দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম ও স্থায়ী চিকিৎসা কোনটি তা জানুন
দাউদ হলে আমরা অনেক অসস্তিতে ভোগী। আমরা বুঝতে পারিনা দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি এবং দাউদের স্থায়ী চিকিৎসা কি হতে পারে। আমি রাবেয়া রয়েছি আপনাদের সাথে আমি আপনাদের জানাবো দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি এবং দাউদের স্থায়ী চিকিৎসা কি হতে পারে। যাতে আপনার ত্বক থেকে দাউদ চিরতরে চলে যায়।
এছাড়া দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ আমাদের শরীরের জন্য এবং দাউদের জন্য সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ সম্পর্কে। পাশাপাশি দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান ও মলম ইন্ডিয়ান কোনটি ভালো হবে।
ভূমিকা: দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি
দাউদ হলো এক ধরনের সংক্রমণ জাতীয় রোগ, যা সাধারণত আমাদের ত্বকে হয়ে থাকে। এটি বিভিন্ন আকারের বা ধরনের হতে পারে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয় গোলাকার বা বৃত্তাকার। এছাড়া ও ফুলে যাওয়া, চুলকানি এবং ঠোসা উঠার মত সমস্যা সহ আমাদের শরীরে দাউদ হতে পারে। এই হয়ে থাকে আমাদের ত্বক, মাথা এবং হাত বা পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে।
দাউদ একধরনের ছোয়াছে রোগ। আপনি বাড়িতে কারোর এই সমস্যা থাকলে তা আপনার ও হতে পারে। দাউদ আক্রান্ত ব্যক্তির কাপড় পরিধারণ বা ব্যবহারের ফলে ও দাউদ হতে পারে। এছাড়া যারা অনেক বেশি ঘামেন কিন্তু ত্বক ভালো ভাবে পরিষ্কার করেন না, তাদের ও এই দাউদের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই নিজেকে দাউদমুক্ত রাখতে সবসময় পরিষ্কার থাকুন।
দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি - দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম
দাউদ থেকে আমরা অনেক ধরনের মলম ব্যবহার করে থাকি কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি তা জানি না। সেজন্য আমাদের ত্বকে দাউদ অনেক দীর্ঘ সময় ধরে থেকে যায়। এই দাউদ থেকে অতিদ্রুত মুক্তি পেতে আমাদের নিদিষ্ট কিছু মলম ব্যবহার করা উচিত। চলুন জানি দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি।
ফাঙ্গিট্যাক মলম: ফাঙ্গিট্যাক মলম একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম হিসেবে পরিচিত। যা দাউদ নিরাময়ে বিশেষ ভাবে তৈরী হয়ে থাকে। এই মলম বা ক্রিমে সারটাকোনাজোল নামক এক ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যা ছত্রাক রোধে এবং ছাত্রাক নির্মূল করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়া এটি ছত্রাক বৃদ্ধি হতে বাধা প্রদান করে। এই মলমটি ব্যবহারে দাউদে যে ছত্রাকের কোষ থাকে তা ধীরে ধীরে বিলিন হতে শুরু করে এজন্য ছত্রাক অতিদ্রুত মারা যায়। ফলে দাউদ ভালো হওয়ার সাথে সাথে ত্বকে একধরনের আবরনের সৃষ্টি করে যা ভবিষতে দাউদ হওয়া থেকে বিরত রাখে।
ফাঙ্গিডাল মলম: ফাঙ্গিডাল হলো স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালের একটি মলম বা ক্রিম। এটি সাধারণত ছত্রাকনাশক হয়ে থাকে এবং ত্বকে দাউদ সহ ত্বকের বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই মলমটিতে মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয় মাইকোনাজল নাইট্রেন। যা পরিমান ২% এর মত হয়ে থাকে। যা ছত্রাকের কোষ ঝিল্লিতে আক্রমন করে কোষ ঝিল্লি ক্ষতিগ্রস্থ করে তোলে। এজন্য ত্বক থেকে ছাত্রাক চিরতরে চলে যায়। তবে এই মলমটি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহার করা উচিত।
লিউলিজল মলম: লিউলিজল এসকেএফ ফার্মাসিটিক্যালসের একটি পন্য বা মলম। যা ছাত্রাকজনিত রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এই ক্রিম বা মলমে লুলিকোনাজোল নামক এক ধরনের উপাদান থাকে। যা ছত্রাক দমনে বাধা প্রদান করে। লুলিকোনাজোল ছত্রাক মেরে ফেলতে ছত্রাকের কোষ পর্দাকে আঘাত করে। এজন্য এই ক্রিমটি ব্যবহারে দাউদ অতি তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়। ছাড়া এই ক্রিমটি আমাদের ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত করে ফলে নতুন ছত্রাক জন্ম নেয়না।
টারবিনাফি মলম: দাউদের আরো একটি জনপ্রিয় মলম বা ক্রিম হলো টারবিনাফি। এটি ও ছাত্রাক রোধে বিশেষ ভাবে কাজ করে যা দাউদ ভালো করতে বেশ উপকারি হয়ে থাকে। এই ক্রিমটি সকল ধরনের ছত্রাকের বিরুদ্ধে কাজ করে। আপনি যদি দাউদ বা ত্বকজনিত কোন সমস্যায় ভোগেন তাহলে এই টারবিনাফি মলম ব্যবহার করতে পারেন। এটি দ্রুত ছাত্রাকের কোষ বিলিন করে দেয় এবং দাউদ থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়া হাত ও পায়ের আঙ্গুলের দাউদের জন্য টারবিনাফি মলম বেশ উপকারি।
মলম ব্যবহারের নিয়ম:
- দাউদ আক্রান্ত স্থান ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। ধোয়ার সময় অবশ্যই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
- ধোয় হয়ে গেলে এবার এই জায়টি ভালো ভাবে শুকাতে হবে। ভেজা থাকলে আপনার অসস্তির কারন হতে পারে।
- এবার জায়গায়টি সামান্য পরিমান ঘুসে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন জায়গাটি ক্ষত না হয়।
- এবার আক্রান্ত স্থানে পাতলা করে মলম লাগাতে হবে। বেশি মোটা করে লাগাবেন না।
- দিনে ১ থেকে ২ দুই বার লাগানো যেতে পারে। এর বেশি লাগাবেন না। সকাল ও রাতে ঘুমানো আগে লাগানো সবচেয়ে উত্তম।
দাউদের স্থায়ী চিকিৎসা
দাউদের স্থায়ী চিকিৎসা না করলে এটি আমাদের দীর্ঘ সময় ধরে ভোগান্তিতে রাখে। যা একটি কষ্টসাধ্য বিষয়ে পরিনত হয়। এজন্য দাউদের জন্য সঠিক চিকিৎসা গ্রহন করা উচিত। পাশাপাশি দাউদ প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত। অন্যথায় এটি স্থায়ীভাবে নিরাময় হয় না। সাময়িক ভালো হলেও তা কিছুদিন পর পুনরায় হয়ে থাকে। এজন্য চলুন জানি দাউদের স্থায়ী চিকিৎসা সম্পর্কে-
সঠিক ঔষধের ব্যবহার করা: দাউদের জন্য সঠিক ঔষধ ব্যবহার বা সেবন করা উচিত। যেই ঔষধ গুলোর মধ্যে লুলিকোনাজল, মাইকোনাজল, ক্লোট্রিমাজল এবং টারবিনাফিন বিদ্যমান রয়েছে, সেসকল ঔষধ ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া সেবনের জন্য ইটারাকোনাজল, ফ্লুকোনাজল এবং টারবিনাফিন ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে থাকা: নিজেকে সব সময় পরিষ্কার রাখুন যাতে আপনার শরীরে কোন ধরনের ঘাম জমে না থাকে এবং অতিরিক্ত ঠান্ডা না লাগে। একে অপরের কাপড় পরিধান করবেন না। আলাদা আলাদা কাপড় পরিধান করুন। কারো সাথে বেড শেয়ার করলে নিয়মিত বেড শীট ধুয়ে দিন এবং তোশক ৭ দিনে একবার রোদে দিন।
অবশ্য করণীয়: আপনার যদি দাউদ হয়ে থাকে, তাহলে আক্রান্ত স্থানে কোনভাবেই হাত দেওয়া যাবেনা। কোনভাবে হাত লাগলে সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সংক্রমণ এড়িয়ে চলতে নিয়মিত ধোয়া কাপড় রোদে দিয়ে পরিধান করুন। কোন ক্রমেই শরীরে ঘাম বসতে দিবেন না। খেলাধূলা বা শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কাজ করার পরে গোসল করে নিন।
দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ - দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
দাউদ নিরাময়ে ঘরোয়া অনেক ঔষধ বা চিকিৎসা রয়েছে। যেগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে দাউদ তাড়াতাড়ি ভালো হতে পারে। এই ঘরোয়া উপায়গুলো ছত্রাক দূর করতে পারে এবং ত্বক আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারে। চলুন জানি দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ বা চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত।
নারিকেল তেল: দাউদের জন্য ঘরোয়া উপায় হিসেবে আমরা নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারি। তবে ঘরে বানানো নারিকেল থেকে নারিকেল তেল ভালো কাজ করে। কারণ নারিকেল তেলে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে যা ছাত্রায় ধ্বংস করে আমাদের ত্বকে থাকা দাউদ দ্রুত ভালো করে। দিনে ৩ থেকে ৪ বার আক্রান্ত স্থানে নারিকেল তেল লাগাতে পারেন।
লেবুর রস: দাউদের জন্য লেবুর রস ও বেশ উপকারি একটি ঘরোয়া উপাদান। এটি ব্যবহারে এতে থাকা প্রাকৃতিক গুনাবলীর কারনে ছত্রাক বৃদ্ধি পেতে বাধাগ্রস্থ হয়ে থাকে। যার কারনে দাউদ কম সময়ে ভালো হয়ে যায়। তবে এটি ব্যবহারে ত্বক জ্বালা করতে পারে। একটি লেবু চিপে লেবুর রস আক্রান্ত স্থানে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। দিনে একবারের বেশি ব্যবহার করবেন না।
রসুন: দাউদ নিরাময়ে রসুন একটি উপকারি উপাদান। রসুনে অ্যালিসিন এমক এক ধরনের উপাদান থাকে যা অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে। সেজন্য রসুন ব্যবহারে দাউদ তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়। দাউদে রসুন ব্যবহারের জন্য প্রথমে রসুন থেকে রস আলাদা করে নিতে হবে। তারপর দাউদের উপর ভালোভাবে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখতে হবে। যা দিনে ২ বার ব্যবহার করতে পারবেন।
আপেল সিডার ভিনেগার: দাউদের জন্য আপেল সিডার ভিনেগার ও ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ আপেল সিডার ভিনেগারে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান থাকে যা দাউদে থাকা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এজন্য অতিদ্রুত দাউদ ভালো হয়। এটি ব্যবহারের জন্য আপেল সিডার ভিনেগারের সাথে পানি মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে তুলার সাহায্যে দিনে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করতে পারেন।
দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ
দাদ যেহেতু আমাদের ত্বকে হয়ে থাকে, সেহেতু যাদের অ্যালার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এই খাবার গুলো খাওয়ার ফলে সংক্রমণাক্ত জায়গা অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়ে যায়। কারনে ত্বকে ফুলে যাওয়া বা অনেক বেশি চুলকানো ছাড়া ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিম্নে দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ তা উল্লেখ করা হলো-
চিনি যুক্ত খাবার যেমন চকলেট, মিষ্টি, কেক এবং কোমল পানীয় চেষ্টা করুন না খাওয়ার। মিষ্টি যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের ত্বকে থাকা ইলাস্টিন এবং কোলাজেন ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে। যার কারনে ঔষধ ব্যবহারে ও আমাদের ত্বক থেকে দাউদ বা অন্য কোন সংক্রমণ সহজে সরে যায় না। সেজন্য উচিত মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করা।
দুগ্ধজাত খাবার ও আমাদের দাদ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। দুগ্ধজাত খাবার গুলোর মধ্যে দুধ, দই, পনির, মাখন ইত্যাদি খাবার অন্যতম। এই খাবার গুলো খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে অধিক পরিমানে মিউকাসের সৃষ্টি হয়। যা দাউদ বা দাদ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই যাদের দাউদের সমস্যা রয়েছে চেষ্টা করুন দুধ বা দুধজাতীয় খাবার না খাওয়ার।
প্যাকেটজাত ও ভাজা পোড়া খাবার দাউদে আক্রান্ত ব্যক্তিদের না খাওয়াই উত্তম। প্যাকেটজাত খাবার গুলোতে রাসায়নিক উপাদান অধিক পরিমানে ব্যবহার করা হয়, যা দাউদ বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া ভাজা পোড়া যে খাবার রয়েছে সেগুলোতে থাকা বার বার ব্যবহিত একই তেল ছত্রাকের সংক্রমণ বৃদ্ধি করে। এজন্য এই সকল খাবার খাওয়া উচিত নয়।
অ্যালকোল জাতীয় খাবার ও দাউদ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। যা শরীরের ক্ষতি করার পাশাপাশি দাউদ বিস্তার করতে ও সাহায্য করে। এছাড়া চা-কফি ও পরিহার করা উচিত। চা-কফি আমাদের পানি শূন্যতায় ভোগায়, যার কারনে ত্বক অনেকটা শুষ্ক হয়ে যায় এবং দাউদের বিস্তার ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করে তোলে।
দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান
দাউদের জন্য অনেক সাবান রয়েছে যেগুলো অনেক বেশি প্রচলিত এবং জনপ্রিয়। সেই সাবান গুলো দাউদের ছত্রাক রোধে কাজ করতে পারে। কারণ এই সাবন গুলোতে বিদ্যমান রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। যা দাউদ অনেক কম সময়ে সাড়াতে সাহায্য করে। চলুন জানি দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান কোনটি।
কেটোকোনাজল সাবান: কেটোকোনাজল সাবান অনেক শক্তিশালি ছত্রাকরোধী সাবান। যা আমাদের ত্বকে থাকা দাউদ সহ অন্যান্য সংক্রমণ রোধে ডাক্তারা ব্যবহার করার নিদের্শনা দিয়ে থাকেন। এটি ব্যবহার করার উপযুক্ত সময় হলো গোসলের সময়। গোসলের সময় আক্রান্ত স্থানে ভালোভাবে ফেনা করে ব্যবহার করুন। এটি ত্বক পরিষ্কার করার পাশাপাশি ত্বক থেকে দাউদ নিরাময় করে।
সিঙ্ক ওক্সাইড সাবান: সিঙ্ক ওক্সাইড সাবান দাউদ আক্রান্ত ত্বকের জন্য বেশ উপকারি হয়ে থাকে। এই সাবানে থাকা ছত্রাক রোধী উপাদান ছত্রাক রোধ করে দাউদ ভালো করতে সহায়তা করে। এটি নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক বৃদ্ধি রোধ হয়। যার কারনে দাউদ ভালো হয়ে যায়। গোসলের সময় এই সাবানটি ব্যবহার করতে হয়।
পেরোজ সাবান: আরো একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল সাবান হলো পেরোজ সাবান। এই সাবানে টিনেডোজোল এবং সালিসাইলিক অ্যাসিড বিদ্যমান থাকে। যে কারনে ত্বকে থাকা দাউদ অতি কম সময়ে ভালো হয়ে যায় এবং ছত্রাকের পরিমান বাড়তে দেয়না। বেশিভাগ ডাক্তার দাউদের জন্য এই সাবানটি ব্যবহার করার নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। গোসলের সময় হাত দিয়ে আলতো করে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন। ঘোষা ব্যবহার করবেন না।
লেখকের শেষ মন্তব্য: দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি
প্রিয় পাঠক, এতক্ষনে দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি এবং দাউদের স্থায়ী চিকিৎসা কোনটি হতে পারে তা বুঝতে পেরেছেন। আবার দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান কোনটি কিভাবে ব্যবহার করবেন এবং দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ বা উপায় কি কি তা জানতে পেরেছেন। তাই চেষ্টা করুন সঠিক উপায়ে এই ঔষধ ও পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করার।
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন মলম, ক্রিম বা ঔষধ ব্যবহার করবেন না। এই আর্টিকেলে সকল তথ্য যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করে তাদেরও পড়ার সুযোগ করে দিন। এবং নিয়মিত আমাদের এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করার অনুরোধ রইল এবং বিশেষ করে মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url