বাচ্চাদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম এবং বাচ্চাদের গুড়া কৃমির লক্ষণ।

প্রিয় পাঠক, বাচ্চাদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম সম্পর্কে জানতে আপনি গুগলে সার্চ করেছেন? এবং বাচ্চাদের গুড়া কৃমির লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আমাদের সাথে থাকুন। কেননা বাচ্চাদের গুড়া কৃমি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য আমরা আপনাদের জানাতে চলেছি। বাচ্চাদের কমন একটি সমস্যা হচ্ছে গুড়া কৃমি সমস্যা। যার জন্য বাচ্চারা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভূগে থাকেন। বড় থেকে ছোট সবাই এই গুড়া কৃমিতে সংক্রমিত হয়ে থাকে।গুড়া কৃমির প্রতিরোধের উপায় এবং ঔষধের নাম জানা আমাদের সকলেরই জরুরী।
বাচ্চাদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম এবং বাচ্চাদের গুড়া কৃমির লক্ষণ
এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা আপনাদের বাচ্চাদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানাবো। তাছাড়া পুরো আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা আরো জানতে পারবেন বাচ্চাদের গুড়া কৃমির লক্ষণ,বাচ্চাদের গুড়া কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায়, বাচ্চাদের গুড়া কৃমি প্রতিরোধে করণীয়, বাচ্চাদের গুড়া কৃমি কেন হয় এবং বাচ্চাদের কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত। এ সকল বিষয়ে তথ্য পেতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।

বাচ্চাদের গুড়া কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায়:

শিশুদের কৃমির সমস্যা একটি সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু এই সমস্যাকে ছোট করে দেখা একদমই উচিত নয়। প্রায় সব শিশুরাই কৃমিতে আক্রান্ত হয়। বিশেষ করে ফিতাকৃমি বা সুতাকৃমির সংক্রমণ শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে।বাচ্চাদের পেটে গুড়া কৃমি বেশি হয়ে গেলে অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। বাচ্চাদের গুড়া কৃমি প্রতিরোধে ঘরে থাকা কিছু উপাদান কাজে লাগাতে পারেন। 
অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, কাঁচা শাকসবজি ভালো করে ধুয়ে না খাওয়া, মাটিতে হাঁটাচলা,দূষিত পানি ব্যবহার ও অনিরাপদ খাবার পানি পান করলে সাধারণত শিশুরা কৃমিতে আক্রান্ত হয় । কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যার মাধ্যমে কৃমি সমস্যার সমাধান করা যায়। আসুন, সেসব ঘরোয়া উপায় নিয়ে নিচে আলোচনা করা যাক।

রসুন:
কাঁচা রসুনে সালফারযুক্ত অ্যামাইনো এসিড বিদ্যমান যা কৃমি তাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খালি পেটে তিন কোয়া রসুন ভাতের সাথে বা এক কাপ দুধে জাল করে তা হাফ কাপ করে সপ্তাহে একদিন খেলে কৃমে কমবে।

হলুদ:
কাঁচা হলুদ অ্যান্টিবায়োটিক গুন সমৃদ্ধ। হলুদের নানার উপকারিতা হয়েছে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে সামান্য গরম ভাতের সাথে হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে খেলে অথবা হালকা গরম পানিতে হলুদ গুড়া এবং লবণ মিশিয়ে খেলে কৃমী কমে যায়।
আনারস:
আনারসে থাকা ব্রোমেলিন নামক এনজাইম কৃমি মারতে সাহায্য করে। কৃমি মারতে নিয়মিত চার থেকে পাঁচ দিন সকালে খালি পেটে আনারস খান এতে উপকার মিলবে।

গাজর:
সকালে খালি পেটে গাজর খেতে পারেন কেননা গাজরে থাকা বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ,সি এবং জিংক কৃমি প্রতিরোধে কাজ করে।

নিম পাতা এবং করোলা:
নিম পাতা এবং করোলা দুটোই তেতো জাতীয় খাবার। আর কৃমি দূর করতে তেতো খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। সকালে খালি পেটে এক চামচ নিম পাতার রস এক কাপ পানির সাথে মিশিয়ে নিয়মিত কয়েকদিন খেতে পারলে কৃমি সমস্যা সমাধান হবে। একই নিয়মে করলার জুস বানিয়ে খালি পেটে খেলে পেটে কৃমি কমবে।

কাঁচা পেঁপে :
কাঁচা পেঁপে এবং পেঁপের বীজ কৃমি কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া মধু ও পেঁপে একসঙ্গে খেলে কিমি সমস্যার সমাধান হতে পারে। খালি পেটে কাঁচা পেঁপে অথবা পেঁপের বীজের গুড়া এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেলে কৃমি সমস্যার সমাধান হয়।

লবঙ্গ:
লবঙ্গের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা হয়েছে। তার মধ্যে কৃমির সমস্যার সমাধানে লবঙ্গ বেশ কার্যকরী। লবঙ্গের গুঁড়া দিয়ে চা বানিয়ে খেলে কৃমি সমস্যা সমাধান পাওয়া যায়। অথবা প্রতিদিন ১-২ টি লবঙ্গ সকালে খালি পেটে চুষে খেতে পারেন।

কুমড়োর বীজ:
মিষ্টি কুমড়ার বীজের গুড়া কৃমি দূর করতে বেশ কার্যকরী। এক চামচ মিষ্টি কুমড়ার গুঁড়ো দুই কাপ পানিতে জাল করে সপ্তাহে তিন দিন খেলে কৃমি সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়।

বাচ্চাদের গুড়া কৃমি প্রতিরোধে করণীয়:

বাচ্চাদের গুড়া কৃমি হলে প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি। কেননা কৃমি অতিরিক্ত বেড়ে গেলে বাচ্চারা রক্তশূন্য হয়ে পড়ে। এবং পেট ব্যথা, ডায়রিয়া সহ নানান শারীরিক জটিলতার মধ্যে পড়তে হয়। বাচ্চাদের গুড়া কৃমি শনাক্ত করার পর জরুরি ভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে শিশুকে কৃমির ঔষধ খাওয়াতে হবে।বাচ্চাদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথে থাকুন। 
তাছাড়া ঘরোয়া কিছু উপাদান রয়েছে যা দিয়ে কবি প্রাথমিক ভাবে প্রতিরোধ করা যায়। বাচ্চাদের নখ পরিষ্কার রাখতে হবে। খালি পায়ে হাঁটাচলা থেকে বিরত রাখতে হবে। খাবার খাওয়ার আগে এবং টয়লেট শেষে ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করাতে হবে। ফলমূল ও শাকসবজি ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে খাওয়াতে হবে।

আপনার শিশুকে নিরাপদ পানি পান করাতে হবে। অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে কৃমির সংক্রমণ বেড়ে যায়।তাই শিশু কৃমিতে সংক্রমিত হলে অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া থেকে বিরত রাখুন।নিয়মিত আপনার বাচ্চাকে চার মাস পর পর কৃমিনাশক ঔষধ সেবন করাতে হবে। বাচ্চাদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম সম্পর্কে  আমরা নিচে আলোচনা করব। সঠিক দোজ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ালে বাচ্চারা কৃমি সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে।

বাচ্চাদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম:

শিশুদের খালি পায়ে মাটিতে হাঁটো চলা, অপরিষ্কার জিনিসপত্র নিয়ে খেলাধুলা, স্কুলের মাধ্যমে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মাধ্যমে গুড়া কৃমিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। সাধারণত শিশুরা যে কোন কৃমিতে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। গুড়া কৃমি হোক বা অন্য কৃমি হোক যেকোনো কৃমির সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা উত্তম।আজকের আলোচনার মূল বিষয় বাচ্চাদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম যা আমরা এখন আলোচনা করব।
বাচ্চাদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম এবং বাচ্চাদের গুড়া কৃমির লক্ষণ
চিকিৎসক বাচ্চার ওজন ও বয়স ভেদে ওষুধ দিয়ে থাকেন। কৃমির ঔষধ সেবনের পূর্বে একটা কথা মাথায় রাখবেন যে পরিবারের সকলে একসাথে কৃমির ওষুধ সেবন করতে হয় তা না হলে কাজ হবে না। সাধারণত যে সকল ঔষধ ডাক্তাররা শিশুদের কৃমির চিকিৎসা ব্যবহার করে থাকেন সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ

মেবেনন্ডাজোল:
এই ওষুধটি ট্যাবলেট বা সিরাপ দুইভাবে পাওয়া যায়। মেবেন্ডাজোল এই ওষুধটি বাচ্চাদের গুড়া কৃমি নিরাময় বেশ কার্যকরী।দুই বছরের বেশি বয়স হলে আপনার শিশুকে দিনে ২ বার ১ চামচ করে ৩ দিন পর্যন্ত সেবন করাতে হবে।

অ্যালবেনডাজল:
বাজারে এই ঔষধ ট্যাবলেট ও সিরাপ আকারে পাওয়া যায়। এলবেন,সিনটেল,প্রভৃতি নামে এই ওষুধ বাজারে পাওয়া যায়। বাচ্চার বয়স ২ বছরের বেশি হলে ২ চামচ সিরাপ দিনে ১ বার খাওয়াতে হবে। এবং সংক্রমণ থেকে গেলে তিন সপ্তাহ পর আবার একবার একই নিয়মে খাওয়াতে হবে।

লিভোমিসোল:
এই ওষুধটি কেটেক্স নামে বাজারে পাওয়া যায়। এই ঔষধ বাচ্চাদের ওজনের উপর নির্ভর করে চিকিৎসকরা দিয়ে থাকেন। কেজি প্রতি ৩ মিলিগ্রাম ওষুধের ডোজ নির্ধারণ করা হয়। সব থেকে ভালো হয় আপনি একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনার বাচ্চাকে এই ওষুধ সেবন করানো।

পাইরেনটাল পামোয়েট:
এই ওষুধটি মেলফিন, ডিলেনটিন ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়। এই সিরাপটি শিশুর ওজন অনুযায়ী নির্ধারিত করা হয়।এক বছরের বেশি বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে কেজিপ্রতি ১১ মিলিগ্রাম ডোজ নির্ধারণ করে থাকেন চিকিৎসকরা। গুড়া কৃমি হলে এবং এর সংক্রমণ থেকে গেলে দুই সপ্তাহ পর আবার একই মাত্রার ডোজ দেওয়া যেতে পারে।

বাচ্চাদের গুড়া কৃমি কেন হয়:

শিশুরা বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন। তার মধ্যে শিশুদের কৃমির সমস্যা অনেক বেশি দেখা যায়। কৃমি একটি শিশুর শারীরিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে। তাই বাচ্চাদের গুড়া কৃমি কেন হয় সে সম্পর্কে জানাটা জরুরি। বাচ্চাদের কৃমি হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানলে এর প্রতিরোধের উপায় সহজ হয়। কৃমি সাধারণত মাটিতে ডিম পাড়ে।
আর মাটিতে উৎপাদিত শাকসবজির মাধ্যমে কৃমি শিশুদের শরীরে প্রবেশ করে। শাকসবজি ঠিকমতো পরিষ্কার করা না হলে এবং ঠিকমতো রান্না না হলে কৃমিতে আক্রান্ত হয়। আসুন জেনে নিই বাচ্চাদের গুড়া কৃমির হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত।
  • বাচ্চারা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকলে গুড়া কৃমির সংক্রমণ বেশি হয়।
  • খালি পায়ে টয়লেট ব্যবহার করলে এবং মাটিতে হাঁটাচলা করলে শিশুদের কৃমি বেশি হয়।
  • মলত্যাগের পর ঠিকমতো হাত পরিষ্কার না করার কারণে ও গুড়া কৃমির সংক্রমণ হয়।
  • যে কোন খাবার খাওয়ার আগে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে কৃমি হয়।
  • ফলমূল শাকসবজি পরিষ্কার করে না ধুয়ে খেলে কৃমি হয়।
  • দূষিত পানির ব্যবহার এবং শিশুর পানি না ফুটিয়ে পান করালেও কৃমির সংক্রমণ হয়ে থাকে।
  • হাতের নখ বড় থাকলে নখের মধ্যে প্রেমের ডিম ঢুকে যায় এবং তা খাবারের মাধ্যমে পেটে গেলে কৃমির সংক্রমণ হয়ে থাকে।
  • স্কুলে পড়া শিশুদের ক্ষেত্রে কৃমি সংক্রমণ বেশি হয় কেননা একজন শিশু কৃমিতে আক্রান্ত হলে তার সংস্পর্শে আসা শিশুদেরও কৃমিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  • পরিবারের কেউ যদি কৃমিতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে ওই পরিবারের শিশুদেরও কিমিতে আক্রান্ত হওয়া সম্ভব না থাকে।
  • বাহিরের খোলা খাবারে মাছি বসে এর মাধ্যমে কৃমি বা এর ডিম ওই খাবারে আসে যা বাচ্চারা খেলে কৃমিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে ।

বাচ্চাদের গুড়া কৃমির লক্ষণ :

কৃমি এক ধরনের পরজীবী যা মানুষের শরীর থেকে পুষ্টি নিয়ে বেঁচে থাকে এবং বংশবিস্তার করে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে কৃমির সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে স্কুলে যাওয়া বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কৃমির সংক্রমণ বেশি হয়। বাচ্চারা কৃমি সংক্রমিত হলে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দেয় যা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার বাচ্চার কৃমি হয়েছে। কৃমি সংক্রমণ হলে শিশুদের যেসব লক্ষণ দেখা দেয় সেগুলো হলঃ
  • ওজন কমে যাওয়া
  • অতিরিক্ত খিটখিটে মেজাজ
  • বমি বমি ভাব ও পেটে ব্যথা হওয়া
  • শুষ্ক কাশি ও বমি হওয়া
  • মলদ্বারে চুলকানি
  • মলদ্বারে চুলকানির কারণে ঘুম কমে যাওয়া
  • রুচি কমে যাওয়া বা খাবারের প্রতি অনীহা
  • হজমে সমস্যা এবং ডায়রিয়া হওয়া
  • অতিরিক্ত কিমি হলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়
  • মেয়ে শিশুদের ক্ষেত্রে প্রসাবে ইনফেকশন হয় এবং প্রসাবে জ্বালাপোড়া হয়

বাচ্চাদের কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর নিয়ম:

শিশুদের নিয়মিত কৃমির ওষুধ খাওয়ানো অত্যন্ত জরুরী। কেননা কৃমির ঔষধ না খাওয়ালে কৃমি সংক্রমণ বেড়ে যায় যার ফলে শিশু স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগেন। বাচ্চাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। উপরোক্ত আলোচনায় বাচ্চাদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম সম্পর্কে আমরা জেনেছি। এবার বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর নিয়ম সম্পর্কে জানব। বাচ্চাদের কৃমির ওষুধ খাওয়ানো নিয়ে অনেকের মনে ভ্রান্ত ধারণা থাকে। যে খালি পেটে খাওয়াবো, নাকি ভরা পেটে। কৃমির ওষুধ খেলে বাচ্চা দুর্বল হয়ে যায়।
বাচ্চাদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম এবং বাচ্চাদের গুড়া কৃমির লক্ষণ
এসব ভ্রান্ত ধারণার কারণে অনেকে বাচ্চাদেরকে নিয়মিত কৃমির ওষুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকেন। যা একদমই উচিত নয়। সাধারণত এক বছরের কম শিশুদের ক্ষেত্রে কৃমির ওষুধ দেওয়া উচিত নয়। এক বছর বয়সে পর থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ছয় মাস অন্তর অন্তর বাচ্চাদের কৃমির ওষুধ খাওয়ানো উচিত। 
বাচ্চা কৃমিতে সংক্রমিত হলে কিছু লক্ষণ আছে যা আমরা উপরে আলোচনা করেছি। এসব লক্ষণ দেখে আপনি বুঝবেন আপনার বাচ্চা কৃমি সংক্রমিত হয়েছে।এই সময় আপনার বাচ্চাকে কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়াতে হবে। ২-৫ বয়সী বাচ্চাদেরকে ৪-৬ মাস পর পর কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানো প্রয়োজন। সাধারণত কৃমিনাশক ঔষধ খালি পেটে খাওয়াতে হয়। 

তবে প্রয়োজন পড়লে ভরা পেটেও খাওয়ানো যেতে পারে। কৃমি সমস্যা থেকে বাঁচতে পরিবারের সকলে তিন মাস পর পর মেবেনডাজল ওষুধ সেবন করতে পারেন। বাচ্চাদের জন্য এই ওষুধের সিরাপ আকারে পাওয়া যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডোজ ঠিক করে নেওয়া উচিত। তবে প্রথম ডোজ খাওয়ার পরেও যদি উপসর্গ থেকে থাকে তবে পুনরায় দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়।

সেক্ষেত্রে ৭ থেকে ১০ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।তাছাড়া বাচ্চাদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম সম্পর্কে আমরা আলোচনা করেছি।এসব ওষুধের মধ্যে যে কোন ওষুধ আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত যে কোন আবহাওয়ায় আপনি আপনার পরিবারসহ শিশুকে কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়াতে পারবেন। কৃমির ওষুধের তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। কৃমিনাশক ঔষধ খেলে পেটের কৃমি মরে কিন্তু এর লার্ভা বা ডিম মরেনা। যার জন্য নিয়মিত ৪-৬ মাস অন্তর কৃমিনাশক ওষুধ সেবন করা অত্যন্ত জরুরী।

লেখকের মন্তব্য :বাচ্চাদের গুড়া কৃমির ঔষধের নাম এবং বাচ্চাদের গুড়া কৃমির লক্ষণ

প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচনার মূল বিষয় বাচ্চাদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম এবং বাচ্চাদের গুড়া কৃমির লক্ষণ যা এতক্ষণে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করে তাদেরও পড়ার সুযোগ করে দিন। আর আর্টিকেল সম্পর্কে বিশেষ কোন মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url