D-rise 40000 খাওয়ার নিয়ম,কাজ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানুন।

প্রিয় পাঠক, আপনারা অনেকে D-rise 40000 খাওয়ার নিয়ম এবং D-rise 40000 IU কি কাজ করে তা গুগল এর কাছে জানতে চান। আপনি যদি D-rise সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আশা করি, আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন তাই D-rise 40000 সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
D-rise 40000 খাওয়ার নিয়ম,কাজ এবং পাশ্বপ্রতিক্রিয়া
পুরো আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা D-rise 40000 খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাছাড়া আপনারা আরো জানতে পারবেন D-rise 40000 IU কি কাজ করে, D-rise 40000 এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া,D-rise 40000 price in Bangladesh, D-rise 40000 কখন খেতে হয় এ সকল বিষয়ে বিস্তারিত।

D-rise 40000 IU কি কাজ করে:

D-rise কোলিক্যালসিফেরল সমন্বিত একটি ফর্মুলেশনের ব্র্যান্ডের নাম। এতে রয়েছে 40000 IU কোলিক্যালসিফেরল (ভিটামিন ডি ৩)।এটি এমন একটি ওষুধ যা মানুষের শরীরে ভিটামিন D3 এর অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে হাড়ের বৃদ্ধি এবং ঘনত্বের জন্য ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের শোষণে এটি সাহায্য করে। 
একটি দাঁতের গঠনে ও সাহায্য করে। ফুসফুসের জন্য বেশ কার্যকরী এই ঔষধ। D-rise 40000 এই ওষুধটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাছাড়া ডায়াবেটিস টাইপ টু ব্যবস্থাপনার জন্য বেশ উপকারী এই ঔষধটি। যে সকল লোকজন সূর্যালোকের সংস্পর্শে কম থাকে এবং ভিটামিন ডি এর স্বল্পতা রয়েছে।

এই ঔষধ সেবনে সূর্যের আলোর সাহায্যে কোলেস্টেরল থেকে সংশ্লেষিত মানুষের শরীরের মধ্যে একটি কার্যকর ফ্যাট- দ্রবণীয় ভিটামিন হিসেবে কাজ করে। ভিটামিন ডি ৩ রিকেটস, অস্টিওম্যালেসিয়া প্রতিরোধে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন ডি ৩ গর্ভাবস্থায় একলামসিয়া প্রতিরোধে এবং শিশুদের পুষ্টির জন্য বেশ কার্যকরী। 
প্রিয় পাঠক, D-rise 40000 IU কি কাজ করে আশা করি, সে সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন। এবার আসুন D-rise 40000 খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিই।

D-rise 40000 খাওয়ার নিয়ম:

সাধারণত এই ঔষধ ভিটামিন ডি সম্পূরক করতে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে যারা পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার গ্রহণ করে না এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে কম আসে সে সকল লোকদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দেয়। এবং ভিটামিন ডি এর অভাবে নানান স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন।
D-rise 40000 খাওয়ার নিয়ম,কাজ এবং পাশ্বপ্রতিক্রিয়া
যেমন রিকেটস, নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সার, বিপাকীয় ব্যাধি, পেশি দুর্বলতা ইত্যাদি সমস্যা সমাধানে এই ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। যে কোন ওষুধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। ভিটামিন ডি৩ এর ঘাটতি পূরণে D-rise 40000 খাওয়ার কিছু সেবন বিধি রয়েছে। যেমন :
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে:
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি ৩ এর অভাব পূরণের জন্য প্রতি সপ্তাহে একটি D-rise 40000 lu ক্যাপসুল ৭ সপ্তাহ পর্যন্ত খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।মেইনটেনেন্স থেরাপির মাত্রা ১৪০০ থেকে ২০০০ আইইউ প্রতিদিন। ভিটামিন ডি ৩ এর ঘাটতি প্রতিরোধ করতে চার সপ্তাহে ২০০০০ আই ইউ গ্রহণ করতে হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে এর মাত্রা বাড়ানো হয়ে থাকে। অস্টিওপোরোসিস রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতিমাসে ২০০০০ আইইউ নির্দেশিত।

শিশু (১২-১৮ বছর) :
ভিটামিন ডি ৩ এর ঘাটতি পূরণের জন্য প্রতি ২ সপ্তাহে ২০০০০ আই ইউ ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত নির্দেশিত। এবং ভিটামিন ডি ৩ এর ঘাটতি প্রতিরোধে প্রতি ৬ সপ্তাহে ২০০০০ আইইউ। ১২ থেকে ১৮ বছরের নিচে শিশুদের এই ঔষধ সেবনের ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আর এই ওষুধের ডোজ বাড়ানোর আগে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে নিন।কেননা একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারই বলতে পারবে কখন কোন পরিস্থিতিতে কোন ওষুধের কতখানি ডোজ দেওয়া প্রয়োজন।

D-rise 40000 এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:

সাধারণত সকল ভিটামিন সাপ্লিমেন্টই নিরাপদ ও সুসহনীয় এবং তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। D-rise 40000 সাধারণত ভিটামিন ডি ৩ এর সাপ্লিমেন্ট হিসেবে কাজ করে। উপরোক্ত আলোচনায় আমরা D-rise 40000 খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। সঠিক নিয়মে এই ওষুধ সেবন করলে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় যেমন :
  • ক্ষুধা মন্দা
  • অবসন্নতা
  • বমি হওয়া ও বমি বমি ভাব
  • ডায়রিয়া
  • কোষ্ঠকাঠিন্য
  • মাথাব্যথা
  • অতিরিক্ত ঘাম
  • মাথা ঘোরা
  • বহুমূত্র
  • ওজন কমে যাওয়া
  • পিপাসা
  • মুত্রে ক্যালসিয়াম ও ফসফেটের অতিরিক্ত মাত্রা

D-rise 40000 price in Bangladesh:

D-rise 40000 বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড এর একটি পণ্য। এই ওষুধের মূল্য strip price: ৩৫ টাকা এবং unit price: ৩৫০ টাকা। কোলেক্যালসিফেরল মৌখিক ও ইনজেকশন দুই আকারেই পাওয়া যায়। রোগের ধরন বুঝে ডাক্তারেরা মুখে অথবা ইনজেকশন সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যে কোন ফার্মেসির দোকানে এই ওষুধটি এভেলেবেল পাওয়া যায়। এই ওষুধ কেনার পূর্বে অবশ্যই এর দাম যাচাই করে কিনবেন। কেননা এর মূল্য কিছু কম বেশি হতে পারে।

D-rise 40000 কখন খেতে হয়:

ভিটামিন ডি শরীরে নিজে নিজেই তৈরি হয়। ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ভিটামিন। কেননা এই ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত কার্যকরী। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন ডি শরীরে ঠিকমত উৎপাদন না হলে ক্যালসিয়াম ও শরীরে ঠিকমতো কাজ করে না।
আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে D-rise 40000 কখন খেতে হয়? D rise 40000 সেবনের পূর্বে D-rise 40000 খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরি।সাধারণত বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা সকালে নাস্তার পর অথবা দুপুরে খাবারের সাথে বা খাবারের পরে এই ভিটামিন গ্রহণ কর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।কারণ খালি পেটে খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।

তাছাড়া এই ওষুধটা আপনি দিনের যে কোন সময় খেতে পারেন। তবে ভারী খাবারের সময় এই ঔষধ নেওয়া উত্তম। এই ওষুধটির শোষণ বাড়ানোর জন্য চর্বিযুক্ত খাবারের সাথে গ্রহণ করতে পারেন। তবে একদিনে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এর মাত্রা অতিরিক্ত সেবন করা ঠিক নয়।অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনার ওষুধের ডোজ নির্ধারণ করে নিন।

D-rise 40000 ক্যাপসুল সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ):

প্রশ্ন : ডি রাইজ ক্যাপসুল কিভাবে খাব?
উত্তর : ডি রাইজ ক্যাপসুল সম্পূর্ণ পানি দিয়ে গিলে ফেলুন। এই ক্যাপসুলটি চিবিয়ে বা চূর্ণ করে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই ওষুধের শোষণ বাড়ানোর জন্য চর্বিযুক্ত খাবারের সাথে গ্রহণ করা ভালো।

প্রশ্ন: D-rise 40000 কখন খেতে হয়?
উত্তর : এটি ভিটামিন ডি ৩ সাপ্লিমেন্ট যা আপনি দিনের যে কোন সময় খেতে পারবেন। এটি খাও নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। তবে ভরা পেটে খাওয়া উত্তম।

প্রশ্ন: D-rise 40000 এর কাজ কি?
উত্তর: D-rise 40000 এর প্রধান উপাদান কোলেক্যালসিফেরল ভিটামিন ডি সম্পূরক করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি এর অভাবে বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন রিকেটস, অস্টিওপরেোসিস এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সার প্রতিরোধে এই ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রশ্ন: D-rise 40000 কাজ করতে কতক্ষণ সময় লাগে?
উত্তর: কোলেক্যালসিফেরল কাজ শুরু করতে কয়েকদিন সময় লাগে। এই ওষুধের সম্পূর্ণ কাজ পেতে সপ্তাহ বা এক মাস সময় রাখতে পারে।

প্রশ্ন: গর্ভাবস্থায় D rise কি নিরাপদ?
উত্তর: সাধারণত গর্ভাবস্থায় কোলেক্যালসিফেরল নিরাপদ বলে মনে করা হয়। তবে সর্বনিম্ন সম্ভাব্য মাত্রায় ব্যবহার করা উচিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেওয়া জরুরী।

প্রশ্ন : D-rise 40000 কিভাবে নিতে হয়?
উত্তর: প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি ৩ এর ঘাটতি পূরণের জন্য ৪০,০০০ আইইউ সপ্তাহে একবার ৭ সপ্তাহের জন্য নিতে হয়। রক্ষণাবেক্ষণ ডোজ এর জন্য প্রতিদিন ১৪০০-২০০০ আইইউ সুপারিশ করা হয়।

লেখকের মন্তব্য : D-rise 40000 খাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক, পুরো আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয়ই আপনারা অবগত হতে পেরেছেন D-rise 40000 খাওয়ার নিয়ম এবং D-rise 40000 IU কি কাজ করে সে সম্পর্কে। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন এবং D-rise 40000 কিসের ওষুধ, কি কাজ করে এবং এটির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরে থাকেন তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে তাদেরও পড়ার সুযোগ করে দিন। এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে হাঁটি কেটে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি সম্পর্কে কোন বিশেষ মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url