তেতুলের উপকারিতা ও অপকারিতা কি - ওজন কমাতে তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম
তেতুলের উপকারিতা ও অপকারিতা কি, ওজন কমাতে তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম আমাদের আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয়। যেখানে আমরা জানতে পারবো তেতুলের উপকারিতা ও অপকারিতা কি, ওজন কমাতে তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম, পাকা তেতুলের উপকারিতা, তেতুল খেলে কি ক্ষতি হয় এবং প্রতিদিন তেঁতুল খেলে কি হয়।
আরো জানতে পারবেন, ছেলেরা তেতুল খেলে কি হয়, মেয়েদের তেতুল খেলে কি হয় এবং তেঁতুলের শরবত বানানোর পদ্ধতি ও তার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
ভূমিকা: তেতুলের উপকারিতা ও অপকারিতা কি
তেঁতুলের বৈজ্ঞানিক নাম Tamarindus indica, ফবাসেই অন্তর্ভুক্ত একপ্রকার টক জাতীয় ফল। মূলত আফ্রিকা মহাদেশের উৎপত্তি হলেও বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন উষ্ণমণ্ডলীয় ও উপ-উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে এটি জনপ্রিয়। বাংলাদেশেও তেঁতুল গাছ ব্যাপকভাবে দেখা যায় এবং তা ছোট বড় সকল বয়সী মানুষের কাছে অনেক বেশি জনপ্রিয়।
তেঁতুল কাঁচা হোক বা পাকা সবাই এটির স্বাদ নিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে। মুখরোচক খাবার তৈরী করতে, শরবত তৈরী করতে এবং তরকারির স্বাদ বৃদ্ধি করতে তেঁতুলের ব্যবহার অনেক বেশি জনপ্রিয়। তেঁতুলের বীজ নকশাশিল্পে ব্যবহৃত ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সমস্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি তেতুলের উপকারিতা ও অপকারিতা কি তা বুঝতে পারবেন।
তেতুলের উপকারিতা ও অপকারিতা কি
তেঁতুলের উপকারিতাঃ
১. শরীরে কোলেস্টেরলের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমাদের শরীরে দুই ধরনের কোলেস্টেরল বিদ্যমান ভালো কোলেস্টেরল এবং খারাপ কোলেস্টেরল। খারাপ কোলেস্টেরল বলতে কম ঘনত্বযুক্ত লিপোপ্রোটিন কে বঝায়। এটি রক্তবাহী নালীগুলোতে জমে গিয়ে রক্তনালীকে সংকুচিত করে ফেলে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত তেঁতুল খেলে উপশম পাওয়া যায়। তেঁতুল ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল ধ্বংস করতে সাহায্য করে। যার ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি ।কাটতে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতে ব্যাপক সাহায্য করে থাকে।
২. তেঁতুলে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। যা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। লিভারের লিপিড সামগ্রীগুলোকে ফ্রি র্যাডিকাল আক্রমণ থেকে রক্ষা করে কারন তেঁতুলে রয়েছে ভিটামিন ই এবং সেলেনিয়াম।
৩. তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে টারটারিক অ্যাসিড রয়েছে। এটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উৎস। তেঁতুল গলা ব্যথা বা জয়েন্টে ব্যথা দূর করতেও সহায়তা করে।
৪. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে তেঁতুল সাহায্যে করে। তেঁতুলে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ত্বকের লোমকূপ থেকে ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে স্কিন পরিষ্কার রাখে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
৫. তেঁতুল জন্ডিস রোগের জন্য বেশ উপকারী। জন্ডিস একটি যকৃত এর রোগ। তেঁতুলে রয়েছে টারটারিক এসিড। এই এসিড পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ফলে জন্ডিস রোগের সাড়াতে বেশ উপকারী।
৬. তেঁতুল ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে সাহায্য করে। তেঁতুলে উপস্থিত হাইড্রক্সি অ্যাসিড ত্বকের এক্সফলিয়েশন করতে সাহায্য করে। ফলে মরা কোষ উঠে যায় এবং ত্বক উজ্জ্বল দেখায়।
৭. ক্যানসার প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে। তেঁতুল উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। তাই এটি ক্যানসারের কোষগুলো ধ্বংস করে করে। নিয়মিত অল্প পরিমাণের তেতুল খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
৮. ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য তেঁতুল অনেক উপকারি। এটি রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমায়। তেঁতুলে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা অগ্ন্যাশয়কে প্রদাহজনক ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। হঠাৎ কোনো কারণে ডায়াবেটিকস বেড়ে গেলে তেঁতুলের শরবত বা সরাসরি তেঁতুল সেবন করলে সাথে সাথে ডায়াবেটিসের মাত্রা কোনটি শুরু করে।
তেঁতুলের অপকারিতাঃ
- তেঁতুল বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে রক্তচাপ কমে যায়।
- মেয়ে দের পিরিয়ড চলাকালীন তেঁতুল খেলে রক্তপাত বেশি হয়।
- তেঁতুলে বিদ্যমান টারটারিক এসিড এর কারনে অধিক পরিমাণে তেঁতুল খেলে দাঁত ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। তেঁতুলের টারটারিক এসিড দাঁতের এনামেল নষ্ট করে।
- হাইপোগ্লাইসেমিয়া নামক রোগ হয় শরীরে গ্লুকোজ এর অভাবে। অতিরিক্ত তেঁতুল খেলে রক্তের সিরাম গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায় তখন হাইপোগ্লাইসেমিয়া নামক রোগ হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
প্রতিদিন ১০ গ্রাম তেঁতুল গ্রহণ করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এর বেশি পরিমাণে ঘন ঘন অধিক পরিমাণে তেঁতুল খেলে এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিন নিয়মিত খাদ্যগ্রহণের ০.৮ % হতে হবে তবেই তেঁতুলের গুণাবলী সঠিক ভাবে শরীরে কাজ করবে। আশা করি তেতুলের উপকারিতা ও অপকারিতা কি তা বুঝতে পেরেছেন।
ওজন কমাতে তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম
ওজন ঝরে ফেলতে তেঁতুল এর সরবত এর জুরি নেই। আমরা যে সব খাদ্য খাই সেই সব খাদ্য থেকে আয়রন সংগ্রহ করতে সাহায্য করে থাকে তেঁতুলে থাকা টারটারিক অ্যাসিড। এই টারটারিক অ্যাসিড খাদ্য থেকে আয়রন সংগ্রহ করে এবং শরীরের প্রত্যেকটি কোষের আয়রন পৌঁছে দেয়।
প্রতিদিন এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে একটি তেঁতুল ১ থেকে ২ ঘণ্টা ভিজে রেখে উক্ত পানির সাথে লেবু মিশিয়ে খেলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমতে সাহায্য করে।
হাইড্রক্সিসাইট্রিক অ্যাসিড রয়েছে তেঁতুলে , যা শরীরে চর্বি জমতে দেয় না। এই অ্যাসিড সেরোটোনিন নিউরোট্রান্সমিটারের মাত্রা বাড়িয়ে খিদে কমায়। খাবারে অনিচ্ছা বাড়লে ওজন ও বাড়বে না। এ ক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় তেঁতুলের শরবত রাখতে পারেন। গরমের দিনে তেষ্টাও মিটবে, শরীর ঠাণ্ডা রাখবে আর সুস্বাস্থ্যও পাওয়া যাবে।
পাকা তেতুলের উপকারিতা
পাকা তেঁতুল, নাম শুনলেই ছোট বড় সব বয়সের মানুষের জিভে জল আসে। অক্সিডেন্টে ভরা এই টক জাতীয় ফল লিভার এর জন্য অনেক উপকারী। পাকা তেঁতুল ভিজিয়ে রেখে সকালে শুধু জল খেলে হাত-পায়ের জ্বালা কমে।
পাকা তেঁতুলের আঁচার তৈরি করে দীর্ঘ দিন ধরে সংরক্ষন করা যায়। খাবার এর সময় অল্প পরিমাণে এই মুখরোচক আঁচার খেলে স্বাদ এবং খাবারের রুচি বাড়ে।
১০ গ্রাম পাকা তেঁতুলে ৬২৭ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে। শরীরে কোনো কারণে পানি আসলে অতিরিক্ত পানি বের করে দিতেও পটাশিয়াম সহায়তা করে। শরীরে রক্তচাপ কমাতে পটাসিয়াম ভালো কাজ করে।
এ ছাড়া এটি ব্রেইন স্ট্রোক, হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপোরোসিস ও কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে। পাকা তেঁতুল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
তেতুল খেলে কি ক্ষতি হয়
প্রিয় পাঠক, তেঁতুল খেলে শরীরে ক্ষতি হতে পারে, যাঁদের শরীরে অ্যালার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে তেঁতুল খাওয়া বিপদজনক হতে পারে। তেঁতুলে এসিড এর পরিমাণ বেশি থাকে যাঁদের পেটে সব খাবার সয় না হজমে সমস্যা হয় তাদের তেঁতুল না খাওয়াই ভালো। এতে ক্ষতি হতে পারে।
এ ছাড়াও যাঁরা অসুস্থতার জন্য বিভিন্ন ওষুধ সেবন করেন যেমন অ্যান্টি - বায়োটিক ওষুধ, অ্যালার্জি এর ওষুধ, হোমিয়োপ্যাঁথিক ওষুধ, অ্যাসপিরিন আরো অনেক ওষুধ রয়েছে যেগুলো খাওয়ার সময় তেঁতুল খেলে ওষুধ এর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিৎ।
প্রতিদিন তেঁতুল খেলে কি হয়
প্রিয় পাঠক, প্রতিদিন তেঁতুল খেলে কি হয় এই বিষয়ে সকলের জানা উচিৎ কারন বাংলাদেশ এ প্রাপ্ত সহজলভ্য এবং ভিটামিন এ ভরপুর। এই ফলটির নাম শুনলে ভিজে জল আসা নিশ্চিত শুধু স্বাদ নয় অনেক পুষ্টিগুনে ভরা তেঁতুল।
- প্রতিদিন অল্প পরিমাণে তেঁতুল খেলে হার্ট ভালো থাকে। হার্ট এর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- প্রতিদিন অল্প পরমানে তেঁতুল খেলে হজম সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- যারা ডায়েট করেন তাদের জন্য বলছি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ১০ গ্রাম পরিমাণ তেঁতুল যোগ করুন। এতে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
- প্রতিদিন অল্প অল্প করে তেঁতুল খেলে শরীরে খারাপ ফ্যাট কমতে শুরু করে এবং ভালো ফ্যাট বৃদ্ধি পেতে থাকে কারন তেঁতুলে রয়েছে ০.৬ গ্রাম ফ্যাট (চর্বি)।
- গর্ভবতী মা দের জন্য প্রতিদিন অল্প পরিমাণ তেঁতুল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। তেঁতুলে রয়েছে ১৪ মাইক্রোগ্রাম ফোলেট (ফলিক অ্যাসিড) যা রক্ত কণিকা পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে থাকে।
ছেলেরা তেতুল খেলে কি হয়
লোক মুখে আমরা প্রায়ই শুনে থাকি ছেলেদের তেঁতুল খাওয়া ঠিক নয় এতে শরীর এর রক্ত পানি হয়ে যায়। বীর্য পাতলা হয়ে যায়। তেঁতুল খেলে বুদ্ধি কমে যায়। প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন সঠিক তথ্য তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন-
বর্তমানে বাংলাদেশ এ অনেক পুরুষ বন্ধ্যাত্যের শিকার হচ্ছেন, বন্ধ্যাত্য হয় সাধারণত শুক্রাণু কম হয়ার কারনে। নিয়মিত অল্প পরিমাণ তেঁতুল খেলে শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে পারে। শুক্রানুর গুণগত মান উন্নত করতে প্রতিদিন অন্তত ১ টি বা ১০ গ্রাম বা খাদ্য তালিকার ০.৮% তেঁতুল খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
মূলত নির্ভরযোগ্য বৈজ্ঞানিক প্রমান ছাড়া মিথ এ বিশ্বাস করা উচিৎ নয়। যে কোন ফল এর পুষ্টিগুন বিচার করে পরিমাণ মতো সেবনে ভালো ফল পাওয়া যায়।
মেয়েদের তেতুল খেলে কি হয়
তেঁতুল মেয়েদের কাছে একটি লোভনীয় ফল। তেঁতুল দেখলে মুখ এ যে জল চলে আসে। টক খাবারের স্বাদের অভিজ্ঞতা মস্তিষ্কের অনিয়ন্ত্রনযোগ্য অংশের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। ফলে মস্তিস্ক থেকে ডোপামিন নিঃসরণ হয় এতে মন উৎফুল্ল থাকে।
তেঁতুলে রয়েছে ৩.৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। দাগছোপকে দূর করার পাশাপাশি বার্ধক্যের লক্ষণ গুলোকেও প্রতিরোধ করে। ত্বক উজ্জ্বল রাখে।
গরভবস্থায় অনেকের মুখে রুচি থাকে না। খাবারে রুচি আনতে তেঁতুলের আঁচার বা শুধু তেঁতুল লেবুর রস মাখিয়ে খেলে রুচি ফিরে আসে। বমি বমি ভাব থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। পাকা তেঁতুলে ১৪ মাইক্রোগ্রাম ফোলেট (ফলিক অ্যাসিড) বিদ্যমান। এই ফলিক এসিড গর্ভাবস্থায় থাকা শিশুর জন্য খুব উপকারী। ফলিক এসিড রক্ত তৈরি ও প্রোটিন তৈরি করতে সাহায্য করে।
তেঁতুলে বিদ্যমান প্রয়োজনীয় উপাদান সমূহের উপস্থিতে গর্ভে থাকা শিশুর মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের অন্যান্য অংশ স্বাভাবিক ভাবে গঠন করতে সাহায্য করে।
তবে মেয়ে দের পিরিয়ড চলাকালীন বেশি পরিমাণে তেঁতুল খাওয়া উচিৎ নয় এতে রক্তপাত বেশি হয়।
তেঁতুলের শরবত বানানোর পদ্ধতি
প্রিয় পাঠক, গরমের ক্লান্তি দূর করতে, মুখ এর রুচি বৃদ্ধি করতে তেঁতুল এর শরবত খুব কার্যকরী। তেঁতুলের শরবত বানাতে প্রয়োজনীও উপকরণ ও প্রনালী গুলো হল-
উপকরণঃ
- ২ চামচ তেঁতুলের ক্বাথ।
- পানি ২ কাপ পরিমান
- চিনি পরিমানমতো
- লেবুর রস ১ চামচ(না দিলেও কোন সমস্যা নেই)
- ১/২ চামচ জিরা গুঁড়া
- বিটলবণ
- গোলমরিচের গুঁড়া
- বরফ কুচি ও পুদিনা পাতা পরিমানমতো
প্রনালীঃ
প্রথমেই পাকা তেঁতুল পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট বা ১ ঘণ্টা । তেঁতুল নরম হয়ে আসলে তেঁতুলের বিচি আলাদা করে ক্বাথ তৈরি করে নিন। এবার একটি গ্লাসে পানি নিয়ে তেঁতুলের ক্বাথ এবং সব শুকনো উপকরণ ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। সাথে কিছু বরফ ও পুদিনা পাতা যোগ করতে পারেন। তৈরি হয়ে যাবে টক-ঝাল তেঁতুলের শরবত।
লেখকের শেষ মন্তব্য: তেতুলের উপকারিতা ও অপকারিতা কি - ওজন কমাতে তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক, এতক্ষনে তেতুলের উপকারিতা ও অপকারিতা কি এবং ওজন কমাতে তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আবার তেঁতুলের শরবত বানানোর পদ্ধতি, মেয়েদের তেতুল খেলে কি হয় এবং প্রতিদিন তেঁতুল খেলে কি হয় সে সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। তেঁতুল একটি টক মিষ্টি জাতীয় খাবার যা আমাদের শরীরে পুষ্টি যোগায়। তবে অতিরিক্ত তেঁতুল খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
কাজেই পরিমাণমত তেঁতুল খাওয়া উচিত। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করে তাদেরও পড়ার সুযোগ করে দিন এবং নতুন নতুন তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি সম্পর্কে বিশেষ কোন মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url