে। ফলে আমাদের ঘুম ভালো হয়ে থাকে এবং ঘুমের মধ্যে প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় হয়ে থাকে। এছাড়া রাতে চিয়া সিড খাওয়ার ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন উৎপন্ন হয়ে থাকে। যা আমাদের হাড় গঠনে এবং মানসিক বিকাশে বেশ উপকারী।

চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা

চিয়া সিডকে এর স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য আমরা এটিকে সুপার ফুড বলে থাকি। অতিরিক্ত সুপার ফুড গ্রহন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুকির কারন হতে পারে। চিয়া সিডের যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমনি রয়েছে এর অপকারিতা। সেজন্য চিয়া সিড খাওয়ার আগের অবশ্যই এর উপকারিতা ও অপরিতা সম্পর্কে জানা উচিত। চলুন জানি চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে-
চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা
  • অতিরিক্ত পরিমানে চিয়া সিড খাওয়ার ফলে আমাদের পেট ফোলা, পেটে গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়ার মত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
  • প্রয়োজনের তুলনায় চিয়া সিড বেশি খেলে এতে থাকা ফাইবার বা আঁশ আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি শোষণ হয়ে থাকে।
  • মাত্রাতিরিক্ত চিয়া সিড খাওয়ার ফলে আমাদের অস্বাভাবিক ভাবে ওজন কমে যেতে পারে। যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
  • কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অতিরিক্ত চিয়া সিড খাওয়ার ফলে মেয়েদর স্তন ক্যান্সার বা প্রোস্টট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জন্য চিয়া সিড খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরার্মশ নেওয়া উচিত। কারণ চিয়াসিড খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্র অনেক কমে যেতে পারে।
  • চিয়া সিড খাওয়ার ফলে রক্তে থাকা শর্করার মাত্র অনেক কমে যায় যে কারণে শরীর দূর্বলতা বা মাথা ঘোরার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

লেখকের শেষ মন্তব্য: চিয়া সিড খেলে কি ওজন কমে - চিয়া সিড খাওয়ার পরিমাণ

প্রিয় পাঠক, এতক্ষনে চিয়া সিড খেলে কি ওজন কমে নাকি কমে না সে সম্পর্কে এবং চিয়া সিড খাওয়ার পরিমাণ কতটুকু হওয়া উচিত সে সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। আবার গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম, চিয়া সিড খাওয়ার সময় এবং চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন।

চেষ্টা করুন প্রতিদিন সঠিক নিয়মে এবং সঠিক পরিমানে চিয়া সিড খাওয়ার। চিয়া সিড খাওয়ার আগে অবশ্যই তা কমপক্ষে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন। অন্যথায় শুধু চিয়া সিড খেলে শরীরের সকল পানি শোষন হয়ে পানি শূন্যতায় ভূগতে পারেন। এছাড়া চিয়া সিড খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করার চেষ্টা করুন।

মাত্রাতিরিক্ত পরিমানে চিয়া সিড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং আপনার উপকারে আসে তাহলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এবং আপনার বিশেষ কোনো মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url