ধূমপান ছাড়ার ১৩টি কৌশল ও ধূমপান ছাড়ার ইসলামিক উপায়

আপনি যদি সিগারেটে আসক্ত হয়ে থাকেন? তাহলে ধূমপান ছাড়ার ১৩টি কৌশল এবং ধূমপান ছাড়ার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটিতে ক্লিক করেছেন। আমি রাবেয়া আছি আপনাদের সাথে, আমি আপনাদের জানাবো ধূমপান ছাড়ার ১৩টি কৌশল এবং ধূমপান ছাড়ার ইসলামিক উপায়সমূহ কি কি হতে পারে সে সম্পর্কে।
ধূমপান ছাড়ার ইসলামিক উপায়
এছাড়া আরো জনাতে পারবেন- সিগারেট ছাড়ার পর করনীয় কি, হঠাৎ করে সিগারেট ছেড়ে দিলে কি হয় এবং ধূমপান ছাড়ার নতুন ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করি উপকৃত হবেন।

ভূমিকা: ধূমপান ছাড়ার ১৩টি কৌশল

ধূমপান একধরনের মরন নেশা। যা একবার আপনি শুরু করলে তা ছাড়তে পাড়া আপনার জন্য প্রায় অসম্ভব। এই সিগারেট এমন এক ধরনের নেশা যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাড়ায় এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। গর্ভবতী মায়েরা ধূপমানের সংস্পর্শে থাকলে গর্ভে থাকা বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

তাই আমাদের সকলের উচিত ধূমপান থেকে দূরে থাকা এবং কেউ যদি ধূমপানে আসক্ত হয়ে থাকি তাহলে ধূমপান পরিহার করা। নিজের জীবনকে সুন্দরভাবে সাজাতে এবং শারীরিক ভাবে সুস্থ্য থাকতে ধূমপান এড়িয়ে চলুন। ধূমপান ছাড়ার বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে জানতে সমস্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি নিম্নউক্ত ‍বিষয়গুলো আপনাকে ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করবে।

ধূমপান ছাড়ার ১৩টি কৌশল

অনেকেই ভূলবশত ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়েন। অনেক চেষ্টা করেও ছাড়তে পাড়েন না। আপনাদের সুবিধার্থে ধূমপান ছাড়ার ১৩টি কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করবো, যা আপনার ধূমপান ছাড়াতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করবে। চলুন জেনে নেই ধূমপান ছাড়ার ১৩টি কৌশল। এই ১৩ টি কৌশল আপনি আগামী ৭ দিন প্রয়োগ করে দেখুন, আশা করা যায় অনেক ভালো ফল পাবেন।
ধূমপান ছাড়ার ১৩টি কৌশল
  1. ধূমপান ছাড়ার জন্য নিজে নিজে সংকল্পবদ্ধ হওয়া উচিত। এমন একটি কারণ খুঁজে বের করুন, যার জন্য আপনি ধূমপান ছাড়তে পাড়েন এবং আপনার বের করা কারণটি যথাযথ মেনে চলুন।
  2. ধূমপান আপনি চাইলেই সহজে ছাড়তে পাড়বেন না। তাই একটি তারিখ নির্ধারণ করুন এবং সেই তারিখ থেকে স্বাভাবিক জীবন যাপন করার জন্য একটি দৈনিক রুটিন তৈরী করুন।
  3. আপনার শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তা নিন। যারা আপনাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দিবে এবং সুস্থ রাখার চেষ্টা করবে। প্রয়োজনে যেকোন ধূমপান বিরোধী প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হতে পারেন।
  4. নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহন করুন। যেখাবার গুলো ধূমপান ত্যাগে আপনাকে সাহায্য করবে। অর্গানিক ফল, সবজি বেশি বেশি করে খেতে পারেন।
  5. শরীর থেকে নিকটিন দূর করতে পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পানের কোন বিকল্প নেই। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করার চেষ্টা করুন।
  6. মানসিক ও শারীরিক ভাবে সুস্থ্য থাকতে নিয়মিত ব্যায়াম বা শারীরিক কসারত করুন। যা আপনাকে ধূমপান ত্যাগে সাহায্য করবে।
  7. সেই সকল সঙ্গ ত্যাগ করুন, যারা আপনাকে ধূমপান ত্যাগে উৎসাহিত করে বা ধূমপান করতে সাহায্য করে।
  8. দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। কারণ পর্যাপ্ত ঘুম আপনাকে অতিরিক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করবে এবং ধূমপান ত্যাগের পাশাপাশি আপনাকে মনবল ধরে রাখতে সহায়তা করবে।
  9. আর্থিক অপচয় কমিয়ে দিন। আপনি যে টাকা ধূমপান করার জন্য অপচয় করতেন। তা অপচয় না করে সঞ্চয় করার চেষ্টা করুন।
  10. বর্তমান সময়ে ধূমপান ত্যাগে বিশেষ একধরনের চুইংগাম পাওয়া যায়। যেই চুইংগাম আপনাকে ধূমপান ত্যাগে বা ধূমপান ধেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে।
  11. আপনি চাইলেই শুরুতেই ধূমপান ত্যাগ করতে পারবেন না। তার জন্য আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ধৈর্য ধারণ করুন অবশ্যই ধূমপান ত্যাগ করতে পারবেন।
  12. শরীর থেকে নিকটিনের ঝুঁকি কমাতে NRT থেরাপি নিতে পারেন। যেই থেরাপির মাধ্যমে আপনার শীরিরে থাকে নিকটিনের পরিমান কমে যাবে।
  13. প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। ডাক্তার যেভাবে নির্দেশনা দেন, সেভাবে জীবন যাপন করার চেষ্টা করুন।

সিগারেট ছাড়ার পর করনীয়

সিগারেট ছাড়ার পর নানা ধরনের করনীয় রয়েছে। কারন সিগারেট ছাড়ার পর সিগারেটের প্রতি আপনার যে আসক্তি, তা আপনাকে বার বার ধূমপান করার প্রতি ইচ্ছা বাড়িয়ে তুলবে। তাই সিগারেট ছাড়ার পর নিম্ন উক্ত করনীয় গুলো কঠোর ভাবে পালন করতে হবে। তবেই আপনি ধূমপান থেকে বেড়িয়ে আসতে পারবেন।
  • ধূমপান করার ইচ্ছা জাগলে, আপনি ব্যায়াম করতে পারেন। এই সময় ব্যায়াম করলে আপনার মন মানসিকতা অন্য দিকে পরিবর্তন হয়ে যাবে। যার কারনে আপনার ধূপমানের প্রতি আসক্তি ধীরে ধীরে কমে যাবে।
  • সিগারেট ছাড়ার পর শরীর থেকে ক্ষতিকর সকল পদার্থ বের করতে নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহন করুন। প্রতিদিন খাদ্য তালিকা মেনে খাবার গ্রহন করুন।
  • সিগারেট ছাড়ার পর আপনি বেশি বেশি পানি পান করতে পারেন। পাশাপাশি দৌঁড় বা হাঁটাহাটি করতে পারেন।
  • এই সময় ধূমপানে সাথে সম্পৃক্ত সকল কিছু এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
  • মাঝে মাঝে সমতল কোন জায়গায় বসে দীর্ঘ শ্বাস নিতে বা ছাড়তে পারেন। এতে করে আপনার মানসিক পরিবর্তন হতে শুরু করবে।
  • প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। কেবল মাত্র ঘুমই পারে আপনাকে সকল আসক্তি থেকে দূরে রাখতে।
  • এছাড়া মন মানসিকতা অন্য দিকে পরিবর্তন করতে বই পড়া, ছবি আঁকা বা অন্যান্য কাজের সাথে যুক্ত হতে পারেন।
  • সকল মানসিক চিন্তা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। যাতে মানসিক চিন্তা আসে এমন কাজ থেকে বিরত থাকুন।
  • সর্বশেষ একজন ভালো মানের ডাক্তারের পরার্মশ নিন, তার দেওয়া নিয়ম কানুন গুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন।

ধূমপান ছাড়ার ইসলামিক উপায়

ধূমপান যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি ইসলামে ধূমপান থেকে দূরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনেক আলেমগন বলে থাকেন যে ব্যক্তি ধূমপান করেন, তার আগামী ৪০ দিনের ইবাদত কবুল হয় না। ধূমপান ছাড়ার অনেক ইসলামিক উপায় রয়েছে। চলুন জেনে নেই ধূমপান ছাড়ার ইসলামিক উপায় সমূহ-

ধূমপান ছাড়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হতে হবে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষে বা আল্লাহকে খুশি করার জন্য। তার জন্য নিয়ত করতে হবে এবং প্রতিনিয়ত আল্লাহর কাছে বেশি বেশি করে দোয়া করতে হবে, যাতে আপনি ধূমপান থেকে মুক্তি পান। ইবাদত কবুল হতে ধূমপান ত্যাগ করা বাধ্যতামূলক। এছাড়া ধূমপান ত্যাগের ফলে আপনার শারীরিক উন্নতি ঘটে।

ইসলামে হারাম বা যা আমাদের উপর যা নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে তা থেকে দূরে থাকা উচিত এবং আল্লাহর আদেশ পালন করা উচিত। হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন তোমরা সেই সকল খাদ্য খাবার হিসেবে গ্রহন করো না যা তোমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কাজেেই আমাদের ধূমপান এড়িয়ে চলা উচিত।

যেসকল খাবার অধিক পরিমানে খাওয়া যায় না বা পরিমানের তুলনায় অধিক খেলে নিজের উপর নিজের আয়ত্ব থাকে না সেসকল খাবার বা দ্রব্য পরিহার করা উচিত। তার মধ্যে রয়েছে তামাক জাতীয় সকল দ্রব্য। যেমন- বিড়ি, সিগারেট, গুলসহ তামাক দিয়ে তৈরী সকল পণ্য। এসকল কিছু পরিহার করে আমাদের ইসলামিক শরিয়াহ ভিত্তিক জীবন যাপন করা উচিত।

হঠাৎ করে সিগারেট ছেড়ে দিলে কি হয়

হঠাৎ করে সিগারেট ছেড়ে দিলে নানা শরীরিক পরিবর্তন দেখা দেয়। তবে এই পরিবর্তন গুলো শরীরের জন্য ইতিবাচক হিসেবে কাজ করে। হঠাৎ করে সিগারেট ছেড়ে দিলে যে পরিবর্তন ঘটে তাকে Withdrawal Symptoms বলা হয়। চলুন আরো জেনে নেই হঠাৎ করে সিগারেট ছেড়ে দিলে কি হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত-

ধূমপান ছাড়ার প্রথম কিছুদিন ধূমপানের তীব্র ইচ্ছা হতে পারে, কোন কিছু খাওয়ার প্রতি অরুচি বা অধিক খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে এছাড়া মেজাজ খিটখিটে, বিনা করনে রাগের সৃষ্টি সহ মাথা ব্যথা, কাশি, গলা ব্যথা হতে পারে। এমনকি হঠাৎ ধূমপান ছেড়ে দিলে অস্থিরতা কাজ করতে পারে।

তার কিছুদিন পর রক্তচাপ স্বাভাবিক হতে শুরু করবে এবং হার্টের সমস্যা ও আস্তে আস্তে কমতে শুরু করবে। ধূমপানের ফলে আপনার যদি শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে, তাহলে শ্বাসকষ্ট কমে যাবে। এছাড়া শ্বাস প্রশ্বাস আগের মত কাজ করবে। ধূমপানের ফলে খাওয়ার প্রতি যে অনিহা এবং খাবারের স্বাদ গ্রহন করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

ধূমপান ছাড়ার তিন মাস পর থেকে ফুসফুসের যে স্বাভাবিক কার্যক্রম তা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে। এছাড়া আপনার শ্বাসনালীতে যদি কোন সংক্রমন হয়ে থাকে তা কমতে শুরু করবে। আর যদি সংক্রমন না হয়ে থাকে তাহলে সংক্রমন হওয়ার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। ধূমপান ছাড়ার ফলে আপনার শারীরিক সকল কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পারে।

ধূমপান ছাড়ার নতুন ঔষধ

ধূমপান ছাড়ার কিছু পদ্ধতির পাশাপাশি কিছু ঔষধ ও রছেয়ে, যেগুলো নিকোটিনের আসক্তি কমাতে বেশ কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। এই ঔষধ গুলো আমাদের ধূমপান থেকে বিরত রাখতে বা ধূমপানের ইচ্ছা কমিয়ে দেয়। যেগুলো নিকোটিন রিসেপ্টরগুলোর কর্যকারিতা পরিবর্তন করতে কাজ করে। চলুন জেনে নেই ধূমপান ছাড়ার নতুন ঔষধ সম্পর্কে-

ভারেনিক্লিন: ধূমপান থেকে বিরত থাকার প্রথম যে ঔষধটি সেটি হলো ভারেনিক্লিন। এই ঔষধটি নিকোটিন রিসেপ্টরের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে। যা ধূমপান থেকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি নিকোটিনের প্রভাবকে বাধা প্রদান করে। এই ভারেনিক্লিন ঔষধটি সাধারণত দুটি ব্র্যান্ডের হয়ে থাকে। একটি হলো চ্যান্টিক্স এবং অপরটি হলো চ্যাম্পিক্স।

এই ঔষধটি সাধারণত ধূমপান ছাড়ার ১৪ দিন আগে থেকে সেবন করতে হয়। এটি একটি নিদিষ্ট ডোজের হয়ে থাকে। যা শুরুতে অধিক বেশি গ্রহনে শরীরের জন্য ক্ষতির করন হতে পারে। প্রথমে অল্প পরিমানে শুরু করতে হবে এবং ধীরে ধীরে এর পরিমান বাড়াতে হবে। আপনি যদি ধূমপান ছাড়ার নতুন ঔষধ খুঁজে থাকেন ভারেনিক্লিন হতে পারে আপনার জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকারী।

বুপ্রোপিয়ন: ধূমপান ছাড়ার দ্বিতীয় ঔষধটি হলো বুপ্রোপিয়ন। এটি জাইবান ব্র্যান্ডের একটি ঔষধ। বুপ্রোপিয়ন হলো একটি এন্টিডিপ্রেসেন্ট ঔষধ যা ধূমপানের প্রতি আকৃষ্টতা কমাতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে। এই ঔষধটি ধূমপান ছাড়ার ৭ দিন পূর্বে শূরু করতে হয়। এটির একটি নিদিষ্ট মাত্রা থাকে সে অনুযায়ী গ্রহন করতে হয়।

এছাড়া ও আরো কিছু ঔষধ বা মাধ্যম রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ধূমপান ছাড়া অনেকটা সহজ হয়ে যায়। তার মধ্যে অন্যতম হলো- সাইটিসিন ঔষধসহ নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি, নিকোটিন ফ্রি থেরাপি। তবে এই ঔষধ বা থেরাপি গ্রহনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরার্মশ গ্রহন করা উচিত।

ধূমপান ছাড়ার ঘরোয়া উপায়

ধূমপান ছাড়ার ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে, যে উপায়গুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে খুব সহজেই ধূমপান থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই উপায় গুলো প্রাকৃতিক এবং অত্যন্ত সহজলভ্য ও হাতের নাগালেই সব পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেই ধূমপান ছাড়ার ঘরোয়া কিছু উপায় সম্পর্কে-
ধূমপান ছাড়ার ঘরোয়া উপায়
আদার রস: আমাদের সকলের ঘরে আদার উপস্থিতি সবসময় পাওয়া যায়। আদার সকল রান্নাতেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই আদা ব্যবহার করে সহজেই ধূমপান থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আদা ভালো ভাবে ধুয়ে নিয়ে সেগুলো বেঁটে অথবা ব্লেন্ডার করে রস বের করে নিতে হবে। তারপর এক চা চামুচ পরিমান মধুর সাথে আদার রস মিশিয়ে খেলে, ধূমপান করার ইচ্ছা অনেকটা কমে যায়।

মধু ও লেবুর রস: ধূমপায়ীদের শরীর থেকে টক্সিন নামক ক্ষতিকর উপাদান দূর করতে এবং ধূমপান চিরতরে ত্যাগ করতে মধু ও লেবুর রস হতে পারে ঘরোয়া সহজ একটি মাধ্যম। প্রথমে একটি পাত্রে পানি নিয়ে তা ফুটাতে হবে, সেই ফুটানো পানি এক গ্লাস পরিমান নিয়ে কিছুটা ঠান্ডা করে তাতে এক চা চামুচ লেবুর রস এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।

দারুচিনি: ধূমপান ত্যাগে আরো একটি সহজ উপায় হলো দারুচিনি। আপনার যখনি ধূমপান করার ইচ্ছা হবে, সে সময় দারুচিনি চিবিয়ে খেতে পারেন। দারুচিনি ও প্রায় সবার ঘরেই রান্নার কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। এই দারুচিনি নিয়মিত খেলে মুখের স্বাদ পরিবর্তন হয় এবং ধূমপানের প্রতি আসক্তি অনেকটাই কমে যায়।

ব্যায়াম ও পানি পান: ধূমপান ছাড়ার আরো একটি মাধ্যম হলো নিয়মিত ব্যয়াম করা। ব্যায়াম আপনার মানসিক চিন্তা ভাবনাকে অন্য দিকে ব্যস্ত রাখে। যার করণে ধূমপান করার ইচ্ছা অনেকটা কমে য়ায়। এছাড়া ব্যায়াম করার পাশাপাশি নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এতে করে আপনার শরীর হাইড্রেট থাকবে এবং শরীর থেকে টক্সিন নির্গত হবে। যার করনে আপনি খুব সহজেই ধূমপান থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

লেখকের শেষ মন্তব্য: ধূমপান ছাড়ার ১৩টি কৌশল

প্রিয় পাঠক, এতক্ষনে ধূমপান ছাড়ার ১৩টি কৌশল সম্পর্কে এবং ধূমপান ছাড়ার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। এছাড়া হঠাৎ করে সিগারেট ছেড়ে দিলে কি হয়, ধূমপান ছাড়ার নতুন ঔষধ এবং সিগারেট ছাড়ার পর করনীয় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানেছেন। ধূমপান আপনাকে অর্থিক ও শরীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে তোলে তাই সময় থাকতে ধূমপান ত্যাগ করুন।

যারা ধূমপান করে তাদের এড়িয়ে চলুন। আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং আপনার উপকারে আসে তাহলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এছাড়া আপনার বিশেষ কোনো মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url