কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় সে সম্পর্কে জানুন।
প্রিয় পাঠক, বর্তমান সময়ে ঘুমের সমস্যা বা নিদ্রাহীনতা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ছোট থেকে বড় সকলেরই এ সমস্যা হয়ে থাকে। কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এবং রাতে ভালো ঘুমের জন্য করনীয় কি এ সকল বিষয়ে জানতে চেয়ে যদি আপনি এই আর্টিকেলের ভিতরে এসে থাকেন তাহলে আপনি একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন। ঘুম সংক্রান্ত সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য পেতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
আজ এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা আরো জানতে পারবেন রাতে ভালো ঘুমের জন্য করনীয় কি, যে সকল খাবার খেলে ঘুম কম হয়, কি খেলে ঘুম বেশি হয়,ঘুম না আসা রোগের নাম কি, ঘুম কম হলে কি কি সমস্যা হয় এ সকল বিষয় বিস্তারিত।
যে সকল খাবার খেলে ঘুম কম হয়:
আমাদের শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে ভালো ঘুম অপরিহার্য।আমরা অনেকেই হয়তো মনে করি যে ভালো পরিবেশ বা সুস্থ মানসিক অবস্থা থাকলেই শুধু ভালো ঘুম হয়। কিন্তু খাবার দাবারের প্রভাব ও ঘুমের উপরে পড়ে থাকে। এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে ঘুমে ব্যাঘাত করতে পারে ঘুম কমিয়ে দিতে পারে।
অতিরিক্ত মশাযুক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবার
অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবারে আপনার পেটের সমস্যা বা এসিডিটি সমস্যা হতে পারে। আর কথায় আছে 'নাভি সুখে নিদ্রা'। যদি আপনি অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত ও মসলাযুক্ত খাবার খেয়ে ফেলেন এবং আপনার হজমে সমস্যা হয় তাহলে পেট ভারী লাগে এবং বুক জ্বালা করতে পারে যা আপনার ঘুমের ব্যাঘাত হঠাতে পারে।
ক্যাফেইন যুক্ত খাবার:
আজকাল আমাদের প্রায় সকল মানুষেরই চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। চা কফি ছাড়াও ডার্ক চকলেট, পিরামি সু, এনার্জি ড্রিংক এমনকি গ্রিন টি ও ক্যাফেইন মুক্ত নয়। ক্যাফেই যুক্ত খাবার রাতের ঘুম ব্যাহত করার জন্য অন্যতম।
অ্যালকোহল:
অ্যালকোহল বা নেশা জাতীয় দ্রব্যে এমন কিছু উপাদান থাকে যা খুব দ্রুত ঘুম আসতে সাহায্য করে। কিন্তু এই ঘুম স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এই ঘুম শরীরের উপকারের চেয়ে ক্ষতি করে বেশি। কারণ অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যালকোহল গ্রহণ করলে অনেক সময় ঘুম খুব তাড়াতাড়ি ভেঙ্গে যায় এবং মানসিক অবসাদ চলে আসে।
ফাস্টফুড বা প্রক্রিয়াজাত খাবার:
বর্তমান সময়ে আমাদের লাইফ স্টাইলে ফাস্টফুড বা প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রতি মানুষের বেশি আকর্ষণ রয়েছে। কিন্তু এ সকল খাবার খেলে ঘুম আশঙ্কা থাকে। নিয়মিত ফাস্টফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরের বাড়তি ওজনের কারণ। আর অনেক সময় বাড়তি ওজন আপনার ঘুমের ফটাতে পারে।
অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার ও আইসক্রিম:
রাতে অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার বা আইসক্রিম ছেলে ঘুমের ব্যাঘাত করতে পারে। চিনি যুক্ত খাবার ও আইসক্রিম অতিরিক্ত ফ্যাট থাকায় এটা আপনার ঘুম নষ্ট করে দিতে পারে। সে সঙ্গে আপনার ওজন বাড়তে পারে। তাই রাতে অতীতে নিশ্চয় জাতীয় খাবার বা আইসক্রিম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
কি খেলে ঘুম বেশি হয় :
যাদের ঘুমের সমস্যা হয় এবং নিয়মিত ঘুম ভালো হয় না তাদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা, স্থূলতা ইত্যাদি। বিশেষজ্ঞদের মতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ভালো ঘুম হওয়া প্রয়োজন।
অনেকের আবার ঘুম হয় কিন্তু মাঝে মাঝে ভেঙ্গে যায়। এটা শরীরের জন্য একেবারেই ঠিক নয়। ঘুম ভালো হওয়ার জন্য দীর্ঘমেয়াদী কোন ওষুধ খাওয়া ও ঠিক নয়।তাই আমাদের খাবার-দাবারের উপরে অনেকটা নির্ভর করে ঘুম ভালো হবে কিনা। সে সকল খাবার খেলে ঘুম ভালো হয় বলে সাধারণত চিকিৎসকরা জানান সে সকল খাবারের সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
এক গ্লাস গরম দুধ :
রাতে এক গ্লাস গরম দুধ ঘুমানোর আগে খেলে ঘুম ভালো হয় বলে প্রমাণিত। দুধে বিদ্যমান অ্যামাইনো এসিড ট্রিপটোফ্যান ঘুমের জন্য বেশ উপকারী। তাই প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস গরম দুধ খাওয়ার অভ্যাস করুন।
আখরোট ও বাদাম:
আখরোটে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান যা সেরেটোনিন মেলাটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে।যা ভালো ঘুমের জন্য খুবই প্রয়োজন।তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের বাদাম ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। রাতে ভালো ঘুমের জন্য নিয়মিত আখরোট ও বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন।
ডিম:
ডিমের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। আর ভিটামিন ডি এর অভাবে ঘুম কমে যায়। মস্তিষ্কের যে অংশের নিউরন ঘুমাতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি সে অংশে কাজ করে। শরীরে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করতে নিয়মিত একটি করে ডিম খান।
কলা:
কলায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম থাকায় কলা খেলে ঘুম ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
মিষ্টি আলু:
ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের ভরপুর মিষ্টি আলো। মিষ্টি আলু শরীরের স্নায়ু ও মাংস পেশীকে শান্ত করে যা ভালো ঘুমের জন্য খুবই জরুরী।
মধু:
আমি তো বোধো খেলে ঘুম ভালো হয় কারণ মধু সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন উৎপন্ন করে। তাই ভালো ঘুম পেতে নিয়মিত মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন।
ফ্যাট যুক্ত মাছ:
মাছের তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে। আর ভালো ঘুমের জন্য এই দুটি উপাদান কার্যকরী। চর্বিযুক্ত মাছ খেলে শরীরে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ হয় এবং ঘুম ভালো হয়।
চেরি:
চেরিতে থাকা বিভিন্ন উপাদান যেমন, মেলাটোনিন, ট্রিপটোফ্যান,সেরেটোনিন, পটাশিয়াম । এ সকল উপাদান ঘুমের উন্নতির জন্য বেশ কার্যকরী। ফেরিতে বিদ্যমান পলিফেনল নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ঘুমের উন্নতি ঘটায়।
প্রিয় পাঠক,আশা করি, কি খেলে ঘুম বেশি হয় সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এবার আসুন কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় সেটা জেনে নেওয়া যাক।
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় :
ঘুম না হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে।ঠিকমতো ঘুম না হলে মানুষ মানসিক ও শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। ঘুমের সময় শরীর ও মস্তিষ্ক নিজেকে সারিয়ে তোলে। তাই একজন ব্যক্তির জন্য একটানা ৮ ঘণ্টা ঘুম খুবই জরুরী। কিন্তু ঘুম না হওয়ার সমস্যা পেছনে ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত কারণ থাকতে পারেন। কারণ ভিটামিন ডি শরীরকে রেস্ট নিতে সাহায্য করে।
এই ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়। ঘুমের চক্রের সাথে সম্পর্কিত মেলাটোনিন হরমোন ক্ষরণে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। আর ভিটামিন ডি এর অভাবে শরীরের নানা রোগ বাসা বাঁধে।তাই ভালো ঘুম পাওয়ার জন্য ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার যেমন মাছ, ডিম ইত্যাদি খান। ভিটামিন ডি এর সবচেয়ে ভালো উৎস হচ্ছে সূর্যের আলো।
সঠিক নিয়মে সূর্যের আলোর শরীরে লাগালে শরীরে ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়। তাছাড়া ভিটামিন বি ৬ এর অভাবেও ঘুমের সমস্যা হতে পারে। ভিটামিন বি ৬ ছবিটা পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকা খুবই জরুরী।শরীরে ভিটামিন বি ৬ এর পরিমাণ কম থাকলে মেলাটোনিন ও সেরেটোনিন এই দুই হরমোন কম বের হয়। যাও ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। ভিটামিন বি ৬ পেতে দুধ, মাছ, মাংস পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে।
তাছাড়া নিয়মিত রাতে ঘুম না হওয়া অন্য কোন বড় রোগের লক্ষণও হতে পারে।তাই এটা নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত না করে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। আশা করি, এতক্ষণে আপনারা বুঝতে পেরেছেন কোন কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়। এবার আসুন, রাতে ঘুম না হওয়া রোগ এর নাম কি সে সম্পর্কে জানব।
রাতে ঘুম না আসা রোগের নাম কি :
রাতে ঘুম না আসা অথবা ঘুম আসলল ও বারবার ভেঙে যাওয়া ঠিক মত ঘুম না হওয়াকে ইনসমিয়া বলা হয়। যার ফলে সারাদিন মেজাজ খিটখিটে থাকে, কাজে মনোযোগ আসে না, শরীরে বিষন্নতা ও অবসাদ বাসা বাঁধে। সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে ঘুম অপরিহার্য।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলেও শরীরে বাসা বাঁধে নানা ধরনের রোগ বালাই। সারাদিন কর্মব্যস্ততার পরে শরীর ও মস্তিষ্কের জন্য বিশ্রাম প্রয়োজন। আর তার জন্য সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হচ্ছে ঘুম। ঘুম শরীর ও মস্তিষ্ককে সতেজ করে কর্মক্ষম করে তুলে। নিয়মিত অনিদ্রা ও নিদ্রাহীনতার সমস্যাকে ডাক্তারি ভাষায় ইনসমিয়া বলা হয়।
রাতে ভালো ঘুমের জন্য করণীয় কি :
বর্তমানে মানুষের লাইফ স্টাইল পরিবর্তনের কারণে অনেকেরই রাতে ঘুমের সমস্যা হয়ে থাকে। ঘুম না হওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। খাওয়া দাওয়া, ভিটামিনের অভাব, অতিরিক্ত মানসিক চাপ ইত্যাদি অনিদ্রার কারণ হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি রাতে ভালো ঘুম চান তাহলে আপনাকে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।যেমন:
- প্রতিদিন একই সময় বিছানায় যাবেন এবং একই সময় ঘুম থেকে উঠবেন।
- রাত জেগে মোবাইল, ল্যাপটপ, টেলিভিশন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
- আপনার বিছানা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও আরামদায়কের ব্যবস্থা করুন। নিরিবিলি ও শান্ত পরিবেশ বজায় রাখুন।
- প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস হালকা গরম দুধ খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে আরামদায়ক ঘুম হবে।
- দিনের বেলায় অর্থাৎ দুপুরের ঘুম থেকে বিরত থাকুন। যদিও দুপুরে ঘুমান তাহলে ৪০ মিনিটের বেশি নয়।
- রাতের খাবার একটু তাড়াতাড়ি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এবং ঘুমোতে যাওয়ার আগে পারলে কিছুক্ষণ হেঁটে আসুন।
- নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করুন। প্রতিদিন হালকা আরবিক ব্যায়াম আপনার ঘুমের সাহায্য করতে পারে। যেমন: সাইকেল চালানো, জোরে হাঁটা, সাঁতার কাটা ইত্যাদি
- বিকেলের পর থেকে চা, কফি, অ্যালকোহল, সফট ড্রিঙ্ক এবং অতিরিক্ত পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।
- রাতে ঘুম না আসলে বই পড়া, কোরআন তেলাওয়াত এবং ডায়েরী লেখার অভ্যাস করুন। এতে করে একটু পরে ঘুম চলে আসবে তখন ঘুমিয়ে পড়বেন।
- প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর কিছুক্ষণ আগে বাদাম, কলা, মধু ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস করুন। কেননা এ সকল খাবার আপনাকে আরামদায়ক ঘুম দিতে সাহায্য করে।
রাতে ঘুম না হলে কি কি সমস্যা হয় :
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত ঘুম না হলে একজন মানুষ শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। খাদ্যাভ্যাস, ইলেকট্রনিক ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহার, কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ, আয় রোজগার নিয়ে চিন্তা,পারিবারিক সহিংসতা,ধূমপান ও মদ্যপান ইত্যাদি কারণে মানুষের মধ্যে এখন ঘুমের মহামারি চলছে।
উপরোক্ত আলোচনায় আমরা জেনেছি কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়। কিন্তু নিয়মিত ঘুম না হলে শরীরের কি কি বিপদ হতে পারে তা আমাদের অনেকেরই অজানা। আসুন জেনে নিই রাতে ঘুম না হলে কি কি সমস্যা হয়।
- দীর্ঘদিন রাতে ঘুম না হওয়া বা কম হলে শরীরে ইনসুলের উৎপাদন কমে যায় এবং ডায়াবেটিসের বেড়ে যায়। ।
- বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে নিয়মিত ঘুম না হলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং উচ্চ রক্তচাপ ও হাইপার টেনশনের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- তাদের রাতে ঘুমের সমস্যা রয়েছে তাদের মানসিক অবসাদ কাজ করে এবং কর্মক্ষমতা হারিয়ে যায়। যার একটি বড় প্রভাব ফেলতে পারে পেশাগত জীবনে।
- ঠিকমতো ঘুম না হলে মস্তিষ্ক নিজেকে রিপেয়ারিং করতে পারেনা। যা মানুষের স্মৃতিশক্তিকে প্রভাবিত করে। নিয়মিত ঘুম না হলে স্মৃতিশক্তি কমে যায়।
- রাতে ঘুম ঠিকমতো না হলে হজমের সমস্যা হয়। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে শুরু করে পেটের নানা ধরনের পীড়া হওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে ঘুম না হওয়া।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার পেছনে ঘুমের সমস্যা দায়ী। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ছয় থেকে আট ঘণ্টা নিয়মিত ঘুম না হলে মানুষের শরীরে ক্ষমতা অনেক নিচে নেমে যায়।
- পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে তৈরি হয় অবসাদ যা থেকে হতে পারে যৌন সমস্যা এবং সঙ্গীর প্রতি অনীহা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুম কম হওয়ার রোগীদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতি থাকে যা যৌন মিলনে অনীহা তৈরি করে।
- নিয়মিত ঘুমের সমস্যা শরীরে বাড়তি ওজনের ও কারণ।ঘুম না হলে শরীরের ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যেতে পারে।
লেখক এর মন্তব্য :কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়
আপনারা এতক্ষণে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন, কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়। তাছাড়া আরো জানতে পেরেছেন রাতে ভালো ঘুমের জন্য করনীয় কি। সারাদিন কর্মব্যস্ততার পর রাতে ঘুম শরীরের জন্য খুবই জরুরী। অনেক সময় মানুষ প্রচুর পরিশ্রম করেঅ ক্লান্ত থাকা সত্ত্বেও ঘুম আসে না। তখনই ধরে নিতে হবে তার শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি রয়েছে।
একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক নিয়মে খাওয়া-দাওয়া ও ঔষধ সেবন করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এতক্ষণে আপনার মূল্যবান সময় নিয়ে পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদের ও পড়ার সুযোগ করে দিন। আর বিশেষ কোন মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url