গোয়াল ঘরের মশা তাড়ানোর ১০টি কার্যকারী উপায়
গোয়াল ঘরের মশা তাড়ানোর উপায় এবং ন্যাপথলিন দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান? কিন্তু কোথাও কোন সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু মাত্র আপনার জন্য। যেখানে গোয়াল ঘরের মশা তাড়ানোর উপায় এবং ন্যাপথলিন দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এছাড়া আরো জানতে পারবেন- রসুন দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়, কর্পূর দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায় এবং মশা মারার ঔষধের নাম সম্পর্কে। অতএব সমস্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা: গোয়াল ঘরের মশা তাড়ানোর উপায়
এই গরমে সবচেয়ে অস্বস্তিকর বিষয় হলো মশার উপদ্রব। আমাদের শরীরে অধিকাংশ রোগের জন্য মশা দায়ী, যা মধ্যে রয়েছে জিকা ভাইরাস, চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু জ্বর এবং ম্যালেরিয়া। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। বিশেষ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমসম্পন্ন ব্যক্তি, বয়ষ্ক মানুষ এবং ছোট বাচ্চাদের উপর এই রোগের প্রভাব গুলো বেশি পড়ে।
এছাড়া ও মশা বিভিন্ন রোগ জীবানু বহণ করে থাকে। যা প্রাথমিক অবস্থায় অনেক কম মনে হলে ও একটা সময় মহামারি আকার ধারন করে। যে কারনে আমরা মশা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে নানাধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকি। আর আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় হলো- গোয়াল ঘরের মশা তাড়ানোর উপায় সহ মশা তাড়ানোর বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে।
গোয়াল ঘরের মশা তাড়ানোর উপায়
গোয়াল ঘরে অতিরিক্ত মশা হওয়ার কারনে গোবাদি পশু নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। গোবাদি পশুদের সুরক্ষা প্রদানে গোয়াল ঘরের মশা তাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। গোয়াল ঘরের মশা কমানো বিশেষ কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে, যে গুলো মেনে চললে মশার উপদ্রব অনেকটাই কমে যায়। চলুন জানি গোয়াল ঘরের মশা তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে-
গোয়াল ঘরের মশা কমাতে নিয়মিত গোয়াল ঘর পরিষ্কার রাখা জরুরি। গোবাদি পশু মল-মূত্র প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, গোয়াল ঘরের ভিতরে এবং আশে পাশে যাতে গোবাদি পশুর মল-মূত্র জমে না থাকে। এছাড়া ও গোবাদি পশুর অবশিষ্ট খাবার গোয়াল ঘরে জমা না রেখে সরিয়ে ফেলতে হবে। অন্যথায় মশা অধিক পরিমানে বেড়ে যেতে পারে।
গোয়াল ঘরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। গোয়াল ঘরে থাকা পানি লাইন বা ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত, যাতে পানি জমে না থাকে। এছাড়া গোবাদি পশুকে পানি পান করানোর পর পাত্রে যে পানি থাকে তা সরিয়ে ফেলতে হবে। নয়তো সেই পানি থেকে মশার বংশ বিস্তার বেড়ে যেতে পারে। যা গোবাদি পশুর নানা রোগের কারণ হতে পারে।
প্রাকৃতিক নানা উপায় রয়েছে, যেগুলো ব্যবহারে মশা নিধনে বেশ কার্যকারী। তার মধ্যে রয়েছে নিমের তেল। আমরা সকলেই জানি নিম তেল মানব দেহে কতটা উপকারি। তেমনি গোয়াল ঘরের মশা তাড়ানো উপায় হিসেবে নিম তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। নিমের তেল গোয়াল ঘরের মধ্যে এবং আশে পাশে ছিটিয়ে রাখলে মশার উপদ্রব অনেকটা কমে যায়।
প্রাকৃতিক উপায়ে মশা তাড়ানোর আরো একটি মাধ্যম হলো লেবু ও লবঙ্গের ব্যবহার। প্রথমে দুইটি লেবু নিয়ে সেটির মাঝ বরাবর কাঁটুন। এরপর প্রত্যেকটি কাঁটা লেবুর ভিতরে ৫ থেকে ৬ টি লবঙ্গ গেঁথে দিন। এখন এই লবঙ্গ সহ লেবু গোয়াল ঘরের চার কোনায় রেখে দিন। এত করে দেখবেন গোয়াল ঘরের মশা পরোপুরি ভাবে কমে গিয়েছে।
এছাড়া ও গোয়াল ঘরের মশা তাড়ানোর উপায় হিসেবে মশারি ব্যবহার গুরুত্বপূর্ন। গোবাদি পশু ঘুমানো জায়গায় বড় আকারের মশারি ব্যবহার করতে পাারেন। ফলে গোয়াল ঘরে অবস্থানরত যেকোন গোবাদি পশু সুরক্ষিত থাকবে। এছাড়া ও গোয়াল ঘরের দরজা ও জানালায় নেটের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। যার কারনে বাহিরে থেকে কোন মশা ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না।
ন্যাপথলিন দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়
ন্যাপথলিন দিয়ে মশা তাড়ানো যায়, কিন্তু বিজ্ঞানিক ভাবে এটি খুব বেশি কার্যকর উপায় নয়। তবে কিছু গবেষনায় ন্যাপথলিন দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায় হিসেবে বেশ উপকারি ফলাফল পওয়া গিয়েছে। ন্যাপথলিন একধরনের কীটনাশক যা বিভিন্ন পোকা মাকড় ও মশা নিধনে ব্যবহার করা হয়। নিম্নে ন্যাপথলিন দিয়ে মশা তাড়ানোর কিছু উপায় আলোচনা করা হলো-
ন্যাপথলিন আমাদের ঘরের দরজা, জানালা ও অন্যান্য ফাঁকা জায়গায় এবং ঘরের চার কোনায় রেখে দিলে মশা কমে যায়। এছাড়া ও ন্যাপথলিন গুড়া করে ঘরের কোনায় এবং মেঝেতে ছিটিয়ে রাখলে মশা কমার সাথে সাথে অন্যান্য পোকা মাকড় থেকে আমাদের সুরক্ষিত রাখে। ন্যাপথলিনের এই মাধ্যম দুটি মশা তাড়াতে বেশ কার্যকর।
লেবু ও ন্যাপথলিনের ব্যবহার মশার উপদ্রব কমাতে সাহায্য করে। একটি লেবু কেটে দুই ভাগ করে তার মধ্যে ন্যাপথলিন রেখে দিন। এরপর ন্যাপথলিন সহ লেবুর অংশ ঘরের বিভিন্ন জায়গার রেখে দিলে মশা কমে যায়। লেবুর সাথে ন্যাপথলিন রাখলে তা একটি রাসায়নিক বিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। যা মশা তাড়াতে এবং মশার বংশ বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে।
মশা তাড়ানোর আরো একটি সহজ মাধ্যম হলো পানির সাথে ন্যাপথলিন ব্যবহার করা। হাফ লিটার পরিমান পানিতে ৩ থেকে চারটি ন্যাপথলিন ভিজিয়ে রাখুন। পানিতে ন্যাপথলিন মিশে গেলে তার বোতলে নিয়ে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছিটিয়ে দিন বা স্প্রে করুন। এই মাধ্যমটি মশা তাড়াতে সাহায্য করবে। এটি গোয়াল ঘরের মশা তাড়ানোর উপায় হিসেবে ও ব্যবহার করতে পারেন।
রসুন দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়
রসুন মানুষের জন্য যেমন স্বাস্থ্য উপকারি একটি খাবার, তেমনি মশাসহ পোঁকা মাকড় নিধনে বেশ কার্যকারি একটি উপায়। রসুনের তীব্র গন্ধ মশাদের সহ্য সীমার বাহিরে। রসুন দিয়ে মশা তাড়ানো অনেক ফলপ্রদ একটি উপায়। চলুন জানি রসুন কি কি উপায়ে ব্যবহার করলে মশা অতি দ্রুত কমে যায়।
একটি মাঝারি আকারের রসুন নিয়ে প্রথমে কোয়া গুলো আলাদা করে নিতে হবে। তারপর রসুনের কোয়াগুরো থেঁত করে নিয়ে সম্পূর্ন একদিন বা ২৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। একদিন পর রসুন সহ পানি গুলো একটি বোতলে তুলে ঘরের ভিতরে এবং ঘরের আশে পাশে স্প্রে করলে মশা অনেকটাই কমে যাবে।
কাঁচা রসুনের গাছ ঘরের কোনায় ঝুলিয়ে রাখলে মশার উপদ্রব কমে যায়। এছাড়া কাঁচা রসুন বেটে বা ব্লেন্ড করে একটি পাত্রে করে ঘরে রেখে দিলে মশার বংশ বিস্তার রোধে এবং মশা তাড়াতে বেশ কার্যকারি একটি উপায় হতে পারে। এই পদ্ধতি গোয়াল ঘরের মশা তাড়ানো উপায় হিসেবে ও ব্যবহার করা যেতে পারে।
কয়েকটি রসুনের কোয়া নিয়ে, তা ছোট ছোট টুকরো করে কেঁটে ঘরের মধ্যে রেখে দিতে পারেন। কারন রসুন ছোট ছোট করে কাটলে, তার তীব্য গন্ধ সমস্ত ঘর জুরে ছড়ে পরে। আর এই রসুনের গন্ধে মশা অনেকটা কমে যায়। এছাড়া রসুন গুড়া করে তা ঘরে ছিটিয়ে রাখলে এবং ঘরের ভিতর রসুন পোড়ালে মশা অতি দ্রুত দূর হয়।
কর্পূর দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়
মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক একটি উপায় হলো কর্পূর। কর্পূর মশা তাড়াতে অনেক কার্যকারি হয়ে থাকে। কর্পূর শুধু মশা নয়, আপনার ঘরে থাকা অন্যান্য পোকা মাকড় রোধে ও বেশ উপকারি একটি উপায়। এছাড়া ও মশা তাড়াতে কর্পূরের অনেক ব্যবহার রয়েছে। নিম্নে কর্পূর দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
- আপনার ঘরে থাকা মোমবাতির পাশে এক টুকরো কর্পূর রেখে দিন। মোমবাতি কর্পূরকে গলতে এবং তা থেকে ধোয়া সৃষ্টি করতে সাহায্য করে। কর্পূর থেকে সৃষ্ট ধোয়া মশা তাড়াতে বেশ কার্যকারী।
- কর্পূর গরম পানিতে দিয়ে, সেই গরম পানির বাষ্পের সাহায্যে মশা তাড়ানো বেশ কার্যকারি একটি উপায়।
- পানি সাথে কর্পূর মিশিয়ে যেখানে মশার উপদ্রব বেশি, সেখানে রেখে দিলে মশা দূর হয়।
- কর্পূর ঘরের মধ্যে পুড়িয়ে তার থেকে উৎপন্ন ধোয়ার সাহায্যে মশা তাড়ানো যায়।
- স্প্রে বোতলে পানির সাথে কর্পূর মিশিয়ে তা সম্পূর্ণ ঘরে স্প্রে করলে অতি দ্রুত মশা দূর হয়।
- মশার কামড় থেকে বাঁচতে কর্পূরযুক্ত সাবান ব্যবহার করতে পারেন।
- মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে আরো একটি কার্যকারি উপায় হলো নারকেল তেলের সাথে কর্পূর ব্যবহার করা। এই মিশ্রনটি শরীরে মাখলে মশা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যায়।
তবে কর্পূর ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের সর্তক হওয়া উচিত। কারণ কর্পূর ব্যবহারে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হতে পারে। কর্পূর আমাদের চোখ ও ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। মশা তাড়ানোর জন্য প্রাকৃতিক উপায় গুলো বেশি কার্যকরি এবং এতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। তাই মশা তাড়াতে প্রাকৃতিক উপায় গুলো ব্যবহার করুন।
মশা মারার ঔষধের নাম
এতক্ষন আমরা মশা তাড়ানোর কিছৃ প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছি। যে পদ্ধতি গুলো বেশ কার্যকারি। তবে এমন কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো ব্যবহারে মশা দূর হয় ঠিকই কিন্তু সেগুলো আবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এখন চলুন জানি মশা মারার কিছু ঔষধের নাম সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। যে ঔষধ গুলো মশা তাড়াতে এবং নিধনে বেশ ভালো-
স্প্রে বা অ্যারোসল: মশা তাড়ানো বা মশা মারার ঔষধ হিসেবে বাজারে বিভিন্ন স্প্রে পাওয়া যায়। মশা মারতে স্প্রে সহজ একটি মাধ্যম, যা ব্যবহারে মশা অতিদ্রুত কমে যায়। পাশা পাশি ঘরে থাকা অন্য পোকা মাকড় দমনে স্প্রে বেশ কার্যকারি। স্প্রে ব্যবহারের আগে অবশ্যই ঘরের দরজা জানালা বন্ধ রাখার চেষ্টা করুন। নিম্নে কিছু মশা মারার স্প্রেরের নাম দেয়া হলো-
- গডরেজ গুড নাইচ স্প্রে
- অল আউট স্প্রে
- রেইড স্প্রে
- ম্যক্সো স্প্রে
- হিট স্প্রে
কয়েল: মশা মারার আরো একটি কার্যকরি উপায় হলো কয়েলের ব্যবহার। তবে কয়েলের ব্যবহারে মশা সম্পূর্ণ ভাবে মারা যায় না, সাময়িক ভাবে দূর হয়। বাংলাদেশে ব্যবহৃত কোয়েল গুলোর মধ্যে, যে কয়েলগুলো মশা মারতে বেশ কার্যকরী নিম্নে সেরকম কিছু কয়েলে নাম উল্লেখ করা হলো-
- এক্সট্রিম মসকিউটো কয়েল
- ঈগল মসকিউটো কয়েল
- মর্টিন কয়েল
- গডরেজ গুডনাইট কয়েল
- জম পা্ওয়ার কয়েল
ইলেকট্রিক লিকুইড: এতক্ষণ অ্যারোসেল বা কয়েলের ব্যবহার সম্পর্ম্পে জানতে পেরেছি। এখন জানবো মাশা মারার ইলেকট্রিক লিকুইড সম্পর্কে। মশা তাড়ানো বা মারার ক্ষেত্রে কার্যকরী আরো একটি উপায় হলো ইলেকট্রিক লিকুইড এর ব্যবহার। যা অতি দ্রুত সমস্ত ঘর জুড়ে মশা তাড়াতে সাহায্য করে এবং সুঘ্রানে ঘর সুবাসিত করে। চলুন জানি কিছু ইলেকট্রিক লিকুইডের নাম সম্পর্কে-
- গুড নাইট অ্যাক্টিভ প্লাস লিকুইড
- মর্টিন পাওয়ারগার্ড লিকুইড
- অল আউট লিকুইড
লেখকের মন্তব্য: গোয়াল ঘরের মশা তাড়ানোর উপায়
প্র্রিয় পাঠক, এতক্ষনে গোয়াল ঘরের মশা তাড়ানোর উপায় এবং ন্যাপথলিন দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। আবার রসুন দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায় এবং মশা মারার ঔষধের নাম সম্পর্কে জেনেছেন। মশা আমাদের শরীরে চিকনগুনিয়, ডেঙ্গুসহ আরো নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি করতে পারে। তাই আমাদের উচিত মশা নিধনে আমাদের বাড়ির চারিপাশে পরিষ্কার রাখা এবং কোথাও পানি জমতে না দেয়া।
মশা তাড়ানোর জন্য এমন কিছু ব্যবহার না করা, যার কারনে আমাদের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ে। এতক্ষণে আপনার মূল্যবান সময় নিয়ে পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদের ও পড়ার সুযোগ করে দিন। আর বিশেষ কোন মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url