কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন
কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আমাদের কৌতূহলের সীমা নেই। পুরো আর্টিকেল জুড়ে আমি আপনাদের কৌতূহল গুলোর সঠিক ব্যাখ্যা প্রদান করব। তার মধ্যে কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ, কিডনি রোগের খাবার এবং কিডনি রোগের প্রতিকার অন্যতম।
কিডনি ছাড়া মানুষ ৭২ ঘণ্টার বেশি বাঁচতে পারে না। অতএব কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানা এবং সেগুলো মেনে চলা অত্যন্ত জরুরী।
ভূমিকা: কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার
মানবদেহে দুটি কিডনি থাকে যা আকৃতিতে অনেকটা সিমের মত। পূর্ণ বয়সে প্রতিটি কিডনির ৯ থেকে ১৩ সেন্টিমিটার লম্বা, পাঁচ থেকে ছয় সেন্টিমিটার প্রস্থ, ৩ সেন্টিমিটার মোটা হয়। ওজন প্রায় ১৫০ গ্রাম অর্থাৎ দুই ছটাকের কিছু কম। শরীরে নাভি বরাবর পেছনের দিকে মেরুদন্ডের দুই পাশে কিডনি অবস্থান করে। বাম দিকের কিডনি ডান দিকের কিডনির চেয়ে প্রায় ১ সেন্টিমিটার বড় থাকে এবং বাম দিকের কিডনি ডান দিকে চেয়ে কিছুটা উপরে অবস্থান করে।
কিডনির কাজ কি
সাধারণত কিডনির কাজ কি তা চার ভাগে ভাগ করা যায়-
- রক্তকে নিয়ন্ত্রণ করা।
- হরমোন বৃদ্ধিতে সাহায্য করা, যা রক্ত তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়।
- রক্তের পিএইচ, এসিডিটি, লবণ ক্ষার ও পটাশিয়ামের মাঝে বন্ধন সৃষ্টি করা।
- রক্তের ভিতর জমে থাকা আবর্জনা কে বিশুদ্ধ করা এবং তা ইউরিন এর মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়া।
কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়
পরীক্ষা বা টেস্ট করা ছাড়া কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় নেই । তাই আমাদের উচিত মাঝে মাঝে কিডনি পরীক্ষা করা। ৫০ বা ৬০ বছরের বেশি মানুষের কিডনি রোগ বেশি হয়ে থাকে তাই যাদের বয়স ৫০ থেকে ৬০ বা তার বেশি তাদের উচিত বছরে অন্তত দুইবার কিডনি পরীক্ষা করা। চলুন জেনে নেয়া যাক কোন দুটি পরীক্ষা করলে আপনার কিডনিতে সমস্যা আছে কিনা তা বুঝতে পারবেন।
ভারতের ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন এর তথ্য মতে, ২ টি সিম্পল টেস্টের মাধ্যমে কিডনি রোগ সনাক্ত করা সম্ভব। টেস্ট দুইটি হল-
ARC(মূত্র পরীক্ষা): ক্রিয়েটিনিনের ও অ্যালবুমিন রেশিও হলো ARC বা মূত্র পরীক্ষা। বিশেষ ধরনের প্রোটিন অ্যালবুমিন। মূত্রে বিদ্যমান অ্যালবুমিন রয়েছে কিনা, সেটি পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা যায়। মানব শরীরে প্রোটিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণে রক্তের প্রোটিন থাকা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু প্রোটিন কখনোই মূত্র থাকার কথা নয়।
মূত্রে প্রোটিন বিদ্যমান হলে আমরা বলতে পারি কিডনি ঠিকঠাক ভাবে রক্তর আবর্জনাকে পরিষ্কার করতে পারছে না। তাই মূত্র পরীক্ষায় প্রোটিন বিদ্যমান হলে, নিশ্চিত হতে এন এফ আর পরীক্ষা করাতে হবে। যদি ১২০ দিন বা তার বেশি সময় পরীক্ষা করে সেম রেজাল্ট পাওয়া যায় বা পজিটিভ হয়, তবে আমরা মোটামুটি কনফার্ম হতে পারি এটি কিডনির ওষুধ।
Glomerular Filtration Rate(GFR): কিডনি অকেজো হলে, রক্ত থেকে আবর্জনা বা ক্রিয়েটিনিন ঠিকমতো আলাদা করতে পারে না। জিএফআর পরীক্ষার মাধ্যমে ডাক্তাররা সনাক্ত করতে পারেন কিডনিতে কোন সমস্যা হয়েছে কিনা।
সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তা হলে, ভেঙে না পড়ে, সহজ এ দুটি পরীক্ষা করে নিতে পারেন।
কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ
কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ বা উপসর্গ কি কি হয়ে থাকে তা নিম্ন বর্ণনা করা হলো-
মুখমন্ডল বা শরীর ফুলে যাওয়া: কিডনি রোগের কারণে শরীরে পানি জমে গেলে সাধারণত চোখের নিচে ফুলে যায়। যেহেতু চোখের নিচের পাতা ঢিলা এবং চামড়া ও পাতলা সেহেতু আমি এখানে জমা হওয়ার সুযোগ পায় বেশি ও ক্রমান্বয়ে চোখের পাতা থেকে শুরু করে ফোলাটা ছড়িয়ে পড়ে পায়ে ও পরবর্তীতে পেটে। যার কারণে মুখমন্ডল বা শরীর ফোলা দেখায়।
প্রসাবে অস্বাভাবিকতা: প্রসাবে জীবাণিজনিত প্রদাহ হলে প্রসাদ করার প্রবণতা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এমনকি প্রস্রাব করে আসার সঙ্গে সঙ্গে আবারো প্রস্রাবের বেগ হতে পারে। সঙ্গে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া এবং প্রস্রাবের রাস্তায় ব্যথা হয়, অনেক সময় জ্বরও হতে পারে।
প্রস্তাবের রং বিবর্তন: ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং জন্ডিস হলে প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায়। আর রিফামপিসিন জাতীয় টিবির ওষুধ, লাল শাক ও জাম খেলে প্রস্রাব লালচে বর্ণ হয়। রক্ত মিশ্রিত প্রস্রাব হলে, সেটা যে কারণেই হোক না কেন তা অবহেলা করা উচিত নয়। এটি সাধারণ কারণ থেকে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক ব্যাধি ও হতে পারে।
কিডনিতে ব্যথা: কিডনির ব্যথা সাধারণত নাভি বরাবর পিছনের দিকে হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে এই ব্যথা ডান অথবা বাম দিকে হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিডনির ব্যথা পাথর জনিত কারণে হয়ে থাকে যার কারণে রক্ত মিশ্রিত প্রস্রাবও হতে পারে। তীব্র জাতীয় জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে ব্যথার সঙ্গে জ্বরও থাকতে পারে।
কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার
কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সর্ম্পকে আলোচনা করা হলো:
কিডনি অকেজো রোগীর চিকিৎসা র্নিভর করে কী কারনে এবং কী পরিমানে কিডনির র্কাযকারিতা নষ্ট হচ্ছে তার উপর। কিছু কারন আছে বলা না গেলেও কিডনি অকেজো হয়ে যায় যেমন: উচ্চ রক্তচাপ। যে কোন কারনেই হোক না কেন দুটি কিডনি শতকরা ৯৫ ভাগের বেশি নষ্ট হয়ে গেলে, তখন আর র্কাযকারিতা ফেরানো সম্ভব হয় না।
যার জন্য প্রয়োজন ডায়ালাইসিস বা কিডনি সংযোজনের মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যবস্হা। এই দুটি চিকিৎসা পদ্ধতি অনেক ব্যয়বহুল ও ঝুকির্পূণ। এজন্য প্রয়োজন সঠিক সময় এবং প্রাথমিক র্পযায়ে রোগ র্নিণয় করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা করা। প্রতিবছর আমাদের দেশে প্রায় ২০-২৫ হাজার কিডনি রোগী কিডনি অকেজো হয়ে মৃত্যু হয়। সুতরাং কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পকে যথাযথ জ্ঞান রাখা প্রয়োজন।
কিডনি ৯৫ ভাগের বেশি নষ্ট হলে তা সংযোজন প্রয়োজন। কিডনি সংযোজনের জন্য নিকট আত্নীয়ের মধ্যে থেকে ডোনার এগিয়ে আসতে হবে। কেননা দুটি কিডনির একটি দান করলেও স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায়। এভাবে হাজারো কিডনি রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।
কিডনি রোগের খাবার
কিডনি রোগ গুলোকে চার ভাগে ভাগ করে এর খাদ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিতআলোচনা করা হলো-
১. একুইট নেফ্রাইটিস ইলনেস (Acute Nephritis): দৈনিক প্রায় ১৭০০ ক্যালোরি প্রয়োজন।
প্রোটিন(আমিষ): আমিষ বা প্রোটিন খাওয়া যত সম্ভব কমিয়ে দিতে হবে। এনুরিয়া হলে প্রোটিন সীমাবদ্ধ বিশ গ্রাম প্রতিদিন করে ১০ থেকে ২০ শতাংশ গ্লকোজ বা ফ্রুকটোজ মুখে বা ইন্টারেস্টিক ড্রিপ বা আইডি দিতে হবে। ৫০০ থেকে ৭০০ মিলি প্রস্রাব হলে প্রতি কেজি বডি ওয়েট ০.৫ গ্রাম প্রোটিন বা আমিষ প্রত্যেকদিন দেয়া যেতে পারে।
ফ্যাট (চর্বি): যেহেতু পেটের বিপাকের প্রান্তঃদ্রব্য কিডনির উপর নির্ভরশীল নয় সেহেতু ফ্যাট এনুরিয়া থাকলেও দেওয়া যাবে।
কার্বোহাইড্রেট(শর্করা): একুইট নেফ্রাইটিসের সময় শর্করা রোগীর শক্তির প্রধান উৎস।
ভিটামিন: ভিটামিন সি বা বি কমপ্লেক্স যদি ডিফিসিয়েন্সি থাকে তাহলে সাপ্লিমেন্ট করতে হবে।
মিনারেলস: একুইট নেফ্রাইটিস হলে কিডনি স্বাভাবিকভাবে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম র্নিগত করতে পারে না, যেহেতু ইলকট্রোলাইট ইমব্রালান্স হয়। সেজন্য ইলকট্রোলাইট পরিক্ষা করে সোডিয়াম ও পটাসিয়াম দিতে হবে।
ফ্লুইড: রোগীকে কতটুকু পানি দেয়া যাবে তা র্নিভর করে রোগীর শরীরে বিদ্যমান পানির অবস্হানের উপর। রোগী প্রস্রাবের সাথে যে পানি ত্যাগ করে এর সঙ্গে আরো ১০০০ মিলি লিটার রোগীকে দিতে হবে।
২.নেফ্রোটিক সিনড্রোম
ক্যালরি: প্রতিদিন প্রায় ২০০০ ক্যালরি রোগীকে দিতে হবে।
প্রোটিন: নেফ্রোটিক সিনড্রোমে খুব সামান্য থেকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন শরীর থেকে প্রস্রাবের সঙ্গে র্নিগত হয় ফলে সিরাম এ্যালবুমিনের পরিমাণ কমে যায়, কলয়ডাল অঙ্কোটিক প্রেসার কমে যায়, ফলে ইডিমা হয়। সঙ্গে সিরাম কোলেস্টরলের মান বেড়ে যায়। এজন্য সব রোগীর প্রোটিন ডায়েট কমপক্ষে ১.৫ থেকে ২ গ্রাম প্রোটিন /প্রতিকেজি বডি ওজন হিসেবে দিতে হবে।
ফ্যাট: স্বাভাবিক পরিমান ফ্যাট র্অথাৎ ১ গ্রাম/প্রতি কেজি শারিরিক বিবেচনা করে দিতে হবে।
কার্বোহাইড্রেট: প্রোটিন এবং ফ্যাট থেকে প্রাপ্ত ক্যালোরি বাদ দিয়ে বাকিটা কার্বোহাইড্রেট এর মাধ্যমে পূরন করতে হবে।
ভিটামিন: ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সাপ্লিমেন্ট দেওয়া যেতে পারে।
মিনারেল: ইডিমা থাকলে সোডিয়াম কম যুক্ত খাবার দিতে হবে। এজন্য খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ না দেওয়া ভালো। লবণযুক্ত খাবার যেমন-সল্টেড বিস্কুট, বাটার, টিনজাত মাছ এবং মাংস পরিত্যাগ করা ভালো। এরপরও যদি ইডিমা থাকে তাহলে ইলেকট্রোলাইট করতে হবে। যদি সোডিয়ামের মান কম থাকে তাহলে খাবার লবণ খাওয়া যেতে পারে।
কিডনি ব্যাথার লক্ষণ
কিডনি ব্যাথার লক্ষণ অনেক সময় দেখা বা বোঝা যায় না, তবে যে লক্ষণগুলি দেখা যায়, তা হলো:পিঠে ব্যাথা: কিডনি সমস্যার একটি সাধারণ লক্ষণ হলো পিঠে ব্যাথা অনুভূতি করা। অনেক সময় এটি স্থায়ী হয়। তখন কিডনি আক্রান্ত রোগী দুর্বল হয়ে পড়ে।
মুখে অরুচি: কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে রোগীর মুখের স্বাদ পরিবর্তন হতে পারে। ফলে খাবার খেতে অনীহা চলে আসে।
শরীরে পানি জমা: অনেক সময় কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে পানি জমে।
বুকে ব্যাথা: বাম, ডান বুকের উভয় পাশে ব্যথা হলে- এটি কিডনির ব্যাথার লক্ষণ হতে পারে।
মুখে এবং হাতে দুর্গন্ধ: অনেক সময় কিডনি সমস্যার ফলে মুখে এবং হাতে দুর্গন্ধ হতে পারে।
কিডনি সমস্যার লক্ষণগুলি মানসিক বা শারীরিক সমস্যার কারন হতে পারে, তাই এটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। যদিও এই লক্ষণগুলি অন্য কোন রোগের জন্য হতে পারে। সেজন্য অন্যান্য রোগ পরীক্ষা করার পাশাপাশি কিডনি পরীক্ষা করাও প্রয়োজন। আপনি যদি এই ধরণের লক্ষণগুলি অনুভব করেন তবে আপনার উচিত চিকিৎসকের সরণাপূর্ণ হওয়া এবং কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে যথাযথ পরার্মশ নেয়া।
দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের লক্ষণ
দুটি কিডনির শতকরা ৭৫ ভাগ কার্যকারিতা নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত কিডনি বিকলের উপসর্গ দেখা যায় না। রোগী প্রাথমিক পর্যায়ে সামান্য কিডনি রোগ থাকার দরুন অনুধাবন করতে পারেনা।
শতকরা ৭৫ ভাগের উপরে কিডনি অকেজো হয়ে গেলে রোগীর ক্ষুদা-মন্দা, আহারে অনিহা, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, শরীর ক্রমান্বয়ে ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা প্রভৃতি উপসর্গ দেখা যায়। এছাড়াও নিম্নোক্ত দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের লক্ষণ-
- প্রসবের পরিমাণে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়, রাতে প্রস্রাবের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
- কোনরকম চর্ম রোগের উপসর্গ ছাড়াই শরীর চুলকায়।
- যখন কোন হেঁচকি ওঠে এবং অনেক ক্ষেত্রে খিচুনি হতে পারে।
- রোগীর শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেলে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তীব্র গতিতে নিঃশ্বাস প্রশ্বাস, ঝিমানো ভাব, এমনকি একপর্যায়ে রোগী জ্ঞান ও হারিয়ে ফেলতে পারে।
- রোগীকে পরীক্ষা করে রক্তের স্বল্পতা বোঝা যায়। অধিকাংশ লোকের উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়ে।
- কোন কোন ক্ষেত্রে রোগীর কারণ সাপেক্ষে শরীরের পানি দেখা যেতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে চামড়া শুকিয়ে যেতে পারে।
- কিছু কিছু রোগের হৃৎপিণ্ডের আবরণে পানি এবং হার্ট ফেইলিওরের চিহ্ন দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে এমনকি হাত-পায়ের মাংসপেশী শুকিয়ে যায়। যার দরুন রোগী সাধারণত চলাফেরা শক্তি হারিয়ে ফেলে।
লেখকের শেষ মন্তব্য: কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার
উপরিউক্ত আলোচনায় কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো থেকে আপনি উপকৃত হবেন। তবে কিডনি যেহেতু আমাদের রক্ত পরিষ্কার করে,আমাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে সেহেতু আমাদের উচিত বছরে অন্তত একবার কি কি পরীক্ষা করা এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কোন কিছু ব্যবহার বা গ্রহণ করার।
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে এবং আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে আমাদের পাশে থাকুন। আপনার গুরুত্বপূর্ণ সময় দিয়ে ধৈর্য সহকারে এতক্ষন আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনার বিশেষ কোনো মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url