পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব ও তার প্রতিকার
পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব ও তার প্রতিকার এবং প্লাস্টিক ব্যবহারের সুফল ও কুফল সম্পর্কে জানতে চেয়ে আর্টিকেলটিতে ক্লিক করেছেন। আমি রাবেয়া রয়েছি আপনাদের সাথে, আমি আপনাদের জানাবো পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব ও তার প্রতিকার এবং প্লাস্টিক ব্যবহারের সুফল ও কুফল সম্পর্কে।
এছাড়া আরো জানাবো- প্লাস্টিক দূষণ ক্ষতিকর প্রভাব, প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকারের উপায়, প্লাস্টিক ব্যবহারের সচেতনতা সহ প্লাস্টিক বিষয়ে যাবতীয় তথ্য। আশা করি উপকৃত হবেন।
ভূমিকা: পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব ও তার প্রতিকার
প্লাস্টিক হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদার্থ যা বর্তমান সময়ে প্রযুক্তিগত ও ব্যবহারে আধুনিকতার ছোঁয়া। যা আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্লাস্টিকের হয়ে থাকে। প্লাস্টিক তৈরী হয় পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লা থেকে। প্লাস্টিক সাধারণত হালকা, বহনযোগ্য ও টেকসই হয়ে থাকে।
কিন্তু এই প্লাস্টিক আজ আমাদের সামাজের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। দিন দিন এই প্লাস্টিকের সঠিক ব্যবহার না করা এবং এর অপব্যবহার বেড়েই চলছে। যার কারনে পরিবেশ অনেক বেশি দূষিত হচ্ছে। আমাদের সকলের উচিত এই প্লাস্টিকের সঠিক ব্যবহার করা এবং পরিবেশ রক্ষার্থে ভূমিকা রাখা।
পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব ও তার প্রতিকার
প্লাসটিক পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি পদার্থ। প্লাস্টিক পচন শীল কোন বস্তু নয়, যা আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে। এই যে মাটির উর্বরতা নষ্ট করে, ফলে সেই মাটি থেকে ফসল অনেকটা কমে যায়। যা আমাদের অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতি করে। চলুন জেনে নেই পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব ও তার প্রতিকার সম্পর্কে-
পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব:
- বিভিন্ন প্লাস্টিক কারখানার বর্জ্য নদীতে বা সাগরে যায়। আর এই প্লাস্টিক থেকে নির্গত প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণা মাইক্রোপ্লাস্টিক পানির সঙ্গে মিশে যায়। তা বিভিন্ন মাছ বা জলজ প্রাণীর মাধ্যমে আমাদের শরীরে আসে। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
- প্লাস্টিকের বর্জ্য নদীভা সাগরে গেলে ধীরে ধীরে মাছ বা অন্যান্য জলজ প্রাণী তাদের প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ফলে দেশে মাছ সংকট দেখা দেয় এবং অন্যান্য জলজ প্রাণী বিলীন হয়ে যায়।
- নদী, পুকুর বা সমুদ্রে প্লাস্টিকের বর্জ্য জমতে জমতে সময় প্লাস্টিকের ঘূর্ণিমান দ্বীপ তৈরি হয়। আর এই ঘূর্ণায়মান প্লাস্টিকের দ্বীপ পরিবেশ এবং জলজ প্রাণীদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
- প্লাস্টিকের বর্জ্য মাটিতে মিশে মাটির উর্বরতা নষ্ট করে এবং মাটিতে থাকা অন্যান্য প্রাণীদের ধ্বংস করে এবং আশেপাশে থাকা গাছ বা ফসলের ক্ষতি করে। ফলে আমরা অক্সিজেন কম পেয়ে থাকি এবং ফসলের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হই।
- অতিরিক্ত প্লাস্টিক ব্যবহারে বর্জ্য অনেক বেশি তৈরি হয় যার কারণে প্লাস্টিকের বর্জ্য আমাদের ধন সম্পদ ও প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করে।
- প্লাস্টিকে থাকা বিসফেনল এ (বিপিএ) নামক রাসায়নিক পদার্থ থাকে। যা আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, আমাদের হরমোন সমস্যা সৃষ্টি বা হরমোন ভারসাম্য নষ্ট করে।
- প্লাস্টিকে থাকা মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ আমাদের ক্যান্সারের মতো গুরুতর রোগ হতে সাহায্য করে।
- মাইক্রোপ্লাস্টিক পরিবেশের বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের দৈনন্দিন খাবারের আমাদের অগোচরে চলে আসে। যা ধীরে ধীরে একটি বড় অসুখ বা সমস্যার সৃষ্টি করে। ফলে আমরা শারীরিকভাবে বিকল হয়ে পড়ি।
প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব রোধের প্রতিকার:
- প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব রোধে আমাদের প্লাস্টিক ব্যবহার সম্পর্কে অবগত হওয়া উচিত, যেখানে সেখানে প্লাস্টিক ফেলা উচিত নয়।
- আমাদের আশেপাশে বিভিন্ন নদী পুকুর বা যেকোন স্থানে প্লাস্টিক থাকলে তার পরিষ্কার কর্মসূচি পালন করা উচিত।
- যতোটুকু সম্ভব আমাদের নিজ দায়িত্বে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো উচিত। প্লাস্টিকের ব্যাগ, প্লাস্টিকের বাসন বা আসবাবপত্রের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা উচিত।
- এর বিকল্প হিসেবে কাপড়ের ব্যাগ, স্টিল বা মেলামাইনের বাসন বা অন্যান্য আসবাবপত্র প্লাস্টিকের না নিয়ে স্টিলের বা কাঠের আসবাবপত্র ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
- প্লাস্টিকের জিনিসপত্র বর্জ্যে রূপান্তর না করে সেগুলোকে রিসাইকেলিং বা পুনরায় ব্যবহার করুন। এতে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে।
- প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব রোধে আমাদের উচিত জৈব প্লাস্টিকের ব্যবহার করা। জৈব প্লাস্টিক সাধারণত প্রাকৃতিকভাবে পচনশীল হয়ে থাকে এবং তা পরিবেশের কোন ক্ষতি করে না।
- প্লাস্টিকের ব্যবহার, প্লাস্টিকের উৎপাদন এবং প্লাস্টিকের বর্জ্য সম্পর্কে সরকারের উচিত কঠোর আইন জারি করা এবং তা যথাযথভাবে প্রয়োগ করা।
- প্লাস্টিকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে প্রতিটি মানুষকে অবগত করা এবং পরিবেশের ক্ষতি হবে না এমন জিনিস ব্যবহারে উৎসাহিত করা।
উপরিউক্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে অনুসরণ ও প্রয়োগ করলে পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব রোধ করা সম্ভব। সবাই একসাথে মিলেমিশে প্লাস্টিক বান্ধব পরিবেশ গড়ি। নিজে সুস্থ্য থাকি সাথে পুকুর, নদী রক্ষা রক্ষা করি।
প্লাস্টিক ব্যবহারের সুফল ও কুফল
আমরা এতক্ষনে পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব ও তার প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এখন আমরা জানবো এটি ব্যবহারের সুফল ও কুফল সম্পর্কে। প্লাস্টিক ব্যবহারে যেমন সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনি প্লাস্টিক ব্যবহারে অনেক অসুবিধা ও রয়েছে। চলুন জানি প্লাস্টিকের ব্যবহারের সুফল ও কুফল সম্পর্কে-
প্লাস্টিক ব্যবহারের সুফল:
- প্লাস্টিক সাধারণত সহজলভ্য হয়ে থাকে এবং প্লাস্টিক তৈরি করতে আর্থিকভাবে কম খরচ হয় তাহলে পণ্যের দাম অনেকটা কম হয়।
- প্লাস্টিকের জিনিসপত্র সাধারণত টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী হয়। যা দীর্ঘ সময় বারবার ব্যবহার করা যায়।
- প্লাস্টিক তুলনামূলক অন্য আসবাবপত্র বা জিনিসের থেকে কম ওজনের হয়ে থাকে। যার কারণে এটি ব্যবহার এবং স্থানান্তর অত্যন্ত সহজ হয়।
- প্লাস্টিকের বিভিন্ন আকার রং বা নকশা তৈরি করা যায়। যার কারণে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করা যায় এবং সেগুলো অনেক সহজ লক্ষ্য হয়ে থাকে।
- বাতাসের আদ্রতায় খাবার নষ্ট হওয়ায় এমন খাবার প্লাস্টিকের পাত্রে রেখে বাতাসের আদ্রতা থেকে বা নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
প্লাস্টিক ব্যবহারের কুফল:
- প্লাস্টিক আমাদের পরিবেশের আবহাওয়া, জীবজন্তু, পানি সহ আরো অন্যান্য জীব বা বস্তুর ক্ষতি করে।
- প্লাস্টিকের অতিরিক্ত ব্যবহার বা এখানে সেখানে প্লাস্টিক ফেলার ফলে আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষতি হয়।
- আমাদের দেশে অধিকাংশ নিম্নমানের প্লাস্টিক রয়েছে যেগুলো রিসাইকেলিং বা পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। যা বর্জ্যে রুপান্তর হয় এবং পরিবেশের ক্ষতি করে।
- প্লাস্টিকের অতিরিক্ত উৎপাদন যা গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বৃদ্ধি করে এবং জলবায়ু পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- প্লাস্টিকে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে। যেগুলো ব্যবহারে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
প্লাস্টিক দূষণ ক্ষতিকর প্রভাব
আমাদের আশে পাশে যতগুলো পরিবেশ দূষণ করার মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম প্লাস্টিক দূষণ। আমাদের পরিবেশের ভারসম্য নষ্ট করতে ও প্লাস্টিক দূষণ ভূমিকা রাখছে। আর এই প্লাস্টিক দূষণ দিনকে দিন বেড়েই চলছে। আমরা যে সমস্ত প্লাস্টিক ব্যবহার করি তার বেশির ভাগ প্লাস্টিক রিসাইক্লিং বা পূনরায় ব্যবহার করা যায় না।
ফলে প্লাস্টিক পদার্থ বা বর্জ্য বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে এর ভয়াবহতা ও অনেক বেড়ে যায়। এই ্প্লাস্টিক বর্জ্যের কারনে আমাদের চারিপাশের উদ্ভিদকুল, জলজপ্রাণী, জীবজন্তু এমনি মানুষকুল সহ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। প্লাস্টিক যদি পুড়েও ফেলা হয়, সেই পুড়ে ফেলা প্লাস্টিক থেকে নানা ধরনের পরিবেশের জন্য ক্ষতি এমন পদার্থ নিগর্ত হয়। যার কারনে পরিবেশ দূষণ আরো বৃদ্ধি পায় এবং আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়।
আমাদের পরিবেশ থেকে যে পরিমান প্লাস্টিক বর্জ্য পুড়ানো হয় তা কেবল মাত্র ১০০ ভাগের ১০ ভাগ বাকি ৯০ ভাগ প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশ দূষণ করছে। প্লাস্টিক দূষণ ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে আমাদের সবাইকে সবার জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে। আমাদের ব্যবহৃত অপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিক পুড়ে ফেলতে হবে।
প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকারের উপায় - প্লাস্টিক ব্যবহারের সচেতনতা
প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকারের অনেক উপায় রয়েছে। যেগুলো মেনে চললে আমাদের পরিবেশের ভারসম্য রক্ষা হবে। প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকারে যতটা সম্ভব সচেতন হতে হবে এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে। নিম্নে কিছু প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকারের উপায় দেয়া হলো-
- আমাদের ঘর-বাড়ির আশে পাশে যত অব্যবহিত প্লাস্টিক রয়েছে সেগুলো নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার করতে হবে এবং অন্যকে উৎসাহিত করতে হবে।
- আমাদের প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহারের পরিবর্তে কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
- পানির বোতলের পরিবর্তে পানির ফিল্টার ব্যবহার করতে হবে।
- প্লাস্টিকের স্ট্রো ব্যবহারের পরিবর্তে কাঁচ বা বাঁশের স্ট্রো ব্যবহার করতে হবে।
- প্লাস্টিকের থালা-বাসনের পরিবর্তে মাটির বা স্টিলের থালা-বাসন ব্যবহার করতে হবে।
- প্লাস্টিকের খেলনার পরিবর্তে কাঠের বা বাঁশের খেলনা কেনা উচিত।
- প্লাস্টিক ব্যবহারের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব পণ্য নিজে ব্যবহার করতে হবে, পরিবার ও অন্যদের ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কেন - প্লাস্টিক দূষণের কারণ
প্লাস্টিক আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এই সুবিধাগুলোর পাশাপাশি প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠছে। নিম্নে প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কেন তা উল্লেখ করা হলো-
প্লাস্টিক খুব সহজে পচনশীল হয় না। একটি গবেষণায় দেখা গেছে এমনও প্লাস্টিক রয়েছে যা ৫০০ থেকে ১০০০ বছর পর্যন্ত পচনশীল না হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে পূর্বের অবস্থায় থেকে যায়। আর এভাবে প্লাস্টিক জমতে জমতে একটা সময় প্লাস্টিকে একটি স্তুপ তৈরি হয় যা মাটি, পানি এবং বায়ু দূষণ করে থাকে।
প্লাস্টিক পুকুর বা নদীতে জমা হওয়ার ফলে প্লাস্টিকের টুকরো মাছ এবং জলে থাকা অন্যান্য প্রাণী খেয়ে ফেলে এবং এ কারণে তাদের মৃত্যু ঘটে। এ সমস্ত মাছ মানুষ খেলে তাদেরও শারীরিক আশঙ্কা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্লাস্টিক নির্মাণ করতে জীবাশ্ম জ্বালানি অধিক পরিমাণে ব্যবহার করা হয় একটা সময় তা পরিবেশের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্লাস্টিক জমে থাকার কারণে আশেপাশে যত উর্বর জমি আছে সেই জমিগুলোর উর্বরতা নষ্ট করে। ফলে ফসলের পরিমাণ অনেকটা কমে যায়। যা অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলে।
বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট অনলাইন শপিং তাদের ব্যবসাকে চমকপ্রদ করতে বিভিন্ন ধরনের ওয়ান টাইম ইউজ প্লাস্টিক বা পলিথিন ব্যবহার করছে। যা আমাদের পরিবেশের জন্য একটি ক্ষতির কারণ।
লেখকের শেষ মন্তব্য: পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব ও তার প্রতিকার
প্রিয় পাঠক, এতক্ষনে পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব ও তার প্রতিকার এবং প্লাস্টিক ব্যবহারের সুফল ও কুফল সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আবার প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কেন, প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকারের উপায় এবং প্লাস্টিক দূষণ ক্ষতিকর প্রভাব গুলো কি কি তা বুঝতে পেরেছেন।
প্লাস্টিক দূষণ একটি জটিল সমস্যা এবং এর সমাধানের জন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আমরা যদি সকলেই সচেতন থাকি এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করি, তাহলে আমরা পরিবেশকে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে পারব। আসুন আমরা সকলে মিলে প্লাস্টিকের অপব্যবহার রোধে একত্রে কাজ করি।
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরও পড়ার সুযোগ করে দিন। এরকম বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করার অনুরোধ রইল। এবং এই আর্টিকেল সম্পর্কে যদি আপনার বিশেষ কোন মতামত থাকে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url